বটি রোগের লক্ষন ও করনীয়, এবং বুটি রোগ হলে ভারী কাজ কর্ম করা যাবে কি?
মলদ্বারের চারপাশে শিরা ও রগের মাংসপিণ্ড বৃদ্ধি পাওয়াকে অর্শ বুটি, গেজ বলে। তবে কখনও মলথলিতে, মলদ্বারের সংযোগ স্থলে আবার মলদ্বারের বাহিরের চারপাশে ও দেখা যায়।কোষ্ঠ-কাঠিন্য, এবং শক্তমলের প্রতিনিয়ত চাপের ফলে রোগ বেশি দেখা যায়।
লক্ষণ
- মলের সহিত রক্ত পড়ে রক্ত কখনও পায়খানার আগে অথবা শেষে ফোঁটা ফোটা অথবা টপটপ করে তাজা রক্ত পড়তে থাকে। কোমরে এবং তলপেটে ব্যাথা হয়।
- রক্তশূন্যতা দেখা দেয় এবং রোগী অস্বস্তি বোধ করে।
- আক্রান্ত স্থানে জ্বালাপোড়া করে।
করণীয়
কিছু কিছু বুটি রোগ চিকিৎসা করা হয় খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন করে।উচ্চ আশঁযুক্ত খাবার, ফলমূল এবং শাক-সবজি বেশি বেশি করে খেতে হবে। প্রতি দিন ৬-৮ গ্লাস পানি এবং তরল জাতীয় দ্রব্য পান করতে হবে।মলত্যাগের সময় কষা হলে বেশি চাপ প্রয়োগ করা যাবে না।পায়খানা চেপে রাখা যাবে না।ডাক্তারের পরামর্শ মেনে নিয়মিত মলম বা ক্রিম লাগাতে হবে বেশি ব্যথা হলে।পায়ুপথ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।কুসুম গরম পানি দিয়ে দিনে কয়েকবার জায়গাটা মুছতে/ভিজাতে হবে।
কিছু ক্ষেত্রে অপারেশান লাগে।কি ধরনের পাইলস হয়েছে সেটা বুঝতে একজন ডাক্তার দেখাতে হবে।বুটি রোগ হলে ভারী কাজ না করাই উত্তম ।