43669
Points
Questions
95
Answers
4273
-
Asked on December 8, 2020 in Health.
https://www.bbc.com/bengali/news/2015/02/150211_rh_sleep_nsf_gch
- 1041 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on December 7, 2020 in Business.
নতুন ব্যবসা শুরু করতে চাইলে আপনাকে অভিনন্দন। নতুন ব্যবসার উত্তেজনা প্রশমন করে এবার কাজে লাগুন। সম্পূর্ণ পরিকল্পনাকে এমনভাবে ভাগ করে নিন, যাতে আপনার জন্য সব কাজের ব্যবস্থাপনা সহজ হয়। করতে হবে, এমন কাজের তালিকা দেখে নিন। আমি আপনার জন্য ‘করতে হবে’ এমন কাজগুলো তালিকা আকারে তুলে ধরছি। এতে আপনার বুঝতে সুবিধা হবে, কোন কাজগুলো আগে এবং কোন কাজগুলো পরে করবেন।
ব্যবসার গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করুন
ব্যবসা কোনো চ্যারিটি নয়, ব্যবসার প্রথম ও শেষ কথা হলো মুনাফা। নিজেকে সত্যের মুখে দাঁড়া করানো। নতুন ব্যবসা এমন হতে হবে যেন আপনি এটা করে কিছু মুনাফা অর্জন করতে পারেন। নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন, আপনি যদি ক্রেতা হন, তবে আপনি কি আপনার এই সেবা বা পণ্যটি কিনবেন? একটু পরিসংখ্যান করুন, এই পণ্য বা সেবার পেছনে আপনার ব্যয় কত? একজন ক্রেতা কি সর্বোচ্চ মূল্য দেবে, যাতে আপনি মুনাফা করতে পারেন? আপনার পণ্য বা সেবার সম্ভাব্যতা যাচাই করার জন্য কীভাবে পরিসংখ্যান বা প্রশ্নের মুখোমুখি হবেন, তা নিয়ে একটি ভিন্ন পোস্ট লিখব। মোট কথা যাচাই করুন, আপনার এই পণ্য বা সেবা দীর্ঘ মেয়াদে আপনাকে মুনাফা দিতে পারবে কি না?ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করুন
আপনার মনে হতে পারে, ব্যবসায়িক পরিকল্পনা ছাড়াও আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কিন্তু আর্থিক ধারণা সমন্বিত একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা আপনাকে এর গভীরে চিন্তা করার সুযোগ দেবে। এটা হবে আপনার ব্যবসায়ের জন্য একটি জীবন্ত সহায়িকা, যেটা আপনাকে গন্তব্যে পোঁছাতে সাহায্য করবে।টাকা জোগাড় করুন
আপনি জানেন কি, যে ধরনের ব্যবসায়ের পরিকল্পনা করেছেন, তাতে কি পরিমাণ মূলধন লাগবে? এ ছাড়া প্রথম বছর আপনার ব্যক্তিগত খরচ কোথা থেকে আসবে, তা-ও জানুন। হয়তো আপনার ব্যক্তিগত খরচ (সাংসারিক) আপনার সঞ্চিত টাকা বা চাকরি কিংবা স্ত্রীর চাকরি থেকে আসবে এবং ব্যবসা শুরুর জন্য আর্থিক বিনিয়োগ প্রয়োজন—এমন জিনিসগুলো আগে থেকেই পরিষ্কার হোন। এমন নয় যে আপনি ব্যবসা শুরু করলেন এবং পরে চিন্তা করবেন যে টাকা কোথা থেকে আসবে। সুতরাং সব আর্থিক উৎস সম্পর্কে জানুন।পরিবারের সহযোগিতা সঙ্গে রাখুন
আপনার ব্যবসায়ের শুরুটা যেন পরিবার-পরিজন ও বন্ধুবান্ধব থেকে শুরু হয়। তারাই আপনার ব্যবসার রেফারেল বিজনেস হিসেবে কাজ করবে। আপনার পণ্য বা সেবার গ্রাহক যেন আপনার পরিবার-পরিজন ও বন্ধুবান্ধব হয়, অন্যথায় আপনার ব্যবসা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। ব্যবসার ক্ষেত্রে পরিবার যেন আপনার পাশে (শারীরিক, মানসিক ও আর্থিকভাবে) থাকে। তবে এমনটি করতে গিয়ে কারও ওপর জোর করবেন না।ব্যবসায়ের জন্য নাম ঠিক করুন
ব্যবসায়ের নাম ঠিক করার জন্য আপনার পণ্য বা সেবার গ্রাহক কারা—এ কথাটি মাথায় রাখুন। অন্য কোম্পানির নাম নকল করে নামকরণ করবেন না। কোম্পানি নিবন্ধন ওয়েবসাইট থেকে নিশ্চিত হোন যে আপনার বাছাই করা নামটি ইতিমধ্যে অন্য কোনো কোম্পানি নিবন্ধন করেছে কি না।কোম্পানির জন্য ডোমেইন নিবন্ধন করুন
ব্যবসায়ের নামের সঙ্গে মিল রেখে একটি ডোমেইন নাম নিবন্ধন করুন। আপনি যদি ফ্রি ডোমেইন নিবন্ধন করেন, তবে এমনটি মনে হতে পারে যে হয়তো আপনার ব্যবসাটি সত্যিকারে ব্যবসা নয় অথবা আপনি দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবসা করতে চান না। এ ছাড়া ফ্রি ডোমেইন সাইটগুলো মানুষের কাছে অতটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।কোম্পানি গঠন করুন
দেশের প্রচলিত আইনে কোম্পানি গঠন করুন। আপনার কোম্পানির গঠন কী হবে, তা পরামর্শকের সঙ্গে আলোচনা করুন। আইনবিষয়ক দিকগুলো একজন কোম্পানিবিষয়ক অভিজ্ঞ আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে পারেন, যা আপনাকে ভবিষ্যতে বিপদ থেকে নিরাপদ রাখবে।টিন-এর জন্য আবেদন করুন
ট্যাক্স পরিচয় নম্বর বা কর্মচারীদের পরিচয় নম্বরের জন্য আবেদন করুন। দেখে নিন দেশের প্রচলিত আইনে কোনটি প্রযোজ্য। এটা আপনার কোম্পানি নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজন হবে। এ ছাড়া বছর শেষে যখন ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করবেন, তখন প্রয়োজন হবে।যাচাই করে দেখুন আপনার কী কী লাইসেন্স প্রয়োজন
ব্যবসাসংক্রান্ত যেসব সনদ প্রয়োজন, সেগুলোর জন্য আবেদন করুন। যেমন লোকাল বিজনেস সনদ প্রয়োজন হতে পারে, আমদানি বা রপ্তানি সনদ, ভেন্ডর সনদ প্রয়োজন হতে পারে। আপনার ব্যবসার ধরন ও স্থান ভেদে কী কী সনদ প্রয়োজন, তা জেনে আবেদন করুন।ওয়েবসাইট করুন
এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং এটা আপনাকে মানুষের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা দেবে। একটি ভালো ওয়েবসাইট তৈরির জন্য যেমন ভালো ডেভেলপার প্রয়োজন, তেমনি তথ্য সমন্বিত করার জন্য একজন ভালো কনটেন্ট রাইটারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। একটি ভালো ওয়েবসাইট আপনাকে বছরে হাজার টাকা বাজারজাতকরণ খরচ থেকে বাঁচিয়ে দেবে।সামাজিক যোগাযোগে প্রোফাইল নিবন্ধন করুন
সোশ্যাল মিডিয়ার গাইডলাইন অনুসরণ করে প্রোফাইলগুলো রেজিস্ট্রার করুন। ব্যক্তিগত প্রোফাইল কিংবা কোম্পানি পেজ তৈরি করার জন্য কোনো পেশাদারির সাহায্য নিতে পারেন। এটা আপনার পণ্য বা সেবার বাজারজাতকরণ সহজ করবে।আয়ের প্রবাহ শুরু করুন
এমন নয় যে আপনি সবকিছু নিখুঁত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করবেন। বরং যত শিগগিরই আপনি আয় করা শুরু করবেন, ততই আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে। ধরুন, আপনি একটি ঘরোয়া অনলাইন ব্যবসা শুরু করবেন। আপনি যদি মনে করেন, আগে ওয়েবসাইট তৈরি হোক, দোকান প্রস্তুত হোক, তারপর বিক্রি শুরু করব। তবে আপনি সময় নষ্ট করবেন। যেটা আপনার ব্যবসার জন্য কখনই মঙ্গলজনক নয়। বরং যখন ব্যবসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখন আপনার পরিচিত সবাইকে আপনার ব্যবসার কথা জানান, সোশ্যাল মিডিয়াতে পণ্যের বিজ্ঞাপন দিন, দেখবেন সবকিছু ঠিক হওয়ার আগেই আপনার বিক্রি শুরু হয়ে গেছে। আয় শুরু হয়ে গেছে, যেটা আপনাকে অন্য রকম উদ্দীপনা ও উৎসাহ দেবে। আরেকটা কথা, আপনার পণ্য বা সেবা যদি কোনো গ্রাহক চুক্তি সম্পর্কিত হয়ে থাকে, তবে একজন আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে চুক্তি তৈরি করে নেবেন।দোকান বা অফিসের জায়গা ভাড়া করুন
ব্যবসা যদি সম্পূর্ণ ঘরোয়া না হয়, তবে দোকান বা অফিসের জায়গা ভাড়া করুন। যদি খুচরা বিক্রির দোকান হয়, তবে কিছু বিষয় লক্ষ রাখবেন। যেমন মানুষের সহজ যাতায়াত, আরামে বাজার করতে পারে—এতটুকু খোলা জায়গা রাখা, শারীরিক ও আর্থিক নিরাপত্তা এবং অন্যান্য কারণ যেগুলো গ্রাহকদের আরামে শপিং করা থেকে বিরত রাখে। মনে রাখবেন, যদি আপনার ব্যবসার জন্য অফিস বা দোকানের প্রয়োজন না হয়, তবে কোনো জায়গা ভাড়া করতে যাবেন না। কারণ, এটা আপনার প্রতি মাসে অতিরিক্ত খরচ বাড়াবে।বিজনেস কার্ড করুন
নতুন ব্যবসা শুরু করতে গেলে অনেক মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে। পরিচিত-অপরিচিত সবাইকে জানাতে হবে যে আপনি এই ব্যবসায় আছেন। এ জন্য বেশি করে বিজনেস কার্ড অর্ডার করুন। এটা আপনার পেশাদারত্বের প্রতি বিশ্বাসযোগ্যতা আনবে।ব্যবসায়িক ব্যাংক হিসাব খুলুন
এটা আপনার জন্য ভালো যে আপনার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ও ব্যবসায়িক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পৃথক রাখা। ব্যবসা করার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও পেশাদারত্বের পরিচয় দেবেন।হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি স্থাপন করুন
আপনার ব্যাংকের সঙ্গে সংযুক্ত করে একটি হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি স্থাপন করুন। বাজারে অনেক হিসাবরক্ষণ সফটওয়্যার আছে, আপনার ব্যবসার সঙ্গে মিল রেখে একটি হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি নির্বাচন করুন। ইচ্ছা করলে ইআরপি সফটওয়্যারও ব্যবহার করতে পারেন। আপনার হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি যদি ব্যাংকের সঙ্গে সংযুক্ত না হয়, তবে সব ডেবিট ও ক্রেডিট যেন ব্যাংক হিসাবের সঙ্গে মিল থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখবেন। প্রয়োজনে একজন হিসাব বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন।সহপ্রতিষ্ঠাতার দায়িত্ব বণ্টন করুন
ব্যবসা যদি যৌথ হয়, তবে আপনার সহপ্রতিষ্ঠাতার দায়িত্ব বণ্টন করুন। দুজনে বসে ঠিক করুন, কে কী করবেন এবং সেটা লিখিত আকারে রাখুন। সহমত না থাকলে আপনার ব্যবসা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।নিয়মকানুন প্রতিষ্ঠা করুন
আপনার অফিস বা কাজের নিজস্ব নিয়মকানুন, সময়, কর্মচারী থাকলে তাদের দায়িত্ব, সুযোগ-সুবিধা—সবকিছু প্রতিষ্ঠা করুন। প্রথম থেকেই যদি নিয়মের মধ্যে চলা যায়, তবে ধীরে ধীরে তা উন্নত করা যাবে। সবার ওপর সদয় থাকুন, নিজের ওপর দায়িত্ব নেবেন। প্রথম থেকেই পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহানুভূতির পরিবেশ তৈরি করতে হবে।আপনার নেটওয়ার্কের ওপর কাজ করুন
এটা খুবই জরুরি যে আপনি আপনার পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধব, সাবেক সহকর্মী, পরিচিত—সবার কাছে আপনার ব্যবসার প্রচার করুন। তাদের সবাই হয়তো আপনার গ্রাহক হবে না, কিন্তু তাদের পরিচিত কেউ আপনার গ্রাহক হবে। তাদেরকে আপনার গ্রাহক হওয়ার জন্য জোর করবেন না। শুরু থেকে রেফারেল বিজনেস তৈরির চেষ্টা করুন।টেকনোলজি আপগ্রেড করুন
সময়ের সঙ্গে আপনার ব্যবসায় যেসব প্রযুক্তি প্রয়োজন, সেগুলো ব্যবহার করুন। প্রযুক্তিগুলো যুগোপযোগী করুন। প্রয়োজনীয় বিজনেস অ্যাপগুলো নামিয়ে নিন এবং সেগুলোর ব্যবহার শিখুন। প্রথম থেকেই নির্দিষ্ট সিআরএম যেন আপনার গ্রাহকের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে পারেন ও তাদের অনুসরণ করতে পারেন।পণ্য ও বিক্রির কৌশলের ওপর নজর রাখুন
যত দ্রুত সম্ভব আপনার বাজার সম্পর্কে জানবেন এবং আপনার গ্রাহকের মতামত নিন। প্রতিটি সেবা ও পণ্যকে যাচাই করুন এবং প্রয়োজনে পণ্য বাজারজাতকরণ ও বিক্রির কৌশলের পরিমার্জন করুন।নিজস্ব পণ্য হলে পেটেন্ট করুন
এটা জরুরি, যাতে আপনার ডিজাইন ও আবিষ্কৃত পণ্যটি কেউ নকল করতে না পারে। দেশের প্রচলিত নিয়মে ট্রেডমার্ক বা পেটেন্টের জন্য আবেদন করবেন। প্রয়োজনে একজন আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে খসড়া তৈরি করে নেবেন।পরামর্শকের সাহায্য নিন
আপনি যে ব্যবসা করেন, সেক্ষেত্রে সফল এমন কেউ বা একজন পেশাদার পরামর্শকের সাহায্য নিন—এমন কেউ, যে সত্যিকারে আপনার সফলতা চায় ও আপনার জন্য যার সময় আছে। পরামর্শের ফি ও অন্য শর্তাবলি আগে থেকেই আলোচনা করে নিন। অন্যান্য যেমন আপনার ব্যবসার ধরন বুঝে, পণ্য না সেবা ব্রশিয়ার, সাপ্তাহিক সেলস পেপার, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, টেলিফোন, সাইনেজ, কর্মচারী ব্যবস্থাপনা, বাজারীকরণের সরঞ্জাম ইত্যাদি।- 1008 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on December 7, 2020 in Health.
আমাদের দেশে ঘাড় ব্যথা নিয়ে প্রায়ই লোকজন আসে। আমাদের অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি, ঘাড় ব্যথা সামান্য কারণেও হতে পারে, আবার গুরুতর কারণেও হতে পারে। একটি কারণ হলো পশচার। এর মানে হলো ভঙ্গি। যে ভঙ্গিতে আমরা বসি, যে ভঙ্গিতে আমরা ঘাড়কে পরিচালনা করি, সেটি। তবে এগুলো জানার আগে আমাদের জানতে হবে ঘাড়ে কী কী রয়েছে। ঘাড়ে রয়েছে সাতটা হাড়। এর ভেতর দিয়ে স্পাইনাল কর্ড গেছে, একে মেরুরজ্জু বলে এবং তার থেকে অন্যান্য স্নায়ুগুলো গেছে। আর এই হাড়গুলো একটি আরেকটির সঙ্গে কাপড়ের মতো, কিন্তু শক্ত, লিগামেন্ট দিয়ে আটকানো রয়েছে। বেশ কয়েকটি লিগামেন্টগুচ্ছ রয়েছে। এগুলোর যেকোনো একটিতে অসুবিধা হলে, ঘাড় ব্যথা হতে পারে। পেশিতেও হতে পারে। ভাসকুলার পেইন হতে পারে।
এ ছাড়া, আরো তিনটি জিনিস রয়েছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটি হলো থাইরয়েড, আরেকটি হলো প্যারাথাইরয়েড, টনসিল। এগুলোতেও ব্যথা হলে ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে।
আমরা প্রথমেই দেখি যে ঘাড় ব্যথা নিয়ে কারা আসে? যারা ঘুমানোর সময় একটু অন্যভাবে ঘুমায়, বসার সময় অন্যভাবে বসে তারা আসে। যারা অনেকক্ষণ বসে, একইভাবে বসে কাজ করে, তাদের ঘাড়ব্যথা হয়।
আরেকটি জিনিস দেখা যায়, এখন সবার হাতে একটি টেলিফোন রয়েছে। সেই টেলিফোনে যখন কথা বলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলছে, ঘাড় কাত করে কথা বলছে, রাস্তা পার হচ্ছে, কথা বলছে, গাড়িতে ওঠে কথা বলছে। এই যে ঘাড় বাঁকানো, এই অভ্যাসটি থেকেও ঘাড় ব্যথা হয়। দীর্ঘ সময় কম্পিউটার বা ল্যাপটপ চালালেও একই সমস্যা হতে পারে। একে বলে ব্রাউজ সিনড্রম। দুই ঘণ্টার বেশি যদি কম্পিউটার দেখতে থাকে, তাহলে ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে।
আসলে একটি অবস্থায় আমরা বেশিক্ষণ থাকি না। দেখা গেছে, কয়েক মিনিট পর পর আমাদের ভঙ্গি বা অঙ্গবিন্যাস কিছুটা পরিবর্তন হয়। এটা নিজে থেকেই হয়। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের মস্তিষ্ক।
এই ব্যথাগুলো হলে অনেক সময় আমরা তেল মালিশ করি, গরম স্যাঁক দেই, তা ভালো। ভালো হয়ে গেলে ভালো। তবে এটি অনেকদিন ধরে থাকলে, দেরি করা উচিত নয়। এক সপ্তাহের বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
- 970 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on November 28, 2020 in Health.
হাঁটুব্যথা সব বয়সে হতে পারে। আঘাত, আর্থ্রাইটিস বা অন্য কোনো কারণে এ ব্যথা হতে পারে। চল্লিশের ঘর পেরোলে হাড়ক্ষয় বেশি হতে থাকে। বেশির ভাগ রোগী হাড়ক্ষয়ের কারণে হাঁটুব্যথা নিয়ে আসেন। এই সমস্যা পুরুষদের তুলনায় নারীদের বেশি হয়। নারীদের বয়স ৪৫ বছর পার হলে, অর্থাৎ পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেলে এর প্রকোপ বাড়ে। তবে এমন ব্যথায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁরা সঠিক চিকিৎসা ও বিশেষ কিছু ব্যায়াম করলে ভালো উপকার পাবেন।
কী কী কারণে হাঁটুব্যথা হয়ে থাকে?
আঘাতের কারণ—লিগামেন্ট ও মেনিস্কাস, টেন্ডন ইনজুরি, এমনকি হাড় ভেঙে যেতে পারে। প্যাটেলা অবস্থানচ্যুত হয়ে ব্যথা হতে পারে।অস্টিও আর্থ্রাইটিস বা বাত।
অস্টিও পেরোসিস বা হাড়ের ক্ষয়।
রিউম্যাটিক বাত।
জয়েন্টে ইনফেকশন।
অনেক সময় কোমরে বা পায়ের গোড়ালির নিচে ব্যথা হলেও সেই ব্যথা হাঁটুতে অনুভূত হতে পারে।হাঁটুব্যথার চিকিৎসা
সমস্যা অনুযায়ী চিকিৎসা নির্ধারিত হয়। যদি হাঁটু ফোলা থাকে, তাহলে ফোলা কমানো। যদি হাঁটুর তাপমাত্রা বেশি থাকে, তাহলে বরফ ও তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলে গরম সেক দেওয়া যেতে পারে। মাংসপেশি শক্তকরণ ও স্ট্রেচিং ব্যায়াম—যা হাঁটুর শক্তি ও রেঞ্জ অব মুভমেন্ট বৃদ্ধি করে। ক্ষয়জনিত সমস্যার প্রধান চিকিৎসা হাড়ক্ষয় বন্ধ করার চিকিৎসা দিতে হবে।সারা জীবন রোগীকে কিছু উপদেশ মানতে হয়। যেমন ডায়াবেটিস থাকলে নিয়ন্ত্রণে রাখা, শরীরের ওজন কমানো, উঁচু কমোড বা পায়খানা ব্যবহার করা, হাঁটু গেড়ে না বসা, নিয়মিত চিকিৎসকের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যায়াম করা।
আর হাঁটু ফোলা থাকলে হাঁটাহাঁটি কম করে পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে এবং চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
হাঁটুব্যথায় ব্যায়াম
হাঁটুব্যথায় বিশেষ কিছু ব্যায়াম করলে উপকার পাওয়া যায়। এই ব্যায়ামগুলো সারা দিনে অন্তত ২-৩ বার করতে হবে, প্রতিবার ব্যায়ামটি করতে হবে ৫-১০ বার। তবে হাঁটুব্যথার ভালো ব্যায়াম সাঁতার কাটা। এতে জয়েন্টের ওপর চাপ কম পড়ে, কিন্তু মাংসপেশি শক্ত হয়।
দুই হাঁটু সোজা করে পা দুটি টান টান অবস্থায় রাখুন। এভাবে ১০ সেকেন্ড থাকুন। তারপর পা দুটি স্বাভাবিক অবস্থায় রেখে বিশ্রাম নিন। ৫-১০ বার ব্যায়ামটি করুন। শুয়ে বা বসে কিংবা অফিসে কাজের ফাঁকেও এই ব্যায়াম করতে পারেন।
হাঁটুর নিচে তোয়ালে ভাঁজ করে রেখে পায়ের পাতা টান টান করে শুয়ে থাকুন ১০ সেকেন্ডের জন্য। এরপর একই অবস্থানে থেকে পায়ের পাতা স্বাভাবিক রেখে বিশ্রাম নিন। এই পদ্ধতিতে ৫-১০ বার ব্যায়াম করুন।
চেয়ারের পেছনের উঁচু অংশে দুই হাত রেখে দাঁড়ান। একবার ডান হাঁটু ও পরেরবার বাম হাঁটু ভাঁজ করুন। এভাবে ৫-১০ বার ব্যায়াম করুন।
প্রতিরোধ
নিয়মিত হাঁটুন।
শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
পর্যাপ্ত ভিটামিন, মিনারেলস ও আঁশযুক্ত খাবার খান।
খেলাধুলার আগে ওয়ার্মআপ করে নিতে হবে। খেলোয়াড়দের হাঁটুর আশপাশের মাংসপেশিকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে।
নিয়মিত হালকা ব্যায়াম ও সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে হাঁটুব্যথা নিরাময় সম্ভব।
- 1005 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on November 2, 2020 in Accounting.
ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর একটি প্রশ্ন করার জন্য।
ছাত্রাবস্থায় মানে আমি এখনও ছাত্র এবং আমি অনার্স করছি! আমি অনেক আগে থেকেই অনেক কাজ করেছি। বিশেষ করে যেটা ভালো লেগেছে সেটাই করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সব জায়গায়ই যে সবাই সফল হবে এমন তো কোনো কথা নেই! তাই আমার ক্ষেত্রেও সেইম কথা। আসলে নিজের সম্পর্কে বলতে কার না ভালো লাগে!
আমি ছাত্রাবস্থায় করেছি এবং এখন করছি এমন কিছু কাজের কথা এখন শেয়ার করবঃ
১. আমি যখন কলেজে পড়তাম তখন খুব বেশি একটা সময় পেতাম না তাই হাল্কা করে (২-৩ ঘন্টা দিনে) একটা কাজ করতাম। আমার পরিচিত (ফেসবুকে) এক ভাইয়ের কাছ থেকে ঢাকা থেকে এলইডি লাইট কুরিয়ার করে এনে বিভিন্ন দোকানে সাপ্লাই দিতাম। এই কাজটা করার জন্য একটা স্থানীয় ছেলে ছিল, সে ডেলিভারি দিত দোকানে দোকানে! প্রথম অবস্থায় লাইটগুলো বেশ ভালোই চলেছিলো এবং ডেইলি প্রায় ৮০০-১০০০ টাকা মুনাফা থাকতো। আমি লাইটগুলো কিনে আনতাম ১৪ টাকা করে, প্রসেসিং কস্ট সহ লাইটের খরচ পরেছিল প্রায় ৩২ টাকা। আর বিক্রি করতাম ৫৫-৬০ টাকায়! কিন্তু পরে সেই ভাই আমাকে আসল পণ্য না দিয়ে আমাকে ঠকানো শুরু করেছিলেন তাই বাদ দিলাম!
২. যখন আমার লাইট এর ব্যবসা ভালো চলল না তখন সেই ডেলিভারির ছেলেটা এবং আমি মিলে ১০,০০০ টাকা ইনভেস্ট করে ২ টা সেকেন্ড হ্যান্ড বাই সাইকেল কিনলাম এবং একটি অনলাইন শপের সাথে চুক্তি করে তাদের পণ্যের ডেলিভারি দিতে লাগলাম সেই এলাকায়! তখন আমাদের মানে অনিক (ছেলেটির নাম) আর আমার পক্ষ থেকে আরও ২ জন ডেলিভারি বয় নিয়োগ দিলাম। এখানেও আমাদের বেশ ভালোই লাভ হতে থাকল! কিন্তু সমস্যা হলো আমার পার্টনার চুক্তি ভঙ্গ করে ৫০% লাভ চাইল (চুক্তিতে তার লাভের ৩০% পাবার কথা)। তাই আমাদের এই ব্যবসা টাও এলোমেলো হয়ে গেলো!
৩. আমি তখন কলেজ চুকিয়ে সবেমাত্র অনার্সে ভর্তি হয়েছি। তখন টিউশনি ব্যতীত আর কোনো আয়ের উৎস ছিলো না! একদিন ফেসবুকে একজন ভাইকে দেখলাম অনেক কষ্টের একটা স্ট্যাটাস দিয়েছে এই বলে যে সে অনেক টাকা ইনভেস্ট করেও অনলাইন ব্যবসায়ে পণ্য বিক্রি করতে পারতেছে না! এটা দেখে তারকাছে মেসেজ দিলাম যে আমি তার পণ্য বিক্রি করে দিব, তবে শর্ত হলো লাভের ৫০% আমাকে দিতে হবে! শুরু হয়ে গেলো রিসেলিং! আমার আন্ডারে কিছু লোক নিয়োগ দিলাম যারা পণ্য গুলো বিক্রি করতো। এখানেও সমস্যা হলো সে পেমেন্ট করতে চাইতেন না ঠিকমতো! তাই এটাও বাদ দিলাম!
৪. যেহেতু ইতোমধ্যে আমার মূলধন প্রায় ১ লাখের কাছাকাছি তাই এখন আমি অনলাইনে ড্রেস সেলের একটা ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছি!
নিজের বিন্দু বিন্দু পরিশ্রম দিয়ে গড়ে তোলা আমার পরিচিতি এবং মূলধন দিয়ে সততা এবং গর্বের সাথে ব্যবসা করতে চাই! সবার কাছেই দোয়া প্রত্যাশী!
পরিশেষেঃ আপনি যদি সত্যিই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চান তাহলে আজকেই নেমে পড়ুন! আপনার স্বপ্ন আপনাকেই সফল করতে হবে। এক্ষেত্রে কেউই আপনাকে সহায়তা করতে পারবে না।
- 1159 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on October 31, 2020 in Outsourcing.
এবার ভিডিও তৈরি করে ফেসবুকে প্রকাশের মাধ্যমেও করতে পারেন আয়। ‘অ্যাড ব্রেকস’ নামে ফেসবুকে অর্থ আয়ের সুবিধার তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। যে কেউ ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে আয় করতে পারেন।
- 1031 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on October 30, 2020 in Technology.
HD এর পূর্ণরূপ high definition. এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে high-definition আসলে জিনিসটি কি ? তবে কিছু বলার আগে আসুন দেখে নেই বর্তমানে আমরা কতদূর পর্যন্ত যেতে পেরেছি।
আমরা যখন কোন ডিসপ্লে বা কোন ভিডিও দেখি সেখানে উপস্থিত পিক্সেল এর অনুপাত এর উপর ভিত্তি করে ডিসপ্লে কোয়ালিটি ভিডিও কোয়ালিটি নির্দিষ্ট করা হয়।
কোন ভিডিওতে পিক্সএল অর্থাৎ আলোর কণার অনুপাত যদি 1280*720 হয় তাহলে সেটিকে HD বলে।
তবে ব্যাপারটি কে আরও সহজ করার জন্য 720 px কে এইচডি বলা হয়।
একইভাবে 1080 px কে FHD বা ফুল এইচডি এভাবে চলতে থাকে ।
HD আসলে দেখতে কেমন সেটি উপলব্ধি করার জন্য আপনার ফোন থেকে ইউটিউবে প্রবেশ করে কোয়ালিটি অপশনটি সিলেক্ট করবেন। তারপর 720 অপশনটি সিলেক্ট করে নিবেন।
(মনে রাখবেন আপনি সিম দিয়ে ইন্টারনেট ব্যাবহার করলে কখনো HD সিলেক্ট করবেন না এতে আপনার ইন্টারনেট অনেক দ্রুত শেষ হয়ে যাবে )
- 1015 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on October 20, 2020 in Website.
কুকি কী?
প্রথমেই জেনে নেই কুকি কী তা সম্পর্কে – কুকি আসলে কিছু ক্ষুদ্র ডেটা ফাইল, যেগুলো আপনার ইন্টারনেট ব্রাউজারের ক্যাশ মেমোরিতে সংরক্ষিত হয়। এখন এই ফাইল গুলো আসে কোথা হতে, যখনই আপনি কোন কুকি এনাবল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন এবং আপনার ইন্টারনেট ব্রাউজারে যদি কুকি এনাবল করা থাকে তবে সেই ওয়েবসাইট টি আপনার ব্রাউজার ক্যাশে কুকিজ ড্রপ করে দেয়। আজকাল প্রায় সব ওয়েবসাইটেই কুকি ব্যবহার করা হয় এবং সকল ব্রাউজারে ডিফল্ট হিসেবে কুকি এ্যলাও করা থাকে। তাই সহজ ভাষায় বলা যায়, কোনো ওয়েবসাইটে যখন আপনি ব্রাউজ করেন আপনার ব্রাউজিং এক্টিভিটির উপর ভিত্তি করে কিছু নির্দিষ্ট ডেটা যখন আপনার ব্রাউজার সংরক্ষণ করে রাখে সেটাই কুকি। যা সাধারনত আপনার ইন্টারনেট সেবার মানকে উন্নত করার জন্য ব্যবহার করা হয়। সেক্ষেত্রে আপনাকে জানিয়ে সংগ্রহ করতে পারে আবার না জানিয়েও সংগ্রহ করতে পারে। এটা নির্ভর করে তাদের প্রাইভেসি পলিসির উপর। লক্ষ্য করে দেখবেন গুগলে যদি আপনি একটা ঘড়ি সার্চ করেন কিচ্ছুক্ষণ পরেই অনেক ঘড়ির আ্যড আপনার ফেইসবুক টাইমলাইনে চলে আসে। ফেইসবুক জানলো কিভাবে আপনি ঘড়ি সার্চ করেছিলেন? এটা হয় কুকি সংগ্রহের ফলে। আপনার তথ্য অনুযায়ী প্রাইস রেঞ্জ, রুচিবোধ সবকিছুই টার্গেট করতে পারে। ফলে পার্ফেক্ট আ্যডটাই আপনার টাইমলাইনে আসে।
কুকির ভালো দিকঃ
অনেক সময় আমরা বিভিন্ন সাইটে ব্রাউজ করে বের হয়ে যাওয়ার পর আমরা আবার আমাদের সেইম ডেটাগুলো ফেরত পাই। যেমন লগিন ফর্মে নতুন করে আর সবকিছু লিখতে হয় না। শুধু লগিন চাপলেই হয়ে যায়। আবার অনেক ই-কমার্স সাইটে কিছু পণ্য নির্বাচন করার পরে মনে হলো পরে কিনবেন। সেক্ষেত্রেও কিন্ত ঐ সাইটে আপনার কার্ট ডাটা সেইভ করে রাখবে কুকির সাহায্যে। নতুন করে আর পণ্য নির্বাচন করতে হবে না। এতে করে সময় অনেকখানি বেচে যায়। তাছাড়া, কুকির উপর ভিত্তি করে রেকমেন্ডেড সিমিলার প্রোডাক্ট আসে আমাদের আর আলাদা করে খোজাখুজি করতে হয় না।
কুকির খারাপ দিকঃ
অনেকে অনুমতি ছাড়াই আপনার কুকি কালেক্ট করেছে এবং যুতসই বিজ্ঞাপনের টোপ হিসেবে আপনাকে ব্যবহার করছে। ফ্রী বলে যে সেবা আমরা নিচ্ছি তার বিনিময় আমরা নিজেই। অনেক সময় আমাদের তথ্য থার্ড পার্টির কাছে বিক্রি হয়। আমরা হয়ে যাই ব্যবসায়িক পণ্য। এর মধ্যে অনেকের অনেক সেন্সেটিভ ডেটাও থাকে।
তথ্য চুরি থেকে বাচার উপায়?
আপনি চাইলেই কুকি ব্লক করতে পারেন ব্রাউজার অপশন ব্যবহার করে। অথবা আ্যড্রেস বারের কাছের সাইট সেটিং থেকে পার্মিশন ব্লক করে দিতে পারেন।
তাছাড়া গুগল যাতে আপনার সার্চ করা ডাটা ট্র্যাক না করতে পারে এজন্য DuckDuckGo প্রাইভেসি এসেনশিয়াল ব্রাউজার এক্সটেনশন ব্যবহার করতে পারেন অথবা সাইটে গিয়েও সার্চ করতে পারেন। গুগল সার্চের এক্সপেরিয়েন্স সাথে আপনার তথ্য নিরাপত্তা। ব্রাউজার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন Microsoft Edge। এই ব্রাউজারে আপনি প্রাইভেসি কন্ট্রোল করতে পারবেন।
Edge এর চমৎকার প্রাইভেসি কন্ট্রোল অপশন
উত্তরটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার দিন সুন্দর হোক।
- 1026 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on October 15, 2020 in Google.
বলতে পারেন গুগল আপনার সবকিছুই জানে কারণ সমর্থন গুগলকে আপনি নিজেই দিয়ে রেখেছেন। তাছাড়া আপনি চাইলেও আপনার সব গোপন তথ্য গুগলের কাছে থেকে লুকিয়ে রাখতে পারবেন না।
গুগল এমন একটি পরিষেবা যা আপনার নিত্যদিনের কাজের জন্য একবার হলেও প্রয়োজন হবে আর সেই কাজের সময় টুকুই গুগল আপনার উপর নজরদারি করবে বলতে পারেন আপনার কি জিনিস পছন্দ বা কি জিনিস ভালো লাগে বা কোন খাবার আপনি পছন্দ করেন মোটামোটি সবকিছুর একটি ডাটাবেজ গুগল সংরক্ষণ করে রাখে।
আর মোট কথা গুগল একটি ফ্রি অনলাইন প্লাটফর্ম তাই সবাই এটা ব্যবহার করে খবর জানতে বা আবহাওয়া বার্তা জানতে বা রাস্তায় চলাচল করতে এবং রাস্তার দিক নির্দেশনার জন্য আপনার লোকেশন গুগল ট্রেকিং করে এবং সে অনুযায়ী যাঁরা যাঁরা ঠিক একই রাস্তায় চলাচল করছে তাঁর উপর ভিত্তি করেই গুগল আপনাকে সে ট্রাফিক জ্যামের খবর দেয়।
- 1035 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on October 14, 2020 in Food.
ফুচকার লাগসই ইংরেজি প্রতিশব্দ খোঁজার কোন দরকার আছে কি? ইংরেজি, বাংলা, হিন্দি, তামিল, উর্দু যে নামেই ডাকা হোক না কেন স্বাদে গন্ধে ফুচকা নিজ গুণেই মহিমান্বিত।
রাস্তার পাশে মাঠে, ময়দানে, পার্কে ফুচকার দুর্নিবার আকর্ষণে সকল বয়সের মানুষ ফুচকাওয়ালার কাছে ভিড় জমায়। বিশেষ করে মহিলাদের জান পোতা বাড়তি ঝাল ও তেঁতুল দিয়ে তৈরি ফুচকায়।
প্লেটে সাজানো ঢাকার আকর্ষণীয় ফুচকা
দক্ষিণ ভারতে হরিয়ানা এবং কোন কোন জায়গায় পানিপুরি নামটা বহুল প্রচলিত। উচ্চারণের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সে panipuri নামটাই ইংরেজি বলে চালিয়ে দিলে কেউ চ্যালেঞ্জ করবে না। চ্যালেঞ্জ করবেই বা কেন? বছর কয়েক আগে, ২০০৫ সালের ১০ই মার্চ অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারি লেক্সিকো ডটকমে পানিপুরি জায়গা করে নিয়েছে।
কলকাতায় ফুচকা চাট
কলকাতায় ফুচকার বিরাট স্তূপ
ইংরেজিতে একেবারেই যে আলাদা নাম নেই তা নয়। তবে তাতে ফুচকার একটি নাতিদীর্ঘ বর্ণনা পাওয়া যায় Indian puff-pastry balls filled with a watery and spicy mixture. এটাকে ইংরেজি প্রতিশব্দ বলে চালানো যায় না। স্কুলের ইংরেজি টিচার ফুচকার রচনা লিখতে দিলে এ বর্ণনাটি কাজে লাগতে পারে।
ফুচকার চেহারা সুরত, যে সব উপকরণ দিয়ে প্রস্তুত করা হয় তার বর্ণনা দিয়ে আরো বেশ কিছু নাম দেওয়া হয়েছে। যেমন, ‘watery bread’, ‘Crisp Sphere Eaten’ এবং ‘Indian Watery Ball’ ।
দক্ষিণ এশিয়ায় স্থানভেদে ফুচকার যে সব বাহারি নাম রয়েছে তার উপর দৃষ্টি দেয়া যায়।
হরিয়ানায় পানি পুরি পাতাসি, উত্তর প্রদেশে পানিকে বাতাসে,মধ্যপ্রদেশে ফুলকি,গুজরাটে পকোড়ি,ওড়িশা ছত্রিশগড়ে গুপ চুপ ( gup chup) বাংলা, বিহার, নেপাল, ঝাড়খন্ডে ফুচকা।
বাংলাদেশে ফুচকা নামটি স্থায়ী হয়ে গিয়েছে। সিলেট অঞ্চলে অবশ্য ফুসকা/ফুছকা নামটির একটুখানি উচ্চারণ জনিত ব্যতিক্রম।
হরিয়ানা পাঞ্জাব এবং অন্য কয়েকটি স্থানে ফুচকার নাম গোলগাপ্পা। রাজধানী দিল্লির চাঁদনী চক থেকে কনৌট প্লেস সর্বত্রই ফুচকার অবাধ বিচরণ। ফুচকার আকার ও খাওয়ার প্রক্রিয়ার সংমিশ্রণে নামটি চালু হয়েছে। গোলগাল খোলসের মধ্যে পুরি ভর্তি ফুচকা গপ করে পুরোটাই মুখে চালান করে দেওয়ার কারণে নাম হয়েছে গোলগাপ্পা।
পাকিস্তানের গোলগাপ্পা
পাকিস্তানের সর্বত্রই গোলগাপ্পা নামটি বহুল পরিচিত। প্রথিতযশা কণ্ঠশিল্পী আহাম্মদ রুশদির অতি জনপ্রিয় ‘গোলগাপ্পা ওয়ালা’ সিনেমার গানটি লোকের মুখে মুখে ফেরে। ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মোহাজর অধ্যুষিত করাচি শহরে তাদের সাথে নিয়ে আসা নাম পানিপুরি, ফুলকি ইত্যাদি নাম বলে জানেন।
পানিপুরি গোলগাপ্পা দিল্লি
ফুচকা উপমহাদেশকে মজিয়ে এখন বিশ্বজয়ের পথে এগিয়ে চলেছে। লন্ডন, বার্মিংহাম, লিডস, ম্যানচেস্টার ও অন্যান্য শহরে হানা দিয়েছে। লন্ডনে বিভিন্ন লোকেশনে বেশ কয়েকটি পানিপুরি শপ ইতোমধ্যে খ্যাতি অর্জন করেছে।
লন্ডনের মজাদার পানিপুরি
এশিয়ান মাগাজিনে লন্ডনের ফুচকার ছবি
আমেরিকাও পিছিয়ে নাই। উপমহাদেশের ইমিগ্র্যান্ট অধ্যুষিত নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন শহরেও ফুচকা স্ট্রীট ফুডের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
নিউইয়র্কে দুটো লোভনীয় ফুচকার ডালি
ইউরোপের উত্তর প্রান্তে উত্তর মেরু ঘেঁষে সুদূর ফিনল্যান্ডেও মারাঠি সম্প্রদায়ের কল্যাণে ফুচকা পৌঁছে গেছে। বছর কয়েক আগে সেমিনারে অংশ নিতে ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকি শহরে ফুচকার স্বাদ উপভোগ করার অভিজ্ঞতা হয়েছিল। তবে, আমাদের দেশে হরেক রকমের মালমশলাসহ কারুকার্য করে যেভাবে ফুচকা তৈরি করা হয় সেখানে তাদের মেনু কিছুটা ভিন্ন। ফুচকার আসল মজা ঝাজ ও ঝাল দুটোরই স্বল্পতা লক্ষ্য করা গেল।
ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকি শহরে পানিপুরি
এত জনপ্রিয় ফুচকার কখন এবং কোথায় জন্ম তা এখনো রহস্যাবৃত। যে মহান শিল্পীর মস্তিষ্ক থেকে ফুচকা বানাবার রেসিপি এসেছে তার নামটাও সে রহস্যের আবরণে ঢাকা পড়ে গিয়েছে।
ফুচকার উৎস নিয়ে দুটো ভার্সন পাওয়া যায়। একটার উৎস কিংবদন্তি অন্যটা ঐতিহাসিক।
কিংবদন্তি বলে মহাভারতের যুগে পঞ্চপান্ডব যখন বনবাসে দিন কাটাচ্ছিলেন আহারাদির জন্য উপকরণের বড্ডই অভাব চলছিল। তাঁদের মাতা কুন্তী এসব সামান্য উপকরণ দিয়ে কিভাবে তার পুত্রদের সামাল দিতে পারবেন তা পরীক্ষা করার জন্য নব বিবাহিতা দ্রৌপদীকে খাবারের পর যেটুকু তরকারি অবশিষ্ট ছিল এবং মাত্র একটা পুরি বানানো যায় সে পরিমাণ ময়দা দিয়ে বললেন, আমার পুত্রদের রসনা তৃপ্তির জন্য খাবার তৈরি করে দাও। কি জানি কেন, সব যুগেই শাশুড়িরা পুত্রবধূদের কঠিন পরীক্ষার মধ্যে ফেলে দেন। কিংবদন্তি বলে, এভাবে দ্রৌপদীর হাতেই ফুচকার প্রাথমিক ভার্সন আলোর মুখ দেখে।
ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে বলা হয় ফুচকা কিংবা গোলগাপ্পার পূর্বসূরী ফুলকি মগধে প্রথমে আলোর মুখ দেখে। তবে, তখন ফুচকার জন্য পুরি তৈরি করার উপকরণ এখনকার মত ছিল না। পুরির দুটো গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ আলু এবং মরিচ দুটোই এ উপমহাদেশে এসেছে মাত্র ২০০-৩০০ বছর আগে। কার্তিকেয়া শংকর নামে এক ভদ্রলোক গুগোলে লিখেছেন, পুষ্পেশ পন্থ নামে খাদ্যের ঐতিহাসিক মনে করেন ১০০-২০০ বছর আগে বিহার অঞ্চলে পুরির উৎপত্তি হয়। তার মতে, রাজকাচুরির ছোট সংস্করণ বানিয়ে পুরি ভর্তি করে কেউ হয়তো খেয়ে মজা পান। বাকিটা ইতিহাস।
ছবি ও কিছু তথ্য: গুগোল ও ঊইকিপিডিয়ার সৌজন্যে
- 1868 views
- 1 answers
- 0 votes