বাংলাদেশে জাতীয় সংসদের অধিবেশন কে আহ্বান করেন?
বাংলাদেশে জাতীয় সংসদের অধিবেশন কে আহ্বান করেন?
রাষ্ট্রপতি
সাংবিধানিক ভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সংসদীয় পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ পদমর্যাদার অধিকারী হলেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতি হওয়ার ন্যূনতম বয়স ৩৫ বছর। জাতীয় সংসদ সদস্যদের ভোটে তিনি নির্বাচিত হন। স্পিকার (সংসদের পঞ্চদশ সংশোধনীর পূর্বে ছিল প্রধান বিচারপতি) রাষ্ট্রপতিকে শপথ বাক্য পাঠ করান। নির্বাচিত হওয়ার পর শপথ গ্রহণের পর থেকে তার মেয়াদকাল ৫ বছর। আবার রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করতে পারেন স্পিকারের নিকট পদত্যাগ পত্র দাখিলের মাধ্যমে। রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৫০(২) ধারা মতে ধারাবাহিক ২ বারের অধিক মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। তিনি জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহ্বান করেন। ৫৬(৩) অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ ও ৯৫(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে তাকে প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশ নিতে হয় না। একই সঙ্গে তার ওপর আদালত এর কোনো এখতিয়ার বারিত। রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতিতে তার দায়িত্ব পালন করবেন স্পিকার স্বয়ং। রাষ্ট্রপতি প্রধামন্ত্রীর পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করবেন। তার নিকট কোনো বিল পেশ করার ১৫ দিনের মধ্যে তা অনুমোদন করতে হয় নচেৎ তা স্বয়ংক্রিয় ভাবে অনুমোদিত হয়ে যায়। তবে অর্থ বিল এ সম্মতি দানে তিনি বিলম্ব করতে পারবেন না। দুই – তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্যের ভোটের মাধ্যমে শারীরিক বা মানসিক কোনো কারণে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা যায়। তার সরকারি বাসভবন বঙ্গভবন মতিঝিল এর দিলকুশায় অবস্থিত। তার নিরাপত্তায় বিশেষ বাহিনী হলো প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (PGR) ও স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (SSF