rohan007's Profile

921
Points

Questions
37

Answers
55

  • Asked on December 6, 2020 in Health.

    নিয়মিত পানি পান স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এবং কোষ সঠিকভাবে পরিচালিত হয় পানির মাধ্যমে। শরীর সুস্থ রাখতে একজন মানুষের প্রতিদিন ছয়-সাত গ্লাস পানি পান করা প্রয়োজন।

    কেন মানবদেহে পানির প্রয়োজন

    সংযুক্ত স্থানগুলো পিচ্ছিল করতে : শরীরের যে অঙ্গগুলো সংযুক্ত অবস্থায় থাকে, সেখানে কার্টিলেজের উপস্থিতি থাকে। শারীরিক কাজ সঠিকভাবে সম্পাদনের জন্য কার্টিলেজে ৮০ শতাংশ পানির উপস্থিতি থাকা প্রয়োজন। দীর্ঘ সময় পানি পান না করলে এই স্থানগুলো শুকিয়ে গিয়ে ব্যথা হতে পারে।

    পরিপাকতন্ত্রে : নিয়মিত পানি পান করলে লালাগ্রন্থি শুকিয়ে যায় না বলে সহজে খাবার হজম হয়। পানির কারণে মুখ, নাক, চোখ ভেজা থাকে, যা বিভিন্ন সময় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এই অঙ্গগুলোকে। মিষ্টি খাওযার পর পানি পান দাঁতকে ক্ষয় থেকে বাঁচায়।

    শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন পৌঁছানো : রক্তে পানির পরিমাণ ৯০ শতাংশেরও বেশি। রক্ত শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন পৌঁছে দেয় অর্থাৎ পানিও শরীরের সব অংশে পৌঁছে যায়।

    ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় : পানির অভাবে ত্বক রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। সঙ্গে দেখা দিতে পারে অনাকাক্সিক্ষত ভাঁজ।

    মস্তিষ্কের নিরাপত্তায় : মস্তিষ্কের গঠন এবং কার্যকারিতায় পানির গুরুত্ব অনেক বেশি। দীর্ঘ সময় পানি পান না করলে স্পাইনাল কর্ড ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

    হজম সমস্যা দূর করে : হজম সমস্যা সমাধানে, কোষ্ঠকাঠিন্য, এসিডিক সমস্যায় পানি পান করা জরুরি। পাকস্থলীর আলসার এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যা দেখা দিতে পারে ডিহাইড্রেশনের কারণে।

    ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে : শরীরে পানি কম প্রবেশ করলে রক্ত পাতলা হয়ে দেখা দিতে পারে ব্লাড প্রেশার।

    কিডনির সমস্যা : কিডনি শরীরের তরল পদার্থ নিয়ন্ত্রণ করে। অপর্যাপ্ত পানির কারণে কিডনিতে পাথর ছাড়াও দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা।

    • 1010 views
    • 1 answers
    • 0 votes
  • Asked on November 28, 2020 in Education.

    ইসলামে, বিবাহ (আরবিنِكَاح‎, প্রতিবর্ণী. নিকাহ‎) হল বিবাহযোগ্য দুইজন নারী ও পুরুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক প্রনয়নের বৈধ আইনি চুক্তি ও তার স্বীকারোক্তি।[১][২] ইসলামে কনে তার নিজের ইচ্ছানুযায়ী বিয়েতে মত বা অমত দিতে পারে| একটি আনুষ্ঠানিক এবং দৃঢ় বৈবাহিক চুক্তিকে ইসলামে বিবাহ হিসেবে গণ্য করা হয়, যা বর ও কনের পারষ্পারিক অধিকার ও কর্তব্যের সীমারেখা নির্ধারণ করে| বিয়েতে অবশ্যই দুজন মুসলিম স্বাক্ষী উপস্থিত থাকতে হবে| ইসলামে বিয়ে হল একটি সুন্নাহ বা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর আদর্শ এবং ইসলামে বিয়ে করার জন্য অত্যন্ত জোরালোভাবে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।[৩][৪]বিয়ে ইসলামী বিবাহের মৌলিক বিধিবিধান অনুযায়ী সম্পন্ন করতে হয়। পাশাপাশি, ইসলামে সন্ন্যাসজীবন এবং কৌমার্যেরও কঠোর বিরোধিতা করা হয়েছে।[৪] ইসলামে তালাক অপছন্দনীয় হলেও এর অনুমতি আছে এবং তা যে কোন পক্ষ হতে দেওয়া যেতে পারে অর্থাৎ ইসলামে স্বামী-স্ত্রী উভয়েই তালাক দেওয়ার অধিকার রাখে।

    • 904 views
    • 1 answers
    • 0 votes
  • Asked on September 10, 2020 in Education.

    আমাকে একজন বলেছেন R দিয়ে রাইট বা সঠিক আর নীচের x (ক্রস বা এক্স) দিয়ে Not বুঝায় । যার সার্বিক অর্থ হয় এই ্ওষধ আপনার জন্য সঠিক হতে পারে কিংবা না।

    অন্যএকজন বলেছেন Rx সিম্বলিক অর্থে “আপনার জন্য” বোঝায়।

    কিন্তু সঠিক অর্থটা নিশ্চিত করতে পারছি না।

    • 998 views
    • 1 answers
    • 0 votes
  • Asked on September 6, 2020 in Technology.

    পিক্সেলঃ পিক্সেল হলো একটা ডিসপ্লে ইউনিটের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অংশ বা একক। অর্থাৎ ডিসপ্লের একটি ক্ষুদ্র ব্লক। এই ব্লকগুলো ফসফর দানা (সিআরটি মনিটরে ব্যবহৃত হয়), এলসিডি (লিকুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লে- ক্যালকুলেটরে বেশি ব্যবহৃত হয়, কম্পিউটার মনিটরে ব্যবহৃত হয়) বা এলইডি (লাইট ইমিটিং ডায়োড- আধুনিক টেলিভিশন ও কম্পিউটার মনিটরে ব্যবহার করা হয়) দিয়ে তৈরি হতে পারে। বর্তমানে সবচাইতে বেশি ব্যবহার করা হয় এলইডি ডিসপ্লে। এলসিডির চাইতে এলইডির কিছু দিক সুবিধাজনক হওয়ার কারণে এলইডিই বেশি ব্যবহৃত হয়। কিন্তু অ্যাকুরেসির ক্ষেত্রে এলসিডি ভালো। একটি ডিসপ্লে তথ্য উপস্থাপনার জন্য কত গুলো ক্ষুদ্র আলোক বিন্দুতে আলো ফুটিয়ে তোলে। পিক্সেলের ফুটনো আলোকেই আমরা বিভিন্ন তথ্য আকারে দেখি।

    চিত্রঃ পিক্সেল

    রেজুলেশনঃ রেজুলেশন হলো একটি ডিসপ্লের আকারের উপর পিক্সেলে দৈর্ঘে এবং প্রস্থের সংখ্যার গুনফল। প্রাথমিক অবস্থার ফোনগুলোতে (যেমন নোকিয়া ৩৩১০ মডেলে ৮৪*৪৮) কম রেজুলেশন ব্যবহার করা হতো কিন্তু বর্তমানে খুব বেশি রেজুলেশন (যেমন সনি এক্সেপেরিয়া এক্সজেড প্রিমিয়াম এ ৩৮৪০*২১৬০) ব্যবহার করা হয়। ৭২০*১২৮০ কে এইচডি, ১৯২০*১০৮০ কে ফুল এইচডি, ২৫৬০*১৪৪০ কে কিউএইচডি এবং ৩৮৪০*২১৬০ কে ইউএইচডি বলা হয়। ইউএইচডি কে আবার সংক্ষেপে ৪কে বলা হয়। 4k হলো UHD-1, 5K হলো UHD-2, 6k হলো UHD-3, এবং 8K হলো UHD- 4. ভবিষ্যতে রেজুলেশনের এ ধারা আরো বৃদ্ধি পাবে।

    চিত্রঃ রেজুলেশন

    পিক্সেল ডেনসিটি বা পিপিআই- (পিক্সেল পার ইঞ্চি)ঃ একটা নিদৃষ্ট একক স্থানে কতগুলো পিক্সেল থাকবে বা তার ঘনত্ব কত হবে তাকে পিক্সেল ডেনসিটি বলা হয়। এর একক ইঞ্চিতে পরিমাপ করা হয়। অর্থাৎ প্রতি ইঞ্চিতে কতগুলো এধরনের পিক্সেল থাকবে সেটাই হচ্ছে পিক্সেল ডেনসিটি। উপরের ছবিতে দেখুন এক ইঞ্চি জায়গাতে একটিতে ১০ টি অপরটিতে ২০ টি পিক্সেল আছে। একটি তথ্য বা ছবি ভালো হওয়ার পিছনে মুল ভুমিকাটা পালন করে পিপিআই। কারণ যে কোন তথ্য বা ছবিকে যতবেশি ক্ষুদ্রতর ভাগে ভাগ করা যাবে ততবেশি সুন্দর করে বিষয়টি দৃশ্যমান হবে। অর্থাৎ এক ইঞ্চি জায়গায় যত বেশি পিক্সেল থাকবে ততবেশি আলোক বিন্দু ফুটিয়ে তোলা যাবে। আগেকার ফোনগুলোতে ৬৪.৫০ (নোকিয়া ৩৩১০) এবং বর্তমানে ৮০৬.৯৩ ( সনি এক্সপেরিয়া এক্সজেড প্রিমিয়াম) পিপিআই ব্যবহার করা হয়।

    চিত্রঃ পিক্সেল ডেনসিটি বা পিপিআইচিত্র

    ক্যামেরা সেন্সরঃ এএকটি ফোকাস লেন্স থেকে ইলেকট্রনিক চিপে আলো ফেলা হয় আর সেই আলোকে কতগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে ভাগ করে আলোর বিন্দুতে তৈরি করা হয়। আর আলোর বিন্দু তৈরি করার কাজটি করে থাকে ক্যামেরা সেন্সর। এখানেও পিক্সেল, রেজুলেশন টার্মগুলো ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে সিমস সেন্সর ব্যহার করা হয় কিন্তু আগের ক্যামেরা গুলোতে সিসিডি সেন্সর ব্যবহার করা হতো। ফোকাস লেন্সের সামনে থেকে যখন আলো এসে সিমস সেন্সরে পতিত হয় তখন আলোর তীব্রতা অনুসারে সেন্সরগুলো ইলেকট্রনিক সিগনালে পরিনত করে। এই আলোক বিন্দু গুলো হিসাব করা হয় মেগা পিক্সেলে। যেমন ১০ মেগা পিক্সেল, ৬৪ মেগা পিক্সেল বা ১০৮ মেগা পিক্সেল।

    চিত্রঃ ক্যামেরা সেন্সর

    এতক্ষনে নিশ্চই এ সম্পর্কিত মৌলিক বিষয়গুলো কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন। এবার আসি আসল প্রশ্নের উত্তরে।

    এক মেগা মানে হলো ১০^৬ অর্থাৎ ১০ লক্ষ বা এক মিলিয়ন। আমরা যে সনি এক্সপেরিয়া এক্সজেড ফোনটিতে ৩৮৪০*২১৬০ রেজুলেশনে ৮০৬.৯৩ পিপিআই এর ডিসপ্লে দেখেছিলাম তার মধ্যে ৮২৯৪৪০০ টি পিক্সেল রয়েছে। অর্থাৎ ৮.২৯৯৪৪ মেগা পিক্সেল। এখন যদি এই ফোনে ১০৮ মেগা পিক্সেলের ছবি দেয়া হয় তবে কিভাবে এটি আলোক বিন্দু ফুটিয়ে তুলবে? কারণ ডিসপ্লের তুলনায় ক্যামেরায় ১৩.০২ গুন বেশি পিক্সেল ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু আবার যদি এতে ৮.২৯৯৪৪ মেগা পিক্সেলের ক্যামেরা ব্যবহার করা হয় তবে কিভাবে এটি আলো ফুটিয়ে তুলবে?

    এখন যদি ডিসপ্লের সমান মানের রেজুলেশনের বা পিক্সেলের ক্যামেরা লেন্স ব্যবহার করা হয় তবে কোন সমস্যা ছাড়াই ক্যামেরার তোলা প্রতিটি আলোক বিন্দু ডিসপ্লেতে ফুটিয়ে তোলা যাবে। কিন্তু সমস্যা হবে আপনি কোন ধরনের জুম করতে পারবেন না। কারণ ক্যামেরা সেন্সর আর ডিসপ্লেতে সমান সংখ্যক পিক্সেল রয়েছে। ফলে ডিসপ্লে একটি পিক্সেলের আলোকে একাধিক আলোক বিন্দুতে রুপান্তর করতে পারবে না। এতে ছবির উজ্জলতা প্রকৃত উজ্জলতার সমান।

    এখন যদি এর চেয়ে কম মানের (২মেগা পিক্সেল) ক্যামেরা ব্যবহার করা হয় তবে ক্যামেরার একটি পিক্সেলের আলো ডিসপ্লের ৪ টি পিক্সেলে ফুটিয়ে তুলতে হবে ফলে ডিসপ্লেতে ঘোলা ভাব চলে আসবে। কারণ একটি পিক্সেলের আলো চারভাগে ভাগ হযে ডিসপ্লের রেজুলেশন কমিয়ে দিয়েছে। এখাসে ছবির উজ্জলতা ৪ ভাগের ১ ভাগ।

    কিন্ত যদি ১০৮ মেগা পিক্সেলের ক্যামেরা ব্যবহার করা হয় তবে ডিসপ্লের তুলনায় ১৩.০২ গুন বেশি পিক্সেলের ছবি তুলতে পারবে। তার মানে ক্যামেরার তোলা ১৩ পিক্সেলের আলোক বিন্দুর সমান আলো ডিসপ্লের একটি পিক্সেলেই ফুটিয়ে তুলতে হবে। অর্থাৎ ডিসপ্লের একটি পিক্সেলে আপনি পাচ্ছেন ক্যামেরার ১৩ টি পিক্সেল আলোর সমান আলো। ফলো ছবিটি হবে আরো বেশি উজ্জল আলোর সমষ্টি বা ছবির উজ্জলতা হবে প্রকৃত উজ্জলতা থেকে ১৩ গুন বেশি। এবার আপনি ছবিটিকে ১৩ গুন জুম করতে পারবেন। অর্থাৎ জুম করলে ডিসপ্লের একটি পিক্সেলের আলো ভাগ হয়ে ১৩ টি পিক্সেল পর্যন্ত যেতে পারবে।

    এতক্ষনে নিশ্চই ক্যামেরা রেজুলেশন বা মেগাপিক্সেল সমরপর্কে একটি সম্যক ধারণা লাভ করেছেন। এবং এটাও বুঝতে পেরেছেন ছবির গুনগত মান নির্ভর করে ক্যামেরা ও ডিসপ্লে ইন্টারফেসের মাধ্যমে। শুধু ক্যামেরা ভালো হলে বা শুধু ডিসপ্লে ভালো হলেই ছবির গুনগত মান ভালো হবে না। তাদের মধ্যে থাকতে হবে চমৎকার একটি ইন্টারফেস।

    যদি তাদের মধ্যে ইন্টারফেস ভালো হয় তবে অবস্যই ছবির মান সুন্দর হবে। কিন্তু একটা বিষয় অবস্যই খেয়াল রাখতে হবে সেটা হলো ক্যামেরাতে ডিসপ্লের তুলনায় যতগুণ বেশি পিক্সেল ব্যবহার করা হবে ততগুণ বেশি আপনি ছবির উজ্জলতা পাবেন। যদি সমান হয় বা কম হয় তাহলে কোন ভালো ছবি আশা করতেই পারেন না। এজন্যই ফোনগুলোতে ডিসপ্লের তুলনায় কয়েকগুন বেশি পরিমানের রেজুলেশন বা পিক্সেল ব্যবহার করা হয়।

    আমি এখন যে ফোনটি ব্যবহার করছি তার রেজুলেশন ১০৮০*২২৪০ বা ২.৪৬২৪ মেগাপিক্সেল। এর ক্যামেরা ২০ মেগাপিক্সেলের। তাহলে এর ছবি ৮.১২ গুন বেশি উজ্জল হবে। আর আমি ক্যামেরাকে বা ছবিকে ৮ গুন জুম করতে পারবো। বাস্তবেও তাই হচ্ছে।

    আর একটি কথা হলো ক্যামেরা সেন্সরটি যে কোম্পানি তৈরি করেছে বা এর মধ্যে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে তার উপর ছবির গুনগত মান অনেকাংশে নির্ভর করে। সে দিক থেকে যে কোন কোম্পানীর ক্যামেরা সেন্সরের তুলনায় সনির ক্যামেরা সেন্সর অনেক গুন এগিয়ে।

    আশা করি উত্তরটি বুঝতে পেরেছেন।

    ( এত বড উত্তর লিখতে গিয়ে কোন ভুলত্রুটি হয়ে থাকতে পারে। তাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করছি)

    ( চিত্র উৎস গুগল)

    • 1016 views
    • 1 answers
    • 0 votes
  • Asked on August 19, 2020 in Travel.

    থিবীর সবচেয়ে ছোট দেশ সিল্যান্ড!

    পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট দেশ আমরা সাধারণত বুঝে থাকি ইউরোপের দেশ ভ্যাটিকেন সিটি। কিন্তু এর চেয়েও ছোট দেশ আছে। শূন্য দশমিক ০২৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দেশটির বাসিন্দা মাত্র ৫০ জন (২০১৩ সালের পরিসংখ্যান)। দেশটির নিজস্ব পতাকা, পাসপোর্ট, মুদ্রা সবই আছে।

    উত্তর মহাসাগরে ব্রিটেনের জলসীমায় সাফোক (Suffolk) উপকূলে অবস্থিত পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম এই দেশের নাম প্রিন্সিপ্যালিটি অব সিল্যান্ড।। দেশের রাজধানীও আছে। রাজধানীর নাম এইচএম ফোর্ট রাফস। মুদ্রার নাম সিল্যান্ড ডলার। রাষ্ট্রীয় ওয়েব ঠিকানা Principality of Sealand – Become A Lord Or Lady With Sealand

    আসলে দেশটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত একটি সমুদ্র বন্দর। জার্মান সেনারা যেকোনও সময় ইংল্যান্ড আক্রমণ করতে পারে এমন আশঙ্কা থেকেই ব্রিটিশ সেনা ইংল্যান্ড উপকূলে দূর্গ বানানোর পরিকল্পনা করে। এরই একটি পরিত্যক্ত বন্দর হচ্ছে সিল্যান্ড।

    পৃথিবীর কোনো সার্বভৌম রাষ্ট্র এখনও সিল্যান্ডকে স্বীকৃতি না দিলেও বিরোধিতাও করেনি। তবে বেইটসের দাবি, এটা যেহেতু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার বন্দর সেহেতু ব্রিটেন ও জার্মানি কার্যত স্বীকৃতি দিয়েছে।

    ১৯৬৭ সালে সামরিক বন্দরটি দখল করেন প্যাডি রয় বেইটস এবং এ স্থানকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করেন। মূলত স্থানটি জলদস্যুদের বেতার সম্প্রচার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হতো। বেইটস তাদের কাছ থেকে রাষ্ট্রটি কেড়ে নেন। তার উদ্দেশ্য ছিল সেখানে নিজস্ব স্টেশন স্থাপন করা।

    ১৯৭৫ সালে তিনি সিল্যান্ডকে একটি জাতিরাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেন। তখন তিনি একটি শাসনতন্ত্র এবং একটি রাষ্ট্রের অন্যসব প্রতীকও প্রণয়ন করেন।

    বয়োবৃদ্ধকালে বেইটস মূল ভূখণ্ড এসেক্সে ফিরে যান এবং ছেলে মাইকেলকে নিজের স্থলাভিষিক্ত করেন। তিনি মারা যান ২০১২ সালের অক্টোবরে ৯১ বছর বয়সে। এর পর থেকে বেইটসের প্রতিনিধি তার ছেলে ওই দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন

    • 978 views
    • 1 answers
    • 0 votes