2281
Points
Questions
100
Answers
128
-
Asked on September 10, 2020 in Mobile.
IMEI নাম্বার হলো ১৫ অংক বিশিষ্ট একটি নাম্বার যার পূর্ণ রূপ International Mobile Equipment Identity. এর থেকেই বুঝা যায় প্রতিটি ফোন কে আলাদা আলাদা ভাবে চিনার জন্যে এই নাম্বার ব্যবহার করা হয়। একটি ফোনে এক বা একাধিক IMEI নাম্বার থাকতে পারে এটি নির্ভর করে ওই ফোনে ঠিক কতটি SIM (Subscriber Identity Module) ব্যবহার করা যাবে তার উপর।আপনার ফোনের IMEI নাম্বার জানতে *#০৬# চাপ দিন।
IMEI নাম্বার দিয়ে ওই ফোনে ইন্সটল করা অ্যাপ গুলো কখনোই দেখা যাবে না। কিন্তু এর নানাবিধ ব্যবহার আছে। যেমন:
১. IMEI নাম্বার দিয়ে ওই ফোনের বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যাবে। এর জন্যে অনেক অনেক সাইট আছে। যেমন Track a phone number by IMEI | Find your mobile with IMEI, Track imei,imei Tracker,imei Tracking,how to track with imei number in USA
২. ফোন চুরি গেলে এই IMEI নাম্বার সব চেয়ে বেশি কাজে লাগে। সিম কোম্পানি এই নাম্বার দিয়ে জানতে পারে এখন ওই ফোনে কোন সিম লাগানো আছে এবং তারা সিমটির সংযোজ ও বিছিন্ন করে দিতে পারে। পুলিশ সিম কোম্পানির সাহায্য নিয়ে ফোনের লোকেশন বের করতে পারে, এইভাবে আপনি আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোন খুজে পেতে পারবেন।
পরামর্শ: আপনার ফোনের IMEI নাম্বারটি সব সময় সংরক্ষণ করুন। বলা যায় ভবিষ্যতে কখন কাজে লাগবে।
ধন্যবাদ
- 1127 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on September 5, 2020 in Accessories.
কেন ঘটে এসির বিস্ফোরণ?
প্রকৌশলীদের মতে, এসি দুর্ঘটনার পেছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে। অনেকে রুমের লোড অনুপাতে এসি ব্যবহার করেন না। ফলে এসিটি অনেকক্ষণ ধরে চলতে হয়, সেই সঙ্গে অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়। নিম্নমানের এসি কিনলে সেগুলোর ভেতরে ফ্যান, তারের, বিদ্যুতের ব্যবস্থাগুলো ঠিক থাকে না। ফলে সেখানেও কারিগরি ত্রুটি দেখা যায়, যা অনেক সময় আগুনের সূত্রপাত করতে পারে।এসি দুর্ঘটনার আরেকটি বড় কারণ রক্ষণাবেক্ষণের অভাব। ফলে কারিগরি ত্রুটির কারণে এসিতে আগুন ধরে যেতে পারে বা এসির গ্যাসে আগুন লেগে সেটি ঘরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। অনেক সময় উইন্ডো এসির সামনে জানালা বা দরজার পর্দা চলে এলে বাতাস চলাচলে বাধাগ্রস্ত হয়। সেটিও এসিকে গরম করে তুলতে পারে।
আরও কিছু সুনির্দিষ্ট কারণ রয়েছে, সেগুলো জানা যাক—
১. অনেক সময় কম্প্রেসারের ভেতরে জ্যাম লেগে থাকে। এতে গ্যাস লিক হয়ে যায়। এই জ্যাম আর লিক সময়মতো সার্ভিসিং করাতে না পারলে ঘটতে পারে বিস্ফোরণ। এছাড়া এসির ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার না করলেও ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
২. নিম্নমানের গ্যাসও এসি বিস্ফোরণের অন্যতম একটি কারণ। বর্তমানে প্রচলিত এসিগুলোয় যে গ্যাস ব্যবহার করা হয়, সেই গ্যাসে সহজে আগুন ধরে যায়। ফলে কোন কারণে সেটি লিক হয়ে জমে থাকলে, সেখানে বৈদ্যুতিক কারণে আগুনের স্ফুলিঙ্গ তৈরি হলে বা ম্যাচের কাঠি জ্বালানো বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে।
৩. কোনো কারণে এসির প্রেসার বেড়ে গেলে কম্প্রেসার বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। কখনো আবার দাহ্য গ্যাসের কারণেও এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে।
৪. বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বৈদ্যুতিক হাই ভোল্টেজের কারণে এসব ঘটনা ঘটে। হাইভোল্টেজের কারণে যেকোনো ইলেক্ট্রিক মেশিনের ওপর চাপ সৃষ্টি হলেই সেখানে সমস্যা হয় এবং একসময় বিস্ফোরণের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়।
৫. বজ্রপাতের কারণেও অনেক সময় এসি বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
যেভাবে এড়াবেন এসির দুর্ঘটনা
১. দিনরাত ২৪ ঘণ্টা এসি চালু রাখবেন না। দীর্ঘক্ষণ ধরে এসি চললে যন্ত্রপাতি অতিরিক্ত গরম হয়ে আগুন ধরে যেতে পারে। বেশ কিছুক্ষণ চালিয়ে অন্তত এক-দুই ঘণ্টা এসিকে বিশ্রাম দিন।২. বছরে অন্তত একবার পেশাদার টেকনিশিয়ান দ্বারা এসির সার্ভিসিং করানো উচিত। কারণ মেকানিক্যাল বা ইলেকট্রিক্যাল ফল্টের কারণে যেকোনো সময়ে আগুন ধরে যেতে পারে আপনার এসি থেকে। তাই টেকনিশিয়ান দ্বারা চেক করিয়ে রাখুন আপনার এসির কানেকশনে কোনো ত্রুটি রয়েছে কিনা। বিশেষ করে শীতের সময় দীর্ঘ কয়েক মাস বন্ধ থাকার পরে গরমের আগে আবার চালু করার আগে অবশ্যই সার্ভিসিং করে নেয়া উচিত।
৩. ফিল্টার পরিষ্কার রাখতে হবে। খেয়াল রাখবেন যে এসির ভেতর কিছু যেন জমাট বেঁধে না থাকে। আপনার এয়ার কন্ডিশনারের এয়ার ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার করুন বা যদি আপনার পুনঃব্যবহারযোগ্য ফিল্টার থাকে তাহলে একটি নির্দিষ্ট সময় পর তা পরিবর্তন করুন।
৪. ওয়্যারিং পর্যবেক্ষণ করুন নিয়মিত। এয়ার কন্ডিশনারে কাজ করার আগে অবশ্যই বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে নিন। এটি আপনার বাড়ির প্রধান ব্রেকার প্যানেল থেকে করা যাবে। প্রথমে আপনার কেন্দ্রীভূত ইউনিটে অ্যাক্সেস প্যানেলটি সরান এবং ওভারহিটিং এর কোনো লক্ষণ আছে কিনা দেখুন। এছাড়াও তারের ওপর গলিত আস্তরণ, কালো বা জ্বলন্ত কিছু খুঁজে পেলে সাথে সাথে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন। ভেতরের সবগুলো তারের সংযোগ টাইট করে লাগানো কিনা দেখে নিন।
৫. বৈদ্যুতিক হাই ভোল্টেজ এড়ানোর জন্য ভবনগুলোর ছাদে বজ্রনিরোধক ব্যবস্থা রাখুন।
৬. নকল এসি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। অনেক সময় নিম্নমানের ও মানহীন যন্ত্রাংশ এসব নকল এসিতে ব্যবহার করে বিখ্যাত কোনো এসির নাম ও লোগো দিয়ে বাজারে বিক্রি করা হয়। তাই এসি কেনার সময় অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বণ করতে হবে।
৭. গরমের শুরুতে এসির বৈদ্যুতিক সংযোগ, সকেট, ফিল্টার— এসবের অবস্থাটা ঠিকমতো পরীক্ষা করতে হবে। অনেক দিন বন্ধ থাকার পর চালু করতে গেলে অবশ্যই এসির সংযোগ তার পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত। অনেক দিন বন্ধ থাকার কারণে চালু করলে এসির ভেতরে শব্দ হতে থাকে।
৮. একনাগাড়ে আট ঘণ্টার বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়। এছাড়া আউটডোর মেশিন এমন স্থানে বসাতে হবে, যেন পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করতে পারে।
- 1033 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on September 4, 2020 in Solution.
আমাদের এই অঞ্চলের (বাংলাদেশ-ভারত) অনেকেই উচ্চশিক্ষা বা কাজের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমান। সেসব দেশ অধিকাংশ সময় আমাদের চেয়ে উন্নত হয়। কৃতিত্বের সাথে প্রবাস জীবন কাটানোর পর অনেকেই ফিরে আসেন। অনেকে আবার মাতৃভূমির মায়া ত্যাগ করে সে দেশেই থিতু হন। আবার দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে অনেকেই বিদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের প্ল্যান করেন। আমি বিদেশে থেকে যাওয়াকে কোনোভাবেই বাঁকা চোখে দেখি না। কেউ দেশের হয়ে কাজ না করুক, পৃথিবীর হয়ে করুক; দোষের কী তাতে!?
সাধারণত আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপিয়ান এবং দক্ষিণ আমেরিকান দেশ অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য বেশ উদার!
কোনো দেশ অন্য দেশের নাগরিকদের স্থায়ী বসবাসের অনুমতি বা পাসপোর্ট বা নাগরিকত্ব দিতে চারটি ক্রাইটেরিয়া বিবেচনা করে।
১. আপনি কোন দেশের নাগরিক: এক্ষেত্রে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশের নাগরিকরা বেশি সুবিধা পান। আবার সংশ্লিষ্ট নাগরিক কোনো শক্তিশালী পাসপোর্টধারী দেশের নাগরিক হলেও বিশেষ সুবিধা পান।
২. আপনার নতুন দেশে অবস্থানের সময়কাল: অধিকাংশ দেশ ৫ বছর স্থায়ী ভাবে বসবাসের পর নাগরিকত্ব আবেদনের সুযোগ দেয়। তবে ২ বছর পর নাগরিকত্ব আবেদনের সুবিধাও কয়েকটি দেশ দেয়।
৩. আপনার অর্থ সামর্থ: নির্দিষ্ট অর্থ বিনিয়োগে বা সরকারকে অর্থ দান করলেও অনেক দেশ নাগরিক সুবিধা দেয়।
৪. ফ্লেক্সিবিলিটি: সে দেশের নাগরিককে বিয়ে সহজেই সে দেশের স্থায়ী বাসিন্দা এবং নাগরিক হওয়া যায়।
কোনো অভিবাসন প্রত্যাশী তার স্বপ্নের দেশে যেতে বা থাকতে পারবে কিনা তা উপরোক্ত বিষয়ের উপর নির্ভর করবে। নিচে সহজে অভিবাসন পাওয়া যায় এমন কয়েকটি দেশের অভিবাসন নীতি ও শর্ত সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো:
১. সিঙ্গাপুর: আপনি সেখানে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করলে বা চাকরি পেলে বা সেখানে কোনো নাগরিকের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে আপনি স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পাবেন। দুই বছর স্থায়ীভাবে বসবাসের পর নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবেন। তবে বয়সের একটা ব্যাপার আছে। সিঙ্গাপুর দ্বৈত নাগরিকত্ব অনুমোদন দেয় না।
২. কানাডা: কানাডা বর্তমান সময়ে আপনার স্বপ্নের দেশ হতে ঠিক উঠে পরে লেগেছে! তারা অভিবাসীদের জন্য সহজ আর উদারপন্থী কিছু শর্ত রেখেছে। আপনি তাদের দেশে নির্দিষ্ট ১২ ক্যাটাগরিতে সহজেই কাজের সুযোগ পেতে পারেন। এরপর ৫ বছরের মধ্যে কেবল ৭৩০ দিন সে দেশে অবস্থান করলেই আপনি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
৩. আর্জেন্টিনা: আর্জেন্টিনায় বসবাসরত অবস্থায় প্রতিমাসে কমপক্ষে এক হাজার ডলার ইনকাম (প্রত্যক্ষ/পরোক্ষ) দেখতে পারলে ২ বছর পর আপনি সে দেশের নাগরিক হতে পারবেন।
৪. পানামা: পানামার অভিবাসন নীতি দেখলে আপনার মনে হবে তারা আপনার জন্য ডালি সাজিয়ে বসে আছে! এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য আপনার হাতে ৫০+ অপসন আছে।
হ্যাঁ, ৫০+
প্রথমে তারা দুই বছর স্থায়ী বসবাসের সুযোগ দিবে। আপনি দুই বছর পর এটি নবায়ন করতে পারবেন। এভাবে ৫ বছর পর আপনি নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবেন।
৫. পেরু: আপনি পেরুর কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করলে বা সেখানে কোনো ব্যবসা শুরু করলে ২ বছর পর নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবেন।
৬. ব্রাজিল: আপনি ফ্লেক্সিবিল ক্যাটেগরির হলে ব্রাজিল আপনার জন্য সবচেয়ে সহজ। সবে সে ক্ষেত্রে কিছু বাধা ধরা নিয়ম আছে।
৭. ক্যারিবিয়ান: আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করে (অনেক ক্ষেত্রে সরকারকে দান করে) ক্যারিবিয়ান দ্বীপের নির্দিষ্ট দেশের পাসপোর্ট পেতে পারেন। শর্ত সাপেক্ষে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি এবং নাগরিকত্ব পেতে পারেন।
নর্ডিক দেশ গুলোর নাগরিকত্ব আইন বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন। তবে তাদের সময়কাল ৫ বছরের বেশি হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা পূরণ করা খুব কঠিন হয় না।
অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন আইনও আমাদের জন্য খুব কঠিন নয়।
আমেরিকাও দক্ষ কর্মীদের জন্য বিশেষ নিয়ম করতে চলেছে। যেখানে ফ্যামিলি ভিসার পরিবর্তে ওয়ার্ক ভিসা বেশি দিয়ে দক্ষ কর্মীদের আমেরিকায় স্থায়ী বসবাসের সুযোগ করে দেওয়া হবে।
Happy Reading!!
- 987 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on September 3, 2020 in YouTube.
ইউটিউব হচ্ছে Alphabet Inc. মালিকানাধীন ভিডিও শেয়ারিং সাইট, যাদের ( Alphabet Inc. ) রয়েছে গুগল সহ আরো অনেক বড় কোম্পানি ।
ভিডিও শেয়ারিং সাইট আরো থাকলেও কেউই ইউটিউব এর মত ইউজার ফ্রেন্ডলি এবং জনপ্রিয় কোন প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে পারেনি ।
ইউটিউব সারা বিশ্বে জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম তাই সবার আগ্রহ ইউটিউব নিয়েই , ইন্টারনেট এর বিভিন্ন রিসার্চ অনুযায়ী :
ইউটিউবে গড়ে প্রতি মিনিটে ১০০ ঘন্টার (100hrs/minute) সমপরিমাণ ভিডিও আপলোড দেওয়া যার পুরোটাই গুগল এর ডাটা সার্ভার এ জমা হয় ,
বিভিন্ন ভিডিও বিভিন্ন পিক্সেল (360P, 480P, 720P, 1080P) এর হওয়ায়, ধারণা করা হয় প্রতি মিনিটে আপলোড হওয়া ভিডিও এর মোট সাইজ ১৯০ গিগাবাইট (190GB+) এর বেশি , যা দিন শেষে ২৬০ টেরাবাইট (260TB+) এর চেয়েও বেশি এবং মাস শেষে ৭ পেটাবাইট (7PB+) অতিক্রম করে ।
২০১৬ সালের তথ্যানুযায়ী ইউটিউব এর মোট স্টোরেজ ছিলো ১০০০ পেটাবাইটস যা গিগাবাইটে হিসাব করলে হয় ১ বিলিয়ন গিগাবাইট
তবে ইউটিউব এর সম্পূর্ণ অবকাঠামো অনেক জটিল এবং গোপন থাকলেও নিশ্চিতভাবে বলা যায় ইউটিউব এর স্টোরেজ প্রতিনিয়ত বাড়ছে এবং ভবিষ্যতে আরো বাড়বে ।
- 975 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on September 2, 2020 in Health.
আপনার সাথে কখনও কি এরকম হয়েছে যে আপনি হঠাৎ করে শরীরের কোনো অংশে বোধ শক্তি পাচ্ছেন না বা সুচালো কিছু দিয়ে অনবরত খোঁচা দেয়ার মতো কোনো অনুভূতি বা অনুভূতিটা এরকম যে আপনি সেই অঙ্গটা আর নাড়াতেই পাড়ছেন না? যদি এরকম কিছু আপনার সাথে হয়ে থাকে, তাহলে আপনার ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই, এতটুকু জেনে রাখুন আপনি প্যারালাইজড হচ্ছেন না! এই মেডিকেল কন্ডিশানটি আমাদের কাছে “ঝি ঝি” ধরা হিসেবেই বেশি পরিচিত। তবে, মেডিকেল সাইন্স এর একটা সুন্দর নাম দিয়েছে। নামটি হচ্ছে “Paresthesia”. তাহলে চলুন, আজ আপনাদের Paresthesia র সাথে পরিচয় করিয়ে দেই।
Paresthesia বলতে আমরা আসলে কি বুঝি?
Paresthesia হচ্ছে আপনার শরীরের অস্বাভাবিক কিছু অনুভূতি যেমন ধরুন, সুচালো কিছু দিয়ে খোঁচা দেয়ার মতো অনুভূতি, শরীরের কোনো অংশে সাড়া না পাওয়া অর্থাৎ স্পর্শ করলে কোনো অনুভূতি না পাওয়া। কারো কাছে মনে হতে পারে ছোট কোনও পোকা চামড়ার ভিতরে হেটে যাচ্ছে বা ভিতরে জ্বালা পোড়া হচ্ছে। এই অবস্থাটি Paresthesia যা সাধারণত হাতে ও পায়ে অনুভূত হয়ে থাকে। তবে শরীরের অন্য জায়গায়ও হতে পারে। আপনার সাথে এরকম তখনই ঘটবে যখন আপনি বেকায়দায় কিছুক্ষণ বসে থাকবেন বা ঘুমানোর সময় হাতটা মাথার অথবা শরীরের নিচে চাপা পরবে। Paresthesia কে ইংরেজি তে “Fall asleep” ও বলা হয়।কাদের Paresthesia হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ?
Paresthesia( ঝি ঝি ধরা) যে কারো হতে পারে। তবে কয়েক ধরণের মানুষের ঝি ঝি ধরার হার অন্যদের থেকে বেশি, যেমনঃ যারা ছোট সাইজ এর জুতো পড়ে, যারা পায়ের উপর ভর করে বেশি সময় ধরে বসে থাকে। এছাড়া যাদের Back pain আছে অথবা Diabetes আছে।আপনার কত ধরনের Paresthesia হতে পারে?
আপনার দু ধরনের Paresthesia হতে পারে।
এক, Temporary or Transient Paresthesia (সচারচর আপনার হাতে বা পায়ে যে ধরণের ঝি ঝি ধরে সেটাই Temporary Paresthesia)
দুই, Chronic Paresthesia ( এটা জটিল ধরণের Paresthesia)আপনার হাতে বা পায়ে Temporary Paresthesia (ঝি ঝি ধরার)’ র কারণ কি?
অনেকে মনে করে থাকেন, ঝি ঝি ধরার সাথে আমাদের রক্তনালির সম্পর্ক আছে। তাদের ধারনা, যখন কোনো অংশে চাপ পরে, ওই অংশে সাময়িক সময়ের জন্য রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যার জন্য ঝি ঝি ধরার মতো অভিজ্ঞতা হয়। কিন্তু, এটা সঠিক নয়। ঝি ঝি ধরার পিছনে কারণটা রক্ত নালিতে চাপ পড়ার কারণে নয়, মূলত হয় সেই স্থানের স্নায়ু র উপর চাপ পড়ার কারণে এবং যখন চাপ অপসারিত হয় তখন আস্তে আস্তে আর ঝি ঝি ধরাও থাকে না। একটু ব্যাখ্যা করি তাহলে, স্নায়ু হচ্ছে আপনার শরীরের বিশেষায়িত কোষ যাকে নিউরনও বলা হয়। এরা শরীরের যেকোনো ধরণের বার্তা, এক স্থান থেকে আরেক স্থানে তড়িৎ সংকেতের মাধ্যমে পরিবহন করে। স্নায়ু গুলো একটা আরেকটির সাথে বিশেষ ভাবে যুক্ত থাকে এবং তথ্য এক স্নায়ু থেকে আরেক স্নায়ুতে অতি দ্রুত গতিতে পাঠিয়ে থাকে। যে কোনো ধরনের বার্তা শরীরে ছড়িয়ে থাকা স্নায়ুর মাধ্যমে আপনার মেরুদণ্ডের ভিতরে থাকা সুষম্নাকান্ড হয়ে মস্তিস্কে পৌছায়। যেমন ধরুন, আপনি আগুনে হাত দিয়েছেন, হাত দেয়ার সাথে সাথে উত্তাপ অনুভব করবেন এবং সাথে ব্যথাও পাবেন। কেন পাবেন? কারণ আপনার হাতের চামড়ার নিচে থাকা সেন্সরী রিসেপ্টর সেই উত্তাপ আর ব্যথার বার্তাকে স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিস্কে পাঠিয়ে দেয় এবং তখন বুঝতে পারেন যে আপনার গরম লাগছে এবং ব্যথা অনুভূত হচ্ছে। ঠিক Paresthesia তেও এরকম ঘটনা ঘটে। যখন স্নায়ুর উপর চাপ পড়ে তখন আর কোনো ধরনের বার্তা সাময়িক সময়ের জন্য মস্তিস্কে যেতে পারে না, ফলে আপনি কোন অনুভুতিও পান না। যখনি চাপ অপসারিত হয়, আবার সব কিছু চালু হয় এবং এই অস্বাভাবিক অনুভূতি স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিস্কে যায় আর আপনি ঝি ঝি ধরার মতো অস্বাভাবিক অনুভূতি পেয়ে থাকেন। কিছু সময়ের মধ্যে এই অনুভূতি আর থাকে না।কি কি কারণে আপনার Chronic Paresthesia হতে পারে?
Chronic Paresthesia সাধারণত অন্যকোনো স্নায়ুবিক অসুখের লক্ষণ। কিছু Central Nervous System (CNS) এর disorders এর জন্য ঘটতে পারে। যেমনঃ
• Stroke { এক কথায় বললে ‘Brain attack’. যখন মস্তিস্কের কোনো অংশে রক্ত চলাচল বন্ধ হয় তখন তাকে Stroke বলে। এতে মস্তিস্কের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়}
• Transient Ischemic Attacks (TIA) { যদি সাময়িক সময়ের জন্য মস্তিস্কে রক্ত প্রবাহে বাধাগ্রস্ত হয়, তাকে TIA বলে। অনেকে এটাকে ‘Mini-Stroke বলে। তবে ভুললে চলবে না এটা অনেক বড় ধরনের একটা বিপদ সংকেত। কারণ TIA পরবর্তীতে বড় ধরনের Stroke হওয়ার পূর্ব লক্ষণ হতে পারে}
• Multiple Sclerosis (MS) { দীর্ঘমেয়াদি অসুখ, যেটা আপনার মস্তিষ্ক, সুষম্নাকান্ড এবং চোখের Optic nerve কে আক্রমণ করে}
• Transverse Myelitis { একটি স্নায়ুবিক অসুখ}
• Encephalitis { মস্তিস্কের টিস্যুর প্রদাহ}….ইত্যাদি।আরও কিছু কারণ হচ্ছেঃ
• যকৃত অথবা বৃক্কের অসুখ
• Trauma { শারীরিক বা মানুষিক আঘাত}
• মস্তিস্কে Tumor হওয়া
• Carpal Tunnel Syndrome (CTS) { এটা অনেক পরিচিত Condition যাতে আপনার হাত অথবা হাতের কিছু অংশে ব্যথার সাথে অস্বাভাবিক অনুভূতি হয়ে থাকে। এটা Peripheral nerves কে damage করে, এর জন্য Paresthesia হতে পারে}
• Autoimmune disease { এটা এমন একটা অবস্থা যখন আপনার নিজের শরীর আপনার নিজেরই টিস্যু গুলোকে আক্রমণ করে। বাইরের জীবাণুকে কি মারবে! উল্টো মনে করে আপনার ভালো কোষ গুলই হয়ত খারাপ}
• Diabetes { রক্তে Glucose এর level বেড়ে যাওয়া}
• Fibromyalgia { দ্বিতীয় পরিচিত Medical condition যেটার মাধ্যমে আপনার হাড় এবং মাংসপেশি আক্রান্ত হয়}
• Deficiency of Vitamin B-1, B-3 (niacin), B-6, B-12
• অনেক বেশি ভিটামিন-ডি গ্রহণ করা
• কিছু ঔষুধ এর কারনে হতে পারে যেমনঃ Chemotherapy drugs…..ইত্যাদি।মেনোপজ (menopause) এর সময় Paresthesia হওয়ার কারণ কি?
মেয়েদের স্থায়ী ভাবে Menstrual period বন্ধ হওয়াকে মেনোপজ বলে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সে Menopause( রজঃবন্ধ) হয়ে থাকে। মেয়েদের Menopause এর সময় অথবা Post menopause এর সময় Paresthesia হয়ে থাকে। শুধু হাতেই নয়, পায়েও হতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটা দ্বারা কোন serious কিছু indicate করে না। তবে শুধু ঝি ঝি ধরার সাথে অন্যকোনো লক্ষণ থাকলে ডাক্তার দেখানো উচিত। এরকম অনুভূতি হওয়ার সাধারণ কারন হচ্ছে Hormone fluctuation . সহজ করে বললে hormone এর level ঠিক না থাকা। বিশেষ করে Oestrogen hormone. এই Hormone, Central Nervous System (CNS) এ ব্যাপক প্রভাব ফেলে। তাই যখন, Oestrogen Hormone এর level সঠিক থাকে না, তখন ঝি ঝি ধরার মতো অভিজ্ঞতা হয়।Paresthesia র ক্ষেত্রে কখন আপনি ডাক্তার দেখাবেন?
Temporary Paresthesia র ক্ষেত্রে ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন নেই। তবে, যদি এই অস্বাভাবিক অনুভূতিগুলো দীর্ঘ সময় ধরে থাকে আর খুব বেশি পরিমাণে হয়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তার এর কাছে যেতে হবে।Paresthesia কি ভাবে diagnose করা হয়ে থাকে?
প্রথমে ডাক্তার আপনার কাছ থেকে পুরো বর্ণনা শুনবেন এবং এর পরে কিছু প্রশ্ন করতে পারেন। হয়তো আপনার কিছু Physical examinations করবেন এবং প্রয়োজনে Laboratory tests-ও দিতে পারেন। যেমনঃ কিছু neurological tests, EMG (Electromyography), MRI (Magnetic Resonance Imaging), Ultrasound ইত্যাদি।Paresthesia র চিকিৎসা কি হতে পারে?
Paresthesia এর চিকিৎসা ব্যাবস্থা নির্ভর করবে আপনার লক্ষণের উপর। যদি আপনার Paresthesia অন্যকোনো অসুখের কারনে হয়ে থাকে, তাহলে সেই অসুখের চিকিৎসা করলে Paresthesia থেকে সুস্থ হওয়া যায়। আপনার ডাক্তার এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন মতো ব্যাবস্থা নিবেন।- 1067 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on August 31, 2020 in Food.বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে পানি রিজার্ভের স্বল্পতায় সবচেয়ে অভাবী দেশ হল কাতার। তারা ভীষণ ঝুঁকিতে রয়েছে। (1)
আমাদের পাশের দেশ ভারতের 1.35 বিলিয়ন মানুষের মধ্যে 1.4 বিলিয়ন মানুষ জলের সমস্যায় আছে। এমনিভাবে পাকিস্তানের ২০৪ মিলিয়ন পানির সংকটে ভুগছে।
আর পানি রিজার্ভে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। (2)
মজার বিষয় হল, কাতার জ্বালানী তেলের রিজার্ভে শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় রয়েছে ১৩ নাম্বারে! ২০১৬ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী তাদের মজুদ রয়েছে 25,244,000,000 ব্যারেল ক্রুড ওয়েল!
- 1003 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on August 28, 2020 in Internet.
- Pointer Pointer
Pointer Pointer এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে আপনি পেইজের যেকোন যায়গায় মাউস পয়েন্টার রাখতে পারবেন আর এই ওয়েবসাইটটি এমন একটি ছবি নিয়ে আসবে যেটি আপনার মাউস পয়েন্টার এর দিকে নির্দেশ করে আছে। মূলত ছবির আঙ্গুল আর আপনার মাউস পয়েন্টারটি একই জায়গায় হবে। pointerpointer.com
- Cat Bounce
এই ওয়েবসাইটটি আপনাকে একটি বিড়াল নিয়ে খেলার স্বাধীনতা দিবে। আপনি আপনার মাউস ব্যাবহার করে বিড়ালটিকে ছুড়ে মারতে পারবনে, পেইজ থেকে বের করে দিতে পারবেন, বাউন্স করাতে পারবনে। CAT BOUNCE!
- BeesBeesBees
এই ওয়েবসাইটটি মূলত বিখ্যাত ছেলিব্রেটি ওপরাহ উইনফ্রের এডিটেড .gif ফাইল দিয়ে তৈরি করা। beesbeesbees.com
- Endless Horse
এই ওয়েবসাইটি মূলত এর নামের সাথে সামঞ্জস্য পূর্ন। এই ওয়েবসাইটে আপনি দেখতে পাবেন একটি ঘোড়া, যা আপনি ওয়েবসাইটের যতই নিচে যান কখনো শেষ হবে না। hooooooooooooooooooooooooooooooooooooooooooooooooooooooooorse
- Hacker Typer
আপনি কি কখনো হ্যাকারের মত ভান করতে চেয়েছেন? যদি তাই হয়, তাহলে এই ওয়েবসাইটটি আপনার জন্য। ভয় পাবেন না, এটি কিন্তু আপনাকে হ্যাক করবে না। শুধু মজা করার একটি ওয়েবসাইট। Hacker Typer
- Paper Toilet
এই ওয়েবসাইটটি ভয়ানক বিনোদনের। আপনি আপনার মনে যত চায় তত টয়লেট পেপার নিতে পারবেন। collection of sébastien de ganay, paper toilet .com by rafaël rozendaal, 2006
- Find The Invisible Cow
এই ওয়েবসাইটটি শুধুই মজা করার জন্য। আপনি আপনার মাউস পয়েন্টারটি ওয়েবসাইটের বিভিন্ন জায়গায় সরাবেন আর কাউ কাউ বলে একটি শব্দ শুনতে পাবেন। আসলে ওয়েবপেইজটিতে একটি গরু লুকানো আছে। আপনার মাউস পয়েন্টারটি গরুটির যত কাছে যাবে, গরুর ডাক তত বেরে যাবে। যেখানে সবচেয়ে বেশি শব্দ হবে সেখানে আপনি গরুটিকে দেখতে পাবেন। Find the Invisible Cow
- Ship Your Enemies Glitter
যদি আপনার শত্রু থাকে তাহলে এই ওয়েবসাইটটি আপনার জন্য একদম সঠিক জায়গা। আপনি আপনার শত্রুকে তাদের পাওনা বুঝিয়ে দিতে পারবে গ্লিটার পাঠিয়ে। আপনি বলবেন তাহলে গ্লিটার কেন? অন্য কিছু কেন নয়। কারন অনেকের ধারনা গ্লিটার খুব নোংরা এবং সহজে হাত থেকে ঝেড়ে ফেলা যায় না। Ship Your Enemies Glitter
- Patience Is A Virtue
এই ওয়েবসাইটটি চুড়ান্ত অপেক্ষার খেলা। এই পেইজটি একটা লোডিং স্ক্রীন দেখাবে এবং এর থেকে আদৌ কিছু বেরোবে কিনা কেউ জানে না। Patience is a virtue
- The Useless Web
- এই ওয়েবসাইটটি মারাত্মক অদ্ভুত/লক্ষ্যহীন বা এলোমেলো ওয়েবসাইট খুজে বের করে। আপনাকে শুধু একবার প্লিজ এ ক্লিক করতে হবে এবং এটা স্বয়ংক্রীয়ভাবে আপনাকে একটা মজার ওয়েবসাইটে নিয়ে যাবে। The Useless Web
- This Person Does Not Exist
এই ওয়েবসাইটটি একটী অতিপ্রাকৃত ওয়েবসাইট। আপনি প্রত্যেকবার রিফ্রেশ করলে একটা নতুন ছবি দেখতে পাবেন। যেটা খুবই সাধারন ব্যাপার। কিন্তু মজার ব্যাপার এটা যে আপনি এখানে যেই চেহারাগুলো দেখতে পাবেন, বাস্তবে সেই চেহারার কোন মানুষ পৃথিবীতে নেই। প্রত্যেকটি ছবি AI দিয়ে তৈরি। কিন্তু ছবিগুলো এতটাই বাস্তবের সাথে মিল রেখে তৈরি যে আপনি কখনোই অনুভব করবেন না যে এগোলো কম্পিউটার দ্বারা তৈরি। This Person Does Not Exist
- 1096 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on August 24, 2020 in Health.
বিড়ালের রক্তের গ্রুপ হল এ, বি, এবি। একটি বিড়াল বছরে চারবার রক্ত দিতে পারে।
কুকুরের রক্তের গ্রুপ ১৩ টি। মানুষের যেমন লোহিত রক্তকণিকায় বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিজেনের উপস্থিতির উপর ভিত্তি করে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয় ঠিক তেমনি ভাবে কুকুরের লোহিত রক্তকণিকায় বিভিন্ন অ্যান্টিজেনের উপর ভিত্তি করে কুকুরের রক্তকে ১৩ টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। কুকুরের রক্তের গ্রুপ গুলো হলোঃ-
Dog Erythrocytes Antigen 1.1
DEA 1.2
DEA 3
DAE 4 ( সার্বজনীন দাতা )
DAE 5
DAE 6
DAE 7
DAE 8
DAE 9
DAE 10
DAE 11
DAE 12
DEA 13গরুর রক্তে রয়েছে ১১টি প্রধান রক্তের গ্রুপ। এগুলো হল- A, B, C, F, J, L, M, R, S, T ও Z। তার মধ্যে কেবলমাত্র B গ্রুপটিরই রয়েছে ৬০ এর বেশি অ্যান্টিজেন। এর বাইরেও রয়েছে আরও কিছু অপ্রধান গ্রুপের রক্ত যেগুলো সচরাচর পাওয়া যায় না। অর্থাৎ, গরুর রক্ত মানুষের দেহে তো দূরের কথা, এক গরুর রক্ত অন্য গরুতে সঞ্চালন করাই দূরহের ব্যাপার।
অন্য দিকে ঘোড়ার ব্লাড গ্রুপ হয় ৮ ধরনের। মানুষের রক্তে যেমন RBC, WBC আছে তেমনি জন্তু জানোয়ারের রক্তেও আছে, পার্থক্য সুধু একটাই সেটা হল মানুষের রক্তে নিউক্লিয়াস থাকে না। তবে Crocodile icefishes প্রজাতির প্রানীদের রক্তে RBC থাকে না, এরা পর্যাপ্ত পরিমান অক্সিজেন যুক্ত শীতল পানিতে বেঁচে থাকে।
- 1086 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on August 22, 2020 in Mobile.
এটি হল সাম্প্রতিক সংযোজিত একটি সংস্করণ। মোবাইলে সেটিং অপশনে গিয়ে এটি খুঁজে নেয়া যাবে। আমি নিচে স্ক্রীন শট দিয়ে দিলাম।
উপরে দেখুন এখানে একটা অপশন আছে ইমার্জেন্সি এসওএস নামে। এখানে প্রবেশ করলে নিম্নরূপ অপশন গুলো দেখাবে।
এখানে প্রথম কাজ হল ইমার্জেন্সি কন্টাক্ট এ গিয়ে তিনটা ফোন নাম্বার যোগ করতে হবে। একটাও দেয়া যাবে। আরো একটা অপশন দেখুন send call history এটাও চালু রাখতে পারেন।
এ প্রক্রিয়াটির কাজ হলো, ধরুন আমি বিপদে পরলাম। একটা দুর্ঘটনা হলো আমার। কল দিতে পারছিনা বাবাকে। মানে, কল দেয়ার মত পরিস্থিতি নেই আমার। এখন আমি যদি মোবাইলের পাওয়ার বাটন টা অতি দ্রুত পাঁচ বার চাপি , তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মোবাইলের ইন্টারনেট চালু হয়ে গুগল ম্যাপ থেকে লোকেশন জেনে নিয়ে বাবা’এর মোবাইলে একটা বার্তা পাঠিয়ে দেবে। এই বার্তাতে থাকবে আমার লোকেশন(ঘটনাস্থল), আমার সর্বশেষ কল ইতিহাস এগুলোই।
এটি খুবই ভালো একটি প্রক্রিয়া। আপনিও চালু করে নিতে পারেন আপনার মোবাইলে। এটা অনেক টা Apple এর সিরি এর মত কাজ করে। Apple এর সিরির কাজ ও প্রায় একই।
- 966 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on August 21, 2020 in Cooking.
গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ বর্তমানে একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকে এই সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ঝলসে গিয়েছেন আবার অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি মনে করি, আমাদের কিছু ভুলের কারণেই এমনটা ঘটে থাকে। হয়তো অনেক সময় ব্যাতিক্রম হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু, বেশিরভাগ সময়ই নিজের অসাবধানতার কারণেই এমনটা ঘটে থাকে।
(চিত্র সূত্র: LPG leak whiff in kitchen fire)
গ্যাস সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শব্দ হলো চাপ, তাপ এবং ছিদ্র।
গ্যাস সিলিন্ডারে যদি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি গ্যাস ভর্তি করা হয় তাহলে তা বিপদ ডেকে আনে৷ আমরা যে গ্যাস সিলিন্ডার গুলো ব্যাবহার করে থাকি তা প্রতি বর্গসেন্টিমিটারে ২৫ কেজি চাপ নিতে পারে। অর্থাৎ, গ্যাস সিলিন্ডারে আমাদের আঙ্গুলের ডগার সম পরিমাণ জায়গায় ২৫ কেজি চাপ পরে৷ কিন্তু, এত পরিমাণ চাপ সিলিন্ডারের ভেতর থাকেনা। আমাদের সিলিন্ডার গুলোতে প্রতি বর্গ সেন্টিমিটারে ৫ কেজি করে চাপ প্রয়োগ হয়। যা তুলনামূলকভাবে খুবই কম। কেউ যদি অসাবধানতাবশত বেশি গ্যাস ভর্তি করে ফেলে তাহলে দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
(চিত্র সূত্র: Maximum Explosion Pressure)
তাপের কারণেও বিস্ফোরণ ঘটে থাকে। অনেকে বাসাবাড়িতে চুলার কাছেই সিলিন্ডার স্থাপন করে থাকেন৷ ফলে, তাপ সরাসরি সিলিণন্ডারের গায়ে লাগে। এই তাপ প্রবাহিত হয় সিলিন্ডারের ভিতরে। এতে করে ভিতরে থাকা গ্যাস উত্তপ্ত হয়ে যায়। গ্যাস উত্তপ্ত হলে কি হয় সেটা হয়তো অনেকের মাথায় আসেনা। দেখে নিই!
একটু করে গণিতের সাহায্য নিই।
আদর্শ গ্যাসের সূত্র থেকে আমরা জানি,
PV=nRTPV=nRT
এখানে,
PP= চাপ (প্যসকেল [Pa])।
VV= আয়তন (ঘনমিটার [m3m3])।
nn= মোল সংখ্যা।
R=R= আদর্শ গ্যাস ধ্রুবক।
T=T= তাপমাত্রা।
সূত্রটি থেকে ধারণা করা যাচ্ছে যে, তাপমাত্রা, চাপের সমানুপাতিক। মানে তাপ যত বাড়বে চাপ ও তত বাড়তে থাকবে। আগেই জেনেছি, গ্যাস সিলিন্ডার গুলোতে প্রয়োজনের তুলনায় কম চাপ থাকে। কিন্তু, যখন তাপ প্রয়োগ করা হয় বা তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় তখন, সিলিন্ডারের গায়ে প্রতি বর্গসেন্টিমিটারে চাপ ও বাড়তে থাকে। যতই তাপমাত্রা বাড়বে গ্যসের অনুগুলোর ছুটোছুটি বেড়ে যাবে। অর্থাৎ, গ্যাসের প্রতিটি অণুর গতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে। তারা গ্যাস সিলিন্ডারের গায়ে জোরে জোরে আঘাত করবে। এই আঘাত করার ফলে প্রতিবর্গসেন্টিমিটারে চাপের পরিমাণ বেড়ে যাবে। সধারণত, সিলিন্ডারে গ্যাস তরল অবস্থায় থাকে। তাপ প্রয়োগের ফলে তরল গ্যাস বাষ্পে পরিণত হতে শুরু করে। বাষ্প মানেই গ্যাসের অণুর ছোটাছুটি। এরফলে সিলিন্ডারে ফাটল ধরে এবং গ্যাস বাইরে বেরিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয়ে থাকে BLEVE (Boiling Liquid Expanding Vapour Explosion)।
এক্ষেত্রেও একটা সহজ সূত্রের সাহায্য নেয়া যায়,
P1T1=P2T2P1T1=P2T2
এখানে,
P1P1= প্রাথমিক চাপ (চুলা জ্বালানোর পূর্বে)।
T1T1= স্বাভাবিক তাপমাত্রা (কক্ষতাপমাত্রা/ চুলা জ্বালানোর পূর্বে)।
P2P2= সর্বশেষ চাপ ( চুলা জ্বালানোর পর সর্বোচ্চ তাপমাত্রায়)।
T2T2= সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এখানে, আমরা তিনটা জিনিস সহজেই জানতে পারি, P1P1, T1T1 এবং T2T2 এর মান। তাহলে আমরা ঐ মানগুলো সূত্রে বসিয়ে P2P2 এর মান বের করে ফেলতে পারি। এই মাণ বের করে আমাদের লাভ কী? লাভ বলতে, একটি সিলিন্ডার কি পরিমাণ চাপ সহ্য করতে পারে তার একটা নির্দেশিকা থাকে। আমরা রান্না করলে তাপ যদি সরাসরি সিলিন্ডারের গায়ে লাগে তাহলে কি পরিমাণ চাপ উৎপন্ন হবে তা বের করে নিতে পারি। এই চাপ যদি সিলিন্ডারের নির্দেশিত চাপের চেয়ে বেশি হয় তাহলে বিস্ফোরণের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। এই অঙ্ক কষাকষির ঝামেলায় যদি পরতে না চেয়ে থাকেন, সিলিন্ডারকে অবশ্যই অনুকুল তাপমাত্রায় রাখুন। অর্থাৎ, চুলা থেকে দূরে রাখুন যেখানে তাপ না পৌঁছায়।
সবশেষ কারণটি হলো, ছিদ্র বা Leakage. এই কারণেই বিস্ফোরণের পরিমাণ বেশি হয়ে থাকে। অনেকে গ্যাস সিলিন্ডারের নব(রেগুলেটর) টা বন্ধ করতে ভুলে গিয়ে থাকেন। যার ফলে গ্যাস বের হয়ে আসে। যদি ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ থাকে তো গ্যাস বাইরে বেরুতে পারেনা। তখন গ্যাস জমে থাকে। এই জমে থাকা গ্যাস যখন আগুনের সংস্পর্শে আসে তখনই বিস্ফোরণের সূত্র পাত ঘটে৷ অনেকসময়, সিলিন্ডার পুরাতন হয়ে জং ধরে ছিদ্রের সৃষ্টি করে। এই ছিদ্র দিয়ে গ্যাস বের হয়ে আসে আর আগুনের সংস্পর্শে এসে বিস্ফোরণ ঘটায় আর আমরা আগুনে পুড়ে মরি।
(চিত্র সূত্র: Maximum Explosion)
আবারো বলছি, একটু সাবধানতা অবলম্বন করলে এত সূত্রের সাহায্য নিতে হবেনা। গ্যাস সিলিন্ডার আনার সময় দেখে-শুনে আনুন আর ব্যাবহার সাবধানে করুন। ভয়ের কারণ নেই সেটা বলবোনা, এগুলো একেকটা ছোটোখাটো বোমার মত মনে হয় আমার কাছে। মানে আমরা বাসায় বোমা নিয়েই থাকি। এটা মনে মনে রাখুন আর সাবধানে থাকুন।
- 1013 views
- 1 answers
- 0 votes