ফিতরা দেওয়ার নিয়ম কি?
ঈদুল ফিতরে যে ফিতরা আদায় করতে হয় তার আসল নিয়ম কি?
ঈদের দিন সুবহে সাদিকের পর সব সামর্থ্যবান মুমিনের ওপর ফিতরা আদায় করা আবশ্যক। এ সময়ের ঠিক আগ মুহূর্তে যদি কারো বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হয় তবে ওই বাচ্চার জন্যও ফিতরা আদায় করতে হবে।
ফিতরা কখন আদায় করতে হয়
ঈদের নামাজে যাওয়ার আগেই ফিতরা আদায় করা সর্বোত্তম। তবে আগে থেকে ফিতরা আদায়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। আর যদি কেউ কোনো কারণে ঈদের নামাজের আগে আদায় করতে না পারে তবে ঈদের পরেও তা আদায় করা যাবে। তবে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদগাহে যাওয়ার আগেই ফিতরা আদায় করতেন। কেননা গরিব-অসহায় এ টাকায় কেনাকাটা করে ধনীদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবে।
একটি বিষয় লক্ষণীয়…
সমাজের প্রায় সব মানুষই ৭০ টাকা হারে ফিতরা হিসাব করে থাকে। কিন্তু ফিতরা আদায়ের হিসাবটি মুলত এমন নয়, কারণ অনেক মানুষ আছেন, যারা অঢেল সম্পদের মালিক। তারা চাইলে জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২ হাজার ২০০ টাকার চেয়ে বেশি ফিতরা দিতে পারেন। অথচ এ পর্যায়ের অনেক মানুষ ফিতরার ক্ষেত্রে ৭০ টাকা হিসাব করে ফিতরা দিয়ে থাকেন। এমনটি যেন না হয়। তাহলে অবস্থা অনুযায়ী ওই ব্যক্তির ফিতরা আদায়ে ইনসাফ হবে না। কেননা ফিতরা গরিবের আনন্দ বিনোদন ও উৎসব করার হক।
তাই কোনো ব্যক্তি যদি খেজুর দিয়ে ফিতরা দিতে চান তবে ওই ব্যক্তি উন্নত মানের আজওয়া খেজুর দিয়ে ফিতরা আদায় করা উচিত। এভাবে বাকি ৪ জিনিসের ক্ষেত্রেও উন্নত মানের দাম অনুযায়ী ফিতরা দেয়া জরুরি।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব সম্পদশালী ব্যক্তিকে যার যার অবস্থান অনুযায়ী ফিতরা আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।