ঈমানদার মানুষ মাত্রই হালাল রুজি উপার্জন করার কোনো বিকল্প নেই। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘হালাল জীবিকার সন্ধান করা ফরজ ইবাদতের পরই অপরিহার্য কর্তব্য।’ এর মানে মৌলিক ইবাদতের পরই রয়েছে হালাল জীবিকার জন্য কর্মপ্রচেষ্টার তাগিদ।
মনে রাখতে হবে, হালাল উপার্জন ছাড়া মানুষের আর কোনো গত্যন্তর নেই। ইবাদত কবুলের অপরিহার্য শর্ত হলো হালাল উপার্জন করা। আর কোরআন-সুন্নাহ নির্দেশিত পন্থায় জীবিকা নির্বাহ করলে উপার্জন হালাল হয়।উপার্জনের নানা পথ : মহান আল্লাহর এই বিশাল পৃথিবীতে কোটি কোটি মানুষ খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার জন্য জীবিকা উপার্জনের বিভিন্ন পথ ও পন্থা অবলম্বন করে।
কেউ বা চাকরিজীবী, কেউ ব্যবসায়ী। এই দুই উপায়ে মানুষের যেমন কর্মসংস্থান হয়, তেমনি মানুষের জীবিকা উপার্জনের উপায় হয়। তা ছাড়া মানুষ আরো অন্য যেসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আয়-রোজগার করে সেগুলোও কোনো না কোনোভাবে ব্যবসায়ের আদলে হয়ে থাকে।উপার্জনের পাথেয় হিসেবে চাকরি : পৃথিবীর মানুষের একটি অংশ চাকরিজীবী। এদের আমরা মূলত দুই ভাগে ভাগ করতে পারি।
সরকারি চাকরিজীবী ও বেসরকারি চাকরিজীবী। উভয় ক্ষেত্রে জীবিকা হালাল হতে হলে বেশ কতগুলো বিষয় শরিয়াহসম্মত হতে হবে। প্রথমত, প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড ইসলামী নীতির মধ্যে আছে কি না। কোনো অবৈধ বা অনৈসলামিক বিষয় নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠান কায়-কারবার করে কি না। সুদ বা জুলুমের অন্য কোনো বিষয়ের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক আছে কি না। সরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানই রাষ্ট্রের নানা কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। জনগণের কল্যাণ ও সেবার কাজে জড়িত। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত চাকরিজীবীর বেলায় বেতন হালাল হওয়াই বাঞ্ছনীয়। তবে যিনি চাকরি করবেন, তাঁকে অবশ্যই সত্ভাবে, ঘুষ ও প্রতারণা ছাড়া তাঁর কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হবে। সততা ও দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে তাঁকে নিষ্ঠাবান হতে হবে। তা হলেই ওই ব্যক্তির উপার্জন বা বেতন হালাল হবে।