৭/৮ বছর ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য, এইটা চিরতরে দূর করার কোনো উপায় আছে কি?
৭/৮ বছর ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য, এইটা চিরতরে দূর করার কোনো উপায় আছে কি?
কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ
- মানসিক চাপ, উদ্বেগ
- অনেকক্ষণ শুয়ে-বসে থাকা, শারীরিক ব্যায়ামের অভ্যাস না থাকা
- যথেষ্ট পরিমাণে পানি ও তরল পান না করা
- নিয়মিত ফাইবার বা আঁশ সমৃদ্ধ শাকসবজি ও মৌসুমি ফল না খাওয়া
- নিয়মিত সঠিক ঘুম না হওয়া
- চা-কফি, ফাস্টফুড, ভাজাপোড়াজাতীয় খাবার বেশি খাওয়া
গরু বা খাসির মাংস এড়িয়ে চললে কোষ্ঠকাঠিন্য দূরে থাকবে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে যে খাবারগুলো উপকারী
কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ ও প্রতিকারে সঠিক খাবার ব্যবস্থাপনাই প্রধান ভূমিকা পালন করে। আঁশসমৃদ্ধ যেকোনো খাবারই কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ ও প্রতিকারে প্রধান ভূমিকা পালন করে।
- খোসাসহ গোটা ফলে যথেষ্ট পরিমাণে আঁশ বা ফাইবার থাকে। যেমন আপেল, পেয়ারা, নাসপাতি, আঙুর ইত্যাদি।
- পাকা পেঁপে, পাকা বেলের শরবত, অ্যালোভেরা জুস কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ওষুধের মতো কাজ করে।
- সব ধরনের শাক বেশি বেশি খেতে হবে। যেমন পুঁইশাক, পালংশাক, লালশাক, কচুশাক ইত্যাদি।
- সবজির মধ্যে ঢ্যাঁড়স, পেঁপে, ফুলকপি, পাতা কপি, কচুর লতি বেশ উপকারী।
- বৃহদন্ত্রে মলের চলাচল বাড়াতে হবে। সে জন্য নন স্টার্চ আঁশসমৃদ্ধ শাকসবজি ও বিভিন্ন ফল পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে হবে।
- দিনে দু-তিনবার তোকমাদানা, ইসবগুলের ভুসি বা চিয়া সিড অথবা অ্যালোভেরা খাওয়া খুব উপকারী।
- ঘনঘন পরিমিত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। সেই সঙ্গে পানির চেয়ে গাঢ়, যেমন মধু, টকদই, বেলের শরবত, পেঁপের শরবত, অ্যালোভেরা জুস, আখের রস ইত্যাদির মতো তরল পান করতে হবে। এর ফলে বৃহদন্ত্রে অন্তঃঅভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় মল শরীর থেকে পানি শোষণ করে নিজে নরম থাকবে।
- আয়রন ও ক্যালসিয়াম-জাতীয় ওষুধ সেবন বন্ধ করে আয়রন ও ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে যেসব খাবার বাদ দেবেন
সঠিক খাদ্যাভ্যাসই যেহেতু কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে প্রধান চিকিৎসা, তাই খাদ্যাভ্যাসের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। যে খাবারগুলো বাদ দেবেন—
- কম আঁশযুক্ত খাবার যেমন কাচাকলা, ময়দার তৈরি খাবার ইত্যাদি।
- চা-কফি, পিৎজা, ফাস্ট ফুড, চিপস, চকলেট, তেলে ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া যাবে না।
- গরু বা খাসির মাংস এড়িয়ে চলতে হবে।
- রান্নায় মসলার পরিমাণ কমাতে হবে। ভাজি বা ভুনা খাবারের বদলে কম মসলাযুক্ত খাবার খেতে হবে।
- কিছু শুকনো খাবার বাদ দিতে হবে। যেমন, মুড়ি, চিড়া, গুঁড়ো দুধ, বিস্কুট ইত্যাদি।
- নুডলস-পাস্তা জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে।