গাড়ীর যত্ন কিভাবে করলে ভাল থাকে?
আপনার গাড়ির অত্যাবশ্যকীয় ফ্লুয়িডগুলো পরীক্ষা করে দেখুন। এগুলো যদি পরিমাণে কম থাকে, তবে তা অবশ্যই পূর্ণ করে নিতে হবে। ইঞ্জিনের তেলের পরিমাণ পরীক্ষা করে দেখে তা কম থাকলে ভরে নিন। তবে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন ট্যাংকটি যেন অতিরিক্ত ভরে না যায়। কুল্যান্ট, ট্রান্সমিশন ফ্লুয়িড, ব্রেক ফ্লুয়িড ইত্যাদিও চেক করে নিলে ভাল হয়। ইঞ্জিন ট্যাংকের উষ্ণ অবস্থা এবং চলমান তরল স্তরের পরীক্ষা করুন। এছাড়াও ব্রেক তরল জলাধার এবং পাওয়ার স্টিয়ারিং পাম্প পরীক্ষা করে দেখুন। এতে কোন প্রকারের লিক থাকলে, তা অতিসত্বর মেরামত করে নিন।
নিয়মিত গাড়ির ইঞ্জিনের তেল পরিবর্তন করতে ভুলবেন না। এক্ষেত্রে ম্যানুয়ালের নির্দেশনাগুলো ভাল করে দেখুন। সাধারণত ইঞ্জিন অয়েল পাঁচ হাজার কিলোমিটার কিংবা তিন মাস পর পর বদলানো উচিত। আর অয়েল ফিল্টারও পর্যায়ক্রমে চেঞ্জ করে ফেলতে হবে। নোংরা তেল এবং ময়লা এয়ার ফিল্টারের কারণে ইঞ্জিনের বিশাল ক্ষতি হয়। এছাড়াও আপনার গাড়ির ফুয়েল খরচের হিসেব রাখতে প্রহরী ভিটিএসের সাহায্য নিতে পারেন। প্রহরীর ফুয়েল মনিটরিং ফিচারের মাধ্যমে গাড়িতে কতটুকু ফুয়েল অবশিষ্ট আছে এবং কতটুকু খরচ হয়েছে তা বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন।
সবসময় গাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। অন্তত সপ্তাহে একদিন গাড়ি ধুয়ে ফেলতে চেষ্টা করুন। আর কখনো শুকনো অবস্থায় গাড়ি পরিষ্কার করবেন না। এতে কারের পেইন্টের কালার দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এছাড়াও নিয়মিত গাড়ির জানালার গ্লাস, উইন্ডশীল্ড, রিয়ার ভিউ আয়না, হেডলাইট ও ভিতরের সবকিছু পরিষ্কার করুন। এবং এসব ঠিকভাবে কাজ করে কিনা, তাও পরীক্ষা করে দেখুন। যদি কোন পার্টস ত্রুটিপূর্ণ বলে মনে হয়, তবে তা দ্রুত কোন অভিজ্ঞ মেকানিক দিয়ে রিপেয়ার কিংবা দরকার পড়লে চেঞ্জ করে ফেলতে পারেন।