কিভাবে ফেসবুক পেজের লাইক বাড়ানো যায় ?
কিভাবে ফেসবুক পেজের লাইক বাড়ানো যায় ?
ফেসবুক পেজের লাইক বাড়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি না বাড়াতে পারেন, তবে আপনার পেজটি আড়ালেই পড়ে থাকবে। আর আড়ালে থাকা কোনও পেজ দিয়ে আপনি কিছু করতে পারবেন না। অর্থাৎ, এই পেজটি আপনার কোনও কাজে লাগবে না।
ফেসবুক পেজকে অনেক কাজেই লাগানো যায়। অর্থাৎ, আপনার যদি একটি পেজ থাকে, তবে আপনি এটিকে নানা কাজে লাগাতে পারবেন। যেমন-
- নিজের আইডেনটিটি গড়ে তুলতে পারবেন।
- নিজের মতামতকে অন্যের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারেন।
- আপনার মধ্যে থাকা সৃজণশীলতার বাহ্যিক প্রকাশ ঘটাতে পারবেন।
- আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের জন্যে প্রচুর ট্রাফিক ড্রাইভ করাতে পারবেন।
- আপনার অনলাইন কিংবা অফলাইন ব্যবসার প্রচার ও প্রকাশ ঘটাতে পারবেন।
এছাড়া, ফেসবুক পেজ থেকে আয় করার যে-সব উপায় রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবেন।
কিন্তু সবকিছুর মূলে রয়েছে লাইক। আপনাকে অবশ্যই প্রতিনিয়ত আপনার পেজটির লাইক বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। কিন্তু কিভাবে বাড়াবেন? আসুন, সেটাই আজ জানা যাক।
ফেসবুক পেজের লাইক বাড়ানোর উপায়
বর্তমানে প্রায় ২.৬ বিলিয়ন ফেসবুক ব্যবহারকারী রয়েছে। এত বিশাল লোকের মাঝে আপনি সহজেই কতগুলো সিম্পল ট্রিক ব্যবহার করে আপনার পেজকে জনপ্রিয় করে তুলতে পারেন। এই আর্টিকেলে আপনি জানতে পারবেন,ফেসবুক পেজে লাইক বাড়ানোর ১২ টি ব্রিলিয়ান্ট উপায়।
খেয়াল রাখুন আপনার পেজ যাতে খুঁজে পাওয়া যায়
এটা একটি সাধারণ কনসেপ্ট যে মানুষ যদি আপনার পেজ খুঁজেই না পায়, তবে লাইক দেবে কিভাবে! সুতরাং, আপনার পেজ খুঁজে পাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আর এই জন্যে নিচের কাজগুলো করতে পারেন-
- পেজটার সহজ ও বিজনেস রিলেটেড নাম দেন
ভাববেন না যে নামে কি এসে যায়! বরং, নামেই সবকিছু, নামই আপনার আইডেনটি, নামই আপনার ব্র্যান্ড। কেউ যখন ফেসবুকে আপনার পেজটি খুঁজবে, তাহলে অবশ্যই সে আপনার ব্র্যান্ড লিখেই খুঁজবে। কাজেই, আপনার ব্র্যান্ডের নামটিকেই আপনার পেজের নাম হিসেবে ব্যবহার করুন যাতে লোকজনের জন্যে আপনার ব্যান্ড খুঁজে পাওয়া সহজ হয়ে যায়।
পেজের নাম আপনার বিজনেস রিলেটেড হলে অজানা কেউ সার্চ দিলে আপনার পেইজের এনগেজমেন্ট বাড়বে। নতুন ক্লায়েন্ট আসবে। মনে রাখবেন, আপনার ফেসবুক পেজের নামটি যদি আপনার বিজনেস নামের সঙ্গে খাপ না খায়, তবে আপনি ফেসবুক বিজনেস পেজ ব্যবহারের লাভ থেকে বঞ্চিত হবেন।
- পেজের একটি সুন্দর ও ইউনিক নাম রাখার চেষ্টা করুন
পেজটার সুন্দর একটা নাম দেন। নামের আশে-পাশে অপ্রয়োজনীয় বাহুল্যতা বা বাড়তি অক্ষর বা শব্দ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। এতে আপনার পেইজের প্রফেশনালিজম নষ্ট হয়।
পেজের নামটা যাতে অন্য কারো নামের সাথে হুবহু মিলে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। অন্য কারো নামের সঙ্গে আপনার পেজের নাম মিলে গেলে আপনি প্রটেনশিয়াল কাস্টোমার হারাবেন। দেখা যাবে যে, ইউজাররা আপনার পেজ খুঁজতে গিয়ে আরেকজনের পেজ পেয়ে যাবে এবং সেটাতেই স্থির হয়ে যেতে পারে।
- সহজে মনে রাখা যায় এমন ইউজার নেম দিন
আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে ফেসবুকে তৈরি করা পেজের নাম ও ইউজার নাম কিন্তু এক নয়। পেজের নাম সাধারণত প্রোফাইল পিকচারের নিচে থাকে আর পেজের ইউজার নেম থাকে, ইউআরএল বা অ্যাড্রেস বারে। নিচের ছবিতে হৈচৈ বাংলার ফেসবুক পেজের নাম ও ইউজার নাম আলাদা করে দেখানো হয়েছে।
ইউজার নেমকে ভ্যানিটি ইউআরএলও বলা হয়ে থাকে। যাইহোক, আপনাকে খেয়াল রাখতে এই ভ্যানিটি ইউআরএল বা ইউজার নেম যেন এমন হয় যাতে সেটা সবাই সহজে মনে রাখতে পারে। সেই সাথে আপনার ইউজার নেমটিও যেন পেজের নেমের মতো বিজনেস রিলেটেড হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখুন।
আপনার ফেসবুক পেজকে ব্র্যান্ডিং করুন
ব্র্যান্ডিং অনেক বড় বিষয়। আপনি আপনার ওয়েবসাইটের প্রমোশনের জন্যে হোক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রচারণার জন্যে হোক, কিংবা হোক কোনও পণ্য বিক্রির জন্যে, যে কারণেই ফেসবুক পেজ খোলেন না কেন, সেটাকে অবশ্যই ব্র্যান্ডিং করতে হবে। অর্থাৎ, সবকিছুতেই যেন আপনার পেজের নাম চলে আসে, ব্র্যান্ডিং হয়ে যায়, মানুষের ব্রেনে নামটি গেঁথে যায়। এ জন্যে আপনি যা কিছু করতে পারেন-
- সুন্দর করে পেজটাকে সাজান
নতুন কেউ একজন আপনার পেজে ঢুকলে প্রথমেই তার চোখে পড়বে আপনার পেজের লে-আউট বা আউটলুুকিং। ক্যাচি কভার ফটো, প্রোফাইল ছবি, সব ধরনের ইনফরমেশন দেয়া থাকলে লোকটি আপনার পেজ থেকে শপিং করতে ভরসা পাবে। কাজেই, আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা, মোবাইল নং, মেইল অ্যাড্রেস দিন,অ্যাবাউট সেকশনে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কয়েক লাইন লিখুন, ওয়েবসাইট থাকলে সেটির লিংক যোগ করুন।
এ সবকিছু দেয়া থাকলে একজন ইউজার এসে আর আপনার পেজ থেকে ফেরত যাবে না। সবচেয়ে বড় কথা হলো, আপনার পেজের প্রতি লোকটার একটা বিশ্বাস জন্মাবে যার ফলে তার রেফারেন্সে আপনি আরো ক্লায়েন্ট পেতে পারেন।
আমাদেরও কিন্তু এমন হয়, যখন কোনো নতুন পেজ দেখে ভালো লাগে, তখন আমরা নিজেরাই বন্ধুদের কাছে প্রোমোট করি। পেজের ক্ষেত্রে এই ট্রিকস অনুসরণ করতে পারেন।
- আকর্ষণীয় প্রোপাইল ও কাভার ফটো যুক্ত করুন
ছবির গুরুত্ব কতখানি তা আপনাকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে বোঝাতে হবে না। কারণ, আপনি সেটি জানেন। সাধারণভাবে যে কেউই জানে যে, যে কোনও ফেসবুক পেজের প্রথম ইম্প্রেশনই হচ্ছে এর ছবির লুকিং, বিশেষ করে প্রোপাইল পিকচার ও কাভার ফটোর লুকিং।
কাজেই, আপনার পেজের ছবির দিকে বিশেষ নজর দিন। প্রোফাইল পিকচার হিসেবে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লোগো ইউজ করতে পারেন। লোগো না থাকলে এমন কোনও ছবি ইউজ করতে পারেন যার একটা ভিজ্যুয়াল ইম্প্রেশন থাকবে। আর কাভার ফটোর ক্ষেত্রে কিছুতেই কারো ছবি কপি করার চেষ্টা করবেন না। বরং, ক্রিয়েটিভ একটি ডিজাইন করার চেষ্টা করুন। খেয়াল রাখুন, কাভার ফটো যেন আপনার বিজনেসকে ফোকাস করে। অর্থাৎ, ফটোটি দেখেই যেন ইউজাররা আপনার ব্যবসার ধরণ সম্পর্কে আঁচ করতে পারে।
- ফলো ও লাইক বাটন যুক্ত করুন
আপনার যদি ব্যবসা সংক্রান্ত একটি ওয়েবসাইট থাকে, তবে তাতে ফেসবুক পেজের ফলো ও লাইক বাটন যুক্ত করতে ভুলবেন না। যদি এমন কেউ আপনার ওয়েবসাইটে আসে যে কিনা সাইটটি দেখে মুগ্ধ হয় কিংবা কোনও একটি লেখা পড়ে বিমোহিত হয়, তবে সে আপনার ফেসবুক পেজের লাইক বাটনে ক্লিক করে একটা লাইক দিতে পারে।
- ওয়েবসাইট বা ব্লগে ফেসবুক পোস্ট অ্যামবেড করুন
শুধু লাইক বা ফলো বাটনই নয়, আপনার পেজটিকে ব্র্যান্ডিং করার আরো একটি ভাল উপায় হচ্ছে জনপ্রিয় কোন ফেসবুক পোস্টকে আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটে অ্যামবেড করা। এটা আপনার পেজকে ওয়েবসাইটের সঙ্গে কানেক্ট করার পাশাপাশি, পেজের ভিজিবিলিটি বাড়িয়ে দেবে।
অ্যামবেড করার জন্যে ভাল একটি পোস্ট বেছে নিন। দেখুন, প্রতিটি পোস্টের উপরের তিনটি ডট চিহ্ন রয়েছে। এই চিহ্নের উপর ক্লিক করলে যে ড্রপ ডাউন মেন্যু ওপেন হবে, ওখানে দেখবেন লেখা রয়েছে Embed যার উপর আপনাকে রাইট ক্লিক করতে হবে। এরপর, এই সিম্পল কোডটিকে কপি ও পেস্ট করতে আপনার ওয়েবসাইটের ব্যাক-এন্ডে, এইটিএমএল ভেতরে।
পেজের কোয়ালিটি মেনটেইন করুন
যে কোনও ক্ষেত্রেই, হোক সেটা ব্যবসা বা অন্যকিছু, কোয়ালিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সোশ্যাল মিডিয়া, বিশেষত ফেসবুকের মতো জনপ্রিয় প্লাটফর্মও এর ব্যতিক্রম নয়। এখানেও আপনাকে টিকে থাকতে হলে, ভাল কিছু করতে হলে, অন্যদেরকে টপকাতে হলে কোয়ালিটির দিকে নজর দিতে হবে। জেনে নিন কিভাবে ফেসবুক পেজের কোয়ালিটি বজায় রাখবেন-
- কোয়ালিটি কনটেন্ট আপলোড করুন
আপনার পেজ বিজনেস ওরিয়েন্টেড হলে নতুন ধরনের প্রোডাক্ট আনেন, ক্লায়েন্টের মতামত নেন। আর যদি বিজনেস ওরিয়েন্টেড না হয়, তাহলে আপনার পেজের ধরন অনুযায়ী ভালো ভালো কনটেন্ট পোস্ট করুন। ভালো পোস্ট শেয়ার হলে সেখান থেকেও আপনার পেইজে লাইক পাবেন।
মনে রাখবেন, আপনার পেজের অ্যাক্টিভিটির প্রায় পুরোটাই নির্ভর করছে আপনার কন্টেন্টের উপর। কাজেই, এটার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে, নিয়মিত কোয়ালিটি কনটেন্ট পোস্ট দিতে হবে এবং ইউজারদের অ্যাক্টিভিটির দিকে লক্ষ্য রেখে কোয়ালিটি বাড়ানোরও চেষ্টা করতে হবে।
- ভাইরাল কনটেন্ট বানান
শুধু কোয়ালিটি মেনটেন করলেই হবে না, সেই সাথে কোয়ালিটিফুল পোস্টটা যাতে ভাইরাল হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। কেননা, একটা ভাইরাল কনটেন্ট একটা পেইজের লাইক, রিচ, এনগেজমেন্টের বিপুল পরিবর্তন ঘটায়। এজন্য সমসাময়িক বিষয়ের উপর ভিত্তি করে মাঝেমধ্যে ভাইরাল কনটেন্ট বানাতে পারেন।
আবার, ভাইরাল কন্টেন্ট বানাতে গিয়ে কোয়ালিটি যাতে ফল না করে সেদিকেও খেয়াল রাখুন। ভাইরাল টপিক চুজ করে কোয়ালিটি ধরে রেখে ভালো ভালো কনটেন্ট বানান। যদি কখনো ভাইরাল হয়, তাহলে আপনার পেইজের ফলোয়ার আকাশচুম্বী হয়ে যাবে।
- পপুলার কন্টেন্ট পিন করে দিন
একটা ফেসবুক পেজে যত পোস্ট করা হয়, তার সবগুলোই কিন্তু জনপ্রিয়তা পায় না। অর্থাৎ, ইউজারের দৃষ্টি বা মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে না। তবে, হঠাৎ হঠাৎ দেখা যায় কোন একটি পোস্ট ইউজাররা এত বেশি পছন্দ করেছে যে, সেটিতে সবাই প্রচুর লাইক দিয়েছে। এমনকি, ভাল ভাল কথায় অনেকে অনেক কমেন্টও করেছে।
বুঝতেই পারছেন যে, এটি আপনার পেজের একটি পপুলার পোস্ট। এই পপুলার পোস্টটিকে পিন করে দিন। পিন করার কারণে এটি আপনার পেজের একদম উপরে দেখাবে। এতে করে ফেসবুকের সাধারণ ইউজারদের সঙ্গে আপনার ব্যবসায়ীক পেজের অ্যাংগেজমেন্ট বাড়বে।
- মাঝে মাঝে ফেসবুক লাইভে আসুন
আপনি যে ধরণের পেজই খুলুন না কেন, যদি তাতে মাঝে মাঝে লাইভে আসেন, তবে পেজের লাইক বাড়বে। তবে, যে রিলেটেড পেজ নিয়ে কাজ করবেন, অবশ্যই সেই রিলেটেড বিষয় নিয়েই লাইভ করবেন। অহেতুক কোনও বিষয় নিয়ে লাইভে না আসাই উত্তম, এতে ইউজার বিরক্ত হতে পারে; ফলে লাইক কমতে পারে।
কনটেস্টের আয়োজন করুন বা ছাড় দিন
মানুষ সাধারণত কনটেস্ট বা প্রতিযোগীতা পছন্দ করে। আপনিও পেজে এটি চালু করতে পারেন। কনটেস্ট আপনার পেজের রিচ, এনগেজমেন্ট অনেকখানি বাড়াবে। কনটেস্টে অনেক লোক অংশগ্রহণ করে, তারা লাইক কমেন্ট শেয়ার করে পেজের প্রমোট করে। আল্টিমেটলি লাভটা কিন্তু আপনারই হয়।
বিজনেস রিলেটেড পেজ হলে আকর্ষণীয় মূল্য ছাড় দিতে পারেন। এতে অনেক নতুন ক্লায়েন্ট পাবেন। সেখান থেকে যদি ৩০% ও আপনার রেগুলার ক্লায়েন্ট হয়, তাহলেই আপনার কেল্লাফতে। আর পাশাপাশি পেইজের শেয়ারিং তো আছেই।
বন্ধুদের ইনভাইট করুন
আপনার ফ্রেন্ডলিস্টের সবাইকে পেজে লাইক দেবার জন্য ইনভাইট দেন। আজকাল অনেকেই একের অধিক আইডি চালায়। আপনি যদি তাদের মতো হয়ে থাকেন, তবে আপনারও নিশ্চয়ই একাধিক আইডি রয়েছে। সুতরাং, সব আইডি থেকেই ইনভাইট করুন। প্রয়োজন কিছু ঘনিষ্ঠ্য বন্ধুদেরকেও তাদের আইডি থেকে ইনভাইট করতে বলুন।
এছাড়াও আপনার পেজের পোস্টগুলোতে যারা লাইক কমেন্ট করে কিন্তু পেজে লাইক দেয়া নেই, তাদেরকে ইনভাইট দেয়ার ফিচার রয়েছে। ঐখান থেকে সরাসরি পোস্টে রিয়েক্টকারীকে আপনি ইনভাইট করতে পারেন। এখান থেকেও পেইজে লাইক বাড়বে উল্লেখযোগ্যহারে।
অন্য পেজে ট্যাগ বা মেনশন করুন
ফেসবুকে হাজার হাজার পেজ রয়েছে যেগুলোর মাঝে এমন কিছু পেজ আছে যাতে লাইকের সংখ্যা লক্ষাধিক কিংবা মিলিয়নেরও বেশি। এ-রকম অনেক বেশি লাইকের কোনো পেজে যদি মেনশন বা ট্যাগ করা হয়, তাহলেও আপনার পেজের লাইক বাড়বে। সুযোগ থাকলে এই ট্রিকসটি ব্যবহার করতে পারবেন।
অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পেজটিকে প্রমোট করুন
আপনি নিশ্চয়ই শুধু ফেসবুক নিয়ে পড়ে নেই। লিংডইন, টুইটার, পিন্টারেস্টের মতো আরো অনেক সোশ্যাল সাইটও ইউজ করেন। সুতরাং, ওই সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে আপনার ফেসবুক পেজটি শেয়ার করুন। কিংবা, আপনার পেজের কোন ছবি বা ভিডিও সম্বলিত পোস্ট সে-সব সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন। এতে, সেগুলো থেকে আপনার পেজে অনেকেই আসবে আর তাদের মাঝে এমন অনেককেই আপনি পাবেন যারা আপনার ফেসবুক পেজে লাইক দেবে।
প্রথম দিকে অটো লাইক নিতে পারেন
অনেকেরই এই ব্যাপারে ভিন্নমত থাকতে পারে। কিন্তু একটা পেইজের শুরুর দিকে অটোলাইক দিয়ে পেজে মোটামুটি একটা পরিমাণে লাইক রাখলে নতুন ভিজিটররা আকৃষ্ট হয়। পরে আপনি আপনার স্বাভাবিক, সাধারণ কাজগুলো করলে পেজের লাইক এমনিতেই বাড়বে।
কিন্তু প্রথমদিকে লাইক পাওয়াটা কষ্টকর, ঐ সময় অটোলাইকে আপনার পেইজের ভিউয়ার বাড়াতে পারে। কাজেই, বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে পারেন। আর আপনি যদি মনে করেন যে, আপনি এমনিতেই অন্যান্য উপায় ব্যবহার করে স্বাভাবিকভাবেই লাইক বাড়াতে পারবেন, তবে অটোলাইকের প্রয়োজন নেই।
হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতে পারেন
অনেকেই মনে করে, হ্যাশট্যাগ হলো টুইটার কিংবা ইনস্টাগ্রামের বিষয়। আসলে জিনিসটা এ-রকম না। অনেকেই ফেসবুকে হ্যাশট্যাগ দিয়ে সার্চ করে।
আপনার পেইজে পোস্টের ডিটেইলে কিছু রিলিভ্যান্ট হ্যাশট্যাগ দিয়ে দিবেন। এতে করেও লোকজন কানেক্ট হতে পারবে।
ফেসবুক মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি অনুসরণ করুন
আপনার ব্যবসার জন্য নতুন পেইজ খুললে আপনাকে কিছু জিনিস প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে। যেমন-
- আপনার টার্গেট অডিয়েন্স চিহ্নিত করা: পৃথিবীর সব লোক আপনার জিনিস কিনবে না, এটাই স্বাভাবিক। এমনকি, আপনি নিজেও নিশ্চয়ই সবার কাছে জিনিস বিক্রি করতে যাবেন না। আপনার জিনিসগুলো কোন ধরনের লোক কিনবে, তাদের উপর আপনার ফোকাস করতে হবে। তাদের পছন্দ-অপছন্দ কে প্রাধান্য দিয়ে তাদেরকে নিয়মিত কাস্টমার বানাতে হবে। আস্তে আস্তে তাদের দ্বারাই নতুন কাস্টোমার ও লাইক আসবে।
- কম্পিটিটরদের নিয়ে গবেষণা: আপনার ব্যবসার মতো একই টাইপের ব্যবসা যারা করে, তাদের নিয়ে গবেষণা করুন। তাদের ছেড়ে লোকজন কেন আপনার কাছে আসবে? আপনার ব্যবসার কি এমন স্পেশালটি আছে? এইগুলা নির্ধারণ করুন। আস্তে আস্তে এনগেজমেন্ট পাবেন।
- গোল নির্ধারণ করা: আপনার ব্যবসার উদ্দেশ্য যাতে শুধুমাত্র লাইক পাওয়া না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। পেজে লাইক পেলেও আপনার প্রোডাক্ট যদি সেল না হয়, তাহলে আপনার উদ্দেশ্যই ব্যর্থ। আর যদি আপনি কিছু নিয়মিত সেটিসফাইড কাস্টমার ধরে রাখতে পারেন, তাহলে এক সময় আপনার পেজের লাইক এবং সেল কোয়ান্টিটি দুইটাই বাড়বে।
পেজ রিলেটেড গ্রুপ খুলে নিন
পেজের নামের ফ্যান ক্লাব বা বিজনেস ওরিয়েন্টেড পেইজ হলে রিভিউ গ্রুপ খুলুন। কাস্টমারদের রিভিউ দিতে বলেন। পজেটিভ রিভিউ আপনার ব্যবসা ও পেজের প্রসার অনেকখানি বাড়াবে। এইগুলা স্ক্রিনশট দিয়ে পেইজে পোস্ট করতে পারেন।
অ্যাড দিতে পারেন
ক্যাচি একটা কনটেন্ট বা ভিডিও বানিয়ে অ্যাড দিতে পারেন। অ্যাড দিলে আপনার পেইজের লাইক বাড়বে স্বাভাবিক।
আশা করি, এই ট্রিকসগুলো আপনার কাজে লাগবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো, ভালো কনটেন্ট বানান, আপনার পেইজের রিচ, লাইক সবই বাড়বে। ধন্যবাদ।