আমরা যে প্রতিদিন এত ডাটা ইন্টারনেট এ খরচ করি তার উৎস বা উৎপন্ন কোথায় হয়?
মূল কথা হচ্ছে, আপনি ইন্টারনেটে কোন ডাটা খরচ করেন না, আর ডাটা কোথাও উৎপন্ন ও হয় না। সাধারণ দৃষ্টিতে ব্যাপারটা যেরকম লাগে সেরকম মোটেও না, তাহলে আপনি বলবেন, ফোন থেকে নির্দিষ্ট কোড ডায়াল করলে যে অবশিষ্ট ডাটা ব্যালেন্স দেখানো হয় সেটা আসলে কি?
ওয়েল, আপনার সিম ডাটা অ্যাকাউন্টে যতো ডাটা প্রদর্শিত করানো হয়, সেটা হচ্ছে জাস্ট একটা লিমিট, অর্থাৎ আপনি মোট কতোটুকু ব্যান্ডউইথ খরচ করতে পারবেন। আপনার ফোনে ডাটা ব্যালেন্স ১ জিবি রয়েছে এর মানে কথা থেকে কেটে আপনাকে ১ জিবি জমা করিয়ে দেয়নি, জাস্ট আপনি ১ জিবি ডাটা ট্র্যান্সফার করতে পারবেন সেটা বুঝানো হচ্ছে।
ইন্টারনেট এক বিশাল কম্পিউটারের সমষ্টি, এই ব্যাপার গুলো নিয়ে আমার লেখা আরো বিস্তারিত লিংক নিয়ে প্রদান করছি। ধরুন আপনার বাড়িতে রাউটারের সাথে আপনার ৩টি ফোন, ২টা ল্যাপটপ এবং ১টি পিসি কানেক্টেড রয়েছে, আপনি জানেন কি এই ডিভাইজ গুলো একসাথে কানেক্ট করে আপনি নিজের এক ছোট্ট পার্সোনাল ইন্টারনেট তৈরি করেছেন? ওয়েল, একে সরাসরি ইন্টারনেট বলা হয় না যদিও, একে লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বলে। আসলে এই লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক আর ইন্টারনেটের মধ্যে তেমন কোন পার্থক্যই নেই, বেসিক গুলো সব সেইম!
আপনি নিশ্চয় শেয়ারইট ইউজ করে এক ফোন থেকে আরেক ফোনে ডাটা/গান/পিকচার শেয়ার করেন তাই না? আপনি কি জানেন, এভাবেই ইন্টারনেট কাজ করে? তাহলে এই ডাটা গুলো কই থেকে আসছে? আসলে এগুলো আরেক কম্পিউটারে স্টোরড থাকা ফাইল যেগুলো আপনি আপনার ডিভাইজে চাচ্ছেন। আর এই ফাইল গুলো সার্ভার থেকে আপনার ডিভাইজে পার করার জন্য ইন্টারনেট কাজ করে জাস্ট!
এখন যারা আপনাকে ইন্টারনেট কানেকশন দিয়ে রেখেছে তারা এই ডাটা পার করতে আপনার থেকে কিছু অর্থ নেই, এই ডাটা তাদের কাছে নেই, তারা জাস্ট লিমিট সেট করে আপনি কতোটুকু ডাটা ট্র্যান্সফার করতে পারবেন। যেটা হতে পারে যেকোনো ফাইল, জাস্ট এক সার্ভার থেকে আপনার ফোনে বা যেকোনো কম্পিউটারে মুভ করলেই সেটা হিসেব হয়ে যাবে।
আরো বিস্তারিত জানতে চাইলে বেশ কিছু আর্টিকেল লিংক নিচে দিয়ে দিলাম, যেগুলো সম্পূর্ণ ব্যাপার গুলোকে পানির মতো পরিষ্কার করে দেবে;