ভাটার পানি কোথায় যায়? এবং জোয়ারের পানি কোথা থেকে আসে?
পৃথিবীর বাইরের মহাকর্ষীয় শক্তির (বিশেষ করে চাঁদের) প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের পানি নিয়মিত বিরতিতে ফুলে ওঠাকে জোয়ার ও নেমে যাওয়ার ঘটনাকে ভাঁটা (একত্রে জোয়ার-ভাটা) বলা হয়।
কোনো নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট একটি সময়ে মুখ্য জোয়ার হওয়ার ১২ ঘণ্টা ২৬ মিনিট পরে সেখানে গৌণ জোয়ার হয় এবং মুখ্য জোয়ারের ২৪ ঘণ্টা ৫২ মিনিট পর সেখানে আবার মুখ্য জোয়ার হয়। তাই প্রত্যেক স্থানে জোয়ারের ৬ ঘণ্টা ১৩ মিনিট পরে ভাটা হয়। পৃথিবীর আবর্তন এবং সেই সঙ্গে চন্দ্র, সূর্য ও পৃথিবীর পারস্পরিক মহাকর্ষের টানে প্রতিদিন দুই বার (প্রায় ১২ ঘণ্টা অন্তর অন্তর) সাগর, মহাসাগর, উপসাগর, নদনদী ও অন্যান্য জলরাশির পানি নিয়মিত ও পর্যায়ক্রমে স্ফীত হয়ে ওঠে এবং নেমে যায়। জোয়ার ভাটা প্রধানত গভীর সমুদ্রে উৎপন্ন হয় এবং সেখান থেকে তা উপকূলীয় জলরাশিতে ছড়িয়ে পড়ে। জোয়ার ভাটা গভীর সমুদ্রে সংগঠিত হওয়ার ফলে বিস্তীর্ণ জলরাশি ক্রমান্বয়ে স্ফীত হয়ে ওঠানামা করে। জলস্তরের পর্যায়ক্রমিক ওঠানামার ফলে জোয়ারের সময় অস্থায়ী জলসঞ্চয়ন ঘটে এবং ভাটার সময় তা আবার নিষ্কাশিত হয়ে যায়। একারণে আপাত দৃষ্টিতে পানির পরিমান বেড়ে গেছে বলে মনে হয় ।