Taariif's Profile

1251
Points

Questions
64

Answers
61

  • Asked on January 3, 2021 in Solution.

    There is no comparison tests for performance across all the editions of Windows 7. But I’ve a perception that Windows 7 Home Basic is the best for most users, it does away with the bloat that most don’t need, it’s the fastest. The reason is simple — Home Basic is the most trimmed down edition among all (discarding Windows 7 Starter that’s of no use in modern times). If you run all the editions of Windows 7 on identical configurations such as identical RAM, Drive, CPU, Programs and Configurations, Windows Home Basic may take the lead (just my wild guess) because it has disabled most of the features that you find in other edition. Here’s a feature comparison (click on the chart below to see the full preview with proper resolution):

    Now it’s your bet to figure out. Choose one over others as per the need.

    • 353 views
    • 1 answers
    • 0 votes
  • Asked on January 3, 2021 in Science.

    মশাগুলো হঠাৎ উধাও হয়ে গেলে কী হবে? মানবতা কি আরও উন্নত হতে পারবে?

    এটি অস্বাভাবিক মনে হতে পারে যে একটি সামান্য পতঙ্গ এতটা মারাত্মক হতে পারে তবে এটি সত্য। মশা ম্যালেরিয়া, হলুদ জ্বর এবং ডেঙ্গু ভাইরাসের মতো রোগ ছড়ায়।

    তারা কোনও বিশেষ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে কামড়ানোর পরে আপনাকে কামড় দিয়ে এবং আপনার শরীরে লালা প্রবেশ করিয়ে দিয়ে তা করে। এরপর তাদের লালা আপনার রক্ত ​​প্রবাহে প্রবেশ করে, মশা যে কোনও ভাইরাস বা ব্যাকটিরিয়াকে আপনার শরীরে প্রবেশ করতে বাধ্য করবে।

    এটি কেবল মানুষের জন্যই খারাপ নয়। বিশ্বজুড়ে পশুপাখি এবং খামার প্রাণিসম্পদ মশার সমস্যায় ভোগে। একটি মাত্র কামড় মারাত্মক হতে পারে।

    সুতরাং, কীভাবে আমরা এই পতঙ্গগুলি থেকে মুক্তি পাব?

    ঠিক আছে, প্রথমে আমাদের বিশ্বে ঠিক কতটি মশা রয়েছে তা বের করতে হবে। এটি গণনা করা অবিশ্বাস্যরকম কঠিন। অনুমান করা হয় যে এগুলির মধ্যে ৭ ট্রিলিয়ন রয়েছে কেবলমাত্র আলাস্কাতে।

    হ্যাঁ, ঠিক আছে, আলাস্কা। গ্লোবাল ওয়ার্মিং, এবং সমুদ্রের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মশা এই জায়গাগুলিতে বাস করতে পারে। এবং বিশ্বজুড়ে, আরও কয়েক ট্রিলিয়ন মশা রয়েছে।

    আমদের কাছে এগুলি থেকে মুক্তি পাওয়ার অনেকগুলি উপায় রয়েছে। বাদুড়রা কোনও ঝুঁকি ছাড়াই মশা খায়। তারা এক ঘন্টায় ৬০০ টি মশা খেতে পারে, তাই তাত্ত্বিকভাবে যদি আমাদের পর্যাপ্ত বাদুড় থাকে তবে তারা কার্যকরভাবে সারা বিশ্ব জুড়ে মশাদের মুছে দিতে পারে। কিন্তু তা-ই যদি হয় তাহলে কীভাবে আমরা আকাশে কোটি কোটি বাদুড় থেকে মুক্তি পাব? ঠিক আছে, সম্ভবত এটি সেরা উপায় হবে না।

    আমাদের আরও একটি জিনিস বুঝতে হবে সেটি হ’ল মশারা কীভাবে প্রজনন করে। আপনি ভাবতে পারেন যে তারা আমাদের রক্ত ​​চুষছে কারণ আমরা তাদের কাছে সুস্বাদু এবং তারা ক্ষুধার্ত। কিন্তু তারা নিজেদের খাওয়ানোর পরিবর্তে তাদের লার্ভাগুলির জন্য এটি করছে।

    আমাদের জিনগতভাবে সংশোধিত পুরুষ মশার ছাড়তে হবে, যেগুলি কামড়ায় না এবং কেবলমাত্র জীবাণুমুক্ত বংশবিস্তার করতে পারে। এই প্রকৃয়াটি কয়েক দশক সময় নিতে পারে, তবে আমাদের জিনগতভাবে সংশোধিত মশার জীবাণুমুক্ত বংশধর উৎপাদনের ফলে মশা শেষ পর্যন্ত নির্মূল হবে।

    সুতরাং এখন তারা চলে গেছে, তারপরে কী হবে? ঠিক আছে, প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ অসুস্থ হয়ে মারা যাবেন না। কামড়ানোর কোনও আশঙ্কা ছাড়াই আপনি গ্রীষ্মে বাইরে ঘুরে বেড়ানো উপভোগ করতে পারবেন এবং পশুপাখিও অনেক বেশি নিরাপদ হবে।

    এটা ঠিক যে আমরা সমস্ত মশা থেকে পরিত্রাণ পেলে খুব খারাপ কিছু ঘটবে না। কিন্তু জীবনচক্রের কি হবে?

    মশা কি খাদ্য শৃঙ্খলে কোন অবদান রাখে না? অবশ্যই, কিছু পাখি, বাদুড় এবং ব্যাঙগুলি প্রচুর পরিমাণে মশা খায় তবে মশাখেকো প্রাণীগুলো এখনও অন্য প্রাণীর খাবার হিসেবে উল্লেখযোগ্য অংশ নয় আবার এই প্রাণীগুলি মশা ছাড়াই বেঁচে থাকতে পারবে।

    যদিও মশা গাছগুলিকে পরাগায়িত করে, কিন্তু গাছের প্রজাতিগুলিকে বাঁচিয়ে রাখার পক্ষে তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ নয়।

    কিন্তু তবুও, মশার হাত থেকে মুক্তি পাওয়াটা কী সঠিক কাজ হবে? সর্বোপরি, আমরা একটি সম্পূর্ণ প্রজাতি থেকে মুক্তি পাব।

    আমাদের মনে রাখা উচিত যে হাজার হাজার বিভিন্ন প্রজাতির মশা রয়েছে কিন্তু তাদের মধ্যে মাত্র ৬% আমাদের কামড় দেয় এবং রোগ ছড়ায়। কেবল তা-ই নয়, এমন কিছু তত্ত্ব মতে মশা আমাজন রেইন ফরেস্টকে রক্ষা করতে সহায়তা করতে পারে।

    এর কারণ তারা রেইনফরেস্ট কেটে ফেলার চেষ্টা করে এমন লোকদের জন্য এতটাই মারাত্মক এবং বিরক্তিকর যে মাঝে মাঝে পতঙ্গগুলি এটি করতে বাধা দেয়। তবে জনসংখ্যা অবিশ্বাস্যভাবে দ্রুত বাড়ছে।

    হতে পারে মশারা আমাদের জনসংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করছে। এটি অবশ্যই একটি ভাল জিনিস হবে।

    • 986 views
    • 1 answers
    • 0 votes
  • Asked on October 28, 2020 in Travel.

    সবার অবস্থা যে এক হবে এমন না। ওয়েদার খারাপ হলে বাবু অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। আমিও সবার সাহস পেয়ে গেছিলাম ৯ মাসের বাচ্চা নিয়ে কক্সবাজার। তাও ফেনী থেকে। কিন্তু সমুদ্রের বাতাসে ওর অনেক ঠান্ডা লেগে যায়, কফ জমে জ্বর এসে খারাপ অবস্থা। কোন লাভ হয় নাই যেয়ে।

    • 997 views
    • 1 answers
    • 0 votes
  • Asked on October 25, 2020 in Internet.

    বিশ্বের সবচেয়ে বড় হ্যাকার হচ্ছে কেভিন ডেভিড মিটনিক। যিনি যুক্তরাষ্ট্রের একজন সাজা প্রাপ্ত হ্যাকার। এবং সেই সময়কার পুলিশদের নিকট মোস্ট ওয়ান্টেড হ্যাকার। তাকে ফাদার অফ হ্যাকার বলা হয়।

    চিত্রঃ কম্পিউটারে ব্যস্ত কেভিন মিটনিক

    মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি হ্যাকিং নিয়ে কাজ শুরু করে। তিনি প্রাথমিক জীবনে ‘সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং’ ব্যবহার করে লস এঞ্জেলসের বাসে পাঞ্চ কার্ড হ্যাকিং করেন, যাতে অনায়েসে ফ্রী রাইড করা যেত। এর ফলে তাদের ১৬০০০০ ডলার ক্ষতি হয়েছিলো [সূত্র-১]

    ১৯৭৯ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে তার বন্ধুর মাধ্যমে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের নেটওয়ার্ক আরপানেটের অ্যাকসেস পেয়ে যায়। সেটা হ্যাক করে তাদের স্পর্শকাতর ফাইল দেখেন কেভিন মিটনিক।

    এরপর তিনি মটোরোলা, নকিয়া, ফুজিৎসুর মতো বড় প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার হ্যাক করেছিলেন [সূত্র-২]। তার হ্যাকিং বিদ্যার জন্য তাকে গ্লেন কেজ উপাধি দেওয়া হয়।

    মিটনিক, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ক্যালোলিনার ছাত্র ছিলেন। এফবিআই ১৯৯৫ সালে উপরোক্ত অপরাধ সমূহের জন্য তাকে গ্রেপ্তার করেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বহু ওয়েবসাইট হ্যাক করার অভিযোগ উঠেছিলো।

    ১৯৮৮ সালে ডিইসি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট হ্যাক করায় তিনি ১ বছর জেল খাটেন। এরপরে আর একটি হ্যাকিং এর ঘটনাতে তার এরেস্ট ওয়ারেন্টি ইস্যু হলে সে ২.৫ বছর পালাতক থাকেন। এরপরে ১৯৯৫ সালে তাকে মটোরোলা, নকিয়া ও পাঞ্চ কার্ড হ্যাকিং এর জন্য গ্রেপ্তার করে ৫ বছরের জন্য জেলে পাঠানো হয়।

    ২০০০ সালে কেভিন এই বলে মুক্তি পান যে, তিনি ২০০৩ সালের আগে তিনি কোনো কম্পিউটার, সেল ফোন এবং ইন্টারনেট ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না।

    বর্তমানে তিনি নিজের মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি মিটনিক সিকিউরিটি কনসালটিং -এ সিক্যুরিটি কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করছেন।

    • 1034 views
    • 1 answers
    • 0 votes
  • Asked on October 14, 2020 in Outsourcing.

    অনলাইন সার্ভে কি?

    বিভিন্ন কোম্পানী তাদের পন্যের সম্পর্কে সাধারন মানুষের মত জানতে চায়।
    এজন্য তাদেরকে জড়িপ করতে হয়। তাদের পন্যের অবস্থান, প্রতিদ্বন্দি অন্য কোন পন্য কেমন ব্যবসা করছে, সেগুলি কেন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে, মানুষ কি দেখে পন্য পছন্দ করে, কিভাবে পন্যের কথা জানে ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে নিজেদের পরিকল্পনা ঠিক করে।
    একাজ অনলাইনে করা তুলনামুলক সহজ। পিটিসি সাইটের মত সার্ভে কাজে সহযোগিতা করার জন্যও রয়েছে বহু প্রতিষ্ঠান। তাদের সাথে চুক্তি করলে তারা প্রশ্ন তৈরী করে সেগুলি অনলাইনে ব্যবহার করে।

    আপনার প্রথম কাজ তাদের সদস্য হওয়া। এরপর তাদের সাইটে বিভিন্ন জড়িপের তালিকা পাবেন।
    ক্লিক করে ওপেন করবেন। সেখানে পাবেন নানা ধরেনের প্রশ্নের একটি ফরম।
    আপনার কাজ সেটা পুরন করা। বিভিন্ন ধরনের সার্ভের জন্য প্রশ্ন কম-বেশি, সহজ বা জটিল হতে পারে। তার সাথে মিল রেখে অর্থের পরিমান কম বেশি হয়। একেবারে সাধারন জড়িপের জন্য কয়েক সেন্ট থেকে কিছুটা বড় ফরমের জন্য কয়েক ডলার পর্যন্ত পেতে পারেন।

    এই লেখাটিও এক নজরে পড়ে নিতে পারেন।
    অনলাইন সার্ভে সাইট:
    ১. SwagBucks

    পেমেন্ট পদ্ধতি: PayPal Cash, Amazon Gift Cards, Walmart Gift Cards, All Gift Cards

    প্রত্যেক সার্ভেতে আয়: ৩০ -১৫০ SB (১০০ SB = ১ ডলার)

    ২. Toluna

    পেমেন্ট পদ্ধতি: PayPal, Amazon Gifts Card

    প্রত্যেক সার্ভেতে আয়: ১২০০ – ৫০,০০০ পয়েন্ট (৮০,০০০ পয়েন্ট এ ১৫ ইউরো)

    ৩. OnePoll

    পেমেন্ট পদ্ধতি: PayPal, Cash

    প্রত্যেক সার্ভেতে আয়: প্রায় ১ ইউরো
    ৪. Branded Surveys

    পেমেন্ট পদ্ধতি: Money or gift cards.

    প্রত্যেক সার্ভেতে আয়: অনির্দিষ্ট

    • 994 views
    • 1 answers
    • 0 votes
  • Asked on August 17, 2020 in Accessories.

    আপনি খুব চমৎকার ও যুগপোযোগী প্রশ্ন করেছেন

    তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) নতুন একটি সিলিন্ডারের মেয়াদ থাকে ১০ বছর। সিলিন্ডারের গায়ে খোদাই করে উৎপাদনের তারিখ লেখা থাকে। এরপর ১০ বছর সেটি নিরাপদ। এরপর এসব সিলিন্ডার পরীক্ষা করার নিয়ম। পরীক্ষায় যেসব সিলিন্ডার নিরাপদ বলে গণ্য হয়, সেগুলো আবার ১০ বছরের জন্য বাজারে ছাড়া যায়। ফলে একটি সিলিন্ডারের মেয়াদ আছে কি না, তা দেখা যাবে সিলিন্ডারের গায়েই। রান্নার জন্য ঘরে আনার আগে মেয়াদ দেখে নেওয়া ভালো।

    কিভাবে জানা যাবে সিলিন্ডার মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ:

    ছবিতে মার্ক করা কালো রংগের লেখা দেখা যাচ্ছে। এটাই হল এক্সপায়ারি ডেট বা মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ। এখানে A,B,C,D সংকেত দিয়ে লেখা থাকে।

    A= বছরের প্রথম তিন মাস জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ।

    B= তার পরের তিন মাস এপ্রিল, মে, জুন।

    C= তার পরের তিন মাস জুলাই, আগষ্ট, সেপ্টেম্বর।

    D= বছরের শেষ তিন মাস অক্টোবর, নভেম্বর, ডিসেম্বর।

    আর সবার শেষে বছরের শেষ দুই ডিজিট থাকে, অর্থাৎ C13 (2013 সাল)। যদি D18 থাকে তারমানে হল 2018 সালের অক্টোবর, নভেম্বর, ডিসেম্বর মাসেই আপনার সিলিন্ডারের মেয়াদ শেষ।

    • 987 views
    • 1 answers
    • 0 votes
  • Asked on July 26, 2020 in Accounting.

    আসলে একটি দেশ কি পরিমান মুদ্রা ছাপাতে পারবে তা নির্ধারণ করে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অবস্থিত মোট সম্পদের পরিমানের উপর. একটি দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যে পরিমান সোনা রুপা ও অন্নান্য সম্পদ এর রিজার্ভ রয়েছে, সে পরিমান মুদ্রা ওই দেশটিতে থাকবে । কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উক্ত রিজার্ভ সম্পদের উপর ভিত্তি করে দেশের আর্থিক অবস্থা পরিচালিত হয়। দেশের অভ্যন্তরে মুদ্রার বিনিময় সংঘঠিত হয়. তাছাড়া কোনো দেশের অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান এবং দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম সচল রাখতেও মুদ্রার বিনিময় গুরুত্তপূর্ণ।

    বর্তমানে উন্নত দেশগুলোতে কারেন্সির পরিবর্তে ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রচলন বেড়েছে। এতে করে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা আরো উন্নত হচ্ছে। যেমন বিটকয়েন একটি আন্তর্জাতিক ক্রিপ্টোকারেন্সি। তবে বর্তমান বিশ্বের অর্থনৈতিক যে স্থবিরতা চলছে এর কারণে বিটকয়েন এর দাম দিন দিন পরিবর্তিত হচ্ছে। তাই কেউ যদি মনে করে যে সঠিক মূল্যে বিটকয়েনটি পরিবর্তিত করে মুদ্রায় রূপান্তরিত করবে, তবে সেক্ষেত্রে তাকে একটি ভাল ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিময় সংস্থার কাছে যেতে হবে সঠিক মূল পাবার জন্য। কিন্তু সব কোম্পানি বা অনলাইন সাইট সমান মূল আপনাকে সরবরাহ করবে না। তবে কিছু প্রতিষ্ঠান এবং অনলাইন সাইট রয়েছে যারা আপনাকে সঠিক মূল সরবরাহ করতে পারে। যেমন Exchange KIWI For Bitcoin একটি এমন সাইট যারা সর্বদা সঠিক এক্সচেঞ্জ মূল্য আপনাকে সরবরাহ করবে।

    তাছাড়া , একটি দেশ যদি তাদের রিজার্ভের অতিরিক্ত মুদ্রা ছাপায় তবে এতে করে তাদের অর্থনৈতিক হিসাবের গোলযোগ দেখা দিতে পারে। যা কোন দেশের জন্যই মঙ্গলকর নয়।

    ধন্যবাদ।

    • 1056 views
    • 1 answers
    • 0 votes
  • Asked on July 21, 2020 in Clothing.
    ইসলামের দৃষ্টিতে তাবিজ-কবচের বিধান :
    আমাদের দেশে কতক পীর-ফকির, আলেম-জাহেল, কি শিক্ষিত, কি অশিক্ষিত অনেকেই তাবিজ-কবচ, তাগা, কড়ি, সামুক, ঝিনুক ও গাছ-গাছালির শিকর-বাকর ইত্যাদি দিয়ে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করেন এবং ইহা বৈধ ও জায়েজ মনে করেন। এ সম্পর্কে বাজারে কিছু বই পুস্তক পাওয়া যায়, সে সব বইয়ে নির্ধারিত বিষয়ে গ্রহণ যোগ্য কোন দলিল নেই, আছে কিছু মনগড়া কিচ্ছা-কাহিনী, অসংখ্য তদবিরের বর্ণনা ও তার বানোয়াট ফাজায়েল। এ সব বই পড়ে কেউ কেউ বিপদাপদ, দুঃখ-কষ্ট, অভাব-অনটন, রোগ, যন্ত্রণা থেকে মুক্তি লাভের আশায় বিভিন্ন তদবির ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ হয় ও তা গ্রহণ করে। তারা এ ধরণের চিকিৎসার মূল্যায়ন ও তার বৈধতা-অবৈধতা সম্পর্কে পুরোপুরি অজ্ঞ। আমি অত্র নিবন্ধের মাধ্যমে এ বিষয়টির তত্ত্ব ও স্বরূপ উদ্ঘাটন এবং ইসলামের দৃষ্টিতে তার হুকুম বর্ণনার প্রয়াস পেয়েছি।
    এক. সাহাবি ইমরান বিন হুসাইন রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত :
    أن النبي صلى الله عليه وسلم رأى رجلا في يده حلقة من صفر فقال ما هذه قال من الواهنة قال انزعها فإنها لا تزيدك إلا وهنا فإنك لو مت وهي عليك ما أفلحت أبدا (أحمد ابن ماجة و حاكم)
    একদা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তির হাতে তামার চুড়ি দেখে বললেন, এটা কি? সে বলল: এটা অহেনার অংশ। {অহেনার অর্থ এক প্রকার হাড়, যা থেকে কেটে ছোট ছোট তাবিজ আকারে দেয়া হয়।} তিনি বললেন: এটা খুলে ফেল, কারণ এটা তোমার দূর্বলতা বাড়ানো ভিন্ন কিছুই করবে না। যদি এটা বাঁধা অবস্থায় তোমার মৃত্যু হয়, তবে কখনও তুমি সফল হবে না।’ (মুসনাদে আহমদ, হাকেম ও ইবনে মাজাহ) হাদিসটি সহিহ্।
    দুই. উকবা বিন আমের রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূলকে বলতে শুনেছি:
    من تعلق تميمة فلا أتم الله له ومن تعلق ودعة فلا ودع الله له. (أحمد وحاكم)
    ‘যে ব্যক্তি তাবিজ লটকালো, আল্লাহ তাকে পূর্ণতা দেবেন না, আর যে কড়ি ব্যবহার করবে, আল্লাহ তাকে মঙ্গল দান করবেন না।’ আহমদ, হাকেম।
    তিন. উকবা বিন আমের আল-জোহানি রাদিআল্লাহু আনহু বলেন :
    أن رسول الله صلى الله عليه وسلم أقبل إليه رهط فبايع تسعة وأمسك عن واحد فقالوا يا رسول الله بايعت تسعة وتركت هذا قال: إن عليه تميمة فادخل يده فقطعها فبايعه وقال من علق تميمة فقد أشرك. (أحمد وحاكم)
    ‘একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে একদল লোক উপস্থিত হল। তিনি দলটির নয়জনকে বায়আত করলেন একজনকে করলেন না। তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! নয়জনকে বায়আত করলেন একজনকে করলেন না? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: তার সাথে তাবিজ রয়েছে। অতঃপর তিনি স্বহস্তে তা ছিড়ে ফেললেন এবং তাকে বায়আত করলেন, আর বললেন, যে ব্যক্তি তাবিজ ব্যবহার করল সে শিরক করল।’ সহিহ মুসনাদে আহমদ, হাকেম।
    চার. একদা হুজায়ফা রাদিআল্লাহু আনহু এক ব্যক্তির হাতে জ্বরের একটি তাগা দেখতে পেয়ে তা কেটে ফেলেন। অতঃপর তিনি তিলাওয়াত করেন :
    وَمَا يُؤْمِنُ أَكْثَرُهُمْ بِاللَّهِ إِلَّا وَهُمْ مُشْرِكُونَ ﴿106﴾يوسف: ١٠٦
    তাদের অধিকাংশ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, তবে শিরক করা অবস্থায়।’ {ইউসুফ : ১০৬} তাফসিরে ইবনে কাসির। এ থেকে প্রমাণিত হয়, সাহাবি হুজায়ফার মতে তাগা ব্যবহার করা শিরক।
    পাঁচ. বুখারি ও মুসলিমে বর্ণিত, আবু বশির আনসারি রাদিআল্লাহু আনহু কোন এক সফরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গী ছিলেন। সে সফরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক ব্যক্তিকে এ নিদের্শ দিয়ে পাঠালেন,
    ‘কোনও উটের গলায় ধনুকের ছিলা অথবা বেল্ট রাখবে না, সব কেটে ফেলবে।’
    ছয়. আবু ওয়াহহাব রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
    وارتبطوا الخيل وامسحوا بنواصيها وأكفالها وقلدوها ولا تقلدوها الأوتار. (النسائ )
    ঘোড়া বেঁধে রাখ, তার মাথায় ও ঘাড়ে হাত বুলিয়ে দাও এবং লাগাম পরিয়ে দাও। তবে ধনুকের ছিলা ঝুলিয়ো না। সুনানে নাসায়ী।
    সাত. আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিআল্লাহর স্ত্রী জয়নব রাদিআল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন:
    একদিন আব্দুল্লাহ বাড়িতে এসে আমার গলায় তাগা দেখতে পান। তিনি বললেন, এটা কী? আমি বললাম, এটা পড়া তাগা। এতে আমার জন্য ঝাঁড়-ফুঁক দেয়া হয়েছে। তা নিয়ে তিনি কেটে ফেললেন এবং বললেন, আব্দুল্লাহর পরিবার শিরক থেকে মুক্ত। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি :
    إن الرقى والتمائم والتولة شرك (أحمد ابن ماجة وحاكم)
    ঝাড়-ফুঁক, সাধারণ তাবিজ ও ভালোবাসা সৃষ্টির তাবিজ ব্যবহার করা নিঃসন্দেহে শিরক। [আহমদ, হাকেম, ইবনে মাজাহ]
    আট. তাবেয়ি আব্দুল্লাহ বিন উকাইম সরাসরি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
    من تعلق شيئا وكل إليه (أحمد ابن ماجة وحاكم)
    যে ব্যক্তি কোন কিছু ধারণ করবে, তাকে ঐ জিনিসের কাছেই সোপর্দ করা হবে।’ [আহমদ, তিরমিজি]
    এ সব দলিলের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, তাবিজ ব্যবহার করা হারাম ও শিরক।
    তাবিজ ইত্যাদি ব্যবহার করা ছোট শিরক না বড় শিরক?
    কেউ যদি তাবিজ-কবচ, মাদুলি-কড়ি, সামুক-ঝিনুক, গিড়া, হাঁড়, তাগা-তামা-লোহা বা অনুরূপ কোন ধাতব বস্তু গলায় বা শরীরের কোথায়ও ধারণ করে এবং এ ধারণা পোষণ করে যে, ঐ গুলো বালা-মুসিবত দূর করার ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ ক্ষমতা রাখে, তবে তা বড় শিরক। আর যদি এ ধরনের ধারণা না হয়, তবে তা ছোট শিরক।
    শায়খ সুলাইমান বিন আব্দুল্লাহ বলেছেন, বালা-মুসিবত দূর করার উদ্দেশ্যে গিড়া, তাগা পরিধান করা ছোট শিরক। অর্থাৎ যদি তা মাধ্যম বা উসিলা মনে করে ব্যবহার করা হয়।
    শায়খ আব্দুল আজিজ বিন বাজ বলেছেন, শয়তানের নাম, হাড়, পূঁতি, পেরেক অথবা তিলিস্মা অর্থাৎ অর্থবিহীন বিদঘুটে শব্দ বা অক্ষর প্রভৃতি বস্তু দিয়ে তাবিজ বানানো ছোট শিরকের অন্তর্ভুক্ত। ফাতহুল মাজিদ গ্রন্থের টীকায় তিনি আরো বলেছেন : তাবিজ ব্যবহার করা জাহেলি যুগের আমল।
    ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় তাবিজ-কবচ অনেক ধর্মের প্রতিকি চিহ্ন ছিল। যেমন হিন্দু পুরোহিতদের মাদুলী ধারণ করা, বিশেষ করে কালী শিবের পূজায়। উয়ারী সম্প্রদায়ের আকীদার অন্যতম প্রতিক ছিল বিভিন্ন ধরণের তাবিজ।
    শায়খ হাফেজ হেকমি বলেন: ‘কুরআন ও হাদিস ব্যতীত, ইহুদিদের তিলিসমাতি, মূর্তি পূজারী, নক্ষত্র পূজারী, ফেরেশতা পূজারী এবং জিনের খিদমত গ্রহণকারী বাতিল পন্থীদের তাবিজ ব্যবহার; অনুরূপভাবে পূঁতি, ধনুকের ছিলা, তাগা এবং লোহার ধাতব চুড়ি ইত্যাদি ব্যবহার করা নিঃসন্দেহে শিরক। কারণ, এগুলো সমস্যা সমাধানের বৈধ উপায় কিংবা বিজ্ঞান সম্মত ঔষধ নয়।
    এ হল সেসব তাবিজ কবচের হুকুম যাতে কুরাআনের আয়াত, হাদিসের দোয়া দরুদ ইত্যাদি ব্যবহার করা হয় না তার।
    কুরআন-হাদিসের তাবিজ :
    হ্যাঁ, যে সব তাবিজ-কবচে কুরআন হাদিস ব্যবহার করা হয় সে ব্যাপারে আলেমদের মাঝে মতভেদ রয়েছে। এক শ্রেণীর আলেম কুরআন-হাদিসে বর্ণিত দুআ সমূহের তাবিজ ব্যবহার করা বৈধ মনে করেন। যেমন, সাঈদ বিন মুসাইয়িব, আতা আবু জাফর আল-বাকের, ইমাম মালেক। এক বর্ণনা মতে ইমাম আহমদ, ইবনে আব্দুল বার, বাইহাকি, কুরতুবি, ইবনে তাইমিয়া, ইবনে কাইয়িম এবং ইবনে হাজারও রয়েছেন। তাদের দলিল, আল্লাহ তাআলা বলেন,
    وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآَنِ مَا هُوَ شِفَاءٌ وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ وَلَا يَزِيدُ الظَّالِمِينَ إِلَّا خَسَارًا ﴿82﴾ الإسراء: ٨٢
    আর আমি কুরআনে এমন বিষয় নাযিল করেছি যা রোগের সু-চিকিৎসা এবং মুমিনদের জন্য রহমত।’ {ইসরা:৮২}
    كِتَابٌ أَنْزَلْنَاهُ إِلَيْكَ مُبَارَكٌ (ص 29)
    এক কল্যাণময় কিতাব, ইহা আমি তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছি। {সাদ:২৯}
    সাহাবি আব্দুল্লাহ বিন আমরের ব্যক্তিগত আমল সম্পর্কে বর্ণিত আছে, তিনি নিজ ছোট বাচ্চা, যারা দোয়া মুখস্থ করতে অক্ষম, তাদেরকে অনিষ্ট থেকে রক্ষার জন্য গায়ে দোয়ার তাবিজ ঝুলিয়ে দিতেন। দোয়াটি এই:
    بسم الله أعوذ بكلمات الله التامات من غضبه وعقابه وشر عباده ومن همزات الشياطين وأن يحضرون (أحمد والترمذي وأبوداود)
    ‘আল্লাহর নামে তাঁর পরিপূর্ণ বাণী সমূহের মাধ্যমে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। তাঁর গজব ও শাস্তি থেকে, তাঁর বান্দাদের অনিষ্টতা থেকে এবং শয়তানদের কুমন্ত্রণা ও তাদের উপস্থিতি থেকে।’ (আহমদ, তিরমিজি, আবু দাউদ) হাদিসটি হাসান।
    পক্ষান্তরে অধিকাংশ সাহাবি ও তাদের অনুসারীদের মতে কুরআন ও হাদিসের তাবিজ ব্যবহার করাও নাজায়েজ। তাদের মধ্যে রয়েছেন: আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ, ইবনে আব্বাস, হুযাইফা, উকবা বিন আমের, ইবনে উকাইম, ইব্রাহিম নখয়ি, একটি বর্ণনা অনুযায়ী ইমাম আহমদ, ইবনুল আরাবি, শায়খ আব্দুর রহমান বিন হাসান, শায়খ সুলাইমান বিন আব্দুল ওয়াহহাব, শায়খ আব্দুর রহমান বিন সাদি, হাফেজ আল-হেকমি এবং মুহাম্মদ হামিদ আলফাকি। আর সমসাময়ীক মনীষীদের মধ্যে আছেন শায়খ আলবানি ও শায়খ আব্দুল আজিজ বিন বাজ।
    তারা বলেন,
    উল্লেখিত আয়াত দ্বারা তাবিজের বৈধতা প্রমাণিত হয় না। উপরন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরআনের দ্বারা চিকিৎসা করার স্বরূপ স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন, আর তা হচ্ছে কুরআন তিলাওয়াত করা এবং সে অনুযায়ী আমল করা। এ ছাড়া কুরআনের আয়াত তাবিজ আকারে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে কোন প্রমাণ নেই, এমনকি সাহাবাদের থেকেও।
    তা ছাড়া ইমাম আবু দাউদ বলেছেন, সাহাবি আব্দুল্লাহ বিন আমেরের বর্ণিত হাদিসের সূত্র (সনদ) হাদিস বিশারদদের নিকট বিশুদ্ধ নয়। আর শুদ্ধ হলেও এটা তার একার আমল, যা অসংখ্য সাহাবির বিপরীত হওয়ার ফলে এবং এর স্বপক্ষে কোন দলিল না থাকার কারণে আমাদের জন্য প্রযোজ্য নয়।
    আরেকটি কারণ, যেসব দলিলের মাধ্যমে তাবিজ নিষিদ্ধ প্রমাণিত হয়েছে, সেসব দলিলে পৃথক করে কুরআন-হাদিসের তাবিজ বৈধ বলা হয়নি। যদি বৈধ হত, তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবশ্যই তা বলে দিতেন। যেমন তিনি শিরক মুক্ত ঝাড়-ফুকের ব্যাপারটি অনুমতি দিয়েছেন। মুসলিমের বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
    قال اعرضوا علي رقاكم لا بأس بالرقى مالم يكن فيها شرك (رواه مسلم)
    ‘তোমাদের ঝাড়-ফুঁক আমার কাছে পেশ কর, ওটা শিরকের আওতাধীন না হলে তাতে কোন বাধা নেই।’ [মুসলিম]
    পক্ষান্তরে তিনি তাবিজ সম্পর্কে এরূপ কিছু বলেননি।
    দ্বিতীয়ত. সাহাবি আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের ছাত্র ইব্রাহিম নখয়ি বলেন, তারা অর্থাৎ আব্দুল্লাহ বিন মাসউদের সঙ্গী-সাথী ও শিষ্যগণ কুরআন বা কুরআনের বাইরের সব ধরণের তাবিজ অপছন্দ করতেন। যেমন আলকামা, আসওয়াদ, আবু ওয়ায়েল, হারেস বিন সোয়ায়েদ, ওবায়দা সালমানি, মাসরুক, রাবি বিন খায়সাম এবং সোয়ায়েদ বিন গাফলাহ প্রমুখ তাবেয়িগণ।
    {ফতহুল মজিদ}
    তৃতীয়ত. অবৈধ পন্থার পথ রুদ্ধ করার জন্য শরিয়ত অনেক বৈধ কাজও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, সে হিসেবে নিষিদ্ধ তাবিজ থেকে উম্মতকে হিফাজত করার লক্ষ্যে বৈধ তাবিজও নিষিদ্ধ করা উচিত। কারণ এ পথ খোলা রাখলে বাতিল তাবিজপন্থীরা সাধারণ মানুষের মন আল্লাহর ওপর ভরসা থেকে বিমুখ করে, তাদের লিখিত তাবিজের প্রতি আকৃষ্ট করে ফেলার সুযোগ পাবে। শুধু তাই নয়, ঐ সব শয়তানদের প্ররোচনার কারণে কতক সাধারণ মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। আর তারা মানুষের আসক্তি দেখে তাদের সহায়-সম্পদ লুটে নেয়ার ফন্দি আটে। যেমন, তাদেরকে বলে, তোমাদের পরিবারে, ধন সম্পত্তিতে বা তোমার ওপর এরূপ বিপদ আসবে। অথবা বলে, তোমার পিছনে জিন লেগে আছে ইত্যাদি। এভাবে এমন কতগুলো শয়তানি কথা-বার্তা তুলে ধরে যা শুনে সে মনে করে, এ লোক ঠিকই বলছে। সে যথেষ্ট দয়াবান বলেই আমার উপকার করতে চায়। এভাবেই সরলমনা মূর্খ লোকেরা তাদের কথায় বিশ্বাস করে ও অতঃপর ভয়ে অস্থির হয়ে যায়, আর তার কাছে সমাধান তলব করে। তাই তাবিজ কুরআন-হাদিসের হলেও ব্যবহার করা, রুগির বালিশের নীচে রাখা বা দেয়ালে ঝোলানো নাজায়েজ বলাই অধিকতর শ্রেয়।
    একটি সংশয় : অনেকে বলে থাকেন, তাবিজ, কবচ ইত্যাদি আমরা দোয়া-দরুদ ও প্রাকৃতিক ঔষধের ন্যায় ব্যবহার করি। যদি তার অনুমোদন থাকে তবে তাবিজ কবচ নিষিদ্ধ কেন?
    এর উত্তর হচ্ছে : অসুখ-বিসুখ ও বালা-মুসিবত থেকে মুক্তি পাওয়ার পদ্ধতি দুইটি :
    এক. যা সরাসরি কুরআনের আয়াত বা রাসূলের হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। একে শরিয়তি উপায় বা চিকিৎসা বলা যেতে পারে। যেমন ঝাঁড় ফুক ইত্যাদি, যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করে দেখিয়েছেন এবং যার বর্ণনা হাদিসের বিভিন্ন কিতাবে রয়েছে। এ গুলো আল্লাহর ইচ্ছায় বান্দার মঙ্গল সাধন বা অমঙ্গল দূর করে।
    দুই. প্রাকৃতিক চিকিৎসা অর্থাৎ বস্তু ও তার প্রভাবের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক, যা খুবই স্পষ্ট এমনকি মানুষ সেটা বাস্তবে অনুভব ও উপলব্ধি করতে পারে। যেমন: বিভিন্ন কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি করা ঔষধ। ইসলামি শরিয়ত এগুলো ব্যবহার করার জন্য উৎসাহ প্রদান করেছে। কারণ, এগুলো ব্যবহার করার অর্থই হচ্ছে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা, যিনি এ সব জিনিসে নির্দিষ্ট গুণাবলি দান করেছেন এবং তিনি ইচ্ছা করলে যে কোন সময় এসব বস্তুর গুন ও ক্রিয়া বাতিল করে দিতে পারেন। যেমন তিনি বাতিল করেছিলেন ইব্রাহিমের আলাইহিস সালামের জন্য প্রজ্বলিত আগ্নির দাহন ক্রিয়া। কিন্তু তাবিজ ইত্যাদির মধ্যে আদৌ কোন ফলদায়ক প্রভাব নেই এবং তা কোন অমঙ্গল দূর করতে পারে না। এতে জড় বস্তুর কোন প্রভাবও নেই। তাছাড়া, মহান আল্লাহ এগুলোকে কোন শরয়ি মাধ্যম হিসেবে নির্ধারণ করেননি। মানুষও স্বাভাবিকভাবে এগুলোর কোন প্রভাব প্রতিক্রিয়া দেখে না, অনুভবও করতে পারে না। এ জন্য অনেকে বলেছেন, এগুলোর ওপর ভরসা করা, মুশরিকদের ন্যায় মৃত ব্যক্তি ও মূর্তির ওপর ভরসা করার সমতুল্য; যারা শুনে না, দেখে না, কোন উপকারও করতে পারে না, আর না পারে কোন ক্ষতি করতে। কিন্তু তারা মনে করে, এগুলো আল্লাহর কাছ থেকে তাদের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে, অথবা অমঙ্গল প্রতিহত করবে।
    উদাত্ত আহব্বান : এখনো যে সব আলেম-ওলামা তাবিজ-কবচ নিয়ে ব্যস্ত তাদের দরবারে আমার সবিনয় অনুরোধ, এর থেকে বিরত থাকুন। বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগ, সাধারণ মানুষ খুব সহজেই টিবি চ্যানেল, ইন্টারনেট ও বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারছে যে, তাবিজ-কবচ বৈধ নয় বা ইসলামে এর কোন স্বীকৃতিও নেই। এমতাবস্থায় যারা তাবিজ-কবচ করেন বা বৈধ বলেন তাদের ব্যাপারে তারা বিব্রতকর অবস্থায় পতিত হন। আল-হামদু লিল্লাহ, বর্তমান সময়ে আরবি শিক্ষিত ও সাধারণ শিক্ষিত অনেক ব্যক্তি, বিশেষ করে তরুন প্রজন্ম তাবিজ-কবজের অসারতা বুঝতে পেরে এর বিরোদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। নিজে রিবত থাকছেন এবং অপরকে বিরত থাকার জন্য উদ্বুদ্ধ করছেন। যেহেতু এটা আকীদার বিষয়, তাই এখানে শিথিলতার কোন সুযোগ নেই। অতএব, এ থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে অনুরোধ করছি। আল্লাহ সহায়।
    • 1025 views
    • 1 answers
    • 0 votes
  • Asked on July 21, 2020 in Solution.

    ধরুন আমি আপনাকে আমন্ত্রণ জানালাম আমার বাড়িতে, আপনি যথারীতি আমার বাড়িতে আমন্ত্রিত হলেন এবং আমাকে আপনার বাড়ি যাবার জন্য নিমন্ত্রণ করে গেলেন|😊

    এবার জেনে নেয়া যাক আমন্ত্রণ এর অর্থ, আমন্ত্রণ 👉আসিবার জন্য অনুরোধ, স্বাগত সম্ভাষণ।

    নিমন্ত্রণ 👉 ভোজনার্থ আহ্বান

    এবার ধরুন আপনাকে আমি আমন্ত্রণ জানিয়েছি মানে আমার বাড়িতে আসবা জন্য অনুরোধ করলাম, লৌকিকতার জন্য আমি আপনাকে শুধুমাত্র চা পান করতে দিলাম, আপনি হয়তো ভেবেছিলেন আপনার জন্য আমি প্রীতিভোজের ব্যবস্থা করবো তাই আপনি সেই আশাতেই আছেন কিন্তু বাস্তবে তা হলো না, কারণ ওই যে আমি আপনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি, যার মানে আমি আপনার ভোজের ব্যবস্থা করবো কী না করবো সেটা আমার পছন্দ l

    আর কেউ যদি আপনাকে নিমন্ত্রণ করে তাহলে আপনি কব্জি ডুবিয়ের খাবার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে যাবেন l

    • 985 views
    • 1 answers
    • 0 votes
  • Asked on July 9, 2020 in Computer.
    • Microsoft Office 95
    • Microsoft Office 97
    • Microsoft Office 2000
    • Microsoft Office XP (2002)
    • Microsoft Office 2003
    • Microsoft Office 2007
    • Microsoft Office 2010
    • Microsoft Office 2013
    • Microsoft Office 2016
    • Microsoft Office 2019

    I look at the above progression, and am pretty sure there will not be Microsoft Office 2020.

    In fact, I’m not even certain there will be any successor to Microsoft Office 2019. Microsoft wants their customers to switch to the subscription version Microsoft Office 2016/Office 365.

    The subscription version, even with an “older” seeming name is actually the latest and greatest version. You get updates every month (home users) or every 6 months (business users), and the pace of progress far exceeds what we saw from Office 95 through 2003, or from Office 2007 through 2016.

    As an Excel power user, Office 2016/Office 365 gave me live stock prices (time delayed), major speed improvement in lookup functions, and dynamic arrays. It also brought new functions like TEXTJOIN, SORTBY, FILTER and XLOOKUP. And the scientific/engineering world finally got icons for superscript and subscript that you could plunk on the QAT and reference with keyboard shortcuts. Perpetual license users weren’t invited to this party, and can only look over my workbooks enviously.

    • 484 views
    • 1 answers
    • 0 votes