1731
Points
Questions
30
Answers
143
-
Asked on September 13, 2020 in Food.
ভাবছিলাম উত্তরটা এড়িয়ে যাব। কারণ, ইলিশ খেয়ে এর স্বাদের অভিজ্ঞতা একটুও লিখতে পারব না। আমি ইলিশ খেতে পারি না। তবুও লিখার চেষ্টা করেছি জানার আগ্রহে।
প্রশ্নটা হচ্ছে, ফ্রিজে ইলিশ মাছ রাখলে কিছুদিন পর আর স্বাদ তেমন থাকে না। ইলিশ মাছ কীভাবে রাখলে এক বছর পরেও তাজার মতো স্বাদ থাকবে?
আমি প্রশ্নটাকে দু ভাগ করি,
ফ্রিজে ইলিশ মাছ রাখলে কিছুদিন পর আর স্বাদ তেমন থাকে না। হ্যাঁ, থাকে না। শুধু ইলিশ নয়, যে কোনো মাছ কিছুদিন রাখলে তার আগের ন্যাচারাল স্বাদটুকু হারিয়ে যায়। তাই উচিত যতটা সম্ভব অল্প কিনে এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ না করে সময়মতো পরিবেশন করে তরতাজা ন্যাচারাল স্বাদটুকু উপভোগ করা। কিন্তু তবুও তো কেউ চায়, ভবিষ্যতের জন্য সে কিছুটা হলেও সংরক্ষণ করবে। আহা ভবিষ্যৎ ! 😋
ইলিশ মাছ কীভাবে রাখলে এক বছর পরেও তাজার মতো স্বাদ থাকবে?
আসলে যেভাবেই রাখা হোক না কেন তাজার মতো স্বাদ বা ন্যাচারাল স্বাদ কখনো থাকবে না। কিছুদিন পর আসল স্বাদ হারিয়ে যায়। আবার এক বছরের কথায় তো আরো অসম্ভব। কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) তথ্য মতে, তাজা মাছ সংরক্ষণ করলে চর্বিযুক্ত মাছ ৫-৬ মাস আর বেশি চর্বিযুক্ত মাছ ২-৩ মাস পর্যন্ত সজীব থাকে।
যে কোনো মাছ সংরক্ষণের পদ্ধতি :
মাছ সংরক্ষণের পদ্ধতি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেমন, ১. শুকিয়ে মাছ সংরক্ষণ বা শুঁটকীকরণ, ২. লবণজাতকরণ, ৩. বরফজাতকরণ, ৪. হিমায়িতকরণ, ৫. ধূমায়িতকরণ, ৬. ক্যানিং বা টিনজাত পদ্ধতি।
যেহেতু প্রশ্নে ফ্রিজে ইলিশ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কিছুদিন পর স্বাদ না থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তাই আমি ধরে নিলাম তাজা ইলিশ। কারণ ফ্রিজে সাধারণত তাজা ইলিশ সংরক্ষণ করি আমরা। এখন তাজা ইলিশ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে এক বছরের কথা বাদ দিয়ে নিয়মানুযায়ী যতদিন সম্ভব ততদিনের জন্য চেষ্টা করব।
ফ্রিজে তাজা ইলিশ সংরক্ষণের পদ্ধতি :
প্রথমে দেখে নেব ইলিশ কোন শ্রেণীর মাছ। অর্থাৎ বেশি চর্বিযুক্ত নাকি কম চর্বিযুক্ত। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইলিশ চর্বিযুক্ত মাছ। তাই নিঃসন্দেহে এটি ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যাবে ২-৩ মাস। তাজা ইলিশ সংরক্ষণের পদ্ধতি প্রধানত দু’ভাবে করা যায়।
- আস্ত ইলিশ
- আস্ত ইলিশ না ধুয়ে বড় সাইজের পলিথিন ব্যাগে ঢুকিয়ে পেঁচিয়ে নিন। ব্যাগের ভেতরে যেন বাতাস প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। এরপর ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন পলিথিন মোড়ানো ইলিশ। এভাবে সংরক্ষণের আগে ফুলকোর মধ্যে লেবুর রস ছড়িয়ে দিন, ব্যস।
- আস্ত ইলিশ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে আরো একটি পদ্ধতি অনুসরণ করা যায়। বলা যেতে পারে এটি সাব মেথড। অর্থাৎ, যদি ফ্রিজে/ডিপ ফ্রিজে যথেষ্ট পরিমাণে জায়গা থাকে তাহলে আস্ত ইলিশ পানিতে রেখে পানি সুদ্ধ বরফ করে ফেলা, তাতেও স্বাদ অটূট থাকবে।
- টুকরো ইলিশ
- ইলিশ মাছ টুকরা করে কেটে একটি মাছের জন্য ১ চা চামচ হলুদের গুঁড়া, ১ চা চামচ মরিচের গুঁড়া, আধা চা চামচ ধনিয়ার গুঁড়া ও পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে মেখে নিন। মসলামাখা মাছের টুকরা একটি মুখবন্ধ বাটিতে নিয়ে ডিপ ফ্রিজে ৩৫ ডিগ্রি থেকে -৪০ ডিগ্রি সে. রেখে দিন।
শেষকথা, ইলিশ সংরক্ষণ করতে পারার সময় কম হোক, অথবা স্বাদের তারতম্য ঘটে ন্যাচারাল স্বাদটুকুও হারিয়ে যাক, তবুও ইলিশ সংরক্ষণ কি থামানো যায়? ইলিশ তো !!
- 935 views
- 1 answers
- 0 votes
- আস্ত ইলিশ
-
Asked on August 20, 2020 in Food.
মানবদেহ যে কত রকমের অবিশ্বাস্য কাজ করতে সক্ষম, অনেকেরই তা বিশ্বাস হবে না। প্রতি সেকেন্ডে তিন মিলিয়ন লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করতে তা সক্ষম! কিন্তু কিছু কিছু সময়ে নিজেদের শরীরের ক্ষমতা সম্পর্কেই আমরা বুঝি না, ফলে বিশ্বাস করে ফেলি এমন সব আজগুবি তথ্য যা মোটেই সত্যি নয়। এই যেমন, অনেকেই বিশ্বাস করেন চুইং গাম গিলে ফেললে তা পেটেই রয়ে যাবে বছরের পর বছর। তা কী আসলে ঠিক?
মোটেই না। তেঁতুলের বীজ খেয়ে ফেললে পেটে তেঁতুল গাছ হবে- এটা যেমন অবৈজ্ঞানিক, তেমনই চুইং গামের ব্যাপারে এই ধারণাটাও অবৈজ্ঞানিক।
এটা ঠিক যে চুইং গামের বেশিরভাগটাই হজম হয় না। কিন্তু তারমানে এই না যে তা পেটে রয়ে যাবে! আমাদের শরীরে তা সাধারণত এক সপ্তাহের বেশী থাকে না। আমাদের পাকস্থলী নির্দিষ্ট সময় পর পর হজম হওয়া খাবার ক্ষুদ্রান্ত্রে ঠেলে দেয়। তাই স্বাভাবিক নিয়মেই এই চুইং গাম মলের সাথে বের হয়ে যাবে শরীর থেকে। চুইং গামে থাকা কিছু উপাদান, যেমন সুইটনার- হজম হয়েই যায়।
তবে তারমানে এই নয় যে আপনি নিশ্চিন্ত মনে চুইং গাম গিলে ফেলা শুরু করবেন! ‘নিয়মিত চুইং গাম গেলা শুরু করলে আপনার পেটে হজমের অযোগ্য একটি গুটি তৈরি হবে এবং তা হজমের গণ্ডগোল করা শুরু করবে,’ জানান গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট এডউইন ম্যাকডোনাল্ড। তাই এ ব্যাপারটাকে অভ্যাসে পরিণত না করাই ভালো।
চুইং গাম চিবিয়ে এরপর ফেলে দেওয়াই ভালো। তবে ভুলে যদি কখনো গিলে ফেলেন তবে তাতে চিন্তিত হবার তেমন কিছু নেই।
- 953 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on July 13, 2020 in Entertainment.
হোটেল হলো যেখানে টাকার বিনিময়ে থাকা যায়। এর সাথে খাওয়ার, সুইমিংপুল এবং গাড়ি পার্কিং এর ব্যবস্থা থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে। এইগুলো মূলত বহুতল বিশিষ্ট হয়ে থাক।
মোটেল শব্দটি এসেছে মোটরযান এর থেকে। অর্থাৎ এর সাথে খাওয়ার ব্যবস্থা থাকুক বা নাই থাকুক গাড়ি রাখার ব্যবস্থা থাকবে। এইগুলো মূলত একতলা বা দুইতলা বিশিষ্ট হয়ে থাকে এবং রুমের ঠিক সামনেই গাড়ি রাখা হয়।
- 962 views
- 1 answers
- 0 votes