সূর্যে কোন অক্সিজেন নেই। তবুও সুর্য কী করে জ্বলছে?
দেখুন কোন বস্তু ‘জ্বলা’র সাথে অক্সিজেনের সম্পর্ক থাকতে হবে এমন কোন কথা নেই।
আমরা সচরাচর যে বিষয়টিকে আগুন জ্বলা হিসেবে বুঝি সেটি মূলত দহন বিক্রিয়ার ফলে সংঘটিত ঘটনা মাত্র। আর এই দহন বিক্রিয়ায় থেকে আমরা বিকিরিত শক্তি হিসেবে তাপ ও আলোক শক্তি পেয়ে থাকি। এই বিকিরিত আলোক শক্তিই উজ্জ্বল রূপে দেখতে পাই।
আমরা কোন বস্তুকে উত্তপ্ত করলেই সেখান থেকে আলোক শক্তি পেতে পারি। যেমন : বৈদ্যুতিক বাতির ক্ষেত্রে আপনি বিষয়টি লক্ষ্য করতে পারেন।
এখানে বিদ্যুৎ প্রবাহের সাহায্যে টাংস্টেন (Wg) ফিলামেন্টকে উত্তপ্ত করে আলোক শক্তির বিকিরণ পাওয়া যায়।
তাই এখানে যে কোন প্রকারে শক্তি উৎপাদন করাই মূল লক্ষ্য।
এবার আসি সূর্যের ক্ষেত্রে — সূর্যের মধ্যে জ্বালানি হিসেবে থাকে হাইড্রোজেন। আর এই হাইড্রোজেন(H) জ্বালানি থেকে শক্তি উৎপাদন করতে গেলে যে বিক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হয় তা হল নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়া। যেখানে দুটো হাইড্রোজেন( H) নিউক্লিয়াস পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়।
এই হাইড্রোজেন আইসোটোপগুলো পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে ক্রমাগত শক্তি উৎপাদন করে যা আমরা আলোক এবং তাপশক্তি হিসেবে বিকিরণের মাধ্যমে পৃথিবীতে পেয়ে থাকি। এবং এই ফিউশন বিক্রিয়ায় আমাদের সৌরজগতের জন্যে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা যার থেকে উৎপাদিত শক্তিই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আমাদের এই জীবজগতকে বাঁচিয়ে রেখেছে।
আর আমরা চাইলে অক্সিজেনের সাহায্য ছাড়াই সোলার প্যানেলের মাধ্যমে শুধু বৈদ্যুতিক বাতিই নয়, বৈদ্যুতিক অনেক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে পারছি।
তাই আমরা এটা মেনে নিতে পারি যে কোন বস্তু জ্বলার ক্ষেত্রে অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা বাধ্যতামূলক নয়৷
ধন্যবাদ।