সাউথ কোরিয়ার শিক্ষার্থীরা ১৬/১৭ ঘন্টা কিভাবে পড়াশোনা করে?
আদৌও কি ১৬ ঘন্টা করে পড়াশোনা করা সম্ভব?
বিদেশে থাকাকালীন চীন, কোরিয়ার অনেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়েছিল । স্বভাবে শান্ত এইসব তরুণ-তরুণীর ছোট্ট ছোট্ট উজ্জ্বল চোখের পেছনে লক্ষ্য করেছিলাম কি অদ্ভুত মেধা ও যুক্তির কাঠামোয় গড়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্য। নিজেদের ভাষা ছাড়া অন্যান্য ভাষায় বিশেষ করে ইংরেজিতে কথাবার্তায় খুব একটা স্বচ্ছন্দ বোধ করে না। তাতে ওদের কিছু যায় আসে বলে মনেও হয় না। উচ্চশিক্ষার বই ও গবেষণা পত্র সব নিজেদের ভাষায় পাওয়া যায়। দিনে ১৬/১৭ ঘন্টা পড়া বলতে আমরা যা বুঝি দিনরাত চীৎকার করে পড়ে যাওয়া ও বই নিয়ে বসে থাকা, তা কিন্তু ওরা করে না। নতুন নতুন বিষয়ে জানা, যুক্তি দিয়ে বন্ধু বান্ধব শিক্ষকদের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনায় মেতে থাকে ওরা। অঙ্কের মাথা বেশ পরিষ্কার। মুগ্ধ হয়েছিলাম ওদের গাণিতিক উপস্থাপনা দেখে। সত্যি কথা বলতে কি, কোরিয়ার কেন যে কোনো মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা পড়ার পেছনে কত ঘন্টা দিল সেটা না দেখে ঘন্টার পেছনে কতখানি পড়া নিয়ে ভাবল সেটাই দেখে। আসলে এই সব মেধাবী ছাত্ররা সবকিছুই করে কিন্তু কোনো প্রলোভনের শিকার হয় না। ফলে তাদের একাগ্রতাকে ঘড়ির কাঁটায় মাপা যায় না।
আশা করি এই উত্তর থেকে কোরিয়ান শিক্ষার্থীদের মেধা সংক্রান্ত ও ঘড়ি সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু ধারণা করা যেতে পারে।