পদার্থবিজ্ঞানে ম্যাক্সওয়েলের দৈত্যের বিষয়টা কী?
,
ল্যাবরেটরিতে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিলেন ম্যাক্সওয়েল, যেন কেউ বিরক্ত করতে না পারে৷ দুটো কাচের বাক্স জোগাড় করেছেন৷ দুটোতে একই গ্যাস ভরা৷ গ্যাসের অণু-পরামাণুগুলোও এখন তিনি স্পষ্ট দেখতে পারছেন। কাচের বাক্সদুটো পাশাপাশি রেখে জোড়া লাগিয়ে দিলেন। তবে এদের মাঝখানের দেয়ালে একটা ছোট্ট দরজা আছে। দরজাটা ভরহীন।
ম্যাক্সওয়েলের বাড়িতে একটা ছোট্ট বিড়াল এসে ঘাঁটি গেড়েছে। কালো বিড়াল। বিড়ালটা লম্বায় বড়জোর তিন-চার ইঞ্চি। কিন্তু ওটার চেহারা ঠিক বিড়ালের মতো নয়। বরং বদখত একটা দানবের মতো।
লর্ড কেলভিন একদিন ল্যাবরটরিতে ম্যাক্সওয়েলে পিছু-পিছু ঘুরতে দেখেছিলেন। ‘ওটা কী হে ভায়া?’ জিজ্ঞেস করেছিলেন ক্যালভিন।
‘বামন বিড়াল।’ জবাবে বলেছিলেন ম্যাক্সওয়েল।
‘ওমা, বিড়াল কোথায়? আমি তো দেখছি একটা ডেমন!’
সেদিন থেকেই ‘ম্যাক্সওয়েলের দৈত্য’ নামে পরিচিতি পায় বিড়ালটা। আজ ওটাকেই দিয়েই কাজ হাসিল করতে চান তিনি। প্রমাণ করতে চান, বাইরে থেকে শক্তি প্রয়োগ না করেও কোনো আবদ্ধ সিস্টেমের এনট্রপি কমানো যায়।