পকেটে নাকি হাতে — মোবাইল ফোন কোথায় রাখা নিরাপদ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি কম হয়?
মোবাইল ফোন হাতে রাখা যেই কথা, পকেটে রাখাও সমান কথা – কারণ দুই ক্ষেত্রেই আপনার শরীরের সাথেই আছে ফোনটা। আর পকেট ও হাতের দুরত্ব সেরকম আহামরি কিছু নয় – যার কারণে স্বাস্থ্য আকাশ-পাতাল পরিমান ঝুঁকির মধ্যে থাকবে।
রেডিয়েশন (বিকিরণ) নিয়ে দুটো কিছু কথা বলা দরকার। সাধারণত রেডিয়েশন দু’ধরণের হয় – আয়োনাইজিং রেডিয়েশন এবং নন আয়োনাইজিং রেডিয়েশন। আয়োনাইজিং রেডিয়েশন পদ্ধতিতে মানুষের শরীরে টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে – যার ফলস্বরূপ শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টি হতে পারে। এক্স-রে ও গামা-রে হচ্ছে এই বিকিরণ পদ্ধতির উদাহরণ। আর নন আয়োনাইজিং রেডিয়েশন পদ্ধতিতে মানুষের শরীরে টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয় না তবে কিছু ক্ষণস্থায়ী প্রভাব পড়তে পারে – যেমন শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া কিংবা চামড়া কালো হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। এতে করে ক্যান্সারের ঝুঁকি নেই। এই বিকিরণ পদ্ধতির উদাহরণ হচ্ছে সূর্যের আলো, দৃশ্যমান আলো, অবলোহিত বিকিরণ (ইন্ফ্রারেড রেডিয়েশন), রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি প্রভৃতি। আমাদের মোবাইল ফোন যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে থাকে অর্থাৎ নন আয়োনাইজিং রেডিয়েশন পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।
তাই দেখা যাচ্ছে, মোবাইল ফোন ব্যবহারে স্বাস্থ্য ঝুঁকি সেরকম নেই কিংবা থাকলেও সেটা খুবই নগন্য। তারপরও যদি ঝুঁকি নিতে না চান তবে মোবাইল ফোন কেনার আগে ফোনের SAR (Specific Absorption Rate) দেখে কিনবেন। SAR এর মান যত কম হবে, ফোন থেকে বিকিরিত হওয়া রশ্মির আপনার শরীরের টিস্যু দিয়ে শোষিত হবার সম্ভানা ততই কমে যাবে। ফলে আপনার টিস্যু কম প্রভাবিত হবে। হিসেবমত স্বাস্থ্য ঝুঁকিও কমে যাবে। তাই কম SAR এর ফোন ব্যবহার করতে চেষ্টা করুন।