921
Points
Questions
37
Answers
55
-
Asked on December 17, 2020 in Business.
হ্যাঁ ইনকাম করা যায় play store এ eran BD দিয়ে sharch দিলে অনেক app পাওয়া যায় দিয়ে video and ad দেখলে income করা যায়
- 924 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on December 16, 2020 in Education.
মোটেও না। বিনা কারণে হত্যা একদমই নিষিদ্ধ। একটা ব্লগের একাংশ দিই (প্লিজ সময় করে পরে পুরোটা পড়ে নেবেন):
রেফারেন্স: কুরআনের কথা
“তোমরা তাদেরকে যেখানে পাও সেখানেই হত্যা করো”, “যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত লড়াই করে যাও” — কুর’আনে এরকম কিছু আয়াত রয়েছে, যা দেখলে কিছু অমুসলিমদের খুশিতে দাঁত বের হয়ে যায়। তারা এই আয়াতগুলো পড়ে ভাবে, “এই তো পেয়েছি! এইবার মুসলিমরা যাবে কই?” এই ধরনের আয়াতগুলোর আগে-পিছে কিছু না পড়েই, আয়াতগুলোকে কাটছাঁট করে ব্যাপক প্রচার করে, যেন তারা মানুষকে দেখাতে পারে যে, ইসলাম একটি অসহনীয়, আগ্রাসী, অশান্তির ধর্ম, আর তারা নিজেরা কত সাধু। আসুন দেখি, তারা কী প্রচার করে, আর কুর’আনে আসলে কী বলা আছে— ১৯০ যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে, তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর পথে লড়াই করো, কিন্তু সীমা অতিক্রম করবে না। যারা সীমা অতিক্রম করে, তাদেরকে আল্লাহ কখনোই ভালোবাসেন না। ১৯১ তাদেরকে যেখানে পাও সেখানেই হত্যা করো। আর সেখান থেকে বের করে দাও, যেখান থেকে ওরা তোমাদেরকে একদিন বের করে দিয়েছিল। অন্যায় বাঁধা, নির্যাতন (ফিতনা) হত্যার চেয়েও খারাপ। তবে মসজিদুল হারাম-এর কাছে ওদের সাথে লড়াই করবে না, যদি না তারা সেখানে তোমাদের সাথে লড়াই শুরু না করে। আর যদি তারা সেখানে লড়াই করেই, তাহলে তাদেরকে হত্যা করো — অবিশ্বাসীদের এটাই উচিত প্রাপ্য। ১৯২ কিন্তু ওরা যদি বন্ধ করে, তবে অবশ্যই, আল্লাহ অনেক ক্ষমা করেন, তিনি নিরন্তর দয়ালু। ১৯৩ যতক্ষণ পর্যন্ত অন্যায় বাঁধা, নির্যাতনের (ফিতনা) অবসান না হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত লড়াই করে যাও। কিন্তু ওরা যদি বন্ধ করে, তাহলে কোনো বিরোধ থাকা যাবে না, শুধু মাত্র অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে ছাড়া। [আল-বাক্বারাহ] অন্যায় বাঁধা, নির্যাতন (ফিতনা) হত্যার চেয়েও খারাপ ইসলাম অন্যায় সহ্য করে না। মুসলিমদের উপর অন্যায় নির্যাতন, নিপীড়ন হচ্ছে, আর মুসলিমরা অন্যায় মুখ বুজে সহ্য করে থাকবে, এটা ইসলামের শিক্ষা নয়। কারণ এভাবে অন্যায়কে প্রশ্রয় দিলে অন্যায় বাড়তেই থাকবে। একটা সময় গিয়ে অন্যায়কারীরা এতটাই শক্তিশালী এবং বেপরোয়া হয়ে যাবে যে, তারা আইনের পরোয়া না করে প্রকাশ্যে অন্যায় করতে থাকবে। কেউ আর তখন প্রতিরোধ করতে সাহস করে এগিয়ে আসবে না। একারণে অন্যায়কে যদি ছোট থাকতেই নিয়ন্ত্রণ করা না হয়, তখন তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। অন্যায় প্রতিহত করতে তখন অনেক রক্তপাত ঘটাতে হয়। মানুষকে হত্যা করা অবশ্যই জঘন্য কাজ। কিন্তু মুসলিমদেরকে আল্লাহর ইবাদত করতে বাঁধা দেওয়া, শুধুই মুসলিম হওয়ার জন্য তাদের উপর অত্যাচার করাটা তাদেরকে হত্যা করার থেকেও খারাপ। হত্যা করলে বরং সেই মুসলিমরা শহীদ হয়ে তাদের প্রভুর কাছে ফিরে যেতে পারে। কিন্তু হত্যা না করে তাদেরকে জীবিত রেখে নির্যাতন করাটা তাদের জন্য বরং আরও বেশি কষ্টের। যতক্ষণ পর্যন্ত অন্যায় বাঁধা, নির্যাতনের (ফিতনা) অবসান না হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত লড়াই করে যাও অনেক অমুসলিমরা এই আয়াত দেখিয়ে বলে যে, “দেখেছ? কু’রআন মুসলিমদের বলে যুদ্ধ করতে, যতক্ষণ না তারা সব দেশের মানুষকে মুসলিম বানিয়ে ছাড়ে। সাধে কী আর আমরা বলি যে, ইসলাম প্রসার হয়েছে তলোয়ারের জোরে?” যারা এই দাবি করেন, তাদের জন্য এই পরিসংখ্যানটি কাজে লাগবে— ১৫০ হিজরিতে (৭৬৭ খ্রিস্টাব্দ) ইরাক ও এর সংলগ্ন এলাকায় বসবাসরত মুসলিমদের সংখ্যা ছিলো সেখানকার মোট জনসংখ্যার আনুমানিক ১৫%-২০%। ২৫০ হিজরিতে (৮৬৪ খ্রিস্টাব্দ) সেখানকার মোট জনসংখ্যার ৩৫%-৪০% ছিলো মুসলিম। প্রথমবারের মতো সেখানকার জনসংখ্যার ৫০%-এর অধিক মুসলিম ছিলো ৩০০ হিজরির কাছাকাছি সময়ে। আর ৩৫০ হিজরির দিকে (৯৬১ খ্রিস্টাব্দ) স্থানীয় মোট জনসংখ্যার আনুমানিক ৭৫% ছিলো মুসলিম [Dr. Sherman Jackson]। [৩৩৪] আজকালকার বেশিরভাগ মুসলিমই সেই সময়ের এই চমকপ্রদ পরিসংখ্যানের সাথে পরিচিত নন। এই পরিসংখ্যানই দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলে দিচ্ছে যে, তলোয়ারের মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের প্রসার ঘটেনি। ইসলামী সাম্রাজ্যের রাজধানী ও এর সংলগ্ন এলাকার অবস্থাই যদি এমন হয়ে থাকে, তাহলে গোটা সাম্রাজ্যের বাদবাকী অঞ্চলের অবস্থা কেমন ছিলো, তা অনুমান করতে আমাদের খুব বেশি কষ্ট হওয়ার কথা নয়। এই আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, যতক্ষণ ফিতনা বন্ধ না হচ্ছে, ততক্ষণ লড়াই করে যেতে হবে। ফিতনা শব্দটি বিভিন্ন অর্থে কু’রআনে ব্যবহার হয়েছে: কঠিন পরীক্ষা, নির্যাতন, অন্যায় বাঁধা, মতবিরোধ, আগুনে পোড়া, কামনার হাতছানি ইত্যাদি। [৫] ইসলাম মেনে চলতে মুসলিমদের যত বাঁধা, সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, সেগুলোই ফিতনা। যা কিছুই মানুষকে ইসলাম থেকে দূরে নিয়ে যায়, সেটাই ফিতনা। সেটা আজকের যুগে চারিদিকে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়া অশ্লীলতা, অপসংস্কৃতি থেকে শুরু করে সিরিয়াতে মুসলিমদের উপর নির্যাতন, গাজায় ইসরাইলের আক্রমণ, উপমহাদেশে মুসলিমদের উপর সরকারের ব্যাপক অন্যায় আচরণ —এই সব কিছুই ফিতনা। মক্কার মুশরিকরা মুসলিমদেরকে ইসলাম ত্যাগ করানোর জন্য নানা নির্যাতন করতো। তাদেরকে নামাজ পড়তে দেখলে আক্রমণ করতো। ইসলাম গ্রহণ করেছে শুনলে মরুভূমির প্রখর রোদে তপ্ত বালুতে ফেলে মারধোর করতো। খেতে দিত না। ব্যবসা করতে দিত না, যেন তারা আয় রোজগার শূন্য হয়ে ফকির হয়ে যায়। বাড়ি থেকে বের করে দিত। যতভাবে সম্ভব তারা চেষ্টা করেছে মুসলিমদেরকে ইসলাম ত্যাগ করানোর। এসব ছিল মুসলিমদের জন্য ফিতনা। এই আয়াতে আল্লাহ বলছেন: এই সব ফিতনা দূর না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ করে যেতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না মুসলিমরা বিনা বাঁধায় আল্লাহর দ্বীন অনুসরণ করতে না পারছে, ততক্ষণ পর্যন্ত সংগ্রাম করে যেতে হবে। দ্বীন অর্থ হচ্ছে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য থেকে গড়ে ওঠা জীবন ব্যবস্থা। ফিতনা মানুষকে দ্বীন অনুসরণ করা থেকে দূরে নিয়ে যেতে চায়, বাঁধা দেয়। একারণে ফিতনা দূর না হওয়া পর্যন্ত মুসলিমরা ঠিকমতো দ্বীন অনুসরণ করতে পারে না। যতক্ষণ পর্যন্ত মুসলিমদের আল্লাহর দ্বীন মানতে বাঁধাগুলো দূর না হচ্ছে, যাতে করে মুসলিমরা নির্বিঘ্নে দ্বীন পালন করতে পারে, ততক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধ করে যেতে বলা হয়েছে। কিন্তু এটা শুধুই প্রত্যক্ষ বাঁধার বেলায় প্রযোজ্য। ইসলাম ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করে। আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা মানে এই নয় যে, সব অবিশ্বাসীদের জোর করে ইসলাম গ্রহণ করানো। [৩] কু’রআনে পরিষ্কার বলা হয়েছে— ধর্মের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি নেই। সত্য পথ মিথ্যা থেকে স্পষ্ট হয়ে গেছে।… [আল-বাক্বারাহ ২:২৫৬] যদি তোমার প্রভু চাইতেন, তাহলে পৃথিবীতে সবাই অবশ্যই বিশ্বাস করত। তাহলে তুমি কি মানুষকে জোর জবরদস্তি করবে বিশ্বাস না করা পর্যন্ত? [ইউনুস ১০:৯৯] আহলে কিতাবের মানুষদের সাথে সুন্দরভাবে ছাড়া যুক্তিতর্ক করবে না। তবে যারা অন্যায় করে, তাদের কথা আলাদা। বল, “আমরা বিশ্বাস করি যা আমাদের উপর অবতীর্ণ হয়েছে, এবং যা তোমাদের উপর অবতীর্ণ হয়েছে; আমাদের এবং তোমাদের উপাস্য প্রভু একই সত্তা, আমরা তাঁরই প্রতি নিজেদেরকে সমর্পণ করি।” [আল-আনকাবুত ২৯:৪৬] কোনো মুশরিক (মূর্তি পূজারি, যারা শিরক করে) যদি তোমাদের কাছ নিরাপত্তা চায়, তাহলে তাকে তা দেবে, যেন সে আল্লাহর বাণী শোনার সুযোগ পায়। তারপর তাকে একটা নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাবে। আসলে তারা এমন একটা জাতি, যাদের জ্ঞান নেই। [আত-তাওবাহ ৯:৬] ইসলাম অন্য সকল ধর্মের মানুষদেরকে নিশ্চয়তা দেয়, যেন তারা তাদের ধর্ম পালন করতে পারে। মুসলিমদের উপর আদেশ হলো বিধর্মীদেরকে ভালো করে বোঝানো, তাদের সাথে সুন্দর ভাষায় যুক্তিতর্ক করা, ইসলামের সৌন্দর্য তাদের কাছে কথা, কাজ, আচরণের মাধ্যমে তুলে ধরা, যেন বিধর্মীরা ইসলামের সৌন্দর্য উপলব্ধি করে ইসলাম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়। জোর করে ইসলাম গ্রহণ করানো ইসলাম এবং মুসলিম এই দুটো শব্দের সংজ্ঞারই পরিপন্থী। মুসলিম শব্দের অর্থ: যে নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর ইচ্ছার কাছে সমর্পণ করেছে। কাউকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার ইচ্ছাকে আল্লাহর কাছে সমর্পণ করানো যায় না —এটা স্ববিরোধী, অযৌক্তিক কথা। একইভাবে অন্য ধর্মের লোকেরা যেন তাদের ধ্যান, ধারণা, বিশ্বাস, সংস্কৃতি জোর করে মুসলিমদের উপর চাপিয়ে না দেয়। যদি দেয়, সেটা ফিতনা হবে, এবং সেই ফিতনা দূর করতে মুসলিমরা সংগ্রাম করতে পারবে। তবে শর্ত হলো— [৩] কিন্তু ওরা যদি বন্ধ করে, তাহলে কোনো বিরোধ থাকা যাবে না, শুধু মাত্র অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে ছাড়া কল্পনা করুন, আপনি একজন হিন্দু, ভারতের এক গ্রামে থাকেন, যেখানে মাত্র গুটি কয়েকজন মুসলিম হয়েছে। একদিন আপনি ইসলামের সত্য শিক্ষা খুঁজে পেয়ে নিজে মুসলিম হয়ে গেলেন। গ্রামের মোড়লরা জানতে পারলো যে, আপনি মুসলিম হয়ে গেছেন। ব্যাস, শুরু হলো আপনার উপর অত্যাচার। প্রথমে তারা আপনাকে রাস্তায় দেখলে গালি দিত, ঢিল ছুঁড়ে মারত। তারপরও আপনাকে টলাতে না পেরে, রাস্তায় একদিন আপনাকে একা পেয়ে ব্যাপক মার দিলো। তারপর আপনাকে একদিন মাঠে নামাজ পড়তে দেখে আপনার উপর চড়াও হয়ে আপনাকে টেনে হিঁচড়ে বাজারে নিয়ে গেল, লোকজনদের সামনে আপনাকে চরম অপমান করলো। শেষ পর্যন্ত একদিন রাতের অন্ধকারে কয়েকজন লুকিয়ে এসে আপনার বাড়ি আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিলো। আপনাকে পরিবার সহ বাড়ি ছেড়ে অন্য এক মুসলিমের বাসায় গিয়ে আশ্রয় নিতে হলো। এভাবে বছরের পর বছর ধরে আপনার উপর তারা অত্যাচার করতে থাকলো। এদিকে গ্রামে মুসলিমদের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছুল যে, মুসলিমরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে তাদের উপর অত্যাচার প্রতিহত করা শুরু করলো। তাদেরকে গ্রামের হিন্দুরা আক্রমণ করলে, তারাও আত্মরক্ষায় উচিত জবাব দেওয়া করা শুরু করলো। এভাবে একসময় মুসলিমরা বেশ শক্তিশালী হয়ে গেল। একটা পর্যায় গিয়ে মুসলিমরা গ্রামের সবচেয়ে শক্তিশালী বাহিনী হয়ে গেল। তারা এখন ইচ্ছা করলেই গ্রামের হিন্দুদের উপর চড়াও হয়ে বছরের পর বছর ধরে চলা অত্যাচারের প্রতিশোধ নিতে পারে, সব হিন্দুকে গ্রাম ছাড়া করে ছাড়তে পারে। কিন্তু এখন আর হিন্দুরা তাদেরকে আক্রমণ করছে না, ইসলাম মেনে চলতে মুসলিমদেরকে কোনো বাঁধা দিচ্ছে না। তারা মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতা মেনে নিয়েছে। সেই অবস্থায় মুসলিমরা ইচ্ছে করলেও প্রতিশোধ নিতে পারবে না, কারণ আল্লাহ নিষেধ করে দিয়েছেন। প্রতিশোধ নেওয়া তো দূরের কথা, তাদের সাথে কোনো বিরোধ রাখা, কঠোর হওয়া পর্যন্ত যাবে না। শুধুমাত্র যেই হিন্দুরা তখনো অন্যায় করে যাবে, শুধুমাত্র তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিতে পারবে। এতদিন ধরে যারা মুসলিমদেরকে এত কষ্ট দিয়েছে, এত অন্যায় করেছে, তাদেরকে আল্লাহ ছেড়ে দিলেন, শুধুমাত্র এই কারণে যে, তারা এখন আর মুসলিমদেরকে বাঁধা দিচ্ছে না। শুধু তাই না, তাদের জন্য আল্লাহর বাণী— কিন্তু ওরা যদি থামে, তবে অবশ্যই, আল্লাহ অনেক ক্ষমা করেন, তিনি নিরন্তর দয়ালু।
- 946 views
- 1 answers
- 0 votes
-
- 921 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on December 11, 2020 in Education.
যেহেতু মুছে ফেলেছেন সেহেতু সমস্যা হবার সম্ভবনা নাই। তাই স্বাভাবিক বিষয় নিয়ে টেনশন করার কিছু নাই।
- 942 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on December 10, 2020 in Health.
চিকিৎসায় ব্যবহৃত নক্স ট্যাবলেট / Nox Tablet নিম্নলিখিত রোগের উপসর্গ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ করে:
হাঁপানি উপসর্গ,ক্যানসার, হৃদরোগ, ছানি, বয়স পেশীগত ভঙ্গুরতা, এইডস, মদ্যাশক্তি, আলঝেইমার রোগ, ডিপ্রেশন, মৃগীরোগ, মাথা ব্যাথা, অম্বল, উচ্চ্ রক্তচাপ, ঊষরতা, পারকিনসন রোগ, রিউম্যাটয়েড, সীত্সফ্রেনীয়্যা, স্কিন রোগ, মামড়ি-পড়া, সেল ক্ষতি ক্ষত নিরাময়, টিস্যু মেরামতের রক্তের লোহিত কণিকার উৎপাদন, হৃদপিন্ডে হঠাৎ আক্রমণ, বুক ব্যাথা, পা অবরুদ্ধ, ধমনীতে কারণে ব্যথা
রেফারেন্স: www.ওষুধ.com
- 956 views
- 2 answers
- 0 votes
-
Asked on December 10, 2020 in Health.
টি চোখের ছানিপড়া ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থায় সাহায্য করে, শরীরকে সংক্রমণ ও তীব্র রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। বস্তুত: এ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।
- 956 views
- 2 answers
- 0 votes
-
Asked on December 9, 2020 in Car.
আপনার গাড়ির অত্যাবশ্যকীয় ফ্লুয়িডগুলো পরীক্ষা করে দেখুন। এগুলো যদি পরিমাণে কম থাকে, তবে তা অবশ্যই পূর্ণ করে নিতে হবে। ইঞ্জিনের তেলের পরিমাণ পরীক্ষা করে দেখে তা কম থাকলে ভরে নিন। তবে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন ট্যাংকটি যেন অতিরিক্ত ভরে না যায়। কুল্যান্ট, ট্রান্সমিশন ফ্লুয়িড, ব্রেক ফ্লুয়িড ইত্যাদিও চেক করে নিলে ভাল হয়। ইঞ্জিন ট্যাংকের উষ্ণ অবস্থা এবং চলমান তরল স্তরের পরীক্ষা করুন। এছাড়াও ব্রেক তরল জলাধার এবং পাওয়ার স্টিয়ারিং পাম্প পরীক্ষা করে দেখুন। এতে কোন প্রকারের লিক থাকলে, তা অতিসত্বর মেরামত করে নিন।
নিয়মিত গাড়ির ইঞ্জিনের তেল পরিবর্তন করতে ভুলবেন না। এক্ষেত্রে ম্যানুয়ালের নির্দেশনাগুলো ভাল করে দেখুন। সাধারণত ইঞ্জিন অয়েল পাঁচ হাজার কিলোমিটার কিংবা তিন মাস পর পর বদলানো উচিত। আর অয়েল ফিল্টারও পর্যায়ক্রমে চেঞ্জ করে ফেলতে হবে। নোংরা তেল এবং ময়লা এয়ার ফিল্টারের কারণে ইঞ্জিনের বিশাল ক্ষতি হয়। এছাড়াও আপনার গাড়ির ফুয়েল খরচের হিসেব রাখতে প্রহরী ভিটিএসের সাহায্য নিতে পারেন। প্রহরীর ফুয়েল মনিটরিং ফিচারের মাধ্যমে গাড়িতে কতটুকু ফুয়েল অবশিষ্ট আছে এবং কতটুকু খরচ হয়েছে তা বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন।
সবসময় গাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। অন্তত সপ্তাহে একদিন গাড়ি ধুয়ে ফেলতে চেষ্টা করুন। আর কখনো শুকনো অবস্থায় গাড়ি পরিষ্কার করবেন না। এতে কারের পেইন্টের কালার দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এছাড়াও নিয়মিত গাড়ির জানালার গ্লাস, উইন্ডশীল্ড, রিয়ার ভিউ আয়না, হেডলাইট ও ভিতরের সবকিছু পরিষ্কার করুন। এবং এসব ঠিকভাবে কাজ করে কিনা, তাও পরীক্ষা করে দেখুন। যদি কোন পার্টস ত্রুটিপূর্ণ বলে মনে হয়, তবে তা দ্রুত কোন অভিজ্ঞ মেকানিক দিয়ে রিপেয়ার কিংবা দরকার পড়লে চেঞ্জ করে ফেলতে পারেন।
- 948 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on December 8, 2020 in Mobile.
মোবাইল ফোন যেমন আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে খুব সহজ করে দিয়েছে ঠিক তেমন ভাবেই মোবাইল ফোনের উপরে আমরা ভীষণ ভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। অনেক ক্ষেত্রে অজান্তেই আমরা নিজেদের বিপদ ডেকে আনছি। ধরুন রাতের বেলায় ঘুমাতে গেছেন কিন্তু ঘুম আসছে না। তাই ভাবলেন যতক্ষণ ঘুম না আসে ততক্ষণ মোবাইল ফোনে কয়েকটা দরকারি কাজ এগিয়ে রাখি কিংবা স্মার্টফোনে একটা গোটা গল্পের বই ডাউনলোড করে পড়তে থাকি। তারপর আস্তে আস্তে ঘুম এসে যাবে। তারপর দীর্ঘক্ষণ পরে দেখলেন, মোবাইলে খুটখাট করতে করতে সময় গড়িয়ে গেল কিন্তু ঘুম আর এলো না। রাত কেটে ভোর হয় গেল কিন্তু ঘুমের দেখা নেই।
আপনিও কী ঘুম না আসার সমস্যায় ভুগছেন? কিন্তু ঠিক বুঝতে পারছেন না কেন ঘুম আসছে না। ঘুম আসবে বলে রাতে শুয়ে অন্ধকারে দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করছেন বলেই হয়ত ঘুম আসতে চাইছে না। অন্ধকারে মোবাইল ব্যবহার করলে যেমন অনিদ্রা হতে পারে তেমনই চোখের বিভিন্ন সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের ফলে যেমন দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি হয় তেমনই অন্ধকারে স্মার্টফোনের ব্যবহারে চোখের মারাত্মক সব সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারে চোখ ছাড়াও শরীরের অন্য
জায়গাতেও নানা সমস্যা হতে পারে।
চিন্তার কথা হল, বাচ্চাদের মধ্যেও মোবাইল ফোন ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে। তাদের স্কুলের বিভিন্ন প্রজেক্ট থেকে শুরু করে মাঠে না গিয়ে মোবাইল ফোনেই ফুটবল বা ক্রিকেট খেলছে তারা।
অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করলে বা অনেক্ষণ এক টানা মোবাইল দেখলে চোখে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। চোখ লাল হয়ে থাকে ও চোখ জ্বালা করে। অন্ধকারে মোবাইল ব্যবহার করলে অন্ধত্ব না হলেও স্থায়ী ভাবে কেউ টেরা হয়ে যেতে পারেন। আর যদি এটা বাচ্চাদের ক্ষেত্রে হয়ে তা হলে ভবিষ্যতে তার দৃষ্টিশক্তি চলেও যেতে পারে। চোখের জল কাটে না কিংবা ড্ৰাই আই-এর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অন্ধকারে মোবাইল একনাগাড়ে দেখে গেলে চোখের পেশিতে (মিডিয়াল রেক্টার ও সিলিয়েই মাসেল) দিয়ে আমরা দেখি তার উপরে চাপ সৃষ্টি হয়। আলোতে এই পেশিগুলো যতটা সহজে কাছের ছোট হরফে লেখা দেখতে পারে অন্ধকারে ছোট লেখা তারা তত সহজে দেখতে পারে না। এই পেশীগুলোর উপর বাড়তি চাপ পড়ে এবং এর ফলে অকুলার অস্থেনোপিয়া হতে পারে। অকুলার অস্থেনোপিয়া হল চোখের ক্লান্তি। এর ফলে মাথা ব্যথা হতে পারে এবং বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই অকুলার অস্থেনোপিয়ার জন্য টেরা ভাব আসতে পারে।
- 894 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on December 7, 2020 in Health.
গোসল দুই ধরণের হতে পারে: ন্যূনতম বা জায়েয পদ্ধতি, পরিপূর্ণ পদ্ধতি।
জায়েয পদ্ধতিতে মানুষ শুধু ফরযগুলো আদায় করে ক্ষান্ত হয়; সুন্নত ও মুস্তাহাব আদায় করে না। সে পদ্ধতিটি হচ্ছে: পবিত্রতার নিয়ত করবে। এরপর গড়গড়া কুলি ও নাকে পানি দেওয়ার সাথে গোটা দেহে পানি ঢালবে; সেটা যেভাবে হোক না কেন; শাওয়ারের নীচে, সমুদ্রে নেমে, বাথটাবে নেমে ইত্যাদি।
আর গোসলের পরিপূর্ণ পদ্ধতি হচ্ছে: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেভাবে গোসল করেছেন সেভাবে গোসলের সকল সুন্নত আদায় করে গোসল করা। শাইখ উছাইমীনকে গোসলের পদ্ধতি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে জবাবে তিনি বলেন: গোসল করার পদ্ধতি দুইটি:
প্রথম পদ্ধতি: ফরয পদ্ধতি। সেটা হচ্ছে– গোটা দেহে পানি ঢালা। এর মধ্যে গড়গড়া কুলি ও নাকে পানি দেয়াও রয়েছে। সুতরাং কেউ যদি যে কোনভাবে তার গোটা দেহে পানি পৌঁছাতে পারে তাহলে সে বড় অপবিত্রতা মুক্ত হয়ে পবিত্র হয়ে যাবে। যেহেতু আল্লাহ্ তাআলা বলেছেন: “যদি তোমরা জুনুবি হও তাহলে প্রকৃষ্টভাবে পবিত্রতা অর্জন কর।”[সূরা মায়েদা, আয়াত: ৬]
দ্বিতীয় পদ্ধতি: পরিপূর্ণ পদ্ধতি; সেটা হচ্ছে– নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেভাবে গোসল করতেন সেভাবে গোসল করা। যে ব্যক্তি জানাবাত (অপবিত্রতা) থেকে গোসল করতে চায় তিনি তার হাতের কব্জিদ্বয় ধৌত করবেন। এরপর লজ্জাস্থান ও লজ্জাস্থানে যা লেগে আছে সেসব ধৌত করবেন। এরপর পরিপূর্ণ ওযু করবেন। এরপর মাথার উপর তিনবার পানি ঢালবেন। এরপর শরীরের অবশিষ্টাংশ ধৌত করবেন। এটাই হচ্ছে পরিপূর্ণ গোসলের পদ্ধতি।[ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম থেকে সমাপ্ত, পৃষ্ঠা-২৪৮]
দুই:
জানাবাত (অপবিত্রতা) এর গোসল ও হায়েযের গোসলের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। তবে, অপবিত্রতার গোসলের চেয়ে হায়েযের গোসলে মাথার চুল অধিক প্রকৃষ্টভাবে মর্দন করা মুস্তাহাব। অনুরূপভাবে নারীর রক্ত প্রবাহিত হওয়ার স্থানে সুগন্ধি ব্যবহার করাও মুস্তাহাব যাতে করে দুর্গন্ধ দূর হয়ে যায়। ইমাম মুসলিম (৩৩২) আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন: “আসমা (রাঃ) একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে হায়েযের গোসল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করল। তিনি বললেন, তোমাদের কেউ পানি ও বরই পাতা নিয়ে সুন্দরভাবে পবিত্র হবে। তারপর মাথায় পানি ঢেলে দিয়ে ভালভাবে রগড়ে নিবে যাতে করে সমস্ত চুলের গোড়ায় পানিপৌঁছে যায়। তারপর গায়ে পানি ঢালবে। এরপর একটি সুগন্ধিযুক্ত কাপড় নিয়ে তা দিয়ে পবিত্রতা অর্জন করবে। আসমা বলল: তা দিয়ে কিভাবে পবিত্রতা অর্জন করবে? তিনি বললেন, সুবহানাল্লাহ! তা দিয়ে পবিত্রতা অর্জন করবে। অতঃপর আয়েশা (রাঃ) তাঁকে যেন চুপিচুপি বলেন দিলেন, রক্ত বের হবার জায়গায় তা ঝুলিয়ে দিবে। অতঃপর তিনি জানবাত (অপবিত্রতা) এর গোসল সম্পর্কেও জিজ্ঞাসা করেন। তিনি বললেন: পানি দ্বারা সুন্দরভাবে পবিত্র হবে। তারপর মাথায় পানি ঢেলে দিয়ে ভাল করে রগড়ে নিবে যাতে চুলের গোড়ায় পানি পৌঁছে যায়। তারপর গায়ে পানি বইয়ে দিবে। আয়েশা (রাঃ) বলেন: আনসারদের মহিলারা কতই না ভাল! দ্বীনি জ্ঞানে প্রজ্ঞা অর্জনে লজ্জাবোধ তাদের জন্য বাধা হয় না।”
এতে দেখা গেল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হায়েযের গোসল ও জানাবাতের গোসলের মধ্যে চুল রগড়ানো ও সুগন্ধি ব্যবহারের ক্ষেত্রে পার্থক্য করেছেন।
তিন:
জমহুর আলেমের মতে, ওযু ও গোসলের সময় বিস্মিল্লাহ্ পড়া মুস্তাহাব। আর হাম্বলি মাযহাবের আলেমগণ বিস্মিল্লাহ্ পড়াকে ওয়াজিব বলেছেন।
শাইখ উছাইমীন (রহঃ) বলেন: হাম্বলি মাযহাব মতে, ওযুতে বিস্মিল্লাহ্ পড়া ওয়াজিব। তবে এই মর্মে সরাসরি কোন দলিল নেই। কিন্তু তাঁরা বলেন: ওযুতে যেহেতু ওয়াজবি; সুতরাং গোসলে ওয়াজিব হওয়া আরও বেশি যুক্তিযুক্ত। কেননা গোসল বড় পবিত্রতা।
তবে সঠিক অভিমত হচ্ছে, বিস্মিল্লাহ্ পড়া ওয়াজিব নয়। ওযুর মধ্যেও নয়, গোসলের মধ্যেও নয়।[আল-শারহুল মুমতি থেকে সমাপ্ত]
চার:
গোসলের মধ্যে গড়গড়া কুলি ও নাকে পানি দেয়া অবশ্যই থাকতে হবে; যেমনটি এটি হানাফি ও হাম্বলি মাযহাবের অভিমত। ইমাম নববী এ সংক্রান্ত মতভেদ আলোচনা করতে গিয়ে বলেন: গড়গড়া কুলি ও নাকে পানি দেয়া সম্পর্কে আলেমগণের চারটি অভিমত রয়েছে:
১। ওযু ও গোসল উভয় ক্ষেত্রে এ দুইটি সুন্নত। এটি শাফেয়ি মাযহাবের অভিমত।
২। ওযু ও গোসল উভয় ক্ষেত্রে এ দুইটি ওয়াজিব। ওযু-গোসল শুদ্ধ হওয়ার এজন্য এ দুইটি পালন করা শর্ত। এটি ইমাম আহমাদের মত হিসেবে মশহুর।
৩। গোসলের ক্ষেত্রে এ দুইটি পালন করা ওয়াজিব; ওযুর ক্ষেত্রে নয়। এটি ইমাম আবু হানিফা ও তাঁর সাথীবর্গের অভিমত।
৪। ওযু ও গোসলের ক্ষেত্রে নাকে পানি দেয়া ওয়াজিব; গড়গড়া কুলি করা নয়। এটিও ইমাম আহমাদের অভিমত হিসেবে বর্ণিত। ইবনে মুনযির বলেন: আমিও এ অভিমতের প্রবক্তা।[আল-মাজমু (১/৪০০) থেকে সংক্ষেপিত ও সমাপ্ত]
অগ্রগণ্য অভিমত: দ্বিতীয় অভিমতটি। অর্থাৎ গোসলের ক্ষেত্রে গড়গড়া কুলি করা ও নাকে পানি দেয়া ওয়াজিব। এ দুটি পালন করা গোসল শুদ্ধ হওয়ার জন্য শর্ত।
শাইখ উছাইমীন (রহঃ) বলেন:
আলেমদের মধ্যে কেউ কেউ বলেছেন: এ দুইটি পালন করা ছাড়া ওযুর ন্যায় গোসলও শুদ্ধ হবে না। কেউ বলেছেন: এ দুইটি ছাড়াই গোসল শুদ্ধ হবে। সঠিক হচ্ছে– প্রথম অভিমত। দলিল হচ্ছে আল্লাহ্র বাণী: “প্রকৃষ্টভাবে পবিত্রতা অর্জন কর।”[সূরা মায়েদা, আয়াত: ৬] এ বাণী গোটা দেহকে অন্তর্ভুক্ত করে। নাকের ও মুখের অভ্যন্তরীণ অংশও দেহের এমন অংশ যা পবিত্র করা ফরয। এ কারণে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওযুর মধ্যে এ দুইটি পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন। যেহেতু আল্লাহ্র বাণী: “তোমাদের মুখমণ্ডল ধৌত কর” এর অধীনে এ দুইটিও অন্তর্ভুক্ত হয়। সুতরাং এ দুইটি যদি মুখমণ্ডল ধোয়ার অধীনে পড়ে যায়; যে মুখমণ্ডল ধৌত করা ওযুর ক্ষেত্রে ফরয সুতরাং গোসলের ক্ষেত্রেও এ দুইটি মুখমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত হবে। কেননা গোসলের ক্ষেত্রে মুখমণ্ডলের পবিত্রতা ওযুর চেয়ে তাগিদপূর্ণ।[আল-শারহুল মুমতি থেকে সমাপ্ত]
পাঁচ:
যদি আপনি অতীতে গোসলকালে গড়গড়া কুলি করা কিংবা নাকে পানি দেয়া পালন না করে থাকেন না-জানার কারণে কিংবা যে আলেমগণ এ দুটোকে ওয়াজিব বলেন না তাদের অভিমতের উপর নির্ভর করার কারণে সেক্ষেত্রেও আপনার গোসল সহিহ এবং এ গোসলের ভিত্তিতে আপনার আদায়কৃত নামাযও সহিহ; আপনাকে সে সকল নামায পুনরায় পড়তে হবে না। যেহেতু গড়গড়া কুলি ও নাকে পানি দেয়া সংক্রান্ত আলেমগণের মতভেদ অত্যন্ত শক্তিশালী যেমনটি ইতিপূর্বে আলোচিত হয়েছে।
আল্লাহ্ সকলকে তাঁর পছন্দনীয় ও সন্তোষজনক আমল করার তাওফিক দিন।
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।
- 943 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on December 6, 2020 in Health.
চোখ আমাদের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। দৃষ্টিশক্তি না থাকলে পৃথিবী অন্ধকার। আজকাল আমরা কমবেশি সবাই চোখের সমস্যায় ভুগি। শরীরের অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মতো চোখের যত্ন নেয়াটাও খুব জরুরি। বড়দের পাশাপাশি ছোটদেরও হয় চোখের সমস্যা। অল্পবয়সী ছেলে-মেয়েদেরও দেখা যায় মোটা লেন্সের চশমা পরতে। তবে আমরা যদি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কিছুটা পরিবর্তন আনি তাহলে চোখের সমস্যা অনেকটাই এড়ানো যায়। চোখকে সুস্থ রাখতে আসলে নিয়মিতই কিছু খাবার দরকার। চোখের যত্নে যা খাবেন-
গাজর
গাজর অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর একটি সবজি। এটি কাঁচা বা রান্না- দুভাবেই খাওয়া যায়। সুস্থ্ চোখ পেতে হলে যেসব খাবার খাওয়া উচিত তার মধ্যে অন্যতম হলো গাজর। এতে রয়েছে ভিটামিন-এ এবং বিটা ক্যারোটিন, যা চোখকে সুস্থ্ রাখতে সাহায্য করে। বিটা ক্যারোটিন অত্যন্ত শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি ছানি পড়া, বয়সের কারণে চোখের জ্যোতি কমে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাছাড়া গাজরে রয়েছে ফাইবার ও পটাশিয়াম। এ দুটি উপাদানও কিন্তু শরীরের জন্য ভালো। গাজর ক্যান্সার প্রতিরোধক। আর আপনি যদি ওজন কমানোর চিন্তা করে থাকেন তবে গাজর আপনাকে সাহায্য করতে পারে।সবুজ শাক
সমস্যায় পড়লে আমরা ওষুধে মুক্তি খুঁজি। অথচ অনেক খাবারে রয়েছে বহু সমস্যার সমাধান। আমাদের দেশের নানা রকম সবুজ শাক যেমন, পালং, পুই, কচু, লাউ ইত্যাদিকে অবহেলা করবেন না। সবুজ শাকে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। সেই সাথে এটি ম্যাঙ্গানিজের খুব ভালো উৎস। এগুলো চোখের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি থেকে চোখের রেটিনাকে রক্ষা করতে সাহায্য করে সবুজ শাক। দৃষ্টিশক্তি ভালো করতেও সাহায্য করে এটি।ভুট্টা
ভুট্টায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন এ, সি ও লাইকোপিন; যা দৃষ্টিশক্তি প্রখর করতে সাহায্য করে৷আধ-কাপ রান্না ভুট্টায় একজন মানুষের চোখের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপাদান পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। তাই নিয়মিত ভুট্টা খেতে পারেন। আর নিয়মিত ভুট্টা খেলে চোখের হলুদ পিগমেন্ট হারানোর কোন ঝুঁকি থাকে না। এমনকি ছানি পড়ার ঝুঁকি কমে যায়।টমেটো
টমেটো এখন সারা বছরই পাওয়া যায়। টমেটোতে রয়েছে ভিটামিন-এ, বি, সি, কে, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, লাইকোপিন, ক্রোমিয়ামসহ নানা উপাদান। টমেটো যেমন কাঁচা খাওয়া যায়, তেমনি রান্না করেও খাওয়া যায়। সালাদে টমেটো অতুলনীয়। চোখের যত্নে যা খাবেন টমেটো খেলে অনেক লাভ। এক গবেষণায় দেখা গেছে টমেটোতে থাকা লাইকোপিন চোখের রেটিনাকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে চোখকে সুরক্ষা দেয়।মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলু পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন-সি, ই ও ডি। চোখের যত্নে মিষ্টি আলু খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। এটি চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। দৃষ্টিশক্তি ধরে রাখতে এর তুলনা হয়না। প্রতিদিন একজন মানুষের যতটুকু পুষ্টি দরকার তার বেশিরভাগই মেলে মাঝারি আকারের একটি মিষ্টি আলুতে। এতে রয়েছে প্রতিদিনের চাহিদার ২৮ শতাংশ ম্যাঙ্গানিজ ও ৪০ শতাংশ ভিটামিন- সি। আর মিষ্টি আলু শুধু চোখের যত্নেই কাজে লাগে না, হাড়ের ক্ষয়রোধেও সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও মিষ্টি আলু বেশ উপকারী।- 906 views
- 1 answers
- 0 votes