কিভাবে কয়েল কিংবা অ্যারোসল ব্যবহার না করে ঘরকে মশা মুক্ত রাখা যায়?
আজকাল মশারাও চালাক হয়ে গেছে। কয়েল জ্বালালে তারা কাছে ঘেঁষে না, আবার অ্যারোসল ব্যবহার করলে কিছুক্ষণ অচেতন থেকে পুনরায় উঠে আসে। কোনোটায় তেমন কাজ হয়না। তবে, হ্যাঁ, আদিকাল থেকে আমাদের পূর্বপুরুষদের সময়কার কথা বিবেচনা করলে বলা যায়, অবশ্যই মশা তাড়ানোর নানা উপায় অবলম্বন করা হতো। প্রাকৃতিকভাবে মশা তাড়ানোর সেরকম কিছু বিকল্প, যেগুলো ঔষুধি গুণাগুণের পাশাপাশি অর্ণামেন্টাল প্লান্ট হিসেবে আপনার ঘরের সৌন্দর্য বর্ধন করবে-
১। তুলসী
মশার বিরাট অপছন্দের সুগন্ধ হলো তুলসী। তাই দরজা-জানালার পাশে তুলসী গাছের উপস্থিতি মশার উপস্থিতিকে ভীষণ বিরক্ত করে।
এছাড়াও মশার কামড়ে দাগ পড়ে যাওয়া স্থানে তুলসী পাতার রস দারুণ কার্যকর।
২। ক্যাটনিপ
আপনার ঘরে যদি বিড়াল থেকে থাকে তাহলে কথাই নেই, আজই নিয়ে আসতে পারেন এটি আপনার বাসায়। এই গাছ যদি আপনার বাগানে থাকে, তবে কয়টা ডাল ভেঙ্গে সন্ধ্যার আগে দরজা-জানালার পাশে রেখে দিতে পারেন। শুধুই মশারা বিরক্ত হবে তাই নয়, অন্যান্য পোকামাকর এর উপদ্রব থেকে রেহায় দিবে আপনার ঘরকে।
৩। ফিভারফিউ
আপনার বাগানে বেশী করে ফিভারফিউ লাগান, মশা বাদে অন্যরাও আপনার আঙ্গিনার আশপাশে আসবেনা। আর প্রতিদিন সকালবেলা কয়েক গুচ্ছ ডাল এনে ঠিক ছবির মতো করে সাজিয়ে রেখে পরেরদিন সকাল পর্যন্ত রেখে আবার নতুন গুচ্ছ দিয়ে সাজিয়ে রাখবেন। এক ঢিলে ২ পাখি মারা হয়ে গেলো।
৪। লেমনবাম
বাসায় বসেই লেমন বাম গাছের টবে লাগানো যেতে পারে। অতি সহজ, কম যত্নে।
৫। রোজমেরী
অনলাইনে অর্ডার করতে পারেন। অনেকে বিশ্বাস করে, রোজমেরি অনেকটা ইউক্যালিপটাস তেলের মতো কাজ করে।
– তাছাড়া, রসুন, লেমন গ্রাস, ল্যাভেন্ডার, অরিগানো গাছের টব রাখতে পারেন।