প্রত্যেকদিন কম করে ১০০ টাকা অনলাইনে কীভাবে উপার্জন করা সম্ভব?
ফ্রি অনলাইন আর্নিংঃ ৩টি উপায়ে অনলাইনে আয় করুন মাসে নুন্যতম ১০০$
☞ ব্লগিং এর মাধ্যমে আায়ঃ গুগল ব্লগার
গুগল এর জনপ্রিয় ব্লগিং প্লাটফর্ম হচ্ছে ব্লগার একদম ফ্রি তে তারা এই সার্ভিস দিয়ে থাকে এবং তারা আপনাকে আপনার ব্লগে গুগল এর বিজ্ঞাপন প্রকাশ করার অপশান রেখেছে। কিন্তু গুগলের বিজ্ঞাপন প্রকাশের জন্য আপনাকে একটি মানসম্মত ব্লগ তৈরী করতে হবে। আপনার ব্লগে যখন ভিজিটর আসা শুরু করবে আপনার আর্নিং শুরু হয়ে যাবে। ভিজিটর আনতে হলে আপনাকে ভালো ভালো পোস্ট/কনটেন্ট বানাতে হবে। এমন ভাবে কনটেন্ট বানাতে হবে যাতে মানুষ ভিজিট করতে আগ্রহী হয়।
একটা আর্নিং ব্লগ হচ্ছে একটা বাগানের মত। এমন গাছ লাগাবেন যেটা ১২ মাস ফলন দিবে আর মানুষের কাছে সেই গাছের ফলের ভালো চাহিদা আাছে মানে যেটা মানুষ সবচেয়ে বেশি খোজ করে বা পেতে চায়।
একটা মানসম্মত ব্লগ তৈরী করে আপনি প্রচুর পরিমাণ টাকা আয় করতে পারেন। গুগল এর জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন প্রকাশনা সার্ভিস হচ্ছে “গুগল অ্যাতসেন্স”। আপনি আপনার ব্লগ তৈরীর পর, আপনার ব্লগে গুগল অ্যাডসেন্সের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করডে পারবেন। আপনার ব্লগে প্রচুর ভিজিটর আসলে আপনার প্রচুর আয় হবে আর কম আসলে কম। আপনি আপনার ব্লগে যত ভালো কাজ করতে পারবেন তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
☞ ইউটিউবের মাধ্যমে আয়
ইউটিব ও গুগল এর জনপ্রিয় ভিডিও পোর্টাল। ইউটিউবে আপনি আপনার ভিডিও ব্লগ তৈরী করেও প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এটাতেও ব্লগার এর মত ভিজিটর আনতে হবে। এবং আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন প্রচার করে আপনি অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।
ইউটিউবে আর্ন করতে চাইলে আপনাকে নিয়মিত ভালো মানের ভিডিও কন্টেন্ট তৈরী করতে হবে। যেগুলো ভিজিটরকে আকৃষ্ট করবে। এবং অবশ্যই আপনাকে আরোও একটি কাজ করতপ হবে আর সেটি হচ্ছে ভিডিও টিকে ভালো মত SEO (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) অপটিমাইজ করে নিতে হবে যাতে ইউটিউবে বা গুগলে আপনার ভিডিও সার্চ করলে তা সার্চ লিস্টে চলে আসে।
আপনার ইউটিউব চ্যানেলে গুগলের বিজ্ঞাপন প্রকাশের জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ভিউ এবং সাবস্ক্রাইবার এর প্রয়োজন হবে। এর জন্য আপনি আপনার ভিতিও বেশি বেশি সোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করবেন। যেমনঃ ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও অন্যান্য সোসাল নেটওয়ার্ক সাইটে শেয়ার করবেন।
☞ ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আয়
এই ক্ষেত্রে আপনাকে কাজ জানতে হবে। কোনো একটি বিষয়ে বিশেষ পারদর্শিতা থাকতে হবে। যেমনঃ লোগো ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি। এখান থেকেও প্রচুর অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। তবে আপনি কাজ না জানলে এই পদ্ধতি কোনো কাজে আসবে না। ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য অনেক স্কিল আছে, আপনি চেষ্টা করবেন যেটার চাহিদা বেশি সেই স্কিলের উপর কোর্স করার বা নিজে নিজে শিখবেন ইউটিউব থেকে। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কয়কটি ফ্রিল্যা প্লাটফর্ম এর নাম নীচে দেয়া হলঃ
➤ Upwork
➤ Fiverr
➤ peopleperhour
➤ Freelancer
আমাদের দেশে অনেক ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দাতা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা আপনাকে কাজ শিখাবে এবং আপনাকে ফ্রিল্যান্সার দের দুনিয়ায় কাজ পেতে সাহায্য করবে। একবার ক্লায়েনট পেয়ে গেলে আপনাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। তাই দেখেশুনে ভালো একটা প্রতিষ্ঠানে কোর্স করে কাজ শুরু করে দেন।
আশা করি আমার পরামর্শ আপনাদের ভালো লেগেছে। কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন।