শীতের শুরুতে বা শীতের সময় হালকা ঠাণ্ডা বাতাস নাক দিয়ে প্রবেশ করলেই সমানে কেবল হাঁচি শুরু হয়। এই হাঁচি থেকে পরিত্রাণের উপায় কী?
শীতের শুরুতে বা শীতের সময় হালকা ঠাণ্ডা বাতাস নাক দিয়ে প্রবেশ করলেই সমানে কেবল হাঁচি শুরু হয়। এই হাঁচি থেকে পরিত্রাণের উপায় কী?
ডাস্ট অ্যালার্জি কেবল ঠাণ্ডা বাতাস কারণে হয়, তা নয়। ঘরের ভেতরে ও আশপাশে উপস্থিত আরও কিছু বস্তুর বা কণার কারণেও হতে পারে।কুকুর, বিড়ালের মতো পোষা প্রাণীর চুল ও খুশকিতেও ডাস্ট অ্যালার্জি হয়। ফুলের পরাগরেণু নাক ও গলায় প্রবেশ করলেও অ্যালার্জি হতে পারে।
• ডাস্ট অ্যালার্জির কারণ সঠিকভাবে নির্ণয় করতে কিছু পরীক্ষার প্রয়োজন। যেমন স্কিন অ্যালার্জি টেস্ট, রক্ত পরীক্ষা ইত্যাদি।
• ক্ষতিকর বস্তু এড়িয়ে চলতে হবে। চুলকানি, অনবরত হাঁচি, চোখ লাল হয়ে যাওয়া বা চোখ থেকে পানি ঝরতে থাকলে অ্যান্টিহিস্টামিন–জাতীয় ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শে খাওয়া যেতে পারে।
• স্টেরয়েড–জাতীয় নাকের স্প্রে ব্যবহার করে নাকের ভেতরের ফোলাভাব কমানো যায়। নাক বন্ধ হয়ে থাকলে স্যালাইন সলিউশন দিয়ে নাক পরিষ্কার করতে হবে।
• যেকোনো ত্বক ও অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিলে ঠিক না হওয়া পর্যন্ত অ্যালার্জি–জাতীয় খাবার যেমন গরুর মাংস, ইলিশ মাছ, চিংড়ি, পুঁইশাক, বেগুন ইত্যাদি না খাওয়াই ভালো।
• হঠাৎ ত্বকের কোথাও লাল হয়ে গেলে, চুলকানি হলে ঠান্ডা পানির সেঁক দিলে বা ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে আরাম পাওয়া যায়।
• এক গ্লাস গরম পানিতে দুই চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার ও সামান্য মধু মিশিয়ে প্রতিদিন এক থেকে দুবার খাওয়া যেতে পারে।
• দুই টেবিল চামচ খাঁটি মধু এক কাপ পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন এক থেকে দুবার খেতে পারেন।
• বাইরে বেরোলে মাস্ক পরুন। যতটা সম্ভব ধুলাবালু এড়িয়ে চলুন।