রঙিন টেলিভিশন থেকে ক্ষতিকর রশ্মি বের হয়?
রঙিন টেলিভিশন থেকে ক্ষতিকর রশ্মি বের হয়?
রঞ্জন রশ্মি
ক্ষুদ্র তরঙ্গদৈর্ঘ্য বিশিষ্ট এক ধরনের তাড়িত চৌম্বক বিকিরণ। এর অপর নাম এক্স – রে (X – ray)। রঞ্জনরশ্মির তরঙ্গ দৈর্ঘ্য (সাধারণত ১০ – ০.০১ ন্যানোমিটার) সাধারণ আলোর চেয়ে অনেক কম বলে দর্শন অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে না। ১৮৯৫ সালে উইলিয়াম রন্টজেন এই রশ্মি আবিস্কার করেন। তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত ছোট হয় পদার্থ ভেদ করার ক্ষমতা তত বেশি হয়। চিকিৎসাক্ষেত্রে রোগনির্ণয়ে যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে রঞ্জনরশ্মি।
প্রকারভেদ
কোমল এক্সরে(Soft X – ray)
কঠিন এক্সরে(Hard X – ray)
উৎপাদন
ফিলামেন্ট F – এর ভিতর দিয়ে প্রবাহিত তড়িৎপ্রবাহ ক্যাথোড C – কে উত্তপ্ত করলে। ইলেক্ট্রন তাপীয় নিঃসরণ প্রক্রিয়ায় একটি এক্সরে টিউবের প্রয়োজনীয় অংশ ক্যাথোড থেকে মুক্ত হয়ে আসে। তারপর একটি অতি উচ্চ বিভব প্রভেদ V – এর দ্বারা ইলেন্ট্রন গুলো ত্বরিত হয় ও আ্যনোডরূপী লক্ষবস্তু T – তে আঘাত করে। ফলে এক্সরে উৎপন্ন হয়। রঙিন টেলিভিশন থেকেও এই রশ্মি নির্গত হয়।