রাস্তাঘাটে অনেকসময়ই বড় বড় গাছের নীচের অংশটি সাদা রং করা দেখা যায়। কেন গাছের নীচে সাদা রঙ করা হয়?
আমি প্রায়শই বাসে করে যাতায়াতের পথে, অনেক গাছের কাণ্ডের চারপাশে বিশেষ করে শিকড়ের জায়গাটায় লাল বা সাদা রঙ থাকতে দেখেছি। এগুলো একটা সময় আমাকেও অবাক করে দিত, চিন্তা নেই পুরো উত্তরটা পড়ার পর আপনারও হতবাক হয়ে যাবেন।
এই পেইন্টগুলি সাধারণত হোয়াইট ওয়াশ বা চুনকাম হয়ে থাকে। গাছগুলিতে রঙ করলে পরে গাছের জীবনকাল বৃদ্ধি পায় এবং গাছের সুরক্ষাও নিশ্চিত হয়। কারণ এই গাছগুলোতে রঙ হয়ে যাওয়ার পর ওগুলোকে আর কাটা যায় না। গাছের গায়ে রঙ করে দেওয়া ওই রেখাগুলির অর্থ হল, ওই গাছগুলি মূলত বন বিভাগের চোখে পড়েছে। এইভাবে গাছের সুরক্ষা বাড়ে।
যদিও কয়েকটি রাজ্যে গাছের গায়ে শুধুমাত্র সাদা রঙেরই ব্যবহার করা হয়, তবে এমন অনেক রাজ্য আছে যেখানে লাল এবং নীল রঙও ব্যবহৃত হচ্ছে। এভাবে বন বিভাগ গাছ সংরক্ষণের কাজ করে।
রাতের বেলা হাইওয়ের ধারের এই গাছগুলিকে সহজেই দৃশ্যমান করে তুলতে সাদা রঙ করা হয়। কিন্তু, অনেক জায়গায় সাদার বদলে অন্য রঙও করা হয়ে থাকে, যেমন সাদা, লাল, নীল ইত্যাদি।
অনেকসময় আবার গাছের নীচের অংশে সাদা রঙ প্রয়োগ করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হ’ল এটি করলে পরে গাছের নতুন ছালটি উঠে যাওয়া থেকে রক্ষা পায়। ওই একই কারণবসত এই জাতীয় গাছগুলি থেকে পোকামাকড়ও দূরে থাকে আর তাছাড়া এরমভাবে রঙ করে রাখলে সময়ের সাথে সাথে অন্য কোনো সংক্রমণ ও বিভিন্ন রকমের কীট পতঙ্গের হাত থেকেও গাছকে রক্ষা করা যেতে পারে। এছাড়াও গাছে পেইন্টিং করার সুবাদে, গাছের ফাটলগুলোও অল্প বিস্তর ভরাট হয়, যা প্রকারান্তরে গাছেদের বেঁচে থাকার জন্য সময়টা একটু বাড়িয়ে দেয়। যাইহোক, নতুন গাছ লাগিয়ে পুরানো গাছগুলি সংরক্ষণ করা নিশ্চয়ই ভাল। কিন্তু এটাও ঠিক, যে নতুন গাছ লাগানোর চেয়ে পুরনো গাছগুলোকে বাঁচিয়ে রাখা ঢের ভালো।