কিভাবে পুঁজিবাদ শিল্পকে প্রভাবিত করে?
‘বাইসাইকেল ধীরে ধীরে মেরে ফেলছে পৃথিবীকে!’
কথাটি একজন ব্যাংকারের। তিনি যখন বিষয়টি ডিটেইলসে বলেন, বড় বড় অর্থনীতিবিদরাও তাতে চিন্তার খোরাক পেয়েছেন। আরবান সাইক্লিং ইনস্টিটিউট ব্যাংকার বলেন, একজন সাইক্লিস্ট দেশের অর্থনীতির জন্যে দুর্যোগ স্বরূপ। তিনি গাড়ি কিনেন না। ফলে গাড়ি কেনার জন্য ধারও করতে হয় না তাকে। একজন সাইকেল ব্যবহারকারী ইন্সুরেন্স করেন না। জ্বালানী কিনেন না, তাকে এমনকি গাড়ি মেরামত বাবদও কোনো খরচ করতে হয় না।
ব্যাংকার আরো বলেছেন, যিনি সাইকেল চালিয়ে অভ্যস্ত, তাকে পার্কিং করার জন্যে কোনো পয়সা দিতে হয় না। সাইকেলের কারণে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটে না, ফলে হাসপাতালও রোগী পায় না।
সাইকেল চালানো মানুষ বহুলেনের রাস্তাও ব্যবহার করে না। এমনকি লোকটি মোটাও হয় না সাইকেল চালানোর কারণে।
ব্যাংকার বলছেন, অর্থনীতির জন্যে স্বাস্থ্যবান মানুষ মোটেও উপকারী বা প্রয়োজনীয় নয়। তাদের ডাক্তার দেখাতে হয় না। হাসপাতালে যেতে হয় না। ঔষধই কিনতে হয় না। তারা দেশের জিডিপিতে কোনো অবদান রাখে না।
অন্যদিকে, ম্যাকডোনাল্ডসের একটা নতুন শপ হওয়া মানে কিছু লোকের চাকরি হওয়া। পাশাপাশি কমপক্ষে ৩০ জনের আয়ের সুযোগ করে দেয় নতুন দোকানটি। তারা হলেন ১০ জন হার্টের ডাক্তার, ১০ জন ডেন্টিস্ট এবং ১০ জন ডায়েটিশিয়ান ও পুষ্টিবিদ।
সুতরাং ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন, সাইকেল কিনবেন নাকি ম্যাকডোনাল্ডসের দোকান, ফাস্টফুডের দোকান ? আর যারা পায়ে হাঁটে, তারা সবচেয়ে খারাপ। কারণ তারা একটি সাইকেলও কেনে না!
ভাবুন। ভালো করে ভাবুন। পায়ে হাঁটবেন? সাইকেল কিনবেন নাকি ম্যাকডোনাল্ডসের দোকান, নাকি বড় বড় প্রাইভেট হাসপাতাল ?
এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন পুঁজিবাদ কিভাবে শিল্পকে প্রভাবিত করে।