যদি কোনও ব্যক্তি কোনও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে মারা যায়, তবে ব্যাংক কী করবে?
ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে, ঋণ পরিশোধ করার আগেই যদি কোনো ব্যক্তির মৃত্যু হয়, সে ক্ষেত্রে ব্যাংক, অপরিশোধ্য ঋণ আদায়ে যে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে,
১। যদি ঋণটি ইন্স্যুরেন্স করা থাকে, তবে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী থেকে আদায় করবে।
২। যদি ইন্স্যুরেন্স না করা থাকে, সেক্ষেত্রে, যেসব পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়,
ক) মৃত ঋণগ্রহীতার যদি ব্যাংকে সঞ্চিত অর্থ থাকে, সেখান থেকে ঋণটি আদায় করার চেষ্টা করা হয়।
খ) যদি ঋণটিতে co-borrower বা অন্য কারো সাথে, যুগ্ম ভাবে ঋণটি নেয়া হয়ে থাকে, তাহলে co-borrower থেকে আদায় করার চেষ্টা করা হয়।
গ) যদি ঋণটিতে গ্যারান্টর হিসেবে কেউ যুক্ত থাকেন, তাঁর কাছ থেকে আদায় করার চেষ্টা করা হয়।
ঘ) যদি ঋণটি নিয়ে কোনো সম্পদ সৃষ্টি করা হয়, সেই সম্পদ বিক্রী করে ঋণটি আদায় করার চেষ্টা করা হয়।
ঙ) যদি ঋণটি নেয়ার সময় কোনো কিছু সিকিউরিটি হিসেবে রাখা হয়ে থাকে, সেখান থেকে ঋণটি আদায় করার চেষ্টা করা হয়।
যদি, এসব কোনো পথই খোলা না থাকে, তবে, মৃত ব্যক্তির একক নামে বর্তমান কোনো সম্পত্তি থেকে, সে সম্পত্তি থেকে ঋণ আদায়ের জন্য ব্যাংক আইনী পথে অগ্রসর হওয়ার মতো পদক্ষেপ নেয়ার কথা বিবেচনা করতে পারে।
প্রসঙ্গক্রমে, যদি ঋণের সাথে মৃত ব্যক্তির পরিবারের কেউ যুক্ত না থাকেন, তাহলে তাঁরা কেউ এই ঋণ পরিশোধের জন্য নিয়মানুসারে বাধ্য থাকবেন না। ব্যাংক পরিবারের সদস্যদের কাছে ঋণটি পরিশোধের জন্য আবেদন করতে পারে এবং এটা একান্তভাবেই পরিবারের সদস্যদের বিবেচনাবোধের উপর নির্ভরশীল। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নৈতিকতা বোধের অনুভূতি থেকে ঋণটি পরিশোধ করার জন্য পরিবারের সদস্যদের এগিয়ে আসতেই দেখা যায়।
যখন ঋণ আদায়ের কোনো পথই খোলা থাকে না, তখন ব্যাংক ঋণটিকে মুকুব বা waive করতে বাধ্য হয়।
সাধারণত: ছোটোখাটো ঋণের ক্ষেত্রে এরকম পরিস্থিতিতে, ব্যাংক ঋণ আদায়ের জন্য বিস্তৃত পদক্ষেপ নেয়াতে উৎসাহী না ও হতে পারে। ঋণটিকে সরাসরি মুকুব করে দিতে পারে।
কোনটা বড় ঋণ, কোনটা ছোটো ঋণ, সেটার সিদ্ধান্ত একান্তভাবেই ব্যাংকের।
ব্যাংকে যে ঋণ দেয়া হয়, সেটা ব্যাঙ্কেরই অন্য কোনো গ্রাহকের জমানো অর্থ, যে অর্থ ব্যাংক কে ফেরৎ দিতেই হবে। সেজন্য ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে, ব্যাংক নানাবিধ পন্থা গ্রহণে বাধ্য হয়।