মাস্টারবেশন কতদিন পর পর করলে ক্ষতি হবে না?
হস্তমৈথুন বিষয়টি নিঃসন্দেহেই স্পর্শকাতর! শরীরের খুবই সংবেদনশীল অঙ্গের মাধ্যমে বিষয়টি সম্পাদন হয় বলে নয়, একই সঙ্গে মানসিক দিক থেকেও হস্তমৈথুন নানা ভাবে আমাদের প্রভাবিত করে থাকে। কখনও তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলে মানসিক স্বাস্থ্যে, কখনও বা আবার ডেকে আনতে পারে অবাঞ্ছিত বিপদও! বিষয়টি ব্যক্তিভেদে আলাদা আলাা হয়ে থাকে। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি কী রকম সময় অন্তর হস্তমৈথুন করবেন, সেটা নির্ভর করছে তাঁর শারীরিক সুস্থতা, যৌন উত্তেজনার ধরন এবং হস্তমৈথুন বিষয়টিকে তিনি কতটা ইতিবাচক ভাবে গ্রহণ করতে পেরেছেন সেই মানসিকতার উপরেও।
দৈনিক একাধিকবার হস্তমৈথুন করার অপকারিতা।
-যেহেতু বীর্য তৈরি হয় অন্ডকোষে, তাই বেশি হস্তমৈথুনের ফলে, অণ্ডকোষে বীর্যরস তৈরিতে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। বাড়তি বীর্য তৈরির চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে পারে অণ্ডেকোষ। ফলে অণ্ডথলিতে ব্যাথা হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
-অতিরিক্ত হস্তমৈথুনে মস্তিষ্কে বীর্য তৈরির হরমোনের ঘাটতিও দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে মস্তিষ্কের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। ফলে মাথাব্যাথা সহ মস্তিষ্কের নানা সাময়িক ত্রুটি দেখা দিতে পারে।
-ঘন ঘন হস্তমৈথুনে বীর্য পাতলা হয়ে যায় খুব স্বাভাবিকভাবেই। যদি ক্রমাগত ব্যাপারটা চালিয়ে যেতে থাকেন, স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হবে।
-তাছাড়া অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে যৌনাঙ্গে ব্যাথা ও আংশিক বিকৃতি ঘটতে পারে।
-শরীর চড়া অবস্থায় হস্তমৈথুন করলে, প্রসাবে জালাপোড়া বেড়ে যায় খুব বেশিমাত্রায়। তাই হস্তমৈথুন নিয়ন্ত্রিত ও সতর্কতার সাথে করা উচিত।
-খুব বেশি হস্তমৈথুনে স্বাস্থ্যের প্রতি প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে উঠতি বয়সী তরুণদের বাড়ন্ত সময়ে অতিরিক্ত হস্তমৈথুন ভালো নয়।
-হস্তমৈথুনে অভ্যস্ত অনেক পুরুষই পরবর্তী যৌন জীবনে সুখী হতে পারেন না। কারণ এই হস্তমৈথুন তাঁদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় আর এটাতেই তাঁরা স্বস্তি বোধ করেন।
মনে রাখবেন, যৌন বিষয়ক কোনো সমস্যা যদি দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে তখন অবহেলা না করে একজন যৌনরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া অবশ্যই উচিত। হস্তমৈথুন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, তবে একে অতিরিক্ত পর্যায়ে নেয়া মোটেও ভালো নয়। হ্যাঁ, এটা আপনার পুরুষত্ব নষ্ট হবে না ঠিকই, তবে নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।।