ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, এবং গ্রাফিক ডিজাইন এই তিনটি থেকে কোনটি শিখলে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি?
ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, এবং গ্রাফিক ডিজাইন এই তিনটি থেকে কোনটি শিখলে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি?
ফাইবার, আপওয়ার্ক-এ সফল ক্যারিয়ার গড়তে গেলে কী করতে হবে?
এটা ফ্রিল্যান্সিং জগৎ এর সবচেয়ে পরিচিত প্রশ্ন, এটার উত্তর হিসাবে অনেকেই অনেক মতামত পেশ করেন। আমি খুব কাজ থেকে দেখা & শিখা, তাই জীবন থেকে নেওয়া কিছু পরামর্শ দিতে পারি, আশা করি কাজে দিবে।
প্রথমত আপনাকে সিধান্ত নিতে হবে যে আপনি কি হিসাবে ফ্রিল্যান্সিং জগৎ এ কাজ করবেন?
অল্প দিনের জন্য নাকি পুরো বাকি সময় জুড়ে?
যদি আপনি অল্প সময়ের জন্য সিধান্ত নেন, তাহলে আমার পরামর্শ হলো ” আপনার সময় নষ্ট করার কোন দরকার নাই, তার চেয়ে বরং চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিন, কাজে দিবে, আর যদি ফুল টাইম কাজ করার সিধান্ত নেন তাহলে নিচের পরামর্শ গুলো শুধু আপনার জন্যই।
নিজের মন থেকে আপনার বিষয় পছন্দ করুন:
আপনি কোন বিষয়ে কাজ করবেন তা আপনার মন থেকে আসতে হবে, কারো কথায় ভুলেও সিধান্ত নিবেন না, কারো কথায় যদি সিধান্ত গ্রহণ করেন তাহলে কিছুদিন পরেই তার প্রতি অনিহা চলে আসতে পারে, আর যদি নিজের ইচ্ছায় পছন্দ করেন তাহলে তার প্রতি কাজ করার আগ্রহ বেড়ে যাবে।
সঠিক ভাবে কাজটা শিখায় মনোযোগ দিন:
আপনার পছন্দের বিষয়ে যখন শেখা শুরু করবেন, তা সঠিক পদ্ধতিতে শিখুন কোন শর্টকাট পদ্ধতিতে শিখতে যাওয়া চলবে না, এতে বড় ধরণের বিপদে পরার সম্ভাবনা থেকে যায়।
টাকা উপার্জনের করতে হবে, এর বিপরীতে আমার দক্ষতা বাড়াতে হবে, এটা মাথায় সেট করুন:
ফ্রিল্যান্সিং এর একটা বড় সমস্যা হচ্ছে, মানুষ খুব আগ্রহ সহকারে শুরুটা করে, নিজের দক্ষতা না বাড়িয়েই টাকা উপার্জনের দিকে ধাবিত হয় ফলসৃতিতে বিপরীত ফলাফল দেখা যায়। তাই রিকুয়েষ্ট থাকবে, টাকার জায়গায় দক্ষতার দিকে মনোযোগী হন, তাহলে টাকা আপনার দিকে ছুটে আসবে।
অবশ্যই ধৈর্য্যশীল হতে হবে:
আপনি যদি হুট করে রাগান্বিত হয়ে পরেন তাহলে আপনার দ্বারা ফ্রিল্যান্স করা সম্ভব নই, সাধারণ মানুষের চেয়ে একটু বেশি ধৈর্য্য ধারণ শিখতে হবে।
অন্য মানুষের সাথে কিভাবে যোগাযোগ কিভাবে করতে হয় তা জানতে হবে:
আপনার ক্রেতার সাথে যদি ভালোভাবে যোগাযোগই আপনি করতে না পারেন তাহলে আপনার কাজের দক্ষতা থাকলেও তা প্রকাশ করতে পারবেন না, কারণ আপনার ক্রেতার মনোভাবই তো আপনি বুঝতে পারতেছেন না, তাই যোগাযোগ কিভাবে করতে হবে তার দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে।
প্রোর্টফলিও তৈরি:
আপনার যখন ভালো ভাবে কাজটা শেখা হয়ে যাবে। তারপরে আপনার কাজের ধরণগুলোর আলাদা আলাদা প্রোর্টফলিও তৈরী করুন, যখন আপনার ক্রেতার সাথে কথা হবে তখন যাতে আপনি আপনার কাজের ধরণ প্রদশর্ন করতে পারেন। এটা কিন্তু বেশ গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ক্রেতা আপনার প্রোর্টফলিও দেখার পরেই আপনাকে স্বরণ করতে পারেন।
কাজ শেখার শুরুর দিকে আপওর্য়াক & ফাইভারে একাউন্ট না খোলা:
আপনি যখন কাজ টা শিখতে শুরু করেছেন, ঠিক কৌতূহল বসত একাউন্ট খুলবেন না, এতে আপনি & আপনার আইডির সমস্যা হতে পারে। কারণ কাজ জমা দেওয়া & কোন বার্তার উত্তর দেওয়ার উপরে সাইট গুলো আপনার উপস্থিতি & গুরুত্ব হিসাব করে রাখে।
৩-৪ বছর সঠিক ভাবে লেগে থাকা:
কিছু মানুষ কপালের জোড়ে সফল হয়ে যায়, তার সংখ্যা খুবই নগন্য। তাদের মত নিজেকে না ভেবে আপনি সঠিক ভাবে ৩-৪ বছর শ্রম দিয়ে সফলতা অর্জন করবেন, এমন মন মানসিকতা তৈরী করুন। কারণ, এই রাস্তায় প্রচুর ধৈর্যের পরিক্ষা দিতে হয়।
কিসে একাউন্ট খুলবেন, ফাইবার নাকি আপওর্য়াকে?:
আমার মতে সহজ হচ্ছে ফাইবার, এখানে একাউন্ট খুলে কাজ শুরু করতে পারেন, যখন এখানের কাজর মান বেড়ে যাবে তখন আপওর্য়াকের কথা ভাবতে পারেন। ফাইবারের তুলনায় আপওর্য়াক একটু কঠিন & নিয়মকানুন কঠিন।
ফাইবারে গিগ তৈরী করা:
ফাইবারে আপনি যখন কাজের নমুনা তৈরি করবেন মানে গিগ তৈরী করবেন তখন অবশ্যই SEO ফ্রেন্ডলি তৈরী করবেন এতে ভিউয়ার & ক্লিক এর সংখ্যা বাড়বে & ওয়াডারো বেড়ে যাবে। ভুলেও ক্রেতার সাথে কথা বলার সময় আপনর মেইল এড্রেস বা ফোন নাম্বার দিবেন না, এতে আপনার আইডি লক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ৯৫%।
আপওর্য়াক এ আপনার প্রোফাইল খুব ভাল ভাবে তৈরী করুন:
আপওর্য়াকে আপনার প্রোফাইল খুব যত্ন সহকারে তৈরী করুন & আপনার কোন ইন্টো থাকলে তা ছোট একটা ভিডিও তৈরি করে যুক্ত করে দিতে পারেন। কাজের বিবরণ খুব মনোযোগ সহকরে পড়ার পরেই বিট করুন নয়তো এড়িয়ে যান, কারণ মাসে কিছু নিদিষ্ট সংখ্যা বিট ফ্রিতে পাওয়া যায়।
আপনার জন্য শুভকামনা রইলো। হ্যাপি ফ্রিল্যান্সিং