2281
Points
Questions
100
Answers
128
-
Asked on October 13, 2020 in Website.
বিনামূল্যে ওয়েবসাইট খুলতে প্রথমে আপনার প্রয়োজন হবে,
একটি ডোমেন এর। যা সম্ভব না। তবে আপনি ফ্রী তে আপনার ওয়েব সাইটটির নিদির্ষ্ট কিছু নিয়ম এর মাধ্যমে সাইট তৈরি করে ডেভেলপমেন্ট করতে পাড়েন। কিন্তু সেখানে, আপনার ওয়েব সাইটটি নিজের মত করে কাস্টমাইজ করতে পারবেন না। সেখানে পাবেন অনেক সীমাবদ্ধতা। এবং সাইট টি নিজের অধীনও হবে না। তাই খুব কম খরচে একটি ডোমেন নিয়ে বিনামূল্যে Bloger হোস্ট করতে পারেন। সেক্ষেত্রে অনেক ডোমেন হোস্টিং কম্পানী কম দামে ডোমেন ও হোস্টিং প্রোভাইড করে থাকে। যেখানে আপনি মাত্র ১৬৫-৮৫০ টাকায় ডোমেন নিতে পারেন। তবে আপনি চাইলে খুব কম দামে মাসিক হারেও আপনার হোস্টিং চার্জ দিতে পারেন।
এমন কোম্পানি গুলোর মধ্যে আছে IT Nut Hosting- 1041 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on October 11, 2020 in Accounting.
গুগলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুন্দর পিচাইকে কোম্পানির তরফ থেকে প্রণোদনা হিসেবে ১৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের শেয়ার দেওয়া হয়েছে।
- 1026 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on October 6, 2020 in Mobile.
মোবাইল ফোন যে নীল আলো ছড়ায়, রুমের লাইট নিভিয়ে দেয়ার কারণে রাতে সেটি আরও তীক্ষ্ণ হয়ে যায়। এটি শুধু দৃষ্টিশক্তির ক্ষতিই করে না, পাশাপাশি শরীরের ওপর বেশ বিরূপ প্রভাব ফেলে।
যখন নাইট মোড অপশনটি অন করা হয় তখন মোবাইলের আলো কিছুটা কমে যায়। নীল আলোকে ঢেকে দেওয়ার জন্য ডিসপ্লেতে হলুদ বা লাল দেখানো হয়। এছাড়াও কিছু অ্যাপে সাদা স্থানটি Dark করা হয়। অনেকটা কোরার মতো। এভাবেই নাইটমোভ চোখের ক্ষতি রোধ করে। নাইটমোডের কারনে মোবাইলে চার্জ খরচও কম হয় এবং ব্যাটারি ভালো থাকে।
*কোরা নাইটমোডে পুরোপুরি কালো করে ফেলে যা চোখের জন্য আরামদায়ক না এবং লেখাগুলো পড়তে অসুবিধা হতে পারে। এটাকে black mode বলা হয়।
- 1016 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on September 29, 2020 in Mobile.
ফাইন্ড মাই ডিভাইস অ্যাপ থেকে সামান্য কিছু ডাটা পাওয়া যায়। ডিভাইস ইনফো অ্যাপ থেকে উৎপাদনের তারিখ দেখা যায়।
- 1001 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on September 27, 2020 in Internet.
ইন্টারনেট ব্যাবসা শুরু করার জন্য আপনার যন্ত্রপাতিতে খরচ নির্ভর করবে আপনি কত কিলোমিটার এলাকায় লাইন টানবেন তার উপর। রাউটার ১৪,০০০, মিডিয়া কনভার্টার ৪৫০০, পিসি ২৫,০০০ (আগে থাকলে লাগবে না), সুইচ বক্স ও কানেকশন পোর্ট প্রতি কিলোমিটার লাইনে ১০,০০০, ক্যাবল প্রতি কিলোমিটার ১২,০০০, লাইসেন্স ফি ১০০০ টাকা কানেকশন ফি১০,০০০-২০,০০০, ব্যান্ডউইথ প্রতি মেগাবিট ১২০০-৩০০০ টাকা। প্রাথমিকভাবে ৫ এমবি ব্যান্ডউইথ আর ২ কিলোমিটার লাইন টেনে ১৫০,০০০-১৭০,০০০ টাকা হলেই এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
- 1027 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on September 24, 2020 in Solution.
ভূমি পরিমাপের কিছু পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-
- জ্যামিতিক পদ্ধতিতে
- প্লানিমিটার বা প্লাটোমিটার ব্যবহার করে
- মেসারিং হুইল এর মাধ্যমে
- গ্রাফ পেপারের সাহায্যে
- জিপিএস ব্যবহার করে
- এরিয়াল ফটোগ্রাফের সাহায্যে
প্রতিটি পদ্ধতির বিবরণ দিচ্ছি না, অনেক বড় হয়ে যাবে উত্তর। মজার বিষয় হলো সবগুলো পদ্ধতিই দুই মাত্রা ব্যবহার করে ভূমি মেপে থাকে।
দ্বিমাত্রিক পরিমাপে দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ ব্যবহার করা হয়। এককথায় বলতে গেলে দুইটা মাত্রা ব্যবহার হবে, যেটা ক্ষেত্রফল পরিমাপে করা হয় আর বর্গ এককে প্রকাশ করা হয়।
ত্রিমাত্রিক পরিমাপে ব্যবহৃত হয় তিন মাত্রা অর্থাৎ দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা। আয়তন পরিমাপ করতে গেলে তিন মাত্রার প্রয়োজন হয় আর ঘন এককে প্রকাশ করা হয়।
(তথ্যসূত্রঃ Land Area Calculator or Measurement Methods: Planimeter, Geometric, Measuring Wheel Methods)
ভূমি পরিমাপের জ্যামিতিক পদ্ধতি নিয়ে সামান্য একটু আলোচনা করি যা বহু পুরাতন। যেই অঞ্চলের পরিমাপ করতে চাই সেই অঞ্চলকে ছোট ছোট ত্রিভুজে ভাগ করে নিয়ে প্রতিটির ক্ষেত্রফল বের করে সবগুলো যোগ করলেই হয়ে গেল। শুনতে সহজ হলেও কাজটা কিন্তু বেশ কঠিন।
(ছবিসূত্রঃ How is the area of a country calculated?)
ত্রিভুজের ক্ষেত্রফলঃ ১২১২ ×× ভূমি ×× উচ্চতা
এখানে আয়তন নির্ণয়ের ব্যবহৃত উচ্চতার সাথে গুলিয়ে ফেলবেন না। দেখুন এখানে দুই মাত্রা ব্যবহার হচ্ছে- ভূমির দৈর্ঘ্য আর ত্রিভুজের শীর্ষ বিন্দু থেকে ভূমির দূরত্ব।
কিছুক্ষেত্রে ট্রাপিজিয়াম আকৃতিও ব্যবহৃত হতে পারে।
ট্রাপিজিয়ামের ক্ষেত্রফলঃ ১২১২ ×× সমান্তরাল বাহুদ্বয়ের যোগফল (a++b) ×× সমান্তরাল বাহুদ্বয়ের মধ্যবর্তী দূরত্ব(h)।
দেখুন এই ক্ষেত্রেও কিন্তু দুই মাত্রা ব্যবহার করা হচ্ছে।
এইতো গেল সুন্দর শেপের বিষয়, উল্টাপাল্টা শেপ হলেও অসুবিধা নেই।
জ্যামিতি দিয়ে ওরও দফারফা করে দেয়া যাবে। হ্যাঁ, অবশ্যই এটাও দ্বিমাত্রিক এবড়ো থেবড়ো হলেও।
আমরা পৃথিবীপৃষ্ঠে থাকি। জায়গা জমির হিসাব নিকাশও হয়ে থাকে পৃথিবীপৃষ্ঠেই, কোনোভাবেই পৃষ্ঠের উপরে থাকা বায়ুমণ্ডল অন্তর্ভুক্ত নয়। আবার মাটির গভীরতাও ভূমির পরিমাপে ব্যবহৃত হয় না। তাহলে তো তিন মাত্রার প্রয়োজন কোনোভাবেই হচ্ছে না।
পৃষ্ঠতলের পরিমাপে দুই মাত্রার ব্যবহারের জন্যই একে বর্গ এককে প্রকাশ করা হয়। তাহলে ভূমির পরিমাপও যে বর্গ এককে হবে এই নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
কিন্তু সমস্যা হলো দুই মাত্রার ক্ষেত্রে আমরা ক্ষেত্রফল শব্দটি ব্যবহার করলেও ভূমির ক্ষেত্রে কেন আয়তন ব্যবহার করছি?
এটি একটি বিতর্কিত বিষয়, মনে হয় ঘটনাটি ঐতিহাসিক ভুল। ক্ষেত্রফলের ইংরেজি area আর আয়তনকে ইংরেজিতে volume বলা হয়।
ইন্টারনেটে ঘাটাঘাটি করতে গেলে দেখবেন কোন একটি দেশের ভূমির পরিমাপ বলতে গিয়ে ইংরেজিতে কোথাও ‘volume’ শব্দটি ব্যবহার করেনি, সর্বক্ষেত্রে ‘land area’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে।
কোন এক সময়ে হয়তো অনুবাদ করতে গিয়ে অনুবাদক দেশের ক্ষেত্রফলকে দেশের আয়তন বলে চালিয়ে দিয়েছে। উচ্চারণের সুবিধা, লেখার সুবিধা কিংবা শুনতেও বেশ ভালো লাগার জন্য হয়তো বিষয়টি ব্যাপকহারে প্রচলিত হয়ে গেছে।
অনুবাদের ভুল বলার পেছনে একটা যুক্তি দেখাতে পারি, গ্রাম অঞ্চলে কিংবা লিখতে পড়তে না জানা মানুষ আয়তন শব্দটি যথেষ্ট কমই প্রয়োগ করে থাকে, ‘কতোটুকু’ শব্দ দিয়েই তাদের কাজ চলে যায়।
একটা শব্দের অনেক রকম অর্থ থাকতে পারে, একজন অনুবাদকের পক্ষে কিন্তু ধরা মুশকিল মূল লেখক শব্দটিকে আসলেই কোন অর্থে ব্যবহার করেছিলেন।
- 996 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on September 23, 2020 in Computer.
ধন্যবাদ প্রশ্নটির জন্য। ইংরেজি কি বোর্ড এর বিন্যাস এমন হওয়ার কারণ কি! লক্ষ্য করুন, স্পেস বাটন সবচেয়ে প্রশস্ত।
কেন? কারণ স্পেস বাটন আমরা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করি। যদি এটি ছোট হয়, তবে খুব সামান্য জায়গার উপর অতিরিক্ত চাপ পড়বে। ফলে মাদারবোর্ড এর এই জায়গায় সমস্যা হতে পারে।
ঠিক একই কারণে, কিবোর্ডের অন্যান্য বর্ণ গুলো ভিন্নভাবে সাজানো হয়েছে। যেসকল বর্ণ বেশি ব্যবহৃত হয়, সেগুলো এক জায়গায় না রেখে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মূলত পুরো বডিতে চাপকে বিন্যস্ত করে দেওয়ার জন্য। এতে আপনার আমার প্রিয় ল্যাপটপ, মোবাইলের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
- 978 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on September 21, 2020 in Solution.
৫০ টি রাষ্ট্র মিলে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন ডিসি এবং পোর্টোরিকো যুক্তরাষ্ট্রে অন্তর্ভুক্ত হলেও তাদের রাষ্ট্র হিসেবে ধরা হয় না।
যদিও উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় অনেকগুলো দেশ রয়েছে শুধুমাত্র আমেরিকা নামটা লিখলে বা উচ্চারণ করলে সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রকেই বুঝায়। আমেরিকার বিশেষণ ‘আমেরিকান’, যেমন আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান টিভি সিরিজ। আমেরিকান শব্দটি বিকৃত হয়ে কালক্রমে ‘মেরিকান’ এবং পরিশেষে ‘মার্কিন’ হয়ে দাঁড়ায়।
নতুন শব্দটির জন্ম নেয় ব্রিটিশ আমলে যখন আমেরিকা থেকে সস্তায় কাপড় এদেশে সয়লাব হয়ে গিয়েছিল। মার্কিন কাপড় শত ভাগ তুলার ধূসর রঙের কাপড়। পোশাক-পরিচ্ছদ, মশারির লাইনিং, ব্যাগ, বাস্কেট ইত্যাদি কাজে ব্যবহার হয়। এখনো কাপড়ের দোকানে দেশে তৈরি সস্তায় মার্কিন কাপড় পাওয়া যায়।
মার্কিন কাপড়
শুরুতেই উল্লেখ করেছি, ‘আমেরিকান কাপড়’ লোক মুখে কাল ক্রমে ‘মার্কিন কাপড়’ নাম নেয়। কাপড়ের নাম থেকে দেশটার নামও মার্কিন নামে পরিচিত হয়ে আলাপ-আলোচনায় ও বইপত্রে ঢুকে পড়ে।
স্থানের নামের সাথে কাপড়ের পরিচিতির আরো নজির রয়েছে। ইরাকের যে বন্দরে বিখ্যাত ঢাকার মসলিনের ক্রয়-বিক্রয় বড় কেন্দ্র ছিল তার নাম মসুল। মসুল বন্দরের নাম থেকে ঢাকার কাপড়ের নাম ইউরোপিয়ানদের কাছে মসলিন নামে পরিচিতি পায়।
মার্কিন কাপড় থেকে ভিন্ন হলেও এ সুযোগে ইতিহাস-ঐতিহ্যের খাতিরে ঢাকার বিখ্যাত মসলিন কাপড়ের সাথে নতুন শিক্ষার্থীদের পরিচয় করে দেয়া যায় বৈকি।
এক কালের পৃথিবী বিখ্যাত ঢাকার মসলিন
মসলিন কাপড় মিশরের ফারাও বা ফেরাউন, মোঘল ও অটোম্যান সম্রাটদের হেরেমের নারী, বিলেতের রানী, দেশ-বিদেশের রাজা বাদশা সম্রাট, সবার অঙ্গে শোভা পেত। মিশরের বিখ্যাত ক্লিওপেট্রা মসলিন কাপড়ের সমঝদার ছিলেন। আর্যদের এদেশে আগমনের আগে পাকিস্তানে মাটি খুঁড়ে বের করা মহেঞ্জোদর নগরীতেও মসলিন কাপড়ের আলামত পাওয়া গেছে।
মসলিন নামটাও ইউরোপিয়ানরা এদেশে আমদানি করে। সেই থেকে জামদানি নামের পাশাপাশি মসলিন নামটা চালু হয়ে যায়। ব্রিটিশদেরই কারসাজির কারনে বিখ্যাত মসলিন এখন ইতিহাসের পাতায় স্থান নিয়েছে।
রঙ বেরঙের ঢাকাই জামদানি
প্রসঙ্গক্রমে বলা যেতে পারে, বাংলাদেশের মত ভারত ও পাকিস্তানে আমেরিকা মার্কিন নামে পরিচিত।
- 963 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on September 15, 2020 in Internet.
আপনার প্রশ্নটির দু’টি অর্থ হতে পারে —
১. আমরা ইন্টারনেট থেকে যে এত উপাত্ত (Data) বা তথ্য (Information) পাই, তার উৎস কি?
২. ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার এমবি/জিবি তে ডেটা ব্যবহার করতে দেন, সেটা কিভাবে এবং এই এমবি বা জিবি’র উৎস কি?
যাইহোক, আমি চেষ্টা করবো এই দু’টি প্রশ্নেরই যথাযথ উত্তর দেওয়ার। চলুন, শুরু করা যাক।
প্রথমে আসি প্রশ্নটির প্রথম অংশে। প্রকৃতপক্ষে ইন্টারনেট থেকে আমরা যে এত তথ্য পাই, তার উৎস আমার আপনার মত সবাই। আপনি ইন্টারনেট যখন ভ্রমণ (Browse) করছেন, তখন কোন না কোন ওয়েবসাইট এ যাচ্ছেন। যখন আপনি আপনার ব্রাউজার ব্যবহার করছেন কিছু খোঁজার জন্য, তখন কিন্তু আপনি Google এর ওয়েবসাইট-এ যাচ্ছেন এবং সার্চের ফলাফল থেকে যখন আপনি কোন লিঙ্ক’এ ক্লিক করছেন, তখন আপনি সেই নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট -এ পৌঁছে যাচ্ছেন। এখন এই সমস্ত ওয়েবসাইট গুলিতে থাকে তথ্য বা উপাত্ত, যেগুলি ঐ ওয়েবসাইট এর মালিক বা ব্যবহারকারীদের দ্বারা তৈরি। একটি উদাহরণ দিই,
আমি এখন এই যে উত্তরটি লিখছি Quora বাংলা তে, আমি কিন্তু আসলে https://bn.quora.com ওয়েবসাইটে কিছু তথ্য যোগ করছি। একইভাবে মনে করুন আপনি একটি ভিডিও বানিয়ে YouTube এ আপলোড করলেন, অর্থাৎ আপনি কিছু তথ্য ইউটিউব’এ যোগ করলেন।
এভাবেই, প্রতিটি মূহুর্তে লক্ষাধিক মানুষ আন্তর্জালে তথ্য সংযোগ করে চলেছেন।
এবার প্রশ্নের দ্বিতীয় অংশ নিয়ে আলোচনা করা যাক।
এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগে আমাদের জানতে হবে ইন্টারনেট কী এবং আমরা ইন্টারনেট কিভাবে ব্যবহার করতে পারি।
ইন্টারনেট কী?
আপনার কম্পিউটারে যদি এখন ইন্টারনেট চালু করা থাকে বা যদি আপনার মোবাইল ফোনটিতে ডেটা চালু (Data On) করা থাকে, বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের সাথে যুক্ত আছেন আপনি। খুব সহজ ভাষায় বললে একাধিক কম্পিউটার/মোবাইল এর মধ্যে যোগাযোগকারী নেটওয়ার্ক হ’ল আন্তর্জাল বা ইন্টারনেট।
ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে?
ইন্টারনেট-এ যুক্ত থাকা সমস্ত কম্পিউটারের (অন্যান্য যন্ত্র ও হতে পারে, সহজ করে বলার জন্য আমি সবগুলোকেই কম্পিউটার হিসেবে ধরছি) একটি নির্দিষ্ট অ্যাড্রেস থাকে — আইপি অ্যাড্রেস। যখন আপনি কোন ওয়েবসাইট এ যান, তখন আপনি আসলে ঐ ওয়েবসাইট এর হোস্ট সার্ভার কম্পিউটারের আইপি অ্যাড্রেস দিয়ে সেটিকে খুঁজে পান। একটি উদাহরণ দিই, www.quora.com এর হোস্ট সার্ভার আইপি অ্যাড্রেস হ’ল ১৫১.১০১.১৫৩.২
এবার পৃথিবীতে প্রচুর আইপি অ্যাড্রেস (অসীম নয়, প্রকৃত সংখ্যাটি একটু খুঁজলেই পেয়ে যাবেন) আছে, তার মধ্যে Quora এর সার্ভারও গোটা পৃথিবীতে আছে (ভারতে সার্ভারটি আছে ব্যাঙ্গালোর’এ), তো আমার ব্রাউজার কিভাবে বোঝে যে আমি Quora তে যুক্ত হতে চাইছি? এই কাজটি করে রাউটার নামে একটি যন্ত্র। এই রাউটার গুলি আমাদের ব্রাউজার এর অনুরোধ অনুযায়ী নির্দিষ্ট আইপি তে আমাদের যুক্ত করায়।
এখন এই রাউটার গুলি এবং সার্ভার কম্পিউটার গুলিকে কর্মক্ষম রাখতে প্রকৌশলীরা সর্বক্ষণ কাজ করে চলেছেন, আর এই পুরো ব্যবস্থাপনা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে করেন এনএসপি (Network Service Provider — উদাহরণ IBM, CerfNet, BBN Planet ইত্যাদি) এবং জাতীয় ক্ষেত্রে করেন আইএসপি (Internet Service Provider — উদাহরণ ভারতে SITI, Alliance, Vodafone, Airtel ইত্যাদি)। এই সমস্ত রাউটিং এবং সার্ভার পরিচালনা করার জন্য প্রচুর খরচ হয় এবং এইজন্যই আমরা যে এত ডেটা এমবি/জিবি তে ইন্টারনেট এর জন্য খরচ করি, তার জন্য আমাদের আইএসপি কে সার্ভিস খরচ দিতে হয়।
দু’টি বিষয়ে কথা বলে আমার উত্তর শেষ করব।
১. ইন্টারনেট স্পীড : মাঝে মাঝে আমরা দেখি আমাদের ইন্টারনেট স্পীড কমে যায় — এটি কেন হয়? একটি সহজ উদাহরণ দিই, মনে করুন আপনার আইএসপির কাছে ৫ টি রাউটার আছে এবং একসাথে সর্বোচ্চ ৫০ জনকে সেগুলি সার্ভিস দিতে পারে। কোনসময় যদি ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে ৫০ এর বেশী হয়, তখনই প্রত্যেক ব্যবহারকারীর ইন্টারনেট স্পীড কমে যায়।
২. আইএসপি কিভাবে ইন্টারনেট-এর সীমা বেঁধে দেন : ইন্টারনেট-এর স্পীড মাপা হয় কিলোবিট বা মেগাবিট বা গিগাবিট প্রতি সেকেন্ডে। এখন আপনি যদি ২ মেগাবিট প্রতি সেকেন্ডে ইন্টারনেট-এ ব্রাউজ করেন, এক মিনিটে আপনি ব্যবহার করবেন ১২০ মেগাবিট ডেটা যা আপনার আইএসপি পরিমাপ করেন। এখন প্রতি মেগাবিট ডেটা রাউটিং এর জন্য কতক্ষণ রাউটার আর সার্ভার ব্যবহার হ’ল তা থেকে নির্ণয় করা হয় যে আইএসপি এর কত খরচ হ’ল। তার উপর ভিত্তি করে আইএসপি ইন্টারনেট-এর খরচের জন্য মূল্য নেন।
পুনশ্চঃ কম্পিউটার এবং দূর-যোগাযোগ প্রকৌশলী মাত্রেই জানেন যে ইন্টারনেট-এর সম্পর্কে বিস্তারিত একটি ছোট্ট উত্তরে বলা সম্ভব নয়। আমি চেষ্টা করেছি যতটা সম্ভব সহজে বোঝানোর। কোনরকম সম্পাদনা বা গঠনমূলক সমালোচনা একান্তভাবে কামনা করছি।
- 968 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on September 12, 2020 in Science.
না !! মৃত ব্যক্তির বা কাটা হাতের আঙুলের ছাপ কাজ করবে না। তবে হ্যাঁ সদ্য মৃত বা মৃত্যুর কয়েক ঘন্টার মধ্যে হাতের ছাপ কাজ করতেও পারে। তবে বিজ্ঞানীরা এই সময়ের সীমার ব্যাপারে কোনো মতামত দেননি।
আমি যে বললাম যে কাজ করবে না এটি আপনি বিশ্বাস করবেন কেনো? তাহলে আপনি একটি পরীক্ষা করতে পারেন। কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর ১০/১২ ঘণ্টার পর তার ফোনের লক ফিংগারপ্রিন্ট দিয়ে খোলার চেষ্টা করবেনে। আমার কথার প্রমাণ পেয়ে যাবেন।
আঙ্গুলের ছাপ সনাক্তকরণের উপর দীর্ঘদিন ধরে গবেষণারত, মিশিগান স্টেইট বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এর অধ্যাপক (“হ্যান্ডবুক অফ ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিকগনিশন” বইয়ের অন্যতম লেখক) অনিল জৈন বলেন, মৃত ব্যক্তির আঙ্গুলের ছাপের সাহায্যে ফোন খোলার সম্ভাবনা নির্ভর করে ঐ ব্যক্তি কতক্ষণ আগে মারা গেছেন তার উপর।
অনিল জৈন সংবাদ মাধ্যমে ব্যাখ্যা করেন, এর কারণ হল অধিকাংশ স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সনাক্তকরণটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালনের মাধ্যমে কাজ করে।
আমাদের সবার শরীরে কিছু পরিমান বিদ্যুত প্রবাহিত হয়। যখন আমরা একটি আঙ্গুলের ছাপ সনাক্তকরন যন্ত্রের উপরে আঙ্গুল রাখি, তখন আমাদের আঙ্গুলের ছাপের ধারগুলি যন্ত্রের উপরিতল স্পর্শ করলেও, এর খাঁজগুলি স্পর্শ করে না। ইলেকট্রিক চার্জ সঞ্চয়কারী ক্ষুদ্র ক্যাপাসিটারগুলো আঙ্গুল থেকে আসা ইলেকট্রিক চার্জ অনেক বেশি পরিমানে সংগ্রহ করতে পারে যদি ক্যাপাসিটরগুলো আঙ্গুলের ছাপের খাঁজ গুলির উপর না বসে ধারের উপর বসে। সেন্সরগুলো আঙ্গুলের ধারের এই নকশাগুলো ব্যবহার করে একটি বিশদ চিত্র গঠন করে। কিন্তু যখন একজন ব্যক্তি মারা যায়, তখন তার শরীরে বিদ্যুতের প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং স্ক্যানারের সঙ্গে যোগাযোগের আর কোন সম্ভাবনা থাকে না।
বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত না যে একজন ব্যক্তির মৃত্যুর ঠিক কতক্ষণ পর এই বিদ্যুৎ পরিবাহিতা বন্ধ হয়ে যায়। অনিল জৈনের ভাষ্যমতে, এটা পরীক্ষা করে বের করার জন্যে আপনার “অনেক মৃতদেহের প্রয়োজন এবং আপনাকে প্রতি ঘন্টা অন্তর মৃত ব্যক্তির আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ফোন খোলার চেষ্টা করে যেতে হবে … আপনাকে একটানা মর্গে অপেক্ষা করতে হবে”। তিনি আরো বলেন, “এটা বেশ কঠিন একটি পরীক্ষা।”
- 1030 views
- 1 answers
- 0 votes