1731
Points
Questions
64
Answers
109
-
Asked on September 29, 2020 in Facebook.
ফেসবুক ফ্যান পেজ তৈরি করে আয়
ফেসবুক এর অসাধারন সব ফিচার্স এর মধ্যে অন্যতম হল ফেসবুক ফ্যান পেজ বা লাইক পেজ। ফেসবুক প্রোফাইলে যেভাবে বন্ধু বাড়ানোর জন্য ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠাতে হয় বা ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট রিসিভ করতে হয়, ফেসবুক ফ্যান প্যাজ এর ক্ষেত্রে তেমনটি করতে হয় না। আপনার নিজের নামে একটি ফেসবুক লাইক পেজ থাকলে, যে কেউ আপনার পেজে লাইক করতে পারবে। আপনার একটি ফেসবুক পেজ থাকলে এবং সেটিতে প্রচুর পরিমানে ফলোয়ার বা লাইক থাকলে আপনার ফেসবুক পেজকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন উপায়ে ফেসবুক হতে সহজে টাকা আয় করতে পারবেন।
ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে আয়
সম্প্রতি ইউটিউবের মত ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে ভিডিওতে বিজ্ঞাপন শো করানো মাধ্যমে ফেসবুক থেকে আয় করা সম্ভব হচ্ছে। Facebook এ আয় করার এই নতুন পদ্ধতিকে বলা হয় “Facebook Video Monetization বা In-Stream Ads. এই In-Stream Ads বা ভিডিও Monetization এর কিছু নিয়ম বা যোগ্যতা রয়েছে, যেগুলো ফিলআপ হলে ফেসবুক পেজে ভিডিও আপলোড করে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করা যায়।
ফেসবুক Instant Article থেকে আয়ঃ
Instant Articles হচ্ছে ফেইসবুক এর মোবাইল Publishing টুল। যার মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগের ডিজাইনকে কাষ্টমাইজ করে অপটিমাইজ করার মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে লোড নেওয়া হয়। অপটিমাইজ করার ক্ষেত্রে ফেইসবুক Instant Articles ওয়েবসাইটের ডিজাইনকে কোন গুরুত্ব না দিয়ে শুধুমাত্র আর্টিকেল গুরুত্ব দিয়ে একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইটের কনটেন্ট দ্রুত লোড নিতে সাহায্য করে।
লিংক র্শট করে আয়।**
বিভিন্ন ব্লগ বা ওয়েবসাইটে বা ফেসবুকে লিংক শেয়ার করেও আয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রে
আয়ের পরিমান:
1. আপনার ব্লগ/ওয়েবসাইটে প্রতি ১,০০০ ভিজিটরে আপনি পাবেন ১ থেকে ২ ডলার।
2. যেকোন লিংক শর্টকাট করে শেয়ার করলে সেই লিংখকে প্রতি ১,০০০ ক্লিকে ১ ডলার।
3. Pop up এড এ প্রতি ১,০০০ ক্লিকে 1.5 ডলার।
4. Referral এর মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারে প্রতি রেফারেল থেকে আপনি পাবেন ১০% তার আয়ের।
**লিংক র্শট করে আয় করার কিছু ওয়েবসাইট-**
- Linkvertise
- Adshrink
- Shrinkme
- Shrinkearn
- Clk
- Smoner
- Ouo
- Bc
- Shorte
- Payskip .me
- Linkbucks
- Al
- Adfly
ফেসবুক লাইক শেয়ার করে আয়ঃ
আপনার কাছে যখন প্রচুর জনপ্রিয় একটি ফেসবুক পেজ থাকবে এবং আপনার পেজে প্রচুর পরিমানে ফলোয়ার থাকবে, তখন বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটার আপনাকে তাদের পেজে লাইক বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য কিংবা বিভিন্ন ওয়েবসাইটের পোস্ট শেয়ার করে সেটা মানুষের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য অফার করবে। তখন আপনি তাদের নিকট হতে বিভিন্ন অংকের টাকার বিনিময়ে তাদের ফেসবুক পেজ কিংবা ওয়েবসাইটের পোস্ট আপনার ফেসবুক পেজে শেয়ার করার মাধ্যমে ক্লায়ান্টের নিকট থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। সাধারণত বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটারগণ ১০০০ লাইকের বিনিময়ে ৫০০-৭০০ টাকা নিয়ে থাকেন। যাদের ফেসবুক পেজে প্রচুর পরিমানে ফলোয়ার আছে, তাদের ক্ষেত্রে ১০০০ লাইক পাইয়ে দেওয়া মাত্র ৫ মিনিটের কাজ।
ফেসবুকে পন্য বিক্রয় করে আয়ঃ
অনলাইন মার্কেটিং এর কাজটি ফেসবুক অনেকাংশে সহজ করে দিয়েছে। আপনার যেকোন ধরনের ছোট খাটো ব্যবসা থাকলে আপনি খুব সহজে সেটির ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে খুব সহজে আপনার পন্য ক্রেতাদের হাতে পৌছে দিতে পারেন। আপনার ফেসবুক পেজে লাইক বেশি থাকলে লোকজন আপনার প্রোডাক্টগুলো দেখতে পাবে এবং কেউ কেউ সেটি কিনতে অবশ্যই আগ্রহ দেখাব। আপনি যদি সততার সাথে পন্য ডেলিভারি দেন, তাহলে প্রশংসা শুনে আরো হাজারো লোক দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আপনার প্রোডাক্ট কিনার জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।
ফেসবুক পেইজ বিক্রি করে আয়ঃ
অনলাইন মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ফেসবুক পেজের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। আপনার কাছে ভালোমানের ফেসবুক পেজ থাকলে বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটিং কোম্পানির কাছে আপনার ফেসবুক পেজটি বিক্রি করে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করতে পারেন। সাধারণ এক লক্ষ Like থাকা একটি ফেসবুক পেজ এক লক্ষ টাকার চাইতে অধিক দামে বিক্রি করা যায়।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ফেসবুক থেকে আয়ঃ
অন্যের প্রোডাক্ট বিক্রি করে বিক্রয়ের উপর কমিশন নিয়ে অনলাইন থেকে আয় করাকে সহজ ভাষায় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়। অনলাইনে প্রোডাক্ট বিক্রি বলতে এখন শুধুমাত্র ডিজিটাল প্রোডাক্টকে না বুঝিয়ে সব ধরনের প্রোডাক্টকে বুঝায়। আপনি নিশ্চয় দেখে থাকেন যে, Amazone, eBay, Daraz, BD Shop এর মত আরো বিভিন্ন ধরনের অনলাইন মার্কেট থেকে মানুষ এখনো নিয়মিত প্রোডাক্ট কিনে থাকে। আপনি চাইলে এ ধরনের মার্কেটপ্লেসগুলোতে একটি একাউন্ট খোলে খুব সহজে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।
- 940 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on September 28, 2020 in Sports.
আজ থেকে আরো ৩/৪ বছর আগে শুনেছিলাম সাকিব আল হাসানের মোট সম্পদের পরিমাণ ৬০০ কোটি টাকার মত।
একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাগাজিনের হিসেবে সাকিব আল হাসানের বাৎসরিক আয় ২৭৫ কোটি টাকা। মানে মাসে তার আয় ২৩ কোটি টাকার মত।
সাকিব আল হাসান শুধু ক্রিকেট খেলেই আয় করেন না। জাতীয় দল, বিভিন্ন দেশের প্রিমিয়ার লীগ এবং দেশীর অভ্যন্তরীণ লীগ ছাড়াও বিজ্ঞাপন, বিভিন্ন কোম্পানি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার শুভেচ্ছাদূত হিসেবে অনেক টাকা আয় করেন।
এর বাইরে সাকিব আল হাসানের অনেক হিডেন ইনকাম রয়েছে। সাকিব যদি বছরে ১০০ কোটি টাকাও আয় করে ধরি। এই ১০০ কোটি টাকাও কোথাও না কোথাও বিনিয়োগ হচ্ছে যা আমাদের জানা নেই।
Shakib 75 নামে শুধু ঢাকা শহরেই আমার জানামতে ৪-৫ টি রেস্টুরেন্ট, কনভেনশন হল/কমিউনিটি সেন্টার রয়েছে। যেখানে তার কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে।
সাকিব আল হাসানের রয়েছে কাঁঁকড়ার ব্যাবসা। সেখান থেকে কোটি কোটি টাকার কাঁকড়া বিদেশে রপ্তানি হয়। যা আমরা কখনো জানতাম না যদি সাকিবের খামারে করোনা কালে শ্রমিক আন্দোলন না হতো। শত শত কোটি টাকার এমন অনেক হিডেন বিজনেস আছে যা কারোই জানা নেই। তাই সাকিবের ইনকাম যা বলা হয় তার থেকেও অনেক অনেক বেশী।
সাকিব আল হাসান যেমন আয় করেন। এখন আবার সামাজিক কাজে ব্যায় ও করেন। —
- 970 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on September 26, 2020 in Internet.
কুকি কী?
চলুন সর্বপ্রথম কথা বলি এই কুকিজ আসলে কি, তা নিয়ে। কুকিজ আসলে কিছু ফাইল, যেগুলো আপনার ইন্টারনেট ব্রাউজারের ক্যাশ মেমোরিতে সংরক্ষিত হয়। এখন এই ফাইল গুলো আসে কোথা হতে, দেখুন যখনই আপনি কোন কুকি এনাবল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন এবং আপনার ইন্টারনেট ব্রাউজারে যদি কুকি এনাবল করা থাকে তবে সেই ওয়েবসাইট টি আপনার ব্রাউজার ক্যাশে কুকিজ ড্রপ করে দেয়। কুকিজ সাধারনত আপনার ইন্টারনেট সেবার মানকে উন্নতি করার জন্য ব্যবহার করা হয়। সেক্ষেত্রে আপনাকে জানিয়ে সংগ্রহ করতে পারে আবার না জানিয়েও সংগ্রহ করতে পারে। এটা নির্ভর করে তাদের প্রাইভেসি পলিসির উপর। লক্ষ করে দেখবেন গুগলে যদি আপনি একটা ঘড়ি সার্চ করেন কিচ্ছুক্ষণ পরেই অনেক ঘড়ির আ্যড আপনার টাইমলাইনে চলে আসে। এটা হয় কুকি সংগ্রহের ফলে। আপনার তথ্য অনুযায়ী প্রাইস রেঞ্জ, রুচিবোধ সবকিছুই টার্গেট করতে পারে। ফলে পার্ফেক্ট আ্যডটাই আপনার টাইমলাইনে আসে।
কুকির ভালো দিকঃ
অনেক সময় আমরা বিভিন্ন সাইটে ব্রাউজ করে exit হয়ে যাওয়ার পর আমরা আবার আমাদের সেইম ডেটাগুলো ফেরত পাই। যেমন লগিন ফর্মে নতুন করে আর সবকিছু লিখতে হয় না। শুধু লগিন চাপলেই হয়ে যায়। আবার অনেক ই-কমার্স সাইটে কিছু পন্য নির্বাচন করার পরে মনে হলো পরে কিনবেন। সেক্ষেত্রেও কিন্ত ঐ সাইটে আপনার কার্ট ডাটা সেইভ করে রাখবে কুকির সাহায্যে। নতুন করে আর পন্য নির্বাচন করতে হবে না। এতে করে সময় অনেকখানি বেচে যায়। তাছাড়া, কুকির উপর ভিত্তি করে রেকমেন্ডেড সিমিলার প্রোডাক্ট আসে আমাদের আর আলাদা করে খোজাখুজি করতে হয় না।
কুকির খারাপ দিকঃ
অনেকে অনুমতি ছাড়াই আপনার কুকি কালেক্ট করেছে এবং যুতসই বিজ্ঞাপনের টোপ হিসেবে আপনাকে ব্যবহার করছে। ফ্রী বলে যে সেবা আমরা নিচ্ছি তার বিনিময় আমরা নিজেই। অনেক সময় আমাদের তথ্য থার্ড পার্টির কাছে বিক্রি হয়। আমরা হয়ে যাই ব্যবসায়িক পন্য। এর মধ্যে অনেকের অনেক সেন্সেটিভ ডেটাও থাকে।
তথ্য চুরি থেকে বাচার উপায়?
আপনি চাইলেই কুকি ব্লক করতে পারেন ব্রাউজার অপশন ব্যবহার করে। অথবা আ্যড্রেস বারের কাছের সাইট সেটিং থেকে পার্মিশন ব্লক করে দিতে পারেন।
তাছাড়া গুগল যাতে আপনার সার্চ করা ডাটা ট্র্যাক না করতে পারে এজন্য DuckDuckGo প্রাইভেসি এসেনশিয়াল ব্রাউজার এক্সটেনশন ব্যবহার করতে পারেন অথবা সাইটে গিয়েও সার্চ করতে পারেন। গুগল সার্চের এক্সপেরিয়েন্স সাথে আপনার তথ্য নিরাপত্তা। ব্রাউজার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন Microsoft Edge। এই ব্রাউজারে আপনি প্রাইভেসি কন্ট্রোল করতে পারবেন।
Edge এর চমৎকার প্রাইভেসি কন্ট্রোল অপশন
উত্তরটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার দিন সুন্দর হোক।
- 931 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on September 25, 2020 in Mobile.
প্রথমেই জানাই আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি যে, আপনার উচিত থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো। তবে আপনি যদি খুব প্রভাবশালী না হন, তবে ওটা ফেরৎ পাবেন না। তাও F.I.R করে রাখা উচিৎ। যদি আপনার ফোন দিয়ে কোন অপকর্ম করা হয়, তবে ওই F.I.R আপনার কাজে লাগবে। মনে রাখবেন চোরদের ও একটা নেটওয়ার্ক আছে, সেখানে ওদের ট্রেনিং নিতে হয়। ওদের ও থানা, পুলিশ, উকিল ইত্যাদি সম্পর্কে খোঁজ খবর বা যোগাযোগ রাখতে হয়। ধন্যবাদ।
- 949 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on September 25, 2020 in Mobile.
*#*#4636#*#* ডায়াল করুন।
ডায়েল করলে এমন দেখাবে,,,
Usage Statistics এ ক্লিক করুন।
সেখান থেকে আপনার ফোনের সকল অ্যাপের ব্যাবহারের সময় জানতে পারবেন।
কোন অ্যাপটি সর্বশেষ কখন ব্যাবহার করা হয়েছে সেটা বিশ্লেষণ করলে আপনি ধারনা পাবেন যে অন্য কেউ অ্যাপ ওপেন করছে কিনা।
তবে, সব মোবাইল ফোনে এই কোডটি কাজ নাও করতে পারে।
- 995 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on September 22, 2020 in Mobile.
আপনার যদি ‘মাল্টিপ্লেয়ার’ গেম ভালো লাগে তবে – PUBG, FreeFire
যদি স্ট্র্যাটেজিক হন, তবে- Clash of Clan
যদি স্নাইপিং ভালো লাগে তবে খেলুন – Hitman Sniper – Apps on Google Play
যদি গল্পওলা গেম খেলতে চান – City of Love: Paris – Apps on Google Play
তবে আমার নিজের পছন্দ- Vector – Apps on Google Play. এই গেমটির জন্য সবচেয়ে বেশি চাই reflex আর তার পর স্মৃতিশক্তি। নিখুঁতভাবে খেলতে পারাটাই এই খেলার আসল মজা। তবে অনেকবার খেলতে হবে,,অগ্রীম জানিয়ে রাখলাম।
- 950 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on September 22, 2020 in Internet.
আপনি যদি Broadband ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন, তাহলে দ্রুত গতিতে যেকোনো ধরনের মুভি ডাউনলোডের জন্য সবচেয়ে সেরা হল BDIX সার্ভারগুলো।
তবে সমস্যা হল, সব BDIX সার্ভার সব ISP তে কাজ করেনা।
আপনার ISP এর BDIX Server গুলো খুঁজে পেতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুনঃ
- প্রথমে এই লিংক এ যানঃ Online BDIX Tester
- তারপর Run the Test বাটনটিতে ক্লিক করুন।
বাটনটিতে ক্লিক করলে Scanning শুরু হবে, এবং আপনি আপনার ISP এর BDIX Server গুলোর তালিকা দেখতে পাবেন।
- 936 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on September 16, 2020 in Health.
ডিএনএ (DNA) কি?
ডিএনএকে সহজভাবে বলা যেতে পারে একটি প্রাণীর মূল অণু বা মাস্টার মলিকিউল । প্রতিটি জীব তার জৈবিক বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করে আছে তার শরীরের প্রতিটি কোষের নিউক্লিয়াসে অবস্থিত ডিএনএতে । একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ দশ লাখ কোটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কোষের সমন্বয়ে গঠিত । একটি কোষকে তাই বলা হয় ক্ষুদ্রতম একক, যা ওই প্রাণীর জীবন ধারণ ও বংশবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সব তথ্যকে বহন করে। যদিও অঙ্গ-প্রতঙ্গ ভেদে কোষের গঠন, প্রকৃতি ও কার্যপ্রাণলী ভিন্ন ও তথাপি কোষের অভ্যন্তরে অবস্থিত ডিএনএ হবে এক ও অভিন্ন । ‘ডিএনএ’ যার পূর্ণরূপ ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড (Deoxyribonucleic Acid), একটি তন্তু বা সুতার ন্যায় রাসায়নিক পদার্থ, যা কোষের নিউক্লিয়াসে সুসজ্জিত থাকে ক্রোমোজোমের আকারে ।
ডিএনএ টেস্ট
ডিএনএ টেস্টকে বিজ্ঞানের ভাষায় বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন নামে অভিহিত করা হয়েছে । যেমনঃ ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্টিং, ডিএনএ টাইপিং, ডিএনএ প্রোফাইলিং নামেই সর্বাধিক পরিচিত ।
ডিএনএ প্রোফাইলিং একটি সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি, যার মাধ্যমে দুই বা ততোধিক মানুষের ডিএনএ-এর বিশেষ বিশেষ অঞ্চলকে তুলনা করে তাদের মাঝে মিল বা অমিল খুঁজে বের করা হয় । একটি মানব কোষের নিউক্লিয়াসের ডিএনএ-তে প্রায় তিনশ’কোটি বেস পেয়ার থাকে, যার এক-একটা নির্দিষ্ট অংশ বা সেগমেন্টকে বলা হয় জিন । একটি নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের ধারক, যেমনঃ চোখের রঙ, চুলের রঙ ইত্যাদি ।
মানুষের ভেতর এ পর্যন্ত প্রায় ৪০,০০০ জিনের সন্ধান পাওয়া গেছে, যা মোট ডিএনএ-এর ১০ শতাংশের সমতুল্য । বাকি ৯০ শতাংশ ডিএনএ’র কোন কাজ নেই এবং কোন বৈশিষ্ট্যকে কোড করে না । এ ধরনের ননকোডিং ডিএনএ সাধারণত দুইটি জিনের মাঝে অবস্থান করে । এজন্য এদেরকে বলা হয়ে থাকে স্পেসার বা জাংক ডিএনএ । প্রতিটি মানুষের জন্য ৯৯.৯শতাংশ ডিএনএ একই, পার্থক্য শুধু ০.১ শতাংশ ডিএনএ-তে এবং মজার ব্যাপার হল, এই ০.১ শতাংশ ডিএনএ-এর অবস্থান এই স্পেসার বা ননকোডিং অঞ্চল । দেখা গেছে, এই অঞ্চলে ছোট ছোট ডিএনএ সিকোয়েন্স বহুবার পুনরাবৃত্ত হয় এবং এই পুনরাবৃত্ত হওয়ার সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির জন্য ভিন্ন । এ ধরনের পরিবর্তন শীতলতাকে বলা হয় পলিমরফিজম ।
এরকমই এক ধরনের পলিমরফিক সিকোয়েন্সকে বলে মাইক্রোস্যাটেলাইট সিকোয়েন্স বা STR (Short Tandem Repeats)। STR সিকোয়েন্স ডিএনএ এনালাইসিসের জন্য সবচেয়ে উপযোগী, কারণ এখানে ২ থেকে ৭ বেস পেয়ারে একটি ডিএনএ সিকোয়েন্স অনেকবার পুনরাবৃত হয় । মানুষের ডিএনএ-তে এরকম প্রায় কয়েকশ’ STR সিকোয়েন্স রয়েছে । ডিএনএ প্রোফাইলিং তাই দুই বা ততোধিক মানুষের STR সিকোয়েন্সকে তুলনা করার একটি দ্রুততম পদ্ধতি ।
যেসব মরদেহের পরিচয় স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয় না ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিয়িক এসিড) টেস্ট করেই তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে হয়। এজন্য নিহতের ডিএনএ প্রোফাইল করতে হয়। নিহতের সংখ্যা যদি বেশি হয় সেক্ষেত্রে প্রতিটি মরদেহের আলাদা আলাদা ডিএনএ প্রোফাইল করতে হয়। ডিএনএ প্রোফাইল টেস্টের এই পদ্ধতি বিশ্বজনীন স্বীকৃত। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য মরদেহগুলো থেকে এবং নিহতদের স্বজনদের নমুনা সংগ্রহ করেন পরীক্ষক দল। এক্ষেত্রে ভিকটিম ও স্বজনদের নমুনার সংখ্যা প্রায় ৯০টি হবে। স্বজনদের নমুনা সংগ্রহের পর সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সময় বেশি না লাগলেও মরদেহের ডিএনএ টেস্টে সময় লাগবে। টেস্ট করার পর ম্যাচিং এবং কোনোটি না মিললে তা পুনরায় করা, এজন্য ভিকটিম ও তাদের স্বজনদের মোট ৮০/৯০ টি নমুনা পরীক্ষায় অন্তত এক থেকে দেড় মাস সময় লাগবে।
ডিএনএ টেস্টের জন্য ভিকটিম বা মরদেহের দাঁত ও হাড় নমুনা হিসাবে সংগ্রহ করা হয়। অপর দিকে ভিকটিমের পরিবার বা স্বজনের রক্ত বা মুখের লালা সংগ্রহ করা হয়। কোনও কোনও সময় দুটিই সংগ্রহ করা হয়। নিহতদের নমুনাকে বলা হয় ‘মিসিং পার্সনস স্যাম্পল’ ও স্বজনদের নমুনাকে বলা হয় ‘রেফারেন্স স্যাম্পল’। রেফারেন্স স্যাম্পল টেস্ট করতে তেমন সময় লাগে না। এগুলো একদিনের ভেতরে দেওয়া সম্ভব। তবে ভিকটিমদের স্যাম্পল টেস্ট করতে এবং তা প্রোফাইলিং করতে একটু সময় লাগে।’
রেফারেন্স স্যাম্পলের আবার তিনটি ভাগ রয়েছে। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়। প্রথম রেফারেন্স স্যাম্পল হচ্ছে বাবা-মা, সন্তান, ভাইবোন। দ্বিতীয় রেফারেন্স স্যাম্পল হচ্ছে দাদা-দাদি, নানা-নানি এরকম এবং তৃতীয় রেফারেন্স স্যাম্পল হচ্ছে অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন এমনকি কখনও কখনও পোশাক আশাকও নেওয়া হয়।’
প্রথমে বাবা-মা ও সন্তানদের নমুনা সংগ্রহের চেষ্টা করা হয়। তাদের না পাওয়া গেলে ভাইবোন, তাও না পাওয়া গেলে দাদা-দাদি, নানা-নানি। তাও না পাওয়া গেলে তৃতীয় ধাপের রেফারেন্স স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়।
- 941 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on September 13, 2020 in Technology.
2012 সালে রাশিয়া তাদের নির্মিত একটি স্যাটেলাইটে 121 মেগাপিক্সেল ক্যামেরা ব্যবহার করেছিল.
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসাও তাদের নির্মিত একটি স্যাটেলাইটে 121 মেগাপিক্সেল ক্যামেরা ব্যবহার করেছিল.
এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (SLAC- Standford Linear Accelerator Center)/ (National Acceterator Laboratory) এর এনার্জি ডিপার্টমেন্ট একটি 3200-মেগাপিক্সেল ক্যামেরা তৈরী করছে. এই 3,200-মেগাপিক্সেল ক্যামেরাটি 2022 সালে পুরো মিল্কি ওয়ে ম্যাপ করবে.
এই পৃথিবীতে এটিই একমাত্র 3,200-মেগাপিক্সেল ক্যামেরা যা সবচেয়ে শক্তিশালী. (জাপানেও 3200 মেগাপিক্সেল এর একটি ক্যামেরা তৈরী করা হচ্ছে)
বড় সাইনোপটিক জরিপ টেলিস্কোপের অংশ হিসাবে ক্যামেরাটির সামনে কিছু বড় কাজ রয়েছে, এটি চিলির উঁচু পাহাড়ে 2022 সালে স্থাপনের জন্য প্রস্তুত হয়েছে, সেখানে এটি আমাদের মহাবিশ্বের গভীরে দেখার জন্য অভিযুক্ত হবে।
নিয়মিত বিরতিতে আকাশ সমীক্ষা নেওয়ার মাধ্যমে, ক্যামেরাটি অন্ধকার পদার্থ, ম্লান কুইপার বেল্ট সামগ্রী এবং দূরবর্তী সুপারনোভা খুঁজবে কারণ এটি মিল্কিওয়ের একটি বিশদ মানচিত্র তৈরি করবে. এটি এক বছরে আকাশের 200,000 এরও বেশি স্ন্যাপশট নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই ক্যামেরাটির ওজন তিন টন এবং আকৃতিতে একটি কমপ্যাক্ট গাড়ির মত।
- 961 views
- 1 answers
- 0 votes
-
Asked on September 11, 2020 in Internet.
বাস্তব জীবনে আমরা সবাই স্পিড লিমিটের সাথে পরিচিত। সাধারনত পৃথিবীতে কোনকিছুই আনলিমিটেড স্পিডের হয়না। আমরা রাস্তায় যে গাড়ি বা বাইক চালাই, যে অ্যারোপ্লেনে ভ্রমন করি এবং এমনকি লাইটের যে ফোটন কণাগুলো আমাদের চোখে পৌঁছায়, সেই সবকিছুরই একটি নির্দিষ্ট স্পিড লিমিট আছে। তবে বর্তমান সময়ে মানুষ সবথেকে বেশি যে স্পিড নিয়ে মাথা ঘামায়, তা হচ্ছে ইন্টারনেট স্পিড। বর্তমানে সবাই অন্যদের থেকে আরো একটু হলেও বেশি ইন্টারনেট স্পিড চায়।
আমাদের দেশে ১ মেগাবিট প্রতি সেকেন্ড থেকে শুরু করে ১০০ মেগাবিট এবং কোথাও কোথাও ৫০০ মেগাবিট ইন্টারনেটেরও দেখা পাওয়া যেতে পারে এবং আমরা NASA তে ৯১ গিগাবাইট ইন্টারনেট স্পিডের গুজবও শুনেছি সোশ্যাল মিডিয়াতে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, এর শেষ কোথায়? ইন্টারনেট সর্বোচ্চ কতটা ফাস্ট হতে পারে এবং ভবিষ্যতে হওয়া সম্ভব? আজকে এই বিষয়টি নিয়েই আলোচনা করবো।
প্রথমত জানা যাক যে, এখন এই মুহূর্তে সবথেকে ফাস্ট ইন্টারনেট স্পিড কোথায় আছে। আপনি যদি মনে করে থাকেন যে, আমেরিকা বা অন্যান্য প্রযুক্তিগত দিক থেকে উন্নত দেশগুলোতে থাকা লোকেরা যারা ১ গিগাবিট বা ২ গিগাবিট ইন্টারনেট ব্যবহার করে কিংবা এস্টোনিয়াতে থাকা ইন্টারনেট ইউজার যারা ১০ গিগাবিট ইন্টারনেট ব্যবহার করে, তারাই সবথেকে ফাস্ট ইন্টারনেট ব্যবহার করে, তাহলে আপনি ভুল জানেন।বর্তমানে ইন্টারনেটের সবথেকে ফাস্ট স্পিডের কাছে এসব স্পিড কিছুই না।
সবথেকে ফাস্ট ইন্টারনেট স্পিড খুঁজতে হলে আমাদেরকে সম্পূর্ণ ইন্টারনেটের মেরুদন্ডকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে, অর্থাৎ ইন্টারনেটের মেইন হাইওয়েকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে যেটি সাড়া পৃথিবীর ইন্টারনেটকে পরিচালনা করে। এই মেইন লাইনগুলোর মধ্যে এমন অনেক লাইন আছে যেগুলো আক্ষরিক অর্থেই ১০০ গিগাবিট প্রতি সেকেন্ড স্পিডে ডেটা ট্রান্সফার করে, তবে এগুলোও পৃথিবীর সবথেকে ফাস্ট ইন্টারনেট স্পিড নয়। বরং ইন্টারনেটের সবথেকে অ্যাডভান্সড ইনফ্রাস্ট্রাকচারের কাছে এই স্পিড কিছুই না।
এই মুহূর্তে ইন্টারনেটের মেরুদন্ডের সবথেকে ফাস্ট অংশটি হচ্ছে একটি আন্ডার-সি ক্যাবল যেটির নাম হচ্ছে ম্যারেয়া। আন্ডার-সি ক্যাবল সেগুলোকেই বলা হয় যেগুলো সমুদ্রের তলদেশে থাকে এবং ইন্টারনেটের মেইন ডেটা ট্রান্সফারের কাজটি করে থাকে, যেগুলোকে আমরা সমুদ্রের নিচে থাকা ফাইবার অপটিক ক্যাবল হিসেবে চিনি। এই ম্যারেয়া নামের আন্ডার-সি ক্যাবলটি ভার্জিনিয়ার সমুদ্র থেকে স্পেনের বিলবাও শহর পর্যন্ত গিয়েছে। আর এই আন্ডার-সি ক্যাবলটি অবিশ্বাস্যরকম দ্রুতগতিতে ডেটা ট্রান্সফার করতে পারে যা প্রায় ১৬০ টেরাবিট প্রতি সেকেন্ড স্পিডে। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে এই ক্যাবলটি অন্যান্য আন্ডার-সি ক্যাবলের থেকে খুব বেশি মোটাও নয়। তাহলে এই ক্যাবলটি কিভাবে এত বেশি স্পিডে ডেটা ট্রান্সফার করতে পারে?
এটা বোঝার আগে, আপনি যদি না জেনে থাকেন যে ফাইবার অপটিক ক্যাবল কি এবং কিভাবে কাজ করে আর এটি এত দ্রুত ডেটা ট্রান্সফার করেই বা কিভাবে, তাহলে আপনি নিচের এই আর্টিকেলটি একবার পড়ে আসতে পারেন।
→ ফাইবার অপটিক বা অপটিক্যাল ফাইবার কীভাবে কাজ করে?
এখানে সব সাধারন ফাইবার অপটিক ক্যাবলের কথা বলা হয়েছে। তবে এই ম্যারেয়া’র মতো বড় আন্ডার-সি ক্যাবলগুলো অপটিক্যাল অ্যামপ্লিফায়ার ইউজ করে যাতে ক্যাবলের ভেতর থেকে যাওয়া সিগনালগুলো সবসময় একইরকম স্ট্রং থাকে। আপনার যদি অপটিক্যাল ফাইবার নিয়ে কিছুটা ধারনাও থাকে তাহলে আপনি জানেন যে, অপটিক্যাল ফাইবারে ডেটা ট্রান্সফার করা হয় আলোর সাহায্যে এবং আলোর প্রতিফলনের সাহায্যে। তবে সাধারন আন-অ্যামপ্লিফাইড ফাইবার অপটিক ক্যাবল আলোকে সবসময় পারফেক্টভাবে রিফ্লেক্ট করেনা। কিছুটা শোষণ হয়ে যায় এবং অন্য অনেক কারনেই আলো পারফেক্টভাবে প্রতিফলিত হতে পারেনা।
তবে যখন অ্যামপ্লিফায়ার ব্যবহার করা হয় তখন এই আলোর সাহায্যে আসা ডেটাগুলো কোনভাবেই শোষণ হয়ে যায়না এবং দুর্বল হয়ে পড়েনা। এই সব ডেটাগুলো তাদের যাত্রাপথের প্রত্যেক সেকেন্ডেই একইরকম স্ট্রং থাকে যেমনটা প্রথমে ছিলো। এছাড়া এই শক্তিশালী ফাইবার অপটিক ক্যাবলগুলোতে একইসাথে অনেকগুলো ফাইবার এবং প্রত্যেকটি ফাইবারে আবার প্রত্যেকটি ফাইবারে আবার মাল্টিপল ওয়েভ লিংক ব্যবহার করার সাহায্যে এই ম্যারেয়ার মতো ফাইবার অপটিক ক্যাবলগুলো বিপুল পরিমান ডেটা ক্যারি করার মতো ক্ষমতা রাখে। তবে এখন প্রশ্নটি হচ্ছে, এর থেকে বেশি স্পিডও কি ভবিষ্যতে পাওয়া সম্ভব? সম্ভব হলে কতোটা স্পিড পাওয়া সম্ভব? কিভাবেই বা পাওয়া সম্ভব?
প্র্যাক্টিক্যালি বলতে হলে, ইন্টারনেট প্রতিনিয়ত যেভাবে আরও বেশি উন্নত হচ্ছে এবং হয়েই চলেছে, আমরা প্রতিনিয়ত আরও অনেক উন্নত ম্যাটেরিয়াল তৈরি করছি যেগুলো আলোকে আরও পারফেক্টভাবে প্রতিফলিত করতে পারে। এই ধরনের সব ম্যাটেরিয়াল এবং টেকনোলজিকে কাজে লাগিয়ে আমরা আরও অনেকভাবে ফাইবার অপটিক ক্যাবলকে অপটিমাইজ করতে পারি , যেমন- হয়তো একটি সিঙ্গেল ফাইবারের মধ্যে আরও বেশি ওয়েভ লিংক থ্রো করার ব্যাবস্থা করে কিংবা আরও ভালো অ্যামপ্লিফায়ার ব্যবহার করে।
এই সবধরনের টেকনোলোজি কাজে লাগিয়ে আশা করা যায় যে, আমরা হয়তো ভবিষ্যতে ফাইবার অপটিক ক্যাবল ব্যবহার করে ১ পেটাবাইট (১০০০ টেরাবাইট) প্রতি সেকেন্ড পর্যন্তও স্পিড পেতে পারি কিংবা হয়তো তার থেকেও বেশি, শুধুমাত্র একটি ফাইবারে। আবার এই ফাইবারটিকেও অনেকগুলো একসাথে একটি ক্যাবলে রাখার মাধ্যমে এই স্পিডটিকেও বহুগুণে বাড়ানোর সুযোগ থাকছে, যতক্ষন পর্যন্ত সম্পূর্ণ ইনফ্রাস্ট্রাকচারটি এইসকল বিপুল পরিমান ডেটাগুলোকে প্রোসেস করতে পারে এবং সেপারেট করতে পারে।
এছাড়া এটা মনে রাখতে হবে যে, প্রায় সব মডার্ন অপটিক্যাল নেটওয়ার্কগুলো ইনফ্যারেড লাইট ব্যবহার করে থাকে যা খুবই লো ফ্রিকুয়েন্সির সিগনাল। তাই ইনফ্যারেড লাইট খুব বেশি ডেটা ক্যারি করতে পারেনা। যেহেতু এটি হাই এনার্জিটিক এবং হাই ফ্রিকুয়েন্সির রেডিয়েশন নয়। হয়তো ভবিষ্যতে আমরা অতিবেগুনী রশ্মির (UV Light) সাহায্যেও ডেটা ট্রান্সফার করতে পারি যা আমাদেরকে আরও অনেক ফাস্ট স্পিড এবং আরো স্ট্যাবল কানেকশন দিতে সক্ষম হবে। তবে এটা আমরা তখনই পারবো যদি আমরা উপযুক্ত ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করে ডেটা ট্রান্সমিট করার মতো ব্যাবস্থা করতে পারবো যদি ম্যাটেরিয়ালগুলো এতো হাই ফ্রিকুয়েন্সি সহ্য করতে পারে আর ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। যদিও আরেকটি সমস্যা হচ্ছে, আমরা ওয়াইফাই এর ক্ষেত্রে UV লাইট ব্যবহার করতে পারবো না, কারন এতে আমাদের শরীরের ক্ষতি হবে।
- 947 views
- 1 answers
- 0 votes