শীতকালে ত্বকের যত্ন কিভাবে নিবো?
স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট রেঞ্জে পরিবর্তন
ত্বকের যত্নে সারা বছরেই ক্রিম কিংবা স্কিন কেয়ার ব্যবহার করা হয়। কিন্তু শীতকালিন সময়ে তা পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে। শীতকালে ত্বক খুব রুক্ষ হয়ে যায়। শীতকালে ত্বকের যত্নে পুষ্টিকর এবং ময়েশ্চারাইজিং পণ্য ব্যবহার করা উচিত, যাতে ত্বকের শুষ্কতা না বাড়ে। শীতে শরীরের ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজিং শাওয়ার জেল বা বডি বাটার ব্যবহার করতে পারেন।
পায়ের জন্যও দরকার বাড়তি যত্ন
হাতের যত্নের পাশাপাশি পায়েরও যত্ন নিতে হবে। শীতকালে পায়ে মোজা পরা উচিত। এর জন্য প্রথমে আপনার পা ভালোভাবে পরিষ্কার করুন তারপর পেট্রোলিয়াম জেলি বা গ্লিসারিন দিয়ে পায়ের তলায় সুন্দরভাবে ম্যাসাজ করুন। সপ্তাহে অন্তত্য ১বার এক্সফোলিয়েট করুন। অতপর পা ফাটা রোধ করতে নিয়মিত পেট্রোলিয়াম জেলি বা গ্লিসারিন ব্যবহার করুন। আপনার যদি পা ফাটার সমস্যা থাককে তাহলে অনেকটাই কমে যাবে।
শীতকালে ত্বকের যত্ন নিতে ফেইস প্যাক
গরমের তুলনায় শীতকালে ত্বকের আর্দ্রতা অনেকটাই হারিয়ে যায়। শীতে ফেসপ্যাক লাগালে কিছুটা ঝামেলা হতে পারে। তবে সপ্তাহে ১ থেকে ২ দিন গোসলের আগে কিছু সময় দেওয়া যেতে পারে। এছাড়াও ফেস প্যাকগুলিতে এমন উপাদান থাকা উচিত যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজ রাখে এবং আপনার ত্বককে নরম করে। ঠিক তেমনই একটি প্যাক হল মধু ও গোলাপ জলের প্যাক। প্যাকটি তৈরি করতে প্রথমে এক টেবিল চামচ মধু ও এক টেবিল চামচ গোলাপ জল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। মেশানো হয়ে গেলে মিশ্রণটি মুখে, ঘাড়ে ভালোভাবে লাগান। তারপর ১০ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক ব্যবহারের ফলে ত্বকের অতিরিক্ত শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে।
সুস্থ থাকার জন্য ত্বকের যত্নের পাশাপাশি স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দেওয়া দরকার। শীতের মৌসুমে অনেকেই নিয়মিত গোসল করেন না, এটা অভ্যাসটা কিন্তু ভালো নয়। আবার অনেকেই গরম পানি দিয়ে গোসল করতে পছন্দ করেন। এ সময় অনেকেই নিজের গায়ে গরম পানি ঢালতে পচ্ছন্দ করেন। এটি করার ফলে ত্বক আরও শুষ্ক ও রুক্ষ যায়।
তাই হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করুন তাতে ত্বক রুক্ষ হবে না। এতক্ষণ জেনে নিলেন শীতকালে ত্বকের যত্ন নেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে। একটু যত্ন শীতকালে আপনার ত্বককে রাখতে পারে কোমল ও সুস্থ।