বিভিন্ন ওয়েবসাইটে কুকিজ জিনিসটা কী?
কুকি কী?
প্রথমেই জেনে নেই কুকি কী তা সম্পর্কে – কুকি আসলে কিছু ক্ষুদ্র ডেটা ফাইল, যেগুলো আপনার ইন্টারনেট ব্রাউজারের ক্যাশ মেমোরিতে সংরক্ষিত হয়। এখন এই ফাইল গুলো আসে কোথা হতে, যখনই আপনি কোন কুকি এনাবল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন এবং আপনার ইন্টারনেট ব্রাউজারে যদি কুকি এনাবল করা থাকে তবে সেই ওয়েবসাইট টি আপনার ব্রাউজার ক্যাশে কুকিজ ড্রপ করে দেয়। আজকাল প্রায় সব ওয়েবসাইটেই কুকি ব্যবহার করা হয় এবং সকল ব্রাউজারে ডিফল্ট হিসেবে কুকি এ্যলাও করা থাকে। তাই সহজ ভাষায় বলা যায়, কোনো ওয়েবসাইটে যখন আপনি ব্রাউজ করেন আপনার ব্রাউজিং এক্টিভিটির উপর ভিত্তি করে কিছু নির্দিষ্ট ডেটা যখন আপনার ব্রাউজার সংরক্ষণ করে রাখে সেটাই কুকি। যা সাধারনত আপনার ইন্টারনেট সেবার মানকে উন্নত করার জন্য ব্যবহার করা হয়। সেক্ষেত্রে আপনাকে জানিয়ে সংগ্রহ করতে পারে আবার না জানিয়েও সংগ্রহ করতে পারে। এটা নির্ভর করে তাদের প্রাইভেসি পলিসির উপর। লক্ষ্য করে দেখবেন গুগলে যদি আপনি একটা ঘড়ি সার্চ করেন কিচ্ছুক্ষণ পরেই অনেক ঘড়ির আ্যড আপনার ফেইসবুক টাইমলাইনে চলে আসে। ফেইসবুক জানলো কিভাবে আপনি ঘড়ি সার্চ করেছিলেন? এটা হয় কুকি সংগ্রহের ফলে। আপনার তথ্য অনুযায়ী প্রাইস রেঞ্জ, রুচিবোধ সবকিছুই টার্গেট করতে পারে। ফলে পার্ফেক্ট আ্যডটাই আপনার টাইমলাইনে আসে।
কুকির ভালো দিকঃ
অনেক সময় আমরা বিভিন্ন সাইটে ব্রাউজ করে বের হয়ে যাওয়ার পর আমরা আবার আমাদের সেইম ডেটাগুলো ফেরত পাই। যেমন লগিন ফর্মে নতুন করে আর সবকিছু লিখতে হয় না। শুধু লগিন চাপলেই হয়ে যায়। আবার অনেক ই-কমার্স সাইটে কিছু পণ্য নির্বাচন করার পরে মনে হলো পরে কিনবেন। সেক্ষেত্রেও কিন্ত ঐ সাইটে আপনার কার্ট ডাটা সেইভ করে রাখবে কুকির সাহায্যে। নতুন করে আর পণ্য নির্বাচন করতে হবে না। এতে করে সময় অনেকখানি বেচে যায়। তাছাড়া, কুকির উপর ভিত্তি করে রেকমেন্ডেড সিমিলার প্রোডাক্ট আসে আমাদের আর আলাদা করে খোজাখুজি করতে হয় না।
কুকির খারাপ দিকঃ
অনেকে অনুমতি ছাড়াই আপনার কুকি কালেক্ট করেছে এবং যুতসই বিজ্ঞাপনের টোপ হিসেবে আপনাকে ব্যবহার করছে। ফ্রী বলে যে সেবা আমরা নিচ্ছি তার বিনিময় আমরা নিজেই। অনেক সময় আমাদের তথ্য থার্ড পার্টির কাছে বিক্রি হয়। আমরা হয়ে যাই ব্যবসায়িক পণ্য। এর মধ্যে অনেকের অনেক সেন্সেটিভ ডেটাও থাকে।
তথ্য চুরি থেকে বাচার উপায়?
আপনি চাইলেই কুকি ব্লক করতে পারেন ব্রাউজার অপশন ব্যবহার করে। অথবা আ্যড্রেস বারের কাছের সাইট সেটিং থেকে পার্মিশন ব্লক করে দিতে পারেন।
তাছাড়া গুগল যাতে আপনার সার্চ করা ডাটা ট্র্যাক না করতে পারে এজন্য DuckDuckGo প্রাইভেসি এসেনশিয়াল ব্রাউজার এক্সটেনশন ব্যবহার করতে পারেন অথবা সাইটে গিয়েও সার্চ করতে পারেন। গুগল সার্চের এক্সপেরিয়েন্স সাথে আপনার তথ্য নিরাপত্তা। ব্রাউজার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন Microsoft Edge। এই ব্রাউজারে আপনি প্রাইভেসি কন্ট্রোল করতে পারবেন।
Edge এর চমৎকার প্রাইভেসি কন্ট্রোল অপশন
উত্তরটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার দিন সুন্দর হোক।