1611
Points
Questions
44
Answers
117
-
Asked on September 27, 2020 in Outsourcing.
ফ্রি অনলাইন আর্নিংঃ ৩টি উপায়ে অনলাইনে আয় করুন মাসে নুন্যতম ১০০$
☞ ব্লগিং এর মাধ্যমে আায়ঃ গুগল ব্লগার
গুগল এর জনপ্রিয় ব্লগিং প্লাটফর্ম হচ্ছে ব্লগার একদম ফ্রি তে তারা এই সার্ভিস দিয়ে থাকে এবং তারা আপনাকে আপনার ব্লগে গুগল এর বিজ্ঞাপন প্রকাশ করার অপশান রেখেছে। কিন্তু গুগলের বিজ্ঞাপন প্রকাশের জন্য আপনাকে একটি মানসম্মত ব্লগ তৈরী করতে হবে। আপনার ব্লগে যখন ভিজিটর আসা শুরু করবে আপনার আর্নিং শুরু হয়ে যাবে। ভিজিটর আনতে হলে আপনাকে ভালো ভালো পোস্ট/কনটেন্ট বানাতে হবে। এমন ভাবে কনটেন্ট বানাতে হবে যাতে মানুষ ভিজিট করতে আগ্রহী হয়।
একটা আর্নিং ব্লগ হচ্ছে একটা বাগানের মত। এমন গাছ লাগাবেন যেটা ১২ মাস ফলন দিবে আর মানুষের কাছে সেই গাছের ফলের ভালো চাহিদা আাছে মানে যেটা মানুষ সবচেয়ে বেশি খোজ করে বা পেতে চায়।
একটা মানসম্মত ব্লগ তৈরী করে আপনি প্রচুর পরিমাণ টাকা আয় করতে পারেন। গুগল এর জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন প্রকাশনা সার্ভিস হচ্ছে “গুগল অ্যাতসেন্স”। আপনি আপনার ব্লগ তৈরীর পর, আপনার ব্লগে গুগল অ্যাডসেন্সের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করডে পারবেন। আপনার ব্লগে প্রচুর ভিজিটর আসলে আপনার প্রচুর আয় হবে আর কম আসলে কম। আপনি আপনার ব্লগে যত ভালো কাজ করতে পারবেন তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
☞ ইউটিউবের মাধ্যমে আয়
ইউটিব ও গুগল এর জনপ্রিয় ভিডিও পোর্টাল। ইউটিউবে আপনি আপনার ভিডিও ব্লগ তৈরী করেও প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এটাতেও ব্লগার এর মত ভিজিটর আনতে হবে। এবং আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন প্রচার করে আপনি অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।
ইউটিউবে আর্ন করতে চাইলে আপনাকে নিয়মিত ভালো মানের ভিডিও কন্টেন্ট তৈরী করতে হবে। যেগুলো ভিজিটরকে আকৃষ্ট করবে। এবং অবশ্যই আপনাকে আরোও একটি কাজ করতপ হবে আর সেটি হচ্ছে ভিডিও টিকে ভালো মত SEO (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) অপটিমাইজ করে নিতে হবে যাতে ইউটিউবে বা গুগলে আপনার ভিডিও সার্চ করলে তা সার্চ লিস্টে চলে আসে।
আপনার ইউটিউব চ্যানেলে গুগলের বিজ্ঞাপন প্রকাশের জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ভিউ এবং সাবস্ক্রাইবার এর প্রয়োজন হবে। এর জন্য আপনি আপনার ভিতিও বেশি বেশি সোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করবেন। যেমনঃ ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও অন্যান্য সোসাল নেটওয়ার্ক সাইটে শেয়ার করবেন।
☞ ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আয়
এই ক্ষেত্রে আপনাকে কাজ জানতে হবে। কোনো একটি বিষয়ে বিশেষ পারদর্শিতা থাকতে হবে। যেমনঃ লোগো ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি। এখান থেকেও প্রচুর অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। তবে আপনি কাজ না জানলে এই পদ্ধতি কোনো কাজে আসবে না। ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য অনেক স্কিল আছে, আপনি চেষ্টা করবেন যেটার চাহিদা বেশি সেই স্কিলের উপর কোর্স করার বা নিজে নিজে শিখবেন ইউটিউব থেকে। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কয়কটি ফ্রিল্যা প্লাটফর্ম এর নাম নীচে দেয়া হলঃ
➤ Upwork
➤ Fiverr
➤ peopleperhour
➤ Freelancerআমাদের দেশে অনেক ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দাতা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা আপনাকে কাজ শিখাবে এবং আপনাকে ফ্রিল্যান্সার দের দুনিয়ায় কাজ পেতে সাহায্য করবে। একবার ক্লায়েনট পেয়ে গেলে আপনাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। তাই দেখেশুনে ভালো একটা প্রতিষ্ঠানে কোর্স করে কাজ শুরু করে দেন।
আশা করি আমার পরামর্শ আপনাদের ভালো লেগেছে। কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন।
- 959 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on September 21, 2020 in Technology.
পদ্মার মতো গভীর নদীতে সেতুর পিলার বসানো হয় যেভাবে
সেতুর পিলারগুলো নদীর বুকে স্থাপন করা হয় কফার ড্যামের সাহায্যে। ছবি: সংগৃহীত
পদ্মা সেতু নিয়ে আমাদের আগ্রহের শেষ নেই। যমুনা সেতু নিয়েও সবার সমান আগ্রহ ছিল। একেকটি সেতু কেবল একেকটি জনপদকেই যুক্ত করে না; সহজ করে জীবনকে, বাঁচিয়ে দেয় মহামূল্যবান সময়। পাশাপাশি অর্থনৈতিক সংযুক্তির ব্যাপার তো থাকছেই। কিন্তু কীভাবে সেতুর পিলারগুলো নদীর বুকে স্থাপন করা হয়? এই প্রশ্ন অনেকেরই মাথায় ঘুরপাক খায়।
ভূমিতে যেকোনো পিলার স্থাপন করা তুলনামূলক সহজ কাজ। কিন্তু পানির মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করার ক্ষেত্রে একটি অস্থায়ী বেষ্টনী নির্মাণ করা হয়, ইঞ্জিনিয়ারিং ভাষায় তা ‘কফার ড্যাম’ নামেই পরিচিত। তবে বেশিরভাগ সাধারণ মানুষই এ শব্দটির সঙ্গে অপরিচিত।
জানতে হবে কফার ড্যাম সম্পর্কে
নদীর বুকে সেতু বা যেকোনো স্থাপনার পিলার বসানো সম্পর্কে জানতে হলে কফার ড্যাম সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। কফার ড্যাম হল এক ধরনের অস্থায়ী বেস্টনী; যা নদী, হ্রদ ইত্যাদি এলাকায় নির্মাণ চলাকালে পানি প্রবেশে বাধা দেয়। এসময় কিছু পানি কফার ড্যামের মধ্য দিয়ে ছুঁয়ে ভেতরে প্রবেশ করে, যা সহজে পাম্প করে নিষ্কাশন করা যায়। মূলত নির্মাণ এলাকা শুষ্ক রাখার জন্য কফার ড্যাম স্থাপন করা হয়।
কফার ড্যামের দেয়ালগুলাে পানি নিরােধক হয়ে থাকে। নির্মাণ কাজের প্রকারের ওপর নির্ভর করে কফার ড্যামের শ্রেণিবিন্যাস করা হয়। গভীরতা, মাটির অবস্থা, পানির স্তরের ওঠানামা, মালামালের পর্যাপ্ততা ইত্যাদির ওপর নির্মাণ কাজের প্রকার নির্ভর করে। কফার ড্যাম মাটির, কাঠের অথবা স্টীল শিট পাইলের অথবা মিশ্রিতভাবে তৈরি করা হয়ে থাকে।
বেশ কিছু উদ্দেশ্যে কফার ড্যাম ব্যবহার করা হয়; যেমন—
* বেষ্টনীর মধ্যে পানি প্রবেশকে বাধা দেয়ার জন্য।
* পানির মধ্যে ভিত্তি স্থাপন করতে শ্রমিকদের কাজ করার জন্য প্লাটফর্ম প্রদান করতে।
* প্রতিক্রিয়া ছাড়াই সন্নিহিত কাঠামােকে মুক্ত রেখে ভিত্তির জন্য জায়গা প্রদান করে।
* পাইল বসানাের সুবিধা প্রদান করে।
* ব্ল্যাট এবং গ্রিলেজ ভিত্তি স্থাপনে সাহায্য করে।
* কংক্রিট ড্যামের ভিত্তির এবং সুপারস্ট্রাকচারের কাজ সম্পাদন করতে সাহায্য করে।
* ব্রিজের অ্যাবাটমেন্ট এবং পায়ারের জন্য ভিত্তি নির্মাণে সুবিধা প্রদান করে।
কফার ড্যাম হল এক ধরনের অস্থায়ী বেস্টনী। ছবি: সংগৃহীত
কফার ড্যামের প্রকারভেদ
যেখানে কফার ড্যাম স্থাপন করা হয় সেখানে প্রথমে ড্রেজিং করে ওই স্থানের কাদা সরিয়ে ফেলা হয়। এরপর পাইল সেটআপ করতে হয়। সর্বোপরি পাম্পিং করে কফার ড্যামের ভেতরের পানি নিষ্কাশন করা হয় এবং বাইরে থেকে যেন পানি চুইয়ে না আসে তা নিশ্চিত করা হয়। তারপর স্ট্রাকচার বা পিলার তৈরির কাজ শুরু করা হয়। কাজ শেষে সাবধানে কফার ড্যামটি খুলে নেয়া হয়।
কফার ড্যাম বিভিন্ন রকমের মালামাল (যেমন- সিট ফাইলস, স্টীলস) ব্যবহার করে বানানো হয়। মালামাল ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে কফার ড্যাম বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে, যেমন—
* মাটির কফার ড্যাম
* রক-ফিল কফার ড্যাম
* স্যান্ড ব্যাগ কফার ড্যাম
* সিংগেল ওয়াল কফার ড্যাম
* ডাবল ওয়াল কফার ড্যাম
* রক-ফিল ক্রিব কফার ড্যাম
* কংক্রিট কফার ড্যাম
*সেলুলার কফার ড্যাম
* ক্যান্টিলিভার শিট পাইল কফার ড্যাম
* ব্রেইসড কফার ড্যাম
* সাসপেন্ডেড কফার ড্যাম
মাটির কফার ড্যাম সবচেয়ে সাধারণ এবং পরিচিত। যেখানে পানির গভীরতা প্রায় ২ মিটার এবং প্রবাহের বেগ কম, সেখানে মাটির কফার ড্যাম ব্যবহার করা হয়।
- 1016 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on September 18, 2020 in Freelancing.
শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইনে আয় করার অনেক উপায় রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি আমি তুলে ধরছি:
১. ফ্রিল্যান্সিং
অনলাইনে আয়ের প্রসঙ্গ আসলে সবার প্রথমে যে শব্দটি উচ্চারিত হয় সেটা হল ফ্রীল্যান্সিং (Freelancing)। এটিই অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম। বর্তমানে ফ্রীল্যান্সিং এর মাধ্যমে আমাদের দেশের হাজার হাজার মানুষ ঘরে বসে আয় করছে। এই মাধ্যমটিকে আরো জনপ্রিয় করে তোলার জন্য সরকারি বেসকারি বিভিন্ন সংস্থা কোর্স ও ট্রেনিং এর ব্যবস্থা ও করছে। অনেকেই ফ্রিল্যানসিংয়ের প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন, অনেকেই আয় করছেন লাখ লাখ টাকা।
২. নিজের ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি
ফ্রিল্যান্সিং মূলত অন্যের অধীনে কাজ করা। যারা সেটা না করে নিজে কিছু করতে চান তাদের জন্য ভাল একটি অপশন হল নিজের একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি।
৩. Google AdSense থেকে অর্থ উপার্জন
বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলোর একটি হলঃ Google AdSense. এই Advertisement program টি স্বয়ং Google দ্বারা পরিচালিত যা ইউটিউব অথবা ব্লগিং এর ক্ষেত্রে আয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম। আপনার ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইট এ যদি প্রচুর দর্শক বা ভিজিটর থাকে এবং একে একটি ভাল অবস্থানে নিয়ে যেতে পারেন, তাহলে Google AdSense এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
৪. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও মূলত ওয়েবসাইট বা ব্লগ থেকে আয়ের একটি মাধ্যম। আপনি কোন প্রতিষ্ঠানের Affiliate Marketing Program এ যুক্ত হলে সেই প্রতিষ্ঠানের পণ্যের বিজ্ঞাপন তাদের দেওয়া লিংক এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগে যুক্ত করতে পারবেন। সেই লিংকে ক্লিক করে যদি কেউ কোন পণ্য কিনে, তাহলে আপনি একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পাবেন। কমিশনের পরিমাণ এক এক কোম্পানির এক এক রকম। সেটা ৩% থেকে ২০% পর্যন্ত ও হতে পারে। যত বেশি ক্রেতা আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট থেকে পাঠাবেন, আপনার আয় তত বেশি হবে।
৫.ইউটিউব
লেখালেখিতে যারা উৎসাহ বোধ করেন না, কিন্তু ক্যামেরা নিয়ে কাজ করতে ভালবাসেন অথবা ভিডিও সম্পাদনায় পারদর্শী তারা আয় করার মাধ্যম হিসেবে বেছে নিতে পারেন ইউটিউব কে। ইউটিউব চ্যানেলে নিত্যনতুন আইডিয়া নিয়ে ভিডিও বানিয়ে এখন অনেকেই লাখ টাকাও আয় করছেন।
৬.গ্রাফিকস ডিজাইন
সৃজনশীল চিন্তাধারার ব্যাক্তিদের জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন খুব ভাল প্ল্যাটফর্ম। হাতে একটি ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট কানেকশন থাকলে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে বিভিন্ন মার্কেট প্লেস থেকে আয় করতে পারেন।
৭.জরিপ, সার্চ ও রিভিউ
অনলাইনে বিভিন্ন জরিপ করা হয়, যেগুলোতে অংশগ্রহণ করলে টাকা দেওয়া হয়। এছাড়াও অনলাইন সার্চ ও প্রোডাক্ট রিভিও (পণ্যের পর্যালোচনা) লিখার মাধ্যমেও আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
৯. কপি টাইপিং
অনলাইনে আয় করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ কিন্তু জনপ্রিয় মাধ্যম হল কপি টাইপিং। বহুদিন যাবৎ শীর্ষ দশটি চাহিদাসম্পন্ন কাজের মধ্যে এর অবস্থান এবং দিন দিন এর চাহিদা বেড়েই চলেছে।
১০. কনটেন্ট রাইটিং
নিজের ওয়েবসাইট বা ব্লগে লেখালখি ছাড়াও ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ও কন্টেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে আয় করার সুযোগ আছে যদি না আপনার লেখালেখির হাত ভাল থাকে। বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে লেখালেখি করে আয় করার এখন অনেক বেশি সুযোগ আছে।
- 971 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on September 5, 2020 in Science.
প্রথমত আমি বলবো পৃথিবী গোল না! তারপর বলবো পৃথিবী গোল হলেও কোন থালা অর্থ্যাৎ প্লেটের মত না।
অবাক হচ্ছেন? একটু ঝেড়ে কাশি।
পৃথিবী পুরোপুরি গোল না। অর্থ্যাৎ বৃত্ত্বের মত গোল না। বরং গোলাকার। গোলাকার আর গোলের ভেতরেও পার্থক্য আছে। (যদিও আপনি গোল আকার ই বলেছেন)।
গোলাকার হচ্ছে গোল আকৃতি সদৃশ আর গোল হচ্ছে বৃত্ত। গোলকে আমরা ১ টাকার পয়সার সাথে তুলনা করি। একদম গোল। আর গোলাকারকে তুলনা করি নাশপাতির সাথে।
নাশপাতি কিন্তু গোলাকার অথচ গোল নয়।
পৃথিবী দুই মেরুতে কিঞ্চিত কেন্দ্রের দিকে চাপানো। নিচের চিত্র লক্ষ্য করুন।
এখন আপনার প্রশ্নে আসি।
আপনি জানতে চেয়েছেন পৃথিবী গোলাকার হলে আমাদের উপরে বা নিচে কোন দেশ রয়েছে। আসলে আমাদের উপরে কোন দেশ নেই নিচেও কোন দেশ বা জলভাগ নেই। উপরে তাকালে সোজা আকাশ দেখতে পাচ্ছেন। নিচে মাটি। ভূ-অভন্ত্যরে গেলে বিভিন্য বস্তু আপনি পাবেন।
আপনার প্রশ্নটা যদি হয় আমাদের উলটো দিকে বা বিপরীত দিকে কোন দেশের অবস্থান তাহলে উত্তরটা সহজ হতো।
ভূগোলের ভাষায় একে বলা হয় “প্রতিপাদ স্থান বা Antipodes”। যেমন ঢাকার প্রতিপাদ স্থান হচ্ছে চিলির নিকট প্রশান্ত মহাসগরে।
পৃথিবীর কোন নির্দিষ্ট অঞ্চল থেকে যদি পৃথিবীর কেন্দ্র ভেদ করে কোন সরলরেখা অঙ্কন করলে পৃথিবীর অন্য যেই পাশে যেই স্থানে রেখা ভেদ করবে সেটাই ওই স্থান তথা একে অপরের প্রতিপাদ স্থান।
আপনি চাইলে নিজেও দেখে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনার বাড়ি বা অফিসে বা যেকোন জায়গাতে যদি পৃথিবীর মডেল থেকে থাকে (যেটাকে অনেকে গ্লোব বলে যদিও এটা ভূল) তাহলে বাংলাদেশকে পয়েন্ট করে মডেলের বিপরীত দিকে লক্ষ্য করুন পেয়ে যাবেন।
অথবা একটা আপেলের একপাশ দিয়ে কোন কাঠি সোজাসুজি প্রবেশ করান। কাঠিটা যেই প্রান্ত দুটি ভেদ করেছে তারা একে অপরের প্রতিপাদ স্থান।
মানচিত্রে নীল রঙের স্থানের প্রতিপাদ স্থান গোলাপী রঙে নির্দেশ করা হয়েছে -বেশির ভাগ স্থানের প্রতিপাদস্থান মহাসাগরে অবস্থিত।
ছবিঃ উইকিপিডিয়া।
- 979 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on August 30, 2020 in Design.
একটি সেতুকে তিন ধরনের ওজন বহন করতে হয় :- ১) নিজস্ব ওজন ২) যানবাহনের ওজন ৩) নদীর বা প্রাকৃতিক দূর্যোগের চাপ/ ওজন[1]
# সেতুতে গাড়ি ওঠার সময় কম্পনজনিত চাপ সৃষ্টি হয়, বাঁকা হওয়ায় এটি পুরো সেতুতে ছড়িয়ে পড়ে ফলে কম চাপ পড়ে। সোজা হলে পুরো সেতুতে ছড়ায় না ফলে ভেঙে পড়বে।
# নদীতে স্রোতের সময় পিলারে প্রচন্ড চাপ পড়ে, কিন্তু বাঁকা হলে কম চাপ পড়ে।
# মাটিতে সব জায়গায় সমান চাপ থাকে, তাই বাঁকা করলে ভূমিকম্পের সময় পিলার সব গুলো কাঠামো ধরে রাখতে পারে।
# বড় সেতু গুলি বাঁকা হওয়ার অন্যতম কারন দূর্ঘটনা প্রতিরোধ। একটানা সোজা গাড়ি চালাতে গিয়ে প্রায়সই চালকগন ক্লান্তি অনুভব করেন এবং মাঝেমধ্যে ঘুমিয়ে পড়েন, যেটা দূর্ঘটনার জন্য অনেকাংশে দায়ী। তাই বড় সেতুগুলো আঁকাবাঁকা হয়।
ছবিঃ Riemst Location
ছবিঃ Sensima inspection
ছবিঃ হংকং- ম্যাকাও ব্রিজ
- 1054 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on August 28, 2020 in Health.
নখ আমাদের শরীরের তথা হাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ৷ বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে এই নখের গুরুত্ব একটু বেশিই বলা যায়৷ কিন্তু মাঝে মধ্যেই আমরা দেখতে পাই নখে বেশ কিছু সাদা দাগ রয়েছে৷ কথায় আছে, নখে সাদা দাগ মানে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব৷ সেই প্রচলিত ধারণার কথা স্মরণ করে অনেকেই ভয় পেয়ে যান৷ কিন্তু সত্যিই কী ভয়ের কিছু রয়েছে?
জানা যায়, নখে সাদা দাগ মানেই ক্যালসিয়ামের অভাব কথাটি গল্পকথা ছাড়া আর কিছুই নয়৷ বরং বলা যেতে পারে, এই সাদা দাগগুলির পিছনে যে রহস্য রয়েছে তা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণও নয়৷ তাহলে কোথা থেকে আসে এই দাগ?
চিকিৎসা বিজ্ঞানে নখের সাদা দাগের নাম ‘punctate leukonychia’৷ অধিকাংশ সময়ে এই দাগের আবির্ভাব হয় নখে ধাক্কা বা চোট লাগলে৷ তবে এই আঘাত যে খুব গুরুতর হতে হবে তার কোন মানে নেই৷ টেবিলে ক্রমাগত নখ দিয়ে আওয়াজ করা বা দাঁত দিয়ে নখ কাটাও এই সাদা দাগ উদ্ভবের কারণ হতে পারে৷ আসলে এই সাদা দাগগুলি হল নখের ক্ষতিগ্রস্ত কোষ৷
তবে নখের কিছু কিছু জায়গায় সাদা দাগ কোন চিন্তার কারণ নয়৷ কিন্তু আপনার নখটি পুরো সাদা হয়ে যায় তাহলে তা গুরুতর হতে পারে৷ কারণ পুরোপুরি সাদা নখ শরীরের অন্য কোন বড় সমস্যার জানান দিতে পারে৷ যেমন-লিভার সমস্যা, কিডনী সমস্যা অথবা হার্টের সমস্যা৷
এছাড়া যখন এই সাদা দাগগুলি সারি দিয়ে থাকে তখন তা রক্তে প্রোটিনের স্বল্পতাকেই ইঙ্গিত করে৷ তাই সাদা দাগ যদি পুরো নখ জুড়ে থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন৷
- 978 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on August 26, 2020 in Accounting.
যদি ব্যাংকের ভুলে, এরকম হয়, তবে টাকা ফেরত দেয়ার দায়িত্ব ব্যাংকের । “জমাকর্তা”র উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই।
যদি, “জমাকর্তা”র ভুলে এরকম হয়, তবে টাকা ফেরত দেয়ার দায়িত্ব ব্যাংক এর থাকছে না। তবে, ব্যাংককে জানালে, ব্যাংক এ ব্যাপারে সহযোগীতা করতে পারে। এক্ষেত্রে, যার একাউন্টে টাকা জমা পড়েছে, তার উপর পুরোটাই নির্ভর করবে। তার সম্মতি ভিন্ন, ব্যাংক তার একাউন্ট থেকে কোনো “রিভার্সাল” এফেক্ট করতে পারবে না।
সাধারণত: ব্যাংক কর্তৃপক্ষ টাকা জমা করার আগে, একাউন্ট নম্বর এবং একাউন্ট হোল্ডার এর নাম মিলিয়ে দেখে নেন। তবে, “অনলাইনে” জমা করার ক্ষেত্রে, নাম সঠিক দিয়ে, একাউন্ট নম্বর ভুল দিলে ও, ওই একাউন্ট নম্বরেই টাকা জমা হবে। অনলাইন ট্রান্সফার এর ক্ষেত্রে, একাউন্ট নম্বরকেই গুরুত্ব দেয়া হয়।
যদি, ভুল করে যাঁর একাউন্ট এ টাকা জমা দেয়া হয়েছে, তিনি সেটা ফেরত্ দিতে কিছুতেই রাজী না হন, সেক্ষেত্রে টাকার পরিমানের উপর নির্ভর করে, “আইনজীবীর” মাধ্যমে, “লিগ্যাল নোটিশ” পাঠিয়ে, “রিকভারি প্রসিডিংস” চালু করার প্রাবধান আছে। সেক্ষেত্রে, অনিচ্ছাকৃত ভুলে, টাকা জমা দেয়ার ঘটনাকে আদালতে স্থাপিত করতে হবে। এটা সময় তথা ব্যয়সাপেক্ষ প্রচেষ্টা হবে। আদালতের সিদ্ধান্তের উপর বিষয়টি নির্ভর করবে। ভুলের কারণে, অন্যায় ভাবে কারোর টাকা উপভোগ করা, আইনের চোখে সমর্থনযোগ্য নয়।
- 1004 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on August 11, 2020 in Health.
না, সম্ভব না।
সাপ, বীনের আওয়াজ শুনতে পায় না।
লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, যিনি বীন বাজান, তিনি বীন বাজাতে বাজাতে, দুলতে থাকেন। তার শরীরের দুলুনি দেখে, সাপ সেটা অনুকরণ করে, দুলতে থাকে।
যদি, সাপুরিয়াকে বলা হয়, স্থির থেকে বীন বাজানোর জন্য, তবে দেখা যাবে, সাপ কিনতু, দুলছে না।
১। সাপে কামড়ালে, সাথে সাথে হাসপাতালে যেতে হবে।
২। বিষাক্ত সাপের ক্ষেত্রে, সাপে কামড়েছে ব্যক্তিকে, এন্টিভেনম প্রয়োগ ছাড়া, কোনো বিকল্প নেই।
এই দুটি পদ্ধতি ভিন্ন, অন্য কোনো পদ্ধতির অনুসরণ, গভীর পরিতাপের বিষয় হয়ে উঠবে।
- 996 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on July 22, 2020 in Solution.
পা ধরে সালাম বা কদমবুসি করা ইসলামী শরী‘আত সম্মত নয়!!..”হারাম”..”হারাম”..
আনাস (রাঃ) বলেন, জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি যখন তার কোন ভাই বা বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাত করবে, তখন সে কি মাথা ঝুঁকাবে বা তাকে জড়িয়ে ধরবে বা চুমু খাবে? তিনি বললেন, না। লোকটি বলল, তাহ’লে কি কেবল হাত ধরবে ও মুছাফাহা করবে? রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, হ্যাঁ’।
—তিরমিযী, মিশকাত হা/৪৬৮০ ‘শিষ্টাচার’ অধ্যায়, মুছাফাহা ও মু‘আনাক্বা অনুচ্ছেদ-৩।
কদমবুসি যাকে বাঙ্গালি মুসলিমরা নাম দিয়েছে পায়ে ধরে সালাম করা। অথচ সালাম কিভাবে পায়ে ধরে হয়!! কদমবুসি করা জঘন্যতম গুনাহ, বিবেক বিরোধী এবং নোংরামি।
তিনটা দৃষ্টিকোণ থেকে কদমবুসি করার কুফল নিয়ে আলোচনা:১)ইসলামি দৃষ্টিকোণ: কদমবুসি করা শিরক। কিছু মানুষ বলে কদমবুসি করা কিভাবে শিরক হয় আমরা তো সিজদা করিনা শুধু মাথা নুয়ে সালাম করি! অথচ মাথা নুয়ানো মানে সিজদাহ করা। কিছু মানুষ আছে যারা বলে আমরা কদমবুসি করার সময় চোখ উপরে তুলি তাই আমাদের সিজদাহ হয়না অতএব এই রকম চোখ উপরে তুলে কদমবুসি করা জায়েজ!! কি অদ্ভুত যুক্তি! এইদের যুক্তি মেনে নিলেও তবুও কদমবুসি করা হারাম। কেননা রাসুল (সা) বলেন, যে ব্যাক্তি অন্য কওমের সাদৃশ্য অবলম্ব করবে সে তাদের অন্তর্ভুক্ত হবে (মিশকাত হা/৪৩৪৭) . কদমবুসি করা বিধর্মীদের রীতি। অতএব কদমবুসি করা হারাম।
২)চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোন: চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে মানুষের শরীরের সবচেয়ে অপরিষ্কার ও আনহাইজেনিক স্থান হল পা। তাহলে আপনি কিভাবে পাকে ধরছেন? আপনি হয়তো কদমবুসি করার কারনে
অসুস্থ হতে পারেন।৩)আকল বা বিবেক বুদ্ধির দৃষ্টিকোণ: যদি আপনার বিবেক বুদ্ধি সুস্থ হয় তাহলে আপনি অবশ্যই বলবেন মাথা নুয়ে কারর পা ধরা বেয়াদবি ও চরম অসম্মানজনক। কেননা আপনি যদি কাউকে ভালবাসেন অথবা সম্মান করেন তাকে আপনার পায়ে নয় বুকে জায়গা দিবেন।
ইসলামে পায়ে ধরে সালাম করার কোনো বিধান নেই। এটি একেবারেই ইসলাম পরিপন্থী কাজ।এবং কাফির মুশরিক দের সাদৃশ্যতায় উদ্ভাবিত একটি বিদাত।আর বিদাত এর ব্যপারে-
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রা) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন- “যে কেউ কোন সম্প্রদায়ের সাদৃশ্যতা ধারণ করলো, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।” [সূনান আবু দাউদ]
আল্লাহ্ আমাদেরকে সকল প্রকার শির্ক ও বিদ’আত থেকে দূরে রাখুন!!- 973 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on July 20, 2020 in Solution.
আমি যেহেতু জুয়েলারী সেক্টরে কাজ করি তাই কিছুটা জ্ঞান আছে এই সোনা বিষয়ক ।
কিন্তু আমাদের স্টাফরা অনেক দক্ষ এই বস্তুটি চিনতে , যদিও আমরা মেশিনের আস্রয় নিই এটার প্রকৃত পারসেন্টেজ জানতে ।
তবু ও কিছু এনালগ ভাবে চেনার উপায় জানা যাক
আসল সোনা ২৪ ক্যারেটের। কিন্তু সেই সোনা দিয়ে গয়না তৈরি হয় না। কারণ সেটা এত নরম হয় যে, গয়না তৈরিকরা সম্ভব হয় না। গয়না তৈরির জন্য মূলত ২২ ক্যারেটের সোনা ব্যবহার করা হয়। যার মধ্যে ৯১.৬৬ শতাংশ সোনা থাকে।
সব ক্যারেটের হলমার্ক আলাদা আলাদা হয়। যেমন ২২ ক্যারেটে যে সংখ্যা থাকে তা হল ৯১৬, ২১ ক্যারেটে ৮৭৫, ১৮ ক্যারেটে থাকে ৭৫০।
বাজারে কিছু রাসায়নিক এবং অ্যাসিড আছে যেগুলো ব্যাবহার করে সোনার গুণগত মান যাচাই করা সম্ভব। ওই রাসায়নিক বা অ্যাসিড খাঁটি সোনার সংস্পর্শে এলে কোনও রকম বিক্রিয়া হয় না। কিন্তু বিশুদ্ধ না হলেই বিক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।
সোনায় যদি লোহা মেশানো থাকে, তা হলে চুম্বক ধরলেই সেটা টেনে নেবে। সোনায় লোহা মোশানো আছে কি না, তা চুম্বক ব্যবহার করে অবশ্যই পরখ করে নিন।
সাদা চিনেমাটির একটা প্লেট নিন। সোনার গয়না তার মধ্যে ঘষে দেখুন। যদি থালার উপর কালো দাগ পড়ে তা হলে বুঝতে হবে সোনা নকল। আর যদি হালকা সোনালি রং পড়ে তা হলে বুঝতে হবে সেটা আসল।
হালকা কামড় দিয়ে ধরে রাখুন সোনা। যদি আসল হয়, তা হলে সোনার উপর কামড়ানোর হালকা দাগ পড়বে।
একটা গভীর পাত্রের মধ্যে দু’গ্লাস পানি নিন। তাতে কিনে আনা সোনার গয়না ফেলে দেখুন সেটা ভাসছে কি না। যদি ভাসে তা হলে বুঝতে হবে সেটা নকল।
- 1023 views
- 1 answers
- 0 votes