zidaneee's Profile

1731
Points

Questions
64

Answers
109

  • Asked on January 6, 2021 in Mobile.

    নোটিফিকেশন বারের সিংক (Sync) অপশনটি ব্যাবহার করে আপনি আপনার ফোনের বিভিন্ন জিনিস যেমন কনট্যাক্ট, মেসেজেস, সেটিংস ইত্যাদি নিচের ছবির মতো বিভিন্ন তথ্য গুগল অ্যাকাউন্ট বা অন্যন্য অ্যাকাউন্টএ সেভ করে রাখতে পারবেন। সিংক অপশন চালু থাকলে যখনি আপনি কোন তথ্য যেমন ধরেন কোন নাম্বার সিমে সেভ করলেন তখন সাথে সাথেই সেই নাম্বার আপনার গুগল অ্যাকাউন্টেও সেভ হয়ে যাবে। ফলে আপনি যেকোন সময় যেকোন ডিভাইসে আপনার গুগল অ্যাকাউন্টে লগ ইন করে এসব তথ্য দেখতে পারবেন। তাই ফোন হারিয়ে গেলেও সমস্যা হবে না।

    কিন্ত এর কিছু অসুবিধাও আছে। যেমন মোবাইল ডাটা ইউজার হয়ে থাকলে বড় বড় ফাইল সিংক হওয়ার সময় প্রচুর ডেটা খরচ হবে। তাই আমি ড্রাইভ সিংক অফ করে রেখেছি।

    ধন্যবাদ।

    • 889 views
    • 1 answers
    • 0 votes
  • Asked on January 2, 2021 in Food.

    আপনি কি কখনো দোকানে গিয়ে অবাক হয়ে ভেবেছেন যে এত রকমের আপেল দেখা যাচ্ছে কেন ? আপনি হয়তো দেখতে পাবেন লাল,সবুজ সহ হরেক রকম আর আকৃতির আপেল । বর্তমানে পৃথিবীতে রয়েছে প্রায় সাত হাজার পাচশোর কাছাকাছি আপেলের প্রজাতি, আর এই বিশাল বৈচিত্রের প্রধান কারন হচ্ছে মানুষের নতুন কিছু উদ্ভবের নিরলস প্রচেষ্টা ।

    ফলের উৎপাদন ও প্রজনন হচ্ছে চাষি ও ক্রেতাদের চাহিদা মেটানোর একটি ভাল উপায়, তাদের জন্য, যারা একটি আপেলের মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট খোজেন ।

    একদিকে, চাষিরা হয়তো আশা করেন এমন একটি আপেলের প্রজাতি যেটির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি আর সহজে মজুদ করা যায় । আরেকদিকে ক্রেতারা চান এমন একটি আপেল যেটি সুস্বাদু, দেখতে লোভনীয় ও মজাদার । তাই এগুলোর বংশ বৃদ্ধি ঘটানোর সময় এর ফলন কিরুপ হবে থেকে শুরু করে এটি খেতে কেমন লাগবে,দেখতে কেমন হবে এসব কিছুর কথাই মাথায় রাখতে হয় বিশেষজ্ঞদের । আর অনেক সময় নিখুত জিনিসটি খুজে বার করার অর্থই হচ্ছে নতুন কিছু একটা খুজে বের করা ।

    আর এই নতুন প্রজাতি বের করার জন্য তাদেরকে প্রথমে খুজে বের করতে হয় সেই গুন সম্পন্ন উৎপাদক গাছের জোড়া, যারা এই বৈশিষ্ট গুলো সম্পন্ন । পিতা ও মাতা গাছ বাছাই করার পর বসন্তে ফুল ফোটার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় ।

    এরপর পিতৃ গাছ থেকে পরাগ নিয়ে মাতৃ গাছের মূকূলে স্থাপন করার হয় ক্রস পলিনেশন নামে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে । এই মূকূলটি যখন আপেলে পরিণত হয় তখন তা থেকে বীজ সংগ্রহ করে রোপন করা হয় । এই বীজ গুলোর পূর্ণবয়স্ক আপেল ধারনে সক্ষম গাছে পরিণত হতে সময় লাগে পাচ বছরের মত ।

    কিন্তু বৈশিষ্ট যেভাবে ছড়ায় সে অনুসারে এই বীজগুলো থেকে বড় হওয়া গাছগুলোতে তাদের পিতামাতার এই নির্দিষ্ট গুনগুলো থাকবে এলোমেলো অবস্থায়,তাদের জীন গুলো থাকবে ভিন্ন ভিন্ন । তাই উপযুক্ত গুন সম্পন্ন প্রজাতিটি পাবার জন্য প্রয়োজন হয় অনেক ধৈর্যের । আর এই বীজ গুলোর যেটির ফল সেই আকাঙ্ক্ষিত গুন ধারন করে,যা হয় সাধারণত প্রতি পাচ হাজার বীজের মধ্যে মাত্র একটি, তখন সেটিকে আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয় এবং এদের কে অন্য খামারে পাঠানো হয় দেখার জন্য যে ভিন্ন ভিন্ন আবহাওয়া ও মাটির ধরন এদের ফলনে কিরুপ প্রভাব ফেলে । একই সাথে এই গাছটির ফল্গুলো থেকে পাওয়া বীজগুলোও পরখ করে দেখতে হয় যে তাদের মধ্যে বৈশিস্টের স্থায়িত্ব ও সামঞ্জস্য কেমন থাকে তা জানার জন্য ।

    প্রজননবিদরা আপেলের মধ্যে প্রায় ৪৫টির মত গুন আছে কিনা তার উপরে এই বীজগুলো থেকে হওয়া গাছ বাছাই করেন । যেমন ফলের গঠন, পেকে গেলে এর অবস্থা ও সামঞ্জস্য, এর রসে চিনির পরিমাণ কি রকম একই সাথে এটি কতক্ষন ভাল থাকে এসবের উপর ভিত্তি করে আপেল গাছগুলো আলাদা করে ফেলা হয় এবং রেখে দেয়া হয় শুধু মাত্র সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ফল ধারণকারী গাছ গুলো ।

    বেশ কয়েক বছরের মধ্যে এই বাছাই প্রক্রিয়া শেষ হয় । আর পরীক্ষা ও বাছাই শেষে পাওয়া যায় নতুন এক রকমের আপেল যা তার আগের প্রজন্মের থেকে শেষ্ঠতম আর এর অবিকল প্রতিরুপ বজায় রাখার জন্য সব গুলো গাছ পেতে হয় সেই নিখুত ফল ধারণকারী গাছটি থেকে । এটির ডাল কেটে তা থেকে কলম করে ফলানো হয় সায়ন,যা পরে আর একটি গাছ, যেটিকেও বাছাই করা হয়েছে তার শক্তিশালী মূল ও উৎপাদন ক্ষমতার জন্য, তার মুলে এই সায়নকে স্থাপন করা হয় । এভাবেই এই ফিউশন করে তৈরি হয় একটি আকাঙ্ক্ষিত আপেল গাছ যার ফলন শুরু হতে লাগে প্রায় চার বছরের মতন ।

    আপেলের বংশবৃদ্ধির এই প্রক্রিয়াটি কঠিন হলেও তা রয়েছে সবার নাগালের মধ্যেই । বিশ্ব বিদ্যালয়, কোম্পানি, এমনকি কেউ নিজস্ব উদ্যোগেও শুরু করতে পারেন নতুন ধরনের আপেল গাছ উৎপাদনের এই প্রক্রিয়া । এই প্রকিয়ার শেষ ও বেশ কঠিন একটি ধাপ হচ্ছে নাম করন যেটিকে অবশ্যই হতে হয় এমন যা উৎপাদকের মালিকানার চিহ্ন হয়ে থাকে ।

    আর যে কোম্পানি বা কৃষক একটি ধরনের আপেল উৎপাদন করেন এভাবে, তার ব্র্যান্ড লোগ আপেলের গায়ে ছোট স্টিকার আকারে থাকে।

    • 961 views
    • 1 answers
    • 0 votes
  • Asked on January 1, 2021 in Science.

    সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা জানেন কেন ব্যবহারের আগে ইটগুলিকে জলে ভেজানো হয়। তবে, সাধারণ মানুষের কাছে এটি একটি কৌতূহল যে কেন ইটগুলিকে জলে ভেজাতে হবে। নীচে দেওয়া হল ভাল ইটের কয়েকটি গুণ :

    • ইট অভিন্ন আকার, আকৃতির এবং মাপের হওয়া উচিত।
    • এটি ফাটল এবং খুঁত থেকে মুক্ত হওয়া উচিত।
    • এটি ভাল পোড়া হওয়া উচিত (অতি পোড়া নয়)।
    • এটি অভিন্ন রঙের (চেরি লাল) হওয়া উচিত।
    • একে অপরকে আঘাত করলে ধাতব শব্দ নির্গত হওয়া উচিত।
    • 24 ঘন্টা জলে ডুবিয়ে রাখার পরে ইট নিজস্ব ওজনের 15% এর বেশি জল শোষণ করা উচিত নয়।
    • এটি এফ্লোরোসেন্স প্রভাব থেকে মুক্ত হওয়া উচিত।
    • এর নিষ্পেষণ শক্তি 100 কেজি / বর্গ সেমি এর চেয়ে কম হওয়া উচিত নয়।

    তারমধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ গুণটি হল ইটের ‘জল শোষণ’ ক্ষমতা। বেশি জল শোষণকারী ইট ব‍্যবহার করা মানে দেয়ালে নোনা ধরা, ড‍্যাম্প পড়া, প্লাসটার খসে পড়া, দেয়ালের রঙ নষ্ট হওয়া, ইত্যাদি ইত্যাদি সমস্যা লেগেই থাকে। সুতরাং ইটের জল শোষণ ক্ষমতা কোনোমতে বেশি হওয়া চলবে না। ইট এর জল শোষণ ক্ষমতা পরীক্ষা করার জন্যও ইটকে জলে ভিজিয়ে রাখা হয়। তবে গাঁথনি করার আগে ইটকে জলে ভেজানোর মূলত দুটি প্রধান কারণ রয়েছে ..

    1. ইটের গাঁথনিতে আমরা সিমেন্ট মর্টার ব্যবহার করি যা জলের সাথে নির্দিষ্ট অনুপাতে (1:6 বা1:4) বালি এবং সিমেন্ট মিশ্রিত করা পেস্ট ফর্ম, যা সঠিকভাবে এবং সারিবদ্ধভাবে ইটগুলিকে স্থাপন করতে সহায়তা করে। যদি ইটগুলি শুকনো হয় তবে এটি সিমেন্ট মর্টার থেকে জল শোষণ করে নেবে এবং ইটের দেয়াল যথাযথ হবে না পাশাপাশি শুকনো মর্টার শক্তি হারাবে, অতএব দেয়াল দুর্বল হবে। সিমেন্ট মর্টারকে তার সম্পূর্ণ শক্তি অর্জনের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণে জলের প্রয়োজন হয়, যদি ইটের দ্বারা জল শোষিত হয় তবে মর্টারটির শক্তি হ্রাস পাবে। সুতরাং, কাজের আগে ইটগুলি জলে ভালভাবে ভিজিয়ে রাখা হয় যাতে এটি মর্টার থেকে জল শোষণ করতে না পারে। পরিবর্তে এটি দেয়ালের আর্দ্র অবস্থা বজায় রাখে যা দেয়ালের সিমেন্ট মর্টারকে আরও শক্তিশালী করার জন্য সহায়তা করে।
    1. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল ‘এফ্লোরোসেন্স’ । এফ্লোরোসেন্স হল ইটের দেয়ালের গায়ে সাদা স্ফটিক লবণের জমাট। এটি প্রায় সমস্ত বিল্ডিংয়ের সাধারণ সমস্যা যেখানে সাধারণভাবে মাটির ইট ব্যবহৃত হয় । ভাল মানের ইট তার ওজনের 15% এর বেশি জল শোষণ করা উচিত নয়। ইট যত বেশি জল শোষণ করবে,তত বেশি এফ্লোরোসেন্স হবে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ইটের চরিত্র নির্ধারণ করে যে এফ্লোরোসেন্স প্রদর্শিত করবে কিনা। উচ্চ গুনসম্পন্ন সিমেন্ট মর্টার দিয়ে একটি উচ্চ হারে জল শোষণকারী ইট ব্যবহৃত হয়েছিল, কাঠামোটি প্রচুর পরিমাণে এফ্লোরোসেন্স দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল, যখন একই মর্টার ব্যবহার করা হলেও কম জল শোষণকারী ইট এফ্লোরোসেন্স দ্বারা খুবই অল্প পরিমাণ প্রভাবিত হয়েছিল।

    সুতরাং, ব্যবহারের আগে ইটগুলিকে জলে ভালভাবে ভেজানো হলে ইটগুলি থেকে দ্রবণীয় লবণগুলি বের করে আনতে সহায়তা করে এবং এফ্লোরোসেন্স এর প্রভাবকে হ্রাস করে।

    Image sources: Google gallery

    • 970 views
    • 1 answers
    • 0 votes
  • Asked on October 31, 2020 in Solution.

    একসময় যখন ল্যান্ডলাইনের প্রচলন ছিল তখন টেলিফোন সেটের সব বাটনের সঙ্গে আমাদের পরিচয় ছিল না। তখন শুধু এক থেকে নয় এবং শূন্য বাটনের সঙ্গেই আমাদের সাধারণ মানুষের পরিচয় ছিল। তবে যারা ফোন লক করে রাখতেন তাদের অবশ্য টেলিফোন সেটের হ্যাশ (#) এবং স্টার (*) বাটনের সঙ্গেও পরিচয় ছিল। পরবর্তীতে এ দুইটি বাটনের সঙ্গে পরিচয় ঘটে যখন আমাদের দেশে মোবাইল ফোন আসে। মোবাইল ফোনে রিচার্জ করতে এবং ব্যালেন্স দেখতে এ দুইটি বাটনের প্রয়োজন হতো। তবে গত কয়েক বছরে ডায়াল করা ছাড়াও আমরা # বাটনের একটি ব্যবহার দেখছি, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আর তা হলো, যে-কোনো ইভেন্ট বা বিষয়কে একতাবদ্ধ করতে এর ব্যবহার। প্রায়ই আমাদের চোখে পড়ে হ্যাশট্যাগ (#ট্যাগ) সংবলিত স্ট্যাটাস বা ছবি। অনেকেই বুঝতে পারেন না, এই স্ট্যাটাস বা ছবির পেছনে কেন আঠার মতো লেগে আছে হ্যাশ (#)। আসলে এটাকে মাইক্রোব্লগিংয়ের ভাষায় বলা হয় হ্যাশট্যাগ। এটা একই ধরনের বক্তব্যকে একীভূত করে। যেমন : সামনে আসছে একুশের বইমেলা। এখন যদি কেউ মেলা সম্পর্কে তথ্য বা কোনো বক্তব্য দিতে ব্যবহার করে #একুশেরমেলা, তবে বুঝতে হবে এই রিলেটেড আরও বক্তব্য বা তথ্য আছে এই হ্যাশট্যাগে। আপনি যখন কোনো শব্দের শুরুতেই হ্যাশট্যাগ (#ট্যাগ) ব্যবহার করবেন তখন সেটি নীল বর্ণ ধারণ করবে। অর্থাৎ সেটা একটা লিংক-এ পরিণত হবে। পরবর্তীতে এই রিলেটেড সব স্ট্যাটাস বা ছবি যদি একই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে দেওয়া হয় তবে সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহারকারীরা সহজেই সব এক জায়গায় পাবেন। অর্থাৎ এটি সবার মতামত এক করার একটি উদ্যোগ। তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হয়, হ্যাশট্যাগ ব্যবহারের সময় ব্যবহৃত শব্দে যাতে কোনো স্পেস না থাকে। স্পেস থাকলে এটা লিংক তৈরি করতে পারে না। সাধারণত কোনো বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে হ্যাশট্যাগের ব্যবহার বেশি। ইদানীং অবশ্য এর বিভিন্ন ব্যবহার বেড়েছে। আজকাল সিনেমার প্রচারেও এর ব্যবহার ব্যাপকভাবে হচ্ছে। আবার কেউ কোনো বিষয়কে প্রাধান্য দিতেও একই কাজ করেন। কেউবা শুধুই নিজেদের ভিতর আড্ডার জন্যও এমনটা করতে পারেন। হ্যাশট্যাগের ব্যবহার শুরু হয় মূলত মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে। পরে ২০১৩ সালের জুনে ফেসবুকেও এর ব্যবহার শুরু হয়। এখন গুগলপ্লাসেও এর ব্যবহার দেখা যায়। হ্যাশট্যাগের জনপ্রিয়তা এত বেড়ে যায় যে, শেষ পর্যন্ত ‘হ্যাশট্যাগ’ শব্দটি ২০১৪ সালের জুন মাসে অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারিতেও জায়গা করে নেয়।

    • 865 views
    • 1 answers
    • 0 votes
  • Asked on October 29, 2020 in Food.

    বিষ খেলে কি করনীয় এবং বিষ খেলে প্রাথমিক চিকিৎসা কি তা আমরা অনেকে জানি না। যার ফলে, বিষ খাওয়া রোগীকে নিয়ে পরতে হয় বিপাকে। দুর্ঘটনাবশত কিংবা অজ্ঞতা বশত অনেক সময় মানুষ বিষ খেয়ে থাকে। আবার অনেকে আত্মহত্যার জন্য বিষ খেয়ে থাকে।

    দুর্ঘটনাবশত সাধারণত কেরোসিন, পেট্রোল, সোডা ইত্যাদি তরল দ্রব্য মানুষ খেয়ে থাকে। এছাড়া, শিশুরা অসাবধানতার বশে বিভিন্ন ক্ষতিকর তরল দ্রব্য খেয়ে ফেলে। মাঝে মাঝে আবার ইনজেকশনের মাধ্যমেও বিষক্রিয়া ঘটে তাকে। গ্রামের দিকে অবশ্য কীটনাশক জাতীয় বিষ খেয়ে মৃত্যুর পরিমাণ বেশি।

    সুয়ারেজের বিষাক্ত গ্যাস, গভীর অব্যবহৃত কূপের বিষাক্ত গ্যাস, অগ্নিকুণ্ডের ফলে তৈরি এক ধরনের বিষাক্ত গ্যাসের কারণে অনেক ক্ষেত্রে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু ঘটে। গ্যাস জাতীয় বিষ শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে ভেতরে ঢুকে মৃত্যু ঘটায়।

    বিষ খেলে কি করনীয় এবং বিষ খেলে প্রাথমিক চিকিৎসা কি তা আমরা অনেকে জানি না। যার ফলে, বিষ খাওয়া রোগীকে নিয়ে পরতে হয় বিপাকে। দুর্ঘটনাবশত কিংবা অজ্ঞতা বশত অনেক সময় মানুষ বিষ খেয়ে থাকে। আবার অনেকে আত্মহত্যার জন্য বিষ খেয়ে থাকে।

    দুর্ঘটনাবশত সাধারণত কেরোসিন, পেট্রোল, সোডা ইত্যাদি তরল দ্রব্য মানুষ খেয়ে থাকে। এছাড়া, শিশুরা অসাবধানতার বশে বিভিন্ন ক্ষতিকর তরল দ্রব্য খেয়ে ফেলে। মাঝে মাঝে আবার ইনজেকশনের মাধ্যমেও বিষক্রিয়া ঘটে তাকে। গ্রামের দিকে অবশ্য কীটনাশক জাতীয় বিষ খেয়ে মৃত্যুর পরিমাণ বেশি।

    সুয়ারেজের বিষাক্ত গ্যাস, গভীর অব্যবহৃত কূপের বিষাক্ত গ্যাস, অগ্নিকুণ্ডের ফলে তৈরি এক ধরনের বিষাক্ত গ্যাসের কারণে অনেক ক্ষেত্রে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু ঘটে। গ্যাস জাতীয় বিষ শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে ভেতরে ঢুকে মৃত্যু ঘটায়।

    বিষ খেলে কি করনীয়

    পূর্বে আমরা আগুনে পুড়ে গেলে কি করবেন এবং পানিতে ডুবে গেলে করণীয় ও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বিস্তারিত বলেছি। আজকের এই লেখায় এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। বিষক্রিয়া এবং বিষ খেলে কি করনীয় তা নিচে তুলে ধরা হল।

    বিষ প্রয়োগের কারণ

    • আত্মহত্যার জন্য
    • অন্যকে হত্যার জন্য
    • দুর্ঘটনা বশত
    • অজ্ঞতা বা অসাবধানতার কারণে যা শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়।

    বিষ প্রয়োগের মাধ্যম

    • খাওয়ার মাধ্যমে সাধারণত মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ঔষধ, আর্সেনিক, কেরোসিন, ধুতুরা, মাত্রাতিরিক্ত মাদকদ্রব্য ইত্যাদি।
    • ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষক্রিয়া দ্রব্য শরীরে পুশ করা হয়।
    • শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে যা কিনা ভূমিকাতে উল্লেখ করা হয়েছে।
    • জমিতে দেওয়া কীটনাশকের মাধ্যমে।

    সাধারণত যে বিষগুলোর কারণে অধিক মৃত্যু ঘটে থাকে

    • ইঁদুর মারার বিষ।
    • যে কোনও ওষুধ মাত্রাধিক সেবন।
    • কেরোসিন, ডিজেল কিংবা পেট্রোল খেলে।
    • আর্সেনিক আক্রান্ত হয়ে বিষক্রিয়া।
    • ডি. ডি. টি. কিংবা অন্য কোনও কীটনাশক ওষুধের জন্য।
    • ধুতুরার বিষ প্রয়োগে৷
    • মদ, গাজা কিংবা হিরোইন ইত্যাদি মাত্রাতিরিক্ত সেবন করে ফেললে।
    • উগ্র ক্ষার কিংবা কড়া এসিড।
    • বিভিন্ন বিষোধক দ্রব্য।
    • অতিরিক্ত ধূমপান করলে।

    বিষ খেলে প্রাথমিক চিকিৎসা

    বমি করানোর চেষ্টা করা

    বিষ খেলে যদি লোকটির জ্ঞান থাকে তবে বমি করানোর চেষ্টা করা উচিত। রোগীর গলায় আঙ্গুল ঢুকিয়ে বমি করাতে হবে। এক্ষেত্রে রোগী নিজে আঙ্গুল প্রবেশ করাতে পারে। আর রোগী অক্ষম হলে চিকিৎসা-দাতা চেষ্টা করবে। অথবা যে পদ্ধতিতে সে বমি করবে সে পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।

    লবণ মেশানো গরম পানি, ডিমের সাদা অংশ কিংবা কাচা সরষের তেল খাইয়েও বমি করানো যায়।

    বমি করানোর সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে বমি ফুসফুস বা শ্বাসনালীতে প্রবেশ না করে। সেজন্য রোগীর মাথা কিছু নিচের দিকে কাত করে রাখতে হবে।

    যে-সব ক্ষেত্রে বমি করানো যাবে না

    • অজ্ঞান অথবা শক-প্রাপ্ত রোগী হলে।
    • এসিড, ক্ষার, কেরোসিন, পেট্রোলিয়াম ইত্যাদি জাতীয় বিষক্রিয়া হলে।

    বিভিন্ন রকম বিষের প্রাথমিক চিকিৎসা

    এসিড জাতীয় বিষ – রোগী যদি এসিড খেয়ে থাকে তবে রোগীকে প্রচুর পরিমাণে পানি, দুধ, ডিমের সাদা অংশ ইত্যাদি খাওয়াতে হবে । রোগী যদি সাথে সাথেই বমি করে তখন বিপদ কমে গিয়েছে মনে করতে হবে । কারণ কড়া এসিড তখন দ্রবীভূত হয়ে দুর্বল হয়ে যায়।

    গ্যাস জাতীয় বিষ – রোগী যদি গ্যাস জাতীয় বিষ দ্বারা আক্রান্ত হয় তবে প্রথমেই রোগীকে খোলামেলা জায়গায় নিয়ে যেতে হবে। রোগীর পরিধেয় বস্ত্র টিলা করে দিতে হবে। শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে কৃত্রিম উপায়ে চালিয়ে যেতে হবে।

    এলকালি বা ক্ষার জাতীয় বিষ – এলকালি কিংবা ক্ষার দ্বারা বিষক্রিয়া ঘটলে প্রচুর পানি, দুধ এবং টক জাতীয় সরবত যেমন- লেবুর সরবত, কমলার রস ইত্যাদি খাওয়াতে হবে। এগুলো খাওয়ার পর যদি রোগী বমি করে তবে বিপদ অনেকটা কেটে যাবে ।

    কীটনাশক জাতীয় বিষ – কীটনাশক ওষুধ ব্যবহার করার সময় নাকে মুখে গামছা বেঁধে হাতে দস্তানা পরে নিলে ভাল হয়। যদি হাতে কিংবা গায়ে ওষুধ লেগেই যায় তবে সাথে সাথে ধুয়ে ফেলতে হবে।

    ঘুমের ঔষধ – বমি করাতে হবে। গরম চা, কফি ও প্রচুর পানি পান করাতে হবে। রোগীকে সজাগ রাখার জন্য চেষ্টা করতে হবে। তারপর চিকিৎসকের নিকট নিতে হবে।

    বিষ খেলে কি করনীয়

    একনজরে দেখে নিন বিষ খেলে রোগীকে কি কি করতে হবে। যথা –

    ১। রোগীকে পরীক্ষা করে দেখতে হবে ।

    ২। তাৎক্ষণিক মেডিকেল সাহায্যের ব্যবস্থা করতে হবে।

    ৩। রোগী যখন বমি করে তখন সেই বমি কোনও পাত্র, পলিথিন কিংবা শিশি বোতলে সংগ্রহ করতে হবে। যাতে করে কখন, কি ও কতটুকু বিষয় খেয়েছে তা ডাক্তার জানতে পারে।

    ৪। রোগী যদি অজ্ঞান থাকে তবে রোগীকে উপুড় করে শুইয়ে দিতে হবে এবং মাথা একদিকে ফিরিয়ে রাখতে হবে। মাথায় কোনও বালিশ ব্যবহার করা যাবে না, যদি বেশি বমি করে জামাকাপড় ভিজিয়ে ফেলে তবে তা সবিয়ে দিতে হবে।

    ৫। শ্বাস প্রশ্বাস ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ থাকলে কৃত্রিম পদ্ধতিতে চালু করতে হবে।

    ৬। রোগী ঝিমিয়ে পড়লে তাকে জাগিয়ে রাখতে হবে ।

    ৭। শক হলে তার প্রতিকার করতে হবে।

    ৮। উপযুক্ত নিরোধক পাওয়া গেলে তা প্রয়োগ করতে হবে ।

    শেষ কথা

    এই ছিল আজকে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা। মনে রাখবেন প্রাথমিক চিকিৎসা মানে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা নয়। তাই, প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর অবশ্যই রোগীকে হাসপাতাল বা ডাক্তারের নিকট নিতে হবে।

    ….ধন্যবাদ ৷৷

    • 993 views
    • 1 answers
    • 0 votes
  • Asked on October 26, 2020 in Internet.

    সবচেয়ে বড় হ্যাকার বলতে কিছু আমরা পাবো না।

    তবে বাংলাদেশে আমার জানা সাড়া ফেলানো কিছু লেজেন্ডারি হ্যাকার আছে, যেমনঃ

    ১. TIGER-M@TE : গুগল, মাইক্রোসফট সহ নানান বড় বড় সাইট হ্যাক করে মোট প্রায় ৭ লাখ এর মতো ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে। ২০১১ তে হ্যাকিংয়ে বিশ্ব রেকর্ড করে সে। ptwusa, bikemanhattan, nolck, headborough, fanta kenya, yahoo, Google Malaysia, Google Bangladesh, inmotionhosting ইত্যাদি হ্যাক করেছে। সে একজন ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার।

    ২. Mr.GH05T : ট্রিকবিডির মতো ওয়েবসাইটও তার দ্বারা হ্যাক হয়েছে, আরও অনেক ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের রেকর্ড আছে তার। সে সাধারনত Eagle Cyber Army গ্রুপের মেম্বার। (Grey hat hacker)

    ৩. Abdur Rahman Bikash “The A.R.B.” : Bangladesh Elite Hackers নামের এক গ্রুপের CEO এবং একমাত্র এডমিন ছিল The A.R.B., গ্রুপটি বর্তমানে নেই। সে Pakistan Cricket Board সাইটের ভার্নাবিলিটি, Daily pakistan, Indira Gandi National Tribal Website, even Google Translate সহ অসংখ্য সাইটের ভার্নাবিলিটও খুজে পায় এবং ল্যামিংকৃত Yokai hackers দের অফিসিয়াল সার্ভার হ্যাক করে। ২০১৯ সালে সে অফিসিয়ালি তার পরিচয় প্রকাশ করে দেয়। সে একজন এথিক্যাল হ্যাকার।

    • 1046 views
    • 1 answers
    • 0 votes
  • Asked on October 22, 2020 in Internet.

    শুধু মোবাইল কোম্পানি নয়, অনেক পন্য বিক্রেতা বা সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এরকম মূল্য নির্ধারন করে থাকে।

    জমি ক্রয়, ফ্লাট বিক্রয়, ইন্টারনেটের সেবা, যানবাহন ক্রয়, সুপারশপে গ্রোসারি, মোবাইল ফোন ক্রয়, নেটফ্লিক্স এর সাবস্ক্রিপশন বিল, জুতা, মোটর সাইকেল ইত্যাদি অনেক পন্য/ সেবায় এরকম মূল্য দেয়া থাকে।

    একে সাইকোলজিক্যাল প্রইসিং পদ্ধতি(Psychological Pricing Strategy) বলা হয়।

    প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং বিভাগ তখনই এ পদ্ধতি অনুসরন করবেন বা করেন, যখন তাদের টার্গেট কাস্টমার (Target Group) ইকোনমিক চিন্তার অধিকারী হন। প্রিমিয়াম পন্যের সেগমেন্টে তারা এরকম প্রাইসিং করেন না।

    এরকম মূল্য নির্ধারনের অন্যতম কারন হচ্ছে, Consumer behaviour বা ক্রেতার ভাবভঙ্গি, যা নিয়ে বিভিন্ন দেশের মতন আমাদের দেশের মার্কেটিং ফার্ম এবং মার্কেটিং স্কলার রা রিসার্চ করে যাচ্ছেন।

    যখন একটি পন্য/ সেবার মূল্য আট হাজার টাকার বদলে ৭,৯৯০ টাকা ঠিক করা হয়, কাস্টমারের মনের মধ্যে খেলা করে যে সে আসলে সাত হাজার এবং এর কিছু বেশি টাকা পরিশোধ করছেন।

    ঠিক একই রকম ভাবে মোবাইল কোম্পানিগুলি বেশিরভাগ সময় ডেটা প্যাক এর মূল্য ১ টাকা কম রেখে নির্ধারন করেন।

    • 1025 views
    • 1 answers
    • 0 votes
  • Asked on October 19, 2020 in Mobile.

    ধরুন, আপনি স্যামসাঙ এর স্মার্টফোন কিনেছেন কয়েক মাস আগে। স্বাভাবিকভাবেই আপনি স্মার্টফোনটির সাথে ১ বছরের সার্ভিস এবং রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি পেয়েছেন। স্মার্টফোনটি ৩/৪ মাস ব্যাবহার করার পরেই আপনার ফোনে একটা সমস্যা দেখা দিল।

    হয়ত আপনার ব্যাটারি ব্যাকআপ অনেক কমে গেল অথবা আপনার ফোনের স্পিকার বা মাইক্রোফোন কাজ করা বন্ধ করে দিল বা এই ধরনের অন্য কোন সমস্যা দেখা দিল এবং আপনি স্মার্টফোনটি স্যামসাঙ রিপেয়ার সেন্টারে নিয়ে গেলেন এবং স্মার্টফোনটি ঠিক না করে, আপনি স্মার্টফোনটির রিপ্লেসমেন্ট দাবী করলেন।

    এখন স্যামসাঙ কর্পোরেশন আপনার স্মার্টফোনটি ঠিক করে দিতে পারলেও তারা আপনার স্মার্টফোনটির রিপ্লেসমেন্ট দিতে বাধ্য, যেহেতু তারা আপনাকে ১ বছরের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি দিয়েছে। তারা আপনাকে আপনার ফোনটি রিপ্লেস করে দেবে। কিন্তু আপনি যে নষ্ট হয়ে যাওয়া স্মার্টফোনটি ওদের কাছে জমা দিয়েছেন, সেটি ওরা কি করবে?

    ওরা যা করতে পারে, তা হচ্ছে, আপনার ওই স্মার্টফোনটিতে যেসব সমস্যা ছিল, সেগুলো রিপেয়ার করে তারা এই স্মার্টফোনটি আবার সেল করতে পারে। এখন এই স্মার্টফোনটিই হচ্ছে রিফারবিশড স্মার্টফোন। অর্থাৎ, এগুলো হচ্ছে ইউজড স্মার্টফোন যেগুলোর প্রবলেম রিপেয়ার করে আবার সেল করা হচ্ছে। কিন্তু আপনি নিশ্চই এই স্মার্টফোনটি একটি নতুন স্মার্টফোনের সমান দাম দিয়ে কিনতে চাইবেন না।

    ঠিক এই কারনে এসব স্মার্টফোনের দাম একটি নতুন স্মার্টফোনের থেকে অনেক কম হয়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে ফোনটি নকল বা ক্লোন। ফোনটি অবশ্যই অরিজিনাল, শুধুমাত্র ফোনটি ইউজড এবং রিপেয়ার করা হয়েছে। হয়ত ফোনের ভেতরের কোন পার্টস বা কম্পোনেন্টস রিপ্লেস করা হয়েছে। কিন্তু স্মার্টফোনটি নকল নয়।

    রিফারবিশড ফোন সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। এক ধরনের ফোন সরাসরি ম্যানুফ্যাকচারারের দ্বারা রিফারবিশড করা হয়। এটি হচ্ছে সেই ধরনের স্মার্টফোন যেগুলোর কথা এতক্ষণ ওপরে বললাম। আর আরেক ধরনের ফোন আছে যেগুলো থার্ড পার্টি ম্যানুফ্যাকচারের দ্বারা রিফারবিশড করা হয়।

    অর্থাৎ, আপনার কেনা স্মার্টফোনটির যদি আর ওয়ারেন্টি অবশিষ্ট না থাকে এবং আপনি যদি এই স্মার্টফোনটি কোন থার্ড পার্টি ম্যানুফ্যাকচারারের কাছে অনেক কম দামে সেল করে দেন, তাহলে তারা আপনার স্মার্টফোনটি রিপেয়ার করে আরেকটু বেশি দামে রিফারবিশড ফোন হিসেবে অনলাইনে বা অফলাইনে আবার সেল করতে পারে। এটাই হচ্ছে থার্ড পার্টি ম্যানুফ্যাকচারার দ্বারা রিফারবিশড স্মার্টফোন।

    রিফাবিশড স্মার্টফোনের সুবিধা-অসুবিধা

    এখন আশা করি আপনার কিছুটা ধারণা হয়েছে রিফারবিশড ফোনগুলোর ব্যাপারে। এখন সরাসরি প্রধান বিষয়ে আসা যাক। আপনার কি একটি রিফারবিশড ফোন কেনা উচিৎ? এই প্রশ্নটির উত্তর কয়েকটি ছোট ছোট বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। একটি রিফারবিশড ফোন কেনার আগে আপনাকে প্রথমেই সঠিকভাবে জানতে হবে যে এটি কোন ধরনের রিফারবিশড স্মার্টফোন। অর্থাৎ, এটি কি ফার্স্ট পার্টি ম্যানুফ্যাকচারার দ্বারা রিফারবিশড স্মার্টফোন নাকি থার্ড পার্টি ম্যানুফ্যাকচারার দ্বারা।

    এসময় বেশি প্রায়োরিটি দেওয়া উচিৎ ফার্স্ট পার্টি ম্যানুফ্যাকচারার বা কোম্পানির দ্বারা রিফারবিশড স্মার্টফোনকে। কারন সরাসরি কোম্পানির দ্বারা রিপেয়ার করা হলে সেই স্মার্টফোনে সমস্যা একটু কমই থাকার কথা।

    যদিও এই স্মার্টফোনে কোন ধরনের কোন প্রবলেম থাকবেনা বা একেবারে নতুনের মত হবে এটা আশা করাই বোকামি, কিন্তু কোম্পানির দ্বারা রিফারবিশড হলে স্মার্টফোনটির ওপর একটু বেশি বিশ্বাস করা যায়। আবার সরাসরি কোম্পানির দ্বারা রিফারবিশড হলে অনেকসময় আপনাকে ফোনের সাথে ৬ মাস বা ১ বছর বা আরও বেশি অফিশিয়াল ওয়ারেন্টি দেওয়া হবে।

    অর্থাৎ রিফারবিশড স্মার্টফোন হওয়ার পরেও, কেনার পরে আপনার ফোনের কোন সমস্যা হলে কোম্পানি আপনাকে ফোনটি রিপেয়ার করে দেবে। কিন্তু থার্ড পার্টি ম্যানুফ্যাকচারার দ্বারা রিফারবিশড স্মার্টফোনে এই ধরনের সুবিধা আপনি সাধারনত পাবেন না।

    কিন্তু এসব স্মার্টফোনের ওপর আপনি কখনোই ১০০% ভরসা করতে পারবেন না। এই ধরনের যেকোনো স্মার্টফোন কেনার আগে একবার ভেবে নেবেন যে, এই স্মার্টফোনটিতে আগে একবার সমস্যা দেখা দিয়েছিল বলেই এই ফোনটি রিফারবিশড করে সেল করা হচ্ছে।

    তাই আপনাকে ধরে নিতেই হবে যে ভবিষ্যতে এই ফোনে আবারো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনি যদি মনে করেন যে এটা মেনে নিয়ে আপনি স্মার্টফোনটি ব্যাবহার করতে পারবেন, তাহলেই শুধুমাত্র একটি রিফারবিশড স্মার্টফোন কিনবেন।

    এসব স্মার্টফোন কেনার আগে যেসব বিষয় মাথায় রাখবেন

    ওপরে এসব স্মার্টফোন সম্পর্কে যা যা বললাম এসব জানার পরেও যদি আপনি এই স্মার্টফোন কিনতে চান, তাহলে কেনার আগে অবশ্যই কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখবেন। যেমন,

    ১. অবশ্যই স্মার্টফোনটি কোন রিপুটেড অনলাইন/অফলাইন শপ থেকে কিনবেন। যেমন, যদি অনলাইন থেকে কেনেন, তাহলে রিপুটেড অনলাইন স্টোর থেকে কিনবেন। এবং স্মার্টফোনটি কেনার আগে অবশ্যই স্মার্টফোনটির ইউজার রিভিউ এবং সেলার রিভিউ চেক করবেন। যারা এই স্মার্টফোনটি ওই সেলারের কাছ থেকে কিনেছে, তাদের সাথে সম্ভব হলে সরাসরি যোগাযোগ করুন এবং তার মতামত নিন।

    • 1032 views
    • 1 answers
    • 0 votes
  • Asked on October 12, 2020 in Google.

    গুগল সম্প্রতি ৬ মাস মেয়াদি একটা কোর্স চালু করেছে এবং তারা এটাকে ৪ বছরের ডিগ্রির সমতুল্য ধরেছে।বিশ্বের যেকোন দেশে থেকেই এই কোর্সটি করা যাবে।এই কোর্স কমপ্লিট করে certificate নিতে পারলে গুগল থেকে চাকরির সুযোগ সহ ১০০০০$ ডলার পর্যন্ত স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ আছে।

    বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে খুব একটা কাজে আসবে না ।তবে দেশের প্রাইভেট আইটি ফার্ম গুলোতে হয়তো সুযোগ পেতে পারেন।সবচেয়ে ভালো হবে বাইরের দেশে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে কারন তারা এগুলোকে বেশি গুরুত্ব দেয়। তারপরও আপনি চাইলে কোর্স টি করতে পারেন।

    বিস্তারিত:Google Introduces 6-Month Career Certificates, Threatening to Disrupt Higher Education with “the Equivalent of a Four-Year Degree”

    • 1027 views
    • 1 answers
    • 0 votes
  • Asked on September 30, 2020 in Technology.

    আচ্ছা আপনি কি কখনো 4G নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার সময় লক্ষ করেছেন যে যখন কোনো কল আসে বা আপনি কোন কল দেন তখন মোবাইল ডাটা H+ এ শিফট হয়ে যায়?

    এর কারণ হচ্ছে, বাংলদেশে যে 4g নেটওয়ার্ক আছে সেটা শুধু ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, ভয়েস কল এর জন্য না।

    তাই কল দেয়ার সময় নেটওয়ার্ক 2G অথবা 3G হয়ে যায়। কিন্তু Vo LTE(Voice Over LTE) এর ক্ষেত্রে আপনি কল করার সময় 4g নেটওয়ার্ক ব্যাবহার করতে পারবেন। এক্ষেত্রে সুবিধা:

    #খুব তাড়াতাড়ি কল যাবে অর্থাৎ কল করার সময় যে কিছুক্ষন অপেক্ষা করা লাগতো সেটা লাগবে না।

    #ভয়েস কল এর বা ভিডিও কল উভয় ক্ষেত্রেই ক্লিয়ার HD কোয়ালিটি পাওয়া যাবে।

    #মোবাইলের ব্যাটারি কম খরচ হবে

    #নেটওয়ার্কের কাভারেজ বৃদ্ধি পাবে।

    আর হ্যা, এর জন্য কোনো চার্জ প্রয়োজন নেই।

    (ছবি গুগল থেকে কালেক্ট করা)

    ধন্যবাদ। কোনো ভুল থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

    • 1006 views
    • 1 answers
    • 0 votes